Friday, January 31, 2025

বেশ্যা কবিতা

"বেশ‍্যা" কবিতাটি কবি কাজী  নজরুল ইসলাম এর নামে প্রচার হলেও কবিতাটি কবি কাজী  নজরুল ইসলাম এর লেখা নয়। বিষয় টি আমাদের নজরে আসলে আমরা গুগল সার্চের মাধ্যমে জানতে পারি কবিতাটি বেশ্যা কবিতাটি " সাজ্জাদুল ইসলাম " নামে এক ব্যাক্তির লেখা। 

বেশ্যা কবিতাটি 
[ আত্মদর্শনে সূফীবাদ→Master of Sufism ] পেজের মাধ্যমেও একাধিকবার কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর নামে প্রচার করা হয়েছে।
 কিন্তু সেটা আমরা Social Media অন্যান্য Website থেকে সংগ্রহ করে প্রচার করা হয়েছিল।তাই আমরা  পেজের সকল ফলোয়ারদের কাছে ক্ষমা প্রার্থী।
 
 "বেশ্যা"
সাজ্জাদুল ইসলাম

সাধুর নগরে বেশ্যা মরেছে
পাপের হয়েছে শেষ
বেশ্যার লাশ হবে না দাফন
এইটা সাধুর দেশ।

জীবিত বেশ্যা ভোগে তো আচ্ছা, মরিলেই যত দোস?
দাফন কাফন হবে না এখন
সবে করে ফোস ফোস।

বেশ্যা তো ছিল খাস মাল,তোদের রাতের রানী
দিনের বেলায় ভুরু কোচ কাও?
মরিলে দেওনা পানি!

"সাধু সুনামের ভেক ধরিয়া দেখালি দারুন খেলা,
মুখোশ তোদের খুলবে অচিরে 
আসবে তোদের বেলা।

"রাতের আধারে বেশ্যার ঘর স্বর্গ তোদের কাছে
দিনের আলোতে চিননা তাহারে? 
তাকাও নাকো লাজে!

"চিনি চিনি ভাই সব সাধু রেই হরেক রকম সাজ
সুযোগ পেলেই দরবেশী ছেরে দেখাও উদ্দাম নাচ!

"নারী আমাদের মায়ের জাতি  বেশ্যা বানালো কে? 
ভদ্র সমাজে সতীর ছেলেরা খদ্দের সেজেছে?

"গরীবের বৌ সস্তা জিনিস সবাই ডাকো ভাবি
সুযোগ পেলেই প্রস্তাব দাও আদিম পাপের দাবি।

"স্বামী যখন মরলো ভাবির, দুধের শিশু কোলে
ভদ্র দেবর সুযোগ খোঁজে সহানুভূতির ছলে,
 
"দিনের মত দিন চলে যায়, 
হয় না তাতে দোষ
মরা লাশের সুযোগ পেয়ে মোল্লার রোষ।

"মোল্লা সাহেব নায়েবে রাসুল ফতোয়া ঝারিশা কয়
পতিতা নারীর জানাজা কবর এই এলাকায় নয়।

"শুধাই আমি ওরে মোল্লা জানাযায় যত দোষ,
বেশ্যার দান নিয়াছো ঝোলিয়ে তুমি বেটা নির্দোষ?

"বেশ্যার তবু আছে পাপ বোধ নিজেকে সে ভাবে দোষী,
তোমরা তো বেটা দিন বেচে খাও হচ্ছেয় খোদার খাসি।

"আল্লাহর ঘর মসজিদে ও আছে বেশ্যার দান,
কলেমা পড়েছে সে ওতো তবে নামেতে মোসলমান!

"বেশ্যা নারী ব্যবসায় নারী পুরুষরা পুরুষরা সব সৎ?
জানি মোল্লা খুলবে না মুখ চাকরি যাওয়ার পথ!

