◾বিজ্ঞানের উপর টপ সাজেশন [যেকোনো পরীক্ষায় একাধিক প্রশ্ন কমন পড়বেই]
১। সংকর ধাতু পিতলের উপাদান- তামা ও দস্তা
২। অ্যালুমিনিয়াম সালফেটকে চলতি বাংলায় বলে- ফিটকিরি ( ফিটকিরি এন্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ফিটকিরিকে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে সস্তা, কার্যকর ও উপযুক্ত জীবাণুনাশক ঔষধ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।)
৩। গ্যালভানাইজিং হলো লোহার উপর দস্তার (জিঙ্ক) প্রলেপ।
৪। যে ধাতু স্বাভাবিক তাপমাত্রায় তরল থাকে- পারদ
৫। রেড লেড বাজারে সিঁদুর নামে বিক্রয় হয়।
৬। সংকর ধাতু 'ব্রোঞ্জ ' এর উপাদান - তামা ও টিন
৭। স্টেইনলেস স্টিলে মরিচা না পড়ার কারণ - ক্রোমিয়াম
৮। ইস্পাতে কার্বনের শতকরা পরিমাণ - ০.১৫-১.৫%
৯। টেস্টিং সল্ট এর রাসায়নিক নাম- মনো সোডিয়াম গ্লুটামেট
১০। খাবার সোডা/ বেকিং পাউডারের রাসায়নিক সংকেত- NaHCO3 (সোডিয়াম বাইকার্বনেট)
১১। স্বাভাবিক বায়ুমণ্ডলীয় চাপে পানির স্ফুটনাংক ১০০° সেলসিয়াস।
১২। পৃথিবীতে বর্তমানে মৌলিক পদার্থের সংখ্যা - ১১৮ (এদের মধ্যে ৯৮টি মৌল প্রকৃতিতে পাওয়া যায় এবং কৃত্রিম উপায়ে প্রাপ্ত মৌলিক পদার্থের সংখ্যা ২০)
১৩। হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, সোনা, তামা, লোহা ইত্যাদি মৌলিক পদার্থ।
১৪। 'লোহায় মরিচা ধরা' - রাসায়নিক পরিবর্তন।
১৫। সবচেয়ে হালকা গ্যাস - হাইড্রোজেন
১৬। অ্যাভোগেড্রো সংখ্যার মান- ৬.০২×১০^২৩
১৭।' বোরন' এবং 'জিরকোনিয়াম ' নাম দুটি আরবি ভাষা থেকে এসেছে।
১৮। ভারী পানির সংকেত- D2O
১৯। পরমাণুর নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রন থাকে।
২০। জে. জে. থমসন 'ইলেকট্রন ', আর্নেস্ট রাদারফোর্ড 'প্রোটন' এবং জেমস চ্যাডউইক ' নিউট্রন ' আবিষ্কার করেন।
২১। বিচ্ছিন্ন অবস্থায় একটি পরমাণুর শক্তি যুক্ত অবস্থার চাইতে অধিক।
২২। পরমাণুর প্রতিটি শক্তিস্তরে সর্বোচ্চ ইলেকট্রনের সংখ্যা - 2n^2
২৩। আর্সেনিকের পারমাণবিক সংখ্যা - ৩৩
২৪। ইউরেনিয়াম এর পারমাণবিক সংখ্যা - ৯২
২৫। আইসোটোপঃ
~ যে সকল পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা সমান কিন্তু ভর সংখ্যা ভিন্ন, তাদেরকে পরস্পরের আইসোটোপ বলা হয়।
~ এটমিক সংখ্যা একই হওয়া সত্ত্বেও নিউক্লিয়াসের নিউট্রন সংখ্যা বেশি হওয়ার ফলে ভরসংখ্যা বেড়ে যায় তাদেরকে বলে আইসোটোপ।
~ যেসব নিউক্লিয়াসের প্রোটন সংখ্যা সমান কিন্তু ভরসংখ্যা সমান নয়, তাদেরকে বলে আইসোটোপ।
~ আইসোটোপ এর ক্ষেত্রে প্রোটন সংখ্যা সমান থাকে।
~ ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত গামা বিকিরণের উৎস হলো আইসোটোপ।
