Skip to main content

জাতীয় পতাকা কিভাবে এলো

লাল সবুজের এই পতাকা যেভাবে আমাদের হলো

সকাল সাতটা। শিক্ষার্থীরা সবাই মাঠে অপেক্ষা করছে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে স্কুল শুরু হবে। পতাকা ওঠানো হচ্ছে ……. লাল সবুজ একটা ছোট্ট বাংলাদেশ যেন বাতাসের সাথে পাল্লা দিয়ে উড়ছে আকাশে।

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ইতিহাসের সাথে মুক্তিযুদ্ধ জড়িয়ে আছে বলেই, এর প্রতি আমাদের আবেগটাও অন্যরকম। মুক্তিযুদ্ধের সময় এমনটা বহুবার ঘটেছে, পাকিস্তানীরা রাইফেল তাক করে “পাকিস্তান জিন্দাবাদ” বলতে বলছে, সেই মুহূর্তে ওপাশের মানুষটি মৃত্যুমুখে দাঁড়িয়ে, বুকের ওপর রক্ত দিয়ে জাতীয় পতাকার লাল বৃত্ত এঁকে বলেছে ‘জয় বাংলা’। আমাদের জাতীয় পতাকা এতটাই শক্তিশালী যে তখন মৃত্যুর আগেরও শেষ আশ্রয় ছিলো তা!

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা প্রথম যেভাবে এলো

১৯৪৭ সালে দেশভাগ হলো। পাকিস্তান , ভারত – যে যার মত দেশ সাজাবে এমনটাই কথা ছিলো। এর মধ্যে পাকিস্তানের আবার দুটো অংশ। পূর্ব আর পশ্চিম।

দেশভাগের পরেও আমাদের, অর্থাৎ পূর্ব পাকিস্তানীদের জীবনে শান্তি নেই। ১৯৪৮ সালে মুহম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা দিলেন, উর্দু হবে রাষ্ট্রভাষা। এরপরে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ এবং সবশেষে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন। চারদিকে গুমোট আবহাওয়া। তখন যারা ছিলেন, তারা বুঝলেন- এভাবে চলবে না। হয় এসপার, নয় ওসপার- একটা কিছু করতেই হবে। কিছু একটা হবেই- এই রকম একটা গুনগুন যেন একজন থেকে আরেকজনে ছড়িয়ে পড়ছে।

হলোও! মুক্তিযুদ্ধের নয় বছর আগে ১৯৬২ সালের সেপ্টেম্বরে তিন তরুণ মিলে পরিকল্পনা করলেন একটা গোপন সংগঠন বানাবেন। প্রকাশ্যে যার নাম হবে ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ’ ।
গোপনে তারা নিজেদের দলের নাম রেখেছিলেন নিউক্লিয়াস। যা বহুদিন অজানাই ছিলো।

এই তিন তরুণ হলেন- সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক, কাজী আরেফ আহমেদ। তিনজনই তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা। ১৯৬৪ সালের জুলাই মাসে এই তিন সদস্যকে নিয়ে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ বা নিউক্লিয়াসের হাইকমান্ড গঠন করা হলো।

(বাঁ থেকে) আব্দুর রাজ্জাক, কাজী আরেফ ও সিরাজুল আলম খান
১৯৬৪ সাল থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত ’নিউক্লিয়াস’ গোপনে তাদের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকে।  এলো ১৯৭০ সাল, ৬ জুন। পরদিন শ্রমিক জোটের পক্ষ থেকে পল্টন ময়দানে বঙ্গবন্ধুকে অভিবাদন জানানো হবে। এ আয়োজনে বঙ্গবন্ধুকে গার্ড অব অনার প্রদান করে তাঁর হাতে পূর্ব পাকিস্তানের একটি আলাদা পতাকা তুলে দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়। এই লক্ষ্যে ছাত্রদের নিয়ে একটি জয়বাংলা বাহিনী গঠন করা হয়।  