"আর কতকাল থাকবি অমন, মুখোশ ধারীর দল
আসবো এবার মশাল নিয়ে ভাঙতে তোদের কল।

"সত্যর আলো জলবে যখন চিনবে তোদের সবে
লেবাশধারী মুখোশধারী মুখোশ উপরে যাবে।

"এই ভাবে আর চালাবি কত ছল চাতুরীর খেলা।
আসবে তিনি, এবার তোদের বিদায় নেবার পালা।

Tuesday, January 21, 2025

জেলে আর পর্জটক এর কাহিনী

মেক্সিকো ভ্রমণে গেছেন এক পর্যটক। ঘুরতে ঘুরতে তিনি গেলেন সমুদ্রের পাড়ে। সেখানে জেলেদের মাছ ধরা দেখে তিনি দারুণ মজা পেলেন। তাদের কাছে গিয়ে পর্যটক বললেন, "আচ্ছা, প্রতিদিন মাছ ধরতে আপনাদের কত সময় লাগে?”

“বেশিক্ষণ না!” জেলেদের ঝটপট জবাব।

“তাহলে আপনারা বেশি সময় ধরে আরো বেশি মাছ ধরেন না কেন?” পর্যটক প্রশ্ন করেন।

"আমরা যে মাছে ধরি তাতে আমাদের প্রয়োজন মিটে যায়।" জেলেরা জাল টেনে তুলতে তুলতে বলেন।

“তাহলে মাছ ধরার পর বাকি সময়টা আপনারা কী করেন?” পর্যটক জানতে চান।

জেলেরা উত্তর দেয়, “আমরা ঘুমাই, বাচ্চাদের সাথে খেলা করি, স্ত্রীর সাথে খাই, সন্ধ্যায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেই, মজা করি, হাসি, গলা ছেড়ে গান গাই, জীবনকে উপভোগ করি।"

পর্যটক তাদেরকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, “আমি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করেছি। আমি আপনাদেরকে বুদ্ধি দিয়ে সাহায্য করতে পারি। আপনারা আরও বেশি সময় নিয়ে মাছ ধরবেন, বাড়তি মাছগুলো বিক্রি করে মাছ ধরার বড় নৌকা কিনবেন।"

“তারপর?” জেলেদের প্রশ্ন।

“আপনারা বড় নৌকার সাহায্যে আগের চেয়ে অনেক বেশি মাছ ধরবেন, বেশি আয় করবেন। সেটা দিয়ে আরও বড় কয়েকটা নৌকা কিনবেন। একসময় মাছ ধরার নৌবহর বানিয়ে ফেলবেন। তখন মধ্যস্বত্বভোগী ব্যবসায়ীদের কাছে মাছ বিক্রি না করে সরাসরি মাছ প্রসেসিং ফ্যাক্টরির সাথে বেচাকেনা করবেন। এক সময় নিজেরাই মাছ প্রসেসিং ফ্যাক্টরি খুলে বসবেন। তারপর অনেক ধনী হয়ে গ্রাম ছেড়ে মেক্সিকোর বড় কোনো শহর, আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেস বা নিউ ইয়র্কে চলে যাবেন। সেখান থেকে আপনারা মেগা প্রজেক্ট চালু করবেন।" পর্যটক বলতে থাকেন।

“এসব করতে আমাদের কত সময় লাগবে?” জেলেরা জানতে চায়।

“কুড়ি পঁচিশ বছর তো লাগবেই।” একটু ভেবে জবাব দেন পর্যটক।

"তারপর?" জেলেদের চোখে কৌতূহল।

লোকটা হেসে বলেন, “ব্যবসায় যখন আরও বড় হবে তখন আপনারা শেয়ার বাজারে যাবেন, মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় করবেন।”

“মিলিয়র ডলার! ধরুন পেলাম মিলিয়ন ডলার। কিন্তু, তারপর?” জেলেরা অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।

পর্যটক তখন কিছুটা বিরক্তি নিয়ে জবাব দেন, “আপনারা তখন অবসরে যাবেন। শান্ত গ্রামে ফিরে এসে সমুদ্রের ধারে ঘুমাবেন, বাচ্চাদের সাথে খেলা করবেন, বৌয়ের সাথে খাবার খাবেন, সন্ধ্যায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিবেন, মজা করবেন।"

জেলেরা উদাসভাবে বলেন, “সেই কাজটাই তো আমরা এখন করছি! তাহলে বিশ পঁচিশ বছরের কষ্ট করতে যাব কেন?"

