"বেশ্যা" কবিতাটি কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর নামে প্রচার হলেও কবিতাটি কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর লেখা নয়। বিষয় টি আমাদের নজরে আসলে আমরা গুগল সার্চের মাধ্যমে জানতে পারি কবিতাটি বেশ্যা কবিতাটি " সাজ্জাদুল ইসলাম " নামে এক ব্যাক্তির লেখা।
বেশ্যা কবিতাটি
[ আত্মদর্শনে সূফীবাদ→Master of Sufism ] পেজের মাধ্যমেও একাধিকবার কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর নামে প্রচার করা হয়েছে।
কিন্তু সেটা আমরা Social Media অন্যান্য Website থেকে সংগ্রহ করে প্রচার করা হয়েছিল।তাই আমরা পেজের সকল ফলোয়ারদের কাছে ক্ষমা প্রার্থী।
"বেশ্যা"
সাজ্জাদুল ইসলাম
সাধুর নগরে বেশ্যা মরেছে
পাপের হয়েছে শেষ
বেশ্যার লাশ হবে না দাফন
এইটা সাধুর দেশ।
জীবিত বেশ্যা ভোগে তো আচ্ছা, মরিলেই যত দোস?
দাফন কাফন হবে না এখন
সবে করে ফোস ফোস।
বেশ্যা তো ছিল খাস মাল,তোদের রাতের রানী
দিনের বেলায় ভুরু কোচ কাও?
মরিলে দেওনা পানি!
"সাধু সুনামের ভেক ধরিয়া দেখালি দারুন খেলা,
মুখোশ তোদের খুলবে অচিরে
আসবে তোদের বেলা।
"রাতের আধারে বেশ্যার ঘর স্বর্গ তোদের কাছে
দিনের আলোতে চিননা তাহারে?
তাকাও নাকো লাজে!
"চিনি চিনি ভাই সব সাধু রেই হরেক রকম সাজ
সুযোগ পেলেই দরবেশী ছেরে দেখাও উদ্দাম নাচ!
"নারী আমাদের মায়ের জাতি বেশ্যা বানালো কে?
ভদ্র সমাজে সতীর ছেলেরা খদ্দের সেজেছে?
"গরীবের বৌ সস্তা জিনিস সবাই ডাকো ভাবি
সুযোগ পেলেই প্রস্তাব দাও আদিম পাপের দাবি।
"স্বামী যখন মরলো ভাবির, দুধের শিশু কোলে
ভদ্র দেবর সুযোগ খোঁজে সহানুভূতির ছলে,
"দিনের মত দিন চলে যায়,
হয় না তাতে দোষ
মরা লাশের সুযোগ পেয়ে মোল্লার রোষ।
"মোল্লা সাহেব নায়েবে রাসুল ফতোয়া ঝারিশা কয়
পতিতা নারীর জানাজা কবর এই এলাকায় নয়।
"শুধাই আমি ওরে মোল্লা জানাযায় যত দোষ,
বেশ্যার দান নিয়াছো ঝোলিয়ে তুমি বেটা নির্দোষ?
"বেশ্যার তবু আছে পাপ বোধ নিজেকে সে ভাবে দোষী,
তোমরা তো বেটা দিন বেচে খাও হচ্ছেয় খোদার খাসি।
"আল্লাহর ঘর মসজিদে ও আছে বেশ্যার দান,
কলেমা পড়েছে সে ওতো তবে নামেতে মোসলমান!
"বেশ্যা নারী ব্যবসায় নারী পুরুষরা পুরুষরা সব সৎ?
জানি মোল্লা খুলবে না মুখ চাকরি যাওয়ার পথ!
"আর কতকাল থাকবি অমন, মুখোশ ধারীর দল
আসবো এবার মশাল নিয়ে ভাঙতে তোদের কল।
"সত্যর আলো জলবে যখন চিনবে তোদের সবে
লেবাশধারী মুখোশধারী মুখোশ উপরে যাবে।
"এই ভাবে আর চালাবি কত ছল চাতুরীর খেলা।