১৯৭০ সালের ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের (তৎকালীন ইকবাল হল) ১১৬ (বর্তমান ১১৭-১১৮) নং কক্ষে ছাত্রলীগ নেতা কাজী আরেফ আহমদ, আ স ম আবদুর রব, শাহজাহান সিরাজ, মার্শাল মনিরুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা স্বপন কুমার চৌধুরী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (তৎকালীন জগন্নাথ কলেজ) ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা শিবনারায়ন দাশ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক হাসানুল হক ইনু ও ছাত্রনেতা ইউসুফ সালাউদ্দিন আহমেদ এক বৈঠকের আয়োজন করেন।

সভায় কাজী আরেফের প্রাথমিক প্রস্তাবনার উপর ভিত্তি করে, সবুজ জমিনের উপর, স্বাধীনতার চেতনা প্রকাশে লাল সূর্যের (বৃত্তের)  মাঝে বাংলার সোনালী পাটের প্রতীক হিসেবে হলুদ রঙের বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। কাজী আরেফ  আহমেদের লেখা থেকে জানা যায়, সকলে একমত হলে তিনি তিনজনকে নিউমার্কেটের “অ্যাপোলো” নামক দোকানে পাঠান। গাঢ় সবুজ ও গাঢ় লাল রঙের লেডি হ্যামিলটনের কাপড় নিয়ে তারা বলাকা ভবনের পাক ফ্যাশনের মালিকের কাছে যায়। তিনি অবাঙালী ছিলেন । বিষয়টি বুঝতে পেরে সকল কর্মচারীদের বিদায় করে নিজেই ঐ নকশা অনুযায়ী পতাকা তৈরী করে দেন।  

এরপর কাপড় সংগ্রহ,কাটা, সেলাই  বাংলাদেশের মানচিত্র অঙ্কন সোনালী রং দিয়ে সব কাজ করা হলো। পুরো প্রক্রিয়ায় ছিলেন আ.স.ম রব ,হাসানুল হক ইনু, শরীফ নূরুল আম্বিয়া, শিব নারায়ণ দাস, রফিক, গোলাম ফারুকসহ আরো কয়েকজন।

কুমিল্লা ছাত্রলীগের সভাপতি শিবনারায়ণ দাশ অদ্ভুত সুন্দর ছবি আঁকতে পারতেন। তাঁকে তৈরিকৃত লাল সবুজ পতাকার মাঝখানে সোনালী রঙ দিয়ে মানচিত্র এঁকে দিতে বলা হয় । এরপর হাসানুল হক ইনু ও ইউসুফ সালাহউদ্দিন আহমেদ বুয়েট থেকে একটি ট্রেসিং পেপারে মানচিত্র ট্রেস করে আনেন। শিবনারায়ণ দাশ এই ট্রেসিং পেপার থেকে কাপড়ে মানচিত্র এঁকে দিয়েছিলেন। তিনি ম্যাচের কাঠি ব্যবহার করে মানচিত্রটি পতাকার লাল বৃত্তের মাঝে আঁকলেন। মানচিত্রের ওপর দিলেন সোনালী রঙ।

বাংলাদেশের প্রথম পতাকা তৈরির সময় শিবনারায়ণ দাস
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার

১৯৭০ সালের ৬ জুন ইকবাল হলের সেই সভায় যারা যারা উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা সম্মিলিতভাবেই যে যার মতো পরামর্শ দিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার প্রথম নকশার পরিকল্পনা করেছেন।  কাজী আরেফ আহমেদ এই ব্যাপারে প্রাথমিক প্রস্তাবনা রেখেছিলেন। সকলের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে  প্রথমবারের মত বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রূপদান করেন শিবনারায়ণ দাশ।
 
এ সময় জাতীয় পতাকার ডিজাইনের বিভিন্ন অংশ নিয়ে কে কী ধরণের মতামত দিয়েছিলেন তা নিয়ে কাজী আরেফ আহমেদ তাঁর ‘বাঙালির জাতীয় রাষ্ট্র’ বইতে লিখেছেন-