২৬। আইসোটোনঃ
~ যে সকল পরমাণুর নিউট্রন সংখ্যা সমান কিন্তু প্রোটন সংখ্যা ও ভর সংখ্যা ভিন্ন, তাদেরকে পরস্পরের আইসোটোন বলে।
~ যেসব নিউক্লিয়াসের নিউট্রন সংখ্যা সমান কিন্তু ভর সংখ্যা সমান নয়, তাদের বলা হয় আইসোটোন।
২৭। আইসোবারঃ
~ যে সকল পরমাণুর ভর সংখ্যা সমান কিন্তু প্রোটন সংখ্যা ভিন্ন, তাদেরকে পরস্পরের আইসোবার বলা হয়।
২৮। নিষ্ক্রিয় গ্যাস ৬টি। যথা- হিলিয়াম, নিয়ন, আর্গন, ক্রিপটন, জেনন এবং রেডন।
[ নিষ্ক্রিয় গ্যাসসমূহের সর্ববহিঃস্থ স্তরে ৮টি ইলেকট্রন থাকে। ব্যতিক্রম হিলিয়াম। হিলিয়াম এর সর্ববহিঃস্থস্তরে ২টি ইলেকট্রন থাকে। সূর্যে মৌলিক পদার্থের মধ্যে হিলিয়াম এর পরিমাণ সবচেয়ে বেশি থাকে। রেডন তেজস্ক্রিয় মৌল।]
২৯। বেলুনে এবং ডুবুরিদের জন্য হাইড্রোজেনের পরিবর্তে হিলিয়াম ব্যবহার করা হয়।
৩০। ফটোগ্রাফিক ফ্লাশ লাইটে জেনন গ্যাস ব্যবহৃত হয়।
৩১। লোহা আবিষ্কার হয় - খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ অব্দে
৩২। সবচেয়ে হালকা ধাতু- লিথিয়াম
৩৩। সবচেয়ে ভারী ধাতু- প্লাটিনাম
৩৪। সবচেয়ে মূল্যবান ধাতু - প্লাটিনাম
৩৫। ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণকে বিশুদ্ধ বলা হয়।
৩৬। জিরকন, ম্যাগনেটাইট, ইলমেনাইট, কোরান্ডাম, মোনানজাইট, রুটাইল প্রভৃতির সমন্বয়ে গঠিত মূল্যবান খনিজ কালোসোনা নামে পরিচিত।
৩৭। অগ্নি নিরোধক খনিজ পদার্থ - এসবেসটস
৩৮। তুঁতে বিষাক্ত। এটি ছত্রাকনাশক ও কীটনাশক হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
৩৯। সোনা, রূপা, প্লাটিনাম, রোডিয়াম, প্যালডিয়াম ইত্যাদি অভিজাত ধাতু।
৪০। প্রকৃতিতে প্রাপ্ত সবচেয়ে কঠিন পদার্থ - হীরক
[হীরক কাচ কাটতে ব্যবহৃত হয়।]
৪১। গ্রাফাইট অধাতু হলেও তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবহনে সক্ষম। [ উড পেন্সিলের সীস হিসেবে গ্রাফাইট ব্যবহৃত হয়।]
৪২। বহুরূপী মৌল- কার্বন
৪৩। 'Dry Ice' হলো- কঠিন অবস্থায় কার্বন ডাই-অক্সাইড [ হিমায়িত কার্বন ডাই-অক্সাইডকে শুষ্ক বরফ বলা হয়। কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস 'ড্রাই আইস' তৈরীতে ব্যবহার করা হয়।]
৪৪। কার্বন ডাই-অক্সাইডঃ
~ এ গ্যাসের দ্রবণ নীল লিটমাসকে লাল করে।
~ কোমল পানীয় যেমন কোকাকোলা, পেপসিকোলা ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
~ রাসায়নিক অগ্নি নির্বাপক অগ্নিতে অক্সিজেন সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
~ কার্বন ডাই-অক্সাইড নিজে জ্বলে না আবার অন্যকে জ্বলতে সাহায্যও করে না।
~ অগ্নি নির্বাপক সিলিন্ডারে তরল কার্বন ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করা হয়।