Saturday, January 18, 2025

ফ্রি ই বুক

ফ্রি ই-বুক ডাউনলোড করার ১৪টি সাইট:
1. PDFBooksWorld
2. B-ok cc
3. BookBoon
4. Library Genesis
5. Pdfdrive
6. Open Library
7. DigiLibraries
8. Project Gutenberg
9. FeedBooks
10. FreeTechBooks
11. Internet Archive
12. O’Reilly Books
13. GetFreeEBooks
14. AnyBook

জনপ্রিয় ইবুক ওয়েবসাইটসমূহ:

1. Project Gutenberg
ওয়েবসাইট: www.gutenberg.org
ফিচার: পাবলিক ডোমেইনে থাকা ৬০,০০০+ ইবুক বিনামূল্যে পাওয়া যায়।

2. Open Library
ওয়েবসাইট: openlibrary.org
ফিচার: বিভিন্ন ধরণের বই পড়ার ও ডাউনলোড করার সুযোগ।

3. Google Books (Free Section)
ওয়েবসাইট: books.google.com
ফিচার: অনেক বইয়ের ফ্রি সংস্করণ ডাউনলোড করার সুযোগ।

4. ManyBooks
ওয়েবসাইট: manybooks.net
ফিচার: বিভিন্ন ফরম্যাটে ৫০,০০০+ ফ্রি ইবুক।

5. Free-eBooks.net
ওয়েবসাইট: www.free-ebooks.net
ফিচার: সদস্য হয়ে ফ্রি ইবুক ডাউনলোডের সুবিধা।

6. Internet Archive
ওয়েবসাইট: archive.org
ফিচার: বই, অডিওবুক এবং অন্যান্য ডকুমেন্ট বিনামূল্যে পাওয়া যায়।

7. Smashwords (Free Section)
ওয়েবসাইট: www.smashwords.com
ফিচার: ইন্ডি লেখকদের ফ্রি ইবুক পাওয়া যায়।

8. Librivox (Audiobooks)
ওয়েবসাইট: librivox.org
ফিচার: পাবলিক ডোমেইনে থাকা বইয়ের ফ্রি অডিও সংস্করণ।

ভারতীয় ও স্থানীয় ওয়েবসাইট
1. NCERT Books (শিক্ষার্থীদের জন্য)
ওয়েবসাইট: ncert.nic.in
বৈশিষ্ট্য: স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি টেক্সটবুক ডাউনলোড।

2. Kopykitab
ওয়েবসাইট: www.kopykitab.com
বৈশিষ্ট্য: শিক্ষামূলক এবং একাডেমিক বই।

3. Amazon Kindle (Free Section)
ওয়েবসাইট: www.amazon.in
বৈশিষ্ট্য: ফ্রি ইবুকের সেকশন থেকে বই ডাউনলোড।

4. DLI (Digital Library of India)
ওয়েবসাইট: www.dli.ernet.in
বৈশিষ্ট্য: ভারতীয় পুরোনো বইয়ের বিশাল সংগ্রহ।

5. Saylor Academy
ওয়েবসাইট: www.saylor.org
বৈশিষ্ট্য: একাডেমিক ও ওপেন কোর্স বই।

বাংলা বইয়ের জন্য বিশেষ সাইট

1. Boighar
ওয়েবসাইট: www.boighar.in

2. Ananda Publishers
ওয়েবসাইট: www.anandapub.in

3. Bangla Books PDF
ওয়েবসাইট: banglabookshelf.com

মোবাইল অ্যাপস থেকে ফ্রি বই
Kindle App (Amazon)
Google Play Books (Free Section)
Wattpad
Goodreads (Free eBook Section)
#booklover 
#studyfocus 
#motivationalbooks