৬ জুন ৭০ সালে ইকবাল হলের ১১৬ নম্বর রুমে মনিরুল ইসলাম, শাজাহান সিরাজ ও আ স ম আবদুর রবকে ডেকে আমি নিউক্লিয়াস-এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফ্ল্যাগ তৈরির কথা জানাই। এই ফ্ল্যাগ পরবর্তিতে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা হিসেবে গৃহীত হওয়ার সম্ভাবনার কথাও জানাই। তখন মনিরুল ইসলাম (মার্শাল মনি) ও আসম আবদুর রব বলেন যে, এই পতাকার জমিন অবশ্যই বটলগ্রিন হতে হবে। শাজাহান সিরাজ বলেন যে, লাল রঙের একটা কিছু পতাকায় থাকতে হবে। এরপর আমি পতাকার নকশা তৈরি করি। বটলগ্রিন জমিনের উপর প্রভাতের লাল সূর্যের অবস্থান। সবাই একমত হন। তারপর পতাকার এই নকশা নিউক্লিয়াস’ হাইকমান্ডের অনুমোদন নেয়া হয়। তখন আমি প্রস্তাব করি যে, এই পতাকাকে পাকিস্তানি প্রতারণা থেকে বাঁচাতে হলে লাল সূর্যের মাঝে সোনালী রঙের মানচিত্র দেয়া উচিত।

কারণ হিসেবে দেখালাম যে, প্রায়ই বাংলাদেশের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ভারতের হাত আছে বা ভারতীয়দের অনুপ্রবেশ হচ্ছে অথবা ভারতীয় এজেন্টদের কার্যকলাপ বলে প্রচারণা চালায়। তাছাড়া এই সময় ইউনাইটেড স্টেটস অফ বেঙ্গল বা বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র নামের কাল্পনিক একটি দেশের জন্ম দেয়া হয়। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্যসহ পূর্ব পাকিস্তান ও মায়ানমারের আরাকান রাজ্যসহ এই কল্পিত ইউনাইটেড স্টেটস অফ বেঙ্গল-এর মানচিত্র তৈরি করে বাঙালির স্বায়ত্বশাসনের দাবিকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য সরকারি প্রশাসনযন্ত্র তা বিলি করত। এই ধরনের প্রচারণা থেকে পতাকাকে রক্ষা করার জন্য বাংলাদেশের সোনালী আঁশ ও পাকা ধানের রঙে বাংলাদেশের মানচিত্র পতাকার লাল সূর্যের মাঝে রাখার আমার এই প্রস্তাবে সবাই একমত হন।”

১৯৭২ সালে প্রণীত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পতাকা বিধিমালা অনুযায়ী আমরা বর্তমানে যে পতাকা ব্যবহার করি তা মাপজোখ করে ডিজাইন করেছেন পটুয়া কামরুল হাসান। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার কামরুল হাসান।

১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ব্যবহৃত পতাকা

বর্তমানে ব্যবহৃত বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার মাপ ও ব্যবহারবিধি

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার মাপ
১৯৭২ সালে প্রণীত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পতাকা বিধিমালা অনুযায়ী বর্তমান জাতীয় পতাকার মাপ হলো-