৪৫। হাইড্রোজেন নিজে জ্বলে কিন্তু অন্যকে জ্বলতে সাহায্য করে না।
৪৬। অক্সিজেন নিজে জ্বলে না কিন্তু অন্যকে জ্বলতে সাহায্য করে।
৪৭। কার্বন মনোক্সাইডঃ
~ গাড়ি থেকে নির্গত কালো ধোঁয়ায় বিষাক্ত কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস থাকে।
~ কার্বন মনোক্সাইড হিমোগ্লোবিনের অক্সিজেন পরিবহন ক্ষমতা হ্রাস করে।
৪৮। ওয়াটার গ্যাসের উপাদানগুলো হলো- হাইড্রোজেন ও কার্বন মনোক্সাইড
৪৯। জোসেফ প্রিস্টলে অক্সিজেন আবিষ্কার করেন। [ অক্সিজেন অর্থ অম্লজান। হাসপাতালে ব্যবহৃত অক্সিজেন সিলিন্ডারে ৯৩% অক্সিজেন থাকে।]
৫০। নাইট্রোজেন অক্সাইডকে (N2O) লাফিং গ্যাস বলে।
৫১। স্বর্ণ হতে খাদ দূর করতে নাইট্রিক এসিড ব্যবহৃত হয়।
৫২। এক মোল গাঢ় নাইট্রিক এসিড এবং তিন মোল গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিডের মিশ্রণকে অ্যাকোয়া রেজিয়া (রাজ-অম্ল) বলে।
৫৩। শ্বেত ফসফরাস এর গন্ধ রসুনের মতো।
৫৪। দিয়াশলাইয়ের কাঠির মাথায় লোহিত ফসফরাস ব্যবহৃত হয়।
৫৫। ফসফরাস পেন্টাক্সাইড নিরুদক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
৫৬। হাইড্রোজেন সালফাইড (H2S) বর্ণহীন, পঁচা ডিমের গন্ধযুক্ত একটি গ্যাস।
৫৭। সালফিউরিক এসিডকে রাসায়নিক পদার্থসমূহের রাজা বলা হয়।
৫৮। কাঁচ তৈরির প্রধান কাঁচামাল হলো- বালি
[ বালির উপাদান প্রধান হলো সিলিকা। সিলিকার বিশুদ্ধ রূপ কোয়ার্টজ। ]
৫৯। চিপসের প্যাকেটে নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহৃত হয়।
৬০। এসিড বৃষ্টির জন্য দায়ী - সালফার ডাই-অক্সাইড
৬১। হ্যালোজেন শব্দের অর্থ - সামুদ্রিক লবণ উৎপাদক।
[হ্যালোজেন বলতে ফ্লোরিন, ক্লোরিন, ব্রোমিন এবং আয়োডিন এ চারটি মৌলকেই বোঝায়।]
৬২। সামুদ্রিক শৈবালে আয়োডিন পাওয়া যায়।
৬৩। কলের পানিতে সাধারণত ক্লোরিন থাকে। [পানীয় জলে সচরাচর সবচেয়ে বেশি জীবাণু ধ্বংসকারক (disinfectant) ব্যবহার করা হয় ক্লোরিন। ]
৬৪। P^H হলো এসিডীয় বা অম্লীয়, ক্ষারকীয় এবং নিরপেক্ষতার মাত্রা নির্দেশক। P^H স্কেলের রেঞ্জ ০-১৪। বিশুদ্ধ পানির P^H এর মান ৭। মানুষের রক্তের P^H হলো ৭.৩৫-৭.৪৫।
৬৫। ক্যালসিয়াম কার্বনেট পানিতে দ্রবীভূত হয় না।
৬৬। প্রাকৃতিক কোন উৎস থেকে সবচেয়ে বেশি মৃদু পানি পাওয়া যায়? - বৃষ্টিপাত
৬৭। আলেকজান্ডার পার্কস প্লাস্টিক আবিষ্কার করেন।
৬৮। বিজারকঃ যে বস্তু অন্য কোনো বস্তুর বিজারণ ঘটায় এবং নিজে জারিত হয়, তাকে বিজারক বলে। যেমন- সকল ধাতু, হাইড্রোজেন, কার্বন ইত্যাদি। [বিজারক পদার্থ ইলেকট্রন বর্জন করে।]
৬৯। জারকঃ যে বস্তু অন্য কোনো বস্তুর জারণ ঘটায় এবং নিজে বিজারিত হয়, তাকে জারক বলা হয