Wednesday, January 15, 2025

হার জিত

-: ১ :-
বিধবা বিবাহের পক্ষে সই ছিল মাত্র ৯৮৭টি, আর বিপক্ষে সই ছিল ৩৬,৭৬৩টি।

বাকিটা ইতিহাস।

-: ২ :-
গ্যালিলিও কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে যেদিন বলেছিলেন, "আমি আবার বলছি, সূর্য স্থির। পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘোরে। আমাকে শাস্তি দিয়েও, সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর প্রদক্ষিণ আপনারা বন্ধ করতে পারবেন না, পৃথিবী আগের মতোই ঘুরবে।" সেদিন ওনার কথায় সবাই হেসেছিলো। বিচার সভায় গ্যালিলিও-র শাস্তি হয়েছিল।

বাকিটা ইতিহাস।

-: ৩ :-
সতীদাহ প্রথার মতো জঘন্য এক সামাজিক প্রথার বিরুদ্ধে যেদিন রাজা রামমোহন রায় রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, সেদিন সমাজের সংখ্যাগরিষ্ট মানুষ ওনাকে হাস্যাস্পদ করেছিল।

বাকিটা ইতিহাস।

-: ৪ :-
সিগনেট থেকে প্রকাশিত বিভূতিভূষণের "পথের পাঁচালী"-র সংক্ষিপ্ত সংস্করণ "আম আঁটির ভেঁপু"-র জন্য ছবি আঁকতে আঁকতেই সত্যজিতের মনে হয়েছিল, তিনি যদি কোনোদিন সিনেমা করেন, তবে এটাই হবে তাঁর প্রথম সিনেমা। সিনেমার শুটিং যখন শুরু হয়, তখন শুধু প্রযোজকরাই নন, তৎকালীন বিখ্যাত পরিচালকরাও তাঁর উপর হেসেছিলেন। অনেকে তো ওনাকে পাগল পর্যন্ত বলেছিলেন। 

বাকিটা ইতিহাস।

-: ৫ :-

আমরা যখন বলি - লড়াইটা উগ্র দেশপ্রেম আর মানুষে মানুষে বিভেদ নিয়ে নয়, লড়াইটা খাদ্য বাসস্থান শিক্ষা স্বাস্থ্য নিয়ে; লড়াইটা রোজ সন্ধ্যার ওই টিভি স্টুডিওর টিকি আর দাড়ির জন্য নয়, লড়াইটা স্বাধীনতা গণতন্ত্র আর সঠিক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য - ওরা হাসে আমাদের উপর। 

আমরা যখন বলি - নারীর পিরিয়ড হওয়া মানে তার শরীর অপবিত্র ঘোষণা করে দিয়ে বিভিন্ন জায়গাতে তার প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দেওয়া নয় - তখনও ওরা হাসে আমাদের উপর। 

ওদের হাসতে দিন। শুধু একটা কথাই মনে রেখে দিন -    হাজারটা লোকও যদি একটা পুকুরকে সমুদ্র বলে, রাতারাতি পুকুরটা সমুদ্র হয়ে যায় না।

তাই প্রশ্ন এটা নয় যে আমরা পরিসংখ্যানে কত শতাংশ? প্রশ্ন এটাও নয় যে আমরা নগণ্য!

উত্তর একটাই:
আজ থেকে অনেকগুলো বছর পর কারখানার খেটে খাওয়া ওই শ্রমিকগুলো, অথবা স্কুল কলেজে পড়া ওই ছেলে মেয়েগুলো, মাঠের ধারে ওই বেঞ্চটাতে বসে যখন গল্প করবে, ওরা বলবে,

"জানিস, আজ থেকে অনেকগুলো বছর আগে সবাই যখন গনতন্ত্রের নেশাতে মানুষকে মাতিয়ে রেখেছিলো, আমাদের মত খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের জন্য ওই ওরাই ঠিক আওয়াজ তুলেছিল"।

পৃথিবীর সব যুদ্ধ জেতা যায় না, কিন্তু লড়াইয়ের ময়দানে থাকতে হয় - এটা বোঝানোর জন্য কেউ তো একজন ছিল, কেউ তো একজন শুরু করেছিল, কেউ তো একজন শাসকের চোখে চোখ রেখে বলতে পেরেছিলো।

রাজা তোর কাপড় কোথায়?
 