১০:৬ অনুপাতের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের আয়তক্ষেত্রাকার জাতীয় পতাকার গাঢ় সবুজ রঙের  মাঝখানে একটি লাল বৃত্ত থাকবে। পতাকার দৈর্ঘ্য ১০ ফুট হলে প্রস্থ হবে ৬ ফুট, লাল বৃত্তের ব্যাসার্ধ হবে ২ ফুট, পতাকার দৈর্ঘ্যের সাড়ে ৪ ফুট ওপরে প্রস্থের মাঝ বরাবর অঙ্কিত আনুপাতিক রেখার ছেদ বিন্দু হবে লাল বৃত্তের কেন্দ্রবিন্দু। অর্থাৎ পতাকার দৈর্ঘ্যের বিশ ভাগের বাম দিকের নয় ভাগের শেষ বিন্দুর ওপর অঙ্কিত লম্ব এবং প্রস্থের দিকে মাঝখান বরাবর অঙ্কিত সরল রেখার ছেদ বিন্দু হলো বৃত্তের কেন্দ্র।
পতাকার সবুজ পটভূমি হবে প্রতি হাজারে প্রোসিয়ন ব্রিলিয়ান্ট গ্রীন এইচ-২ আর এস ৫০ পার্টস এবং লাল বৃত্তাকার অংশ হবে প্রতি হাজারে প্রোসিয়ন ব্রিলিয়ান্ট অরেঞ্জ এইচ-২ আর এস ৬০ পার্টস।
ভবনে ব্যবহারের জন্য পতাকার বিভিন্ন মাপ হলো—

১০ বাই ৬ ফুট (৩.০ বাই ১.৮ মিটার)
৫ বাই ৩ ফুট (১.৫২ বাই ০.৯১ মিটার)
২.৫ বাই ১.৫ ফুট (৭৬০ বাই ৪৬০ মিলিমিটার)
গুরুত্বপূর্ণ সরকারী অফিসে, যেমন-রাষ্ট্রপতির বাসভবন, সংসদ ভবন,  প্রভৃতি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ে এবং কিছু নির্ধারিত ভবনসমূহে সকল কর্মদিবসে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ উত্তোলিত হয়। রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী তাঁদের যানবাহনে ‘বাংলাদেশের পতাকা’ উত্তোলন করতে পারেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, জাতীয় শোক দিবস ও সরকার কর্তৃক প্রজ্ঞাপিত অন্য যে কোন দিবসে পতাকা অর্ধনমিত রাখতে হয়। ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ও সরকার কর্তৃক প্রজ্ঞাপিত অন্য যে কোন দিবসে বাংলাদেশের সর্বত্র সরকারী ও বেসরকারী ভবনসমূহে এবং বিদেশে অবস্থিত কূটনৈতিক মিশনের অফিস ও কনস্যুলার পোস্টসমূহে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হয়।

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

১৯৭২ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শিবনারায়ণ দাশের ডিজাইনকৃত পতাকার মাঝে মানচিত্রটি বাদ দিয়ে পটুয়া কামরুল হাসানকে নতুন করে পতাকা তৈরি এবং মাপ, রং ও নতুন নকশার ব্যাখ্যা সম্বলিত প্রতিবেদন করার নির্দেশ দেন। পটুয়া কামরুল হাসানের ডিজাইন করা বর্তমান জাতীয় পতাকায় গাঢ় সবুজ রঙ বাংলাদেশের সবুজ প্রকৃতি ও তারুণ্যের প্রতীক। আর মাঝের লাল বৃত্তটি উদীয়মান সূর্যের প্রতীক ও বাংলাদেশের মানুষের দেওয়া রক্ত ও আত্মত্যাগকে নির্দেশ করে। সকল নিয়ম মেনে বানানো কামরুল হাসানের নকশা করা বাংলাদেশের পতাকাটি ১৯৭২ সালের ১৭ ই জানুয়ারী দাপ্তরিকভাবে ও সম্পূর্ণরূপে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা হিসেবে গৃহীত হয়।
বর্তমান পতাকায় বাংলাদেশের মানচিত্র বাদ যাওয়ার কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- পতাকার দুই দিক থেকে মানচিত্রটি সঠিকভাবে দেখা যাবে না। পতাকার দুইদিকে মানচিত্রের সঠিক উপায়ে সেলাই নিয়ে জটিলতা হবে। চিত্রশিল্পী ব্যতিত অন্যদের পক্ষে পতাকা আঁকা কঠিন হয়ে যাবে।
লাল বৃত্তটি একপাশে একটু চাপানো হয়েছে, পতাকা যখন উড়বে তখন যেন এটি পতাকার মাঝখানে দেখা যায়।
সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যক্টবুক অনুযায়ী, বাংলাদেশের সবুজ প্রকৃতি বুঝাতে পতাকায় সবুজ রং ব্যবহার করা হয়েছিল।
১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। প্রথম পতাকা উত্তোলনটি করেন ছাত্রনেতা ও ডাকসু’র সেই সময়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট আ স ম আবদুর রব। এ সময় অন্যান্য ছাত্রনেতা ও কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

অতঃপর মুক্তিযুদ্ধ শুরুর দিকে ২৩ শে মার্চ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এর বাসভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। ১৭ই জানুয়ারি ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা হিসেবে সরকারিভাবে গৃহীত হয়।

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ইতিহাসটা আবেগের। এই পতাকা পুরো দেশকে ধারণ করেছে তার বুকে। লাল- সবুজে মিশে রয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ।
সংহিত 

Comments

Popular posts from this blog

Auto Paragraph

Auto paragraph Facebook/Computer/Mobile phone/Internet/Television  ( এই গুলার যে কোন একটা ..........  দেওয়া জায়গা গুলাতে বসাতে হবে ) ..............is one of the greatest invention of modern science. It has made our life easy and comfortable. We use it in our daily life. We cannot think of our day without.......... . We can communicate with anyone of anywhere of the world by using.......... . It has made the word smaller. We can share our feelings, liking and disliking’s with others using............. . Nowadays.........  has become a great medium of learning. People  can learn many things using........   sitting at home. It is a great source of entertainment also. We can watch videos music news sports etc through..........  .we need not to go to stadium. Inspire of having so many good sides it has some bad sides also. It is harmful for our body. Sometimes students become addicted to it. At last it can be said that..........  is a ...

Books poem analysis with bangla

Books poem in bangla and with analysis Verse-wise Bangla Translation: What worlds of wonder are our books! As one opens them and looks, New ideas and people rise In our fancies and our eyes. আমাদের বইগুলো কী আশ্চর্য এক জগৎ! যখনই কেউ তা খুলে দেখে, নতুন ভাবনা আর নতুন মানুষ জেগে ওঠে কল্পনায় ও চোখের সামনে। The room we sit in melts away, And we find ourselves at play With some one who, before the end, May become our chosen friend. আমরা যে ঘরে বসে আছি, তা যেন মিলিয়ে যায়, আর আমরা আবিষ্কার করি নিজেদের খেলায় মত্ত কাউকে সঙ্গে নিয়ে, যে হয়তো শেষ পর্যন্ত আমাদের প্রিয় বন্ধু হয়ে উঠবে। Or we sail along the page To some other land or age. Here's our body in the chair, But our mind is over there. অথবা আমরা পৃষ্ঠার ওপর দিয়ে ভাসতে থাকি অন্য কোনো দেশ বা কালের দিকে। আমাদের শরীরটা রয়েছে চেয়ারে, কিন্তু মন চলে গেছে দূরে অন্য কোথাও। Each book is a magic box Which with a touch a child unlocks. In between their outside covers Books hold all things for their lovers. প্রতিটি বই একেকটি জাদুর বাক্স, যা শিশুরা এক ...

paragraph on PREMATURE MARRIAGE

P remature marriage is a very common feature in a poor country like Bangladesh. It means the marriage of the boys and girls before attaining their physical and mental maturity. In our country girls particularly poor rural girls are the victims of premature marriage. Unfortunately, the birth of girls is considered unwelcome in our country. They are neglected from their birth. They have to live in a male dominated society. As a result, they are the victims of gender discrimination. They have no 'say' in the family decision. Many parents try to find a husband for their daughters before they attain the age of maturity. We find that illiteracy, poverty, selfish attitude, unconsciousness, religious misconception , dowry system, etc. are some of the causes of premature marriage. The effects of premature marriage are very harmful for health and mind of a female child. The girls cannot adjust with the new environment of their in-law's house. They cannot serve their husbands' fam...