জেতা হারাটা‌ তো সাময়িক, জীবনে নীতিটাই সব।
#collected

কাফকার পুতুলের প্রতি ভালবাসার কাহিনি

ভালোবাসা কি জানেন? 🥰
ফ্রান্ৎস কাফকা (Franz Kafka) কখনও বিয়ে করেননি এবং তার কোনো সন্তানাদিও ছিল না। তার বয়স যখন ৪০, তখন একদিন তিনি বার্লিনের পার্কে হাঁটছিলেন। এমন সময় তিনি একটি ছোট্ট মেয়েকে দেখলেন যে তার প্রিয় পুতুলটি হারিয়ে কাঁদছিল। সেই মেয়েটি এবং কাফকা, দু’জনে মিলে খুব খুঁজলেন হারিয়ে যাওয়া পুতুলটিকে। কিন্তু কোথাও খুঁজে পাওয়া গেল না তা।

কাফকা মেয়েটিকে পরের দিন আবার সেখানে আসতে বললেন। উদ্দেশ্য, আবার তারা দু’জনে মিলে হারিয়ে যাওয়া পুতুলটি খুঁজবেন সেখানে।

কিন্তু পরের দিনও পুতুলটিকে খুঁজে পাওয়া গেল না। তখন কাফকা ছোট্ট মেয়েটিকে একটি চিঠি দিলেন। আর বললেন, ‘এই চিঠিটি তোমার হারিয়ে যাওয়া পুতুলের লেখা’। সে চিঠিতে লেখা ছিল, ‘দয়া করে তুমি কেঁদো না। আমি পৃথিবী দেখতে বেরিয়েছি। আমি আমার রোমাঞ্চকর ভ্রমণকাহিনী তোমাকে নিয়মিত লিখে জানাব।’

এভাবেই শুরু হয়েছিল একটি গল্পের, যা চলেছিল কাফকার মৃত্যু পর্যন্ত।

ছোট্ট মেয়েটির সঙ্গে কাফকার নিয়মিত দেখা হতো। আর যখনই দেখা হতো তখনই কাফকা একটি চিঠি দিতেন মেয়েটিকে, বলতেন সেই একই কথা, ‘চিঠিটি তার হারিয়ে যাওয়া পুতুলের লেখা’, এবং পড়ে শোনাতেন তার প্রিয় পুতুলের বিশ্ব-ভ্রমণের রোমাঞ্চকর সব বর্ণনা খুব যত্নের সাথে, যে বর্ণনাগুলো মেয়েটিকে ভীষণ আনন্দ দিত।

এর কিছুদিন পর একদিন কাফকা একটি পুতুল কিনলেন এবং মেয়েটিকে দিলেন। বললেন, ‘এই নাও, তোমার হারিয়ে যাওয়া সেই পুতুল।’

মেয়েটি বললো, ‘এই পুতুলটি মোটেও আমার হারিয়ে যাওয়া পুতুলের মতো দেখতে নয়।’

কাফকা তখন মেয়েটিকে আরও একটা চিঠি দিলেন যেটাতে তার প্রিয় পুতুলটি তাকে লিখেছে, ‘ভ্রমণ করতে করতে আমি অনেক পাল্টে গিয়েছি।’

ছোট্ট মেয়েটি তখন নতুন পুতুলটিকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরল এবং অপার আনন্দে ভাসল।

এর এক বছর বাদে কাফকা মারা যান।

বহু বছর বাদে, সেই ছোট্ট মেয়েটি যখন অনেক বড় হয়ে গেছে, তখন সে সেই পুতুলটির ভিতরে একটি ছোট্ট চিঠি পায়। কাফকার সই করা ছোট্ট সে চিঠিটিতে লেখা ছিল, ‘Everything you love will probably be lost, but in the end, love will return in another way.’ ....
 
💙
[ফ্রান্ৎস কাফকা ছিলেন জার্মান ভাষার উপন্যাস ও ছোটগল্প লেখক।]

ঘোড়া কাহিনি

আসসালামু আলাইকুম 

✍️জাপানের তাকামায়া গ্রামে একজন জ্ঞানী ও বৃদ্ধ কৃষক বাস করতেন।
✍️ কৃষক লোকটির একটা সুন্দর ও শক্তিশালী ঘোড়া ছিল। কৃষি কাজে , ভারী জিনিস বহনে ও নিত্যদিনের চলা ফেরায় ঘোড়াটিকে তিনি ব্যবহার করতেন।   
✍️একদিন ঘোড়াটি হারিয়ে গেলো। তাকে আর খুঁজে পাওয়া গেলো না। কৃষকের স্ত্রীর খুব মন খারাপ। কিন্তু কৃষক লোকটির কোন অস্থিরতা নেই। তার কোন আফসোস নেই। হারিয়ে যাওয়া ঘোড়ার জন্য তার কোন দুঃচিন্তা নেই। তাকে দেখে মনে হচ্ছে কোন কিছুই যেন হারায়নি।  

✍️আসে পাশের প্রতিবেশীরা এসে বললো, "তোমার কি দুর্ভাগ্য ! একটা মাত্র ঘোড়া তাও হারিয়ে গেলো " 
এই কথা শুনে কৃষক লোকটি একটু মৃদু হেসে বললো , "হতে পারে" 
✍️তার কিছুদিন পর ঘোড়াটি আবার কৃষকের বাড়ি ফিরে আসলো এবং তার সাথে আরোও তিনটি বন্য ঘোড়া।  
✍️কৃষকের বাড়িতে অনেক আনন্দ। শুধু হারানো ঘোড়া ফিরে আসেনি, তার সাথে আবার আরোও তিনটা ঘোড়া।  
✍️প্রতিবেশীরা আবার দেখতে আসলো। সবাই লোকটিকে বলতে থাকলো, "তোমার কি সৌভাগ্য, হারানো ঘোড়া ফিরে পেয়েছো সেই সাথে আবার তিনটা বাড়তি ঘোড়া"
✍️কৃষক আগের মতই হাসি মুখে বললো, "হতে পারে"
✍️দুই দিন পর কৃষকের একমাত্র ছেলে একটা বন্য ঘোড়ায় চড়তে চেষ্টা করে। কিন্তু ঘোড়া থেকে ছিটকে পড়ে যায় এবং পড়ে গিয়ে তার পা ভেঙে ফেলে।  
✍️এই খবর শুনে প্রতিবেশীরা এসে খুবই আফসোস করলো। কৃষককে দুঃখ করে বললো, "এমন করে ছেলের পা ভেঙে গেলো, সত্যিই বড়  দুর্ভাগ্য!"
✍️কথা শুনে কৃষক লোকটি মুচকি হেসে বললো, 
"হতে পারে" 
✍️পরদিনই কৃষকের বাড়িতে রাজার সৈন্যরা এসে হাজির। যুদ্ধের জন্য তারা গ্রামের যুবক ছেলেদেরকে ধরে নিয়ে যেতে এসেছে। কিন্তু কৃষকের ছেলের ভাঙা পা দেখে তাকে না নিয়েই চলে গেলো।  
✍️এইবার প্রতিবেশিরা এসে সবাই বললো, "তোমারতো দেখছি অনেক বড় সৌভাগ্য, ছেলেকে আর যুদ্ধে গিয়ে মরতে হবে না"
মৃদু হেসে কৃষকের একই উত্তর, "হতে পারে" 

✍️আমাদের জীবনের ঘটনাগুলোও অনেকটা একইরকম। কোন ঘটনা কি প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে তা আমরা আগে থেকে জানি না বা জানতে পারি না। তাই, সাময়িক যে ঘটনা ভালো সেটা পরে ভালো নাও থাকতে পারে, ঠিক তেমনিভাবে খারাপ ঘটনার পিছনেও অনেক ভালো কোনো ফল থাকতে পারে। 
✍️জীবনে অন্ধকার যেমন আসবে, ঠিক তেমনিভাবে আলোও আসবে। সুখ এবং দুঃখ দুটিই আমাদের জীবনের অংশ।

# foryoupage#viralpost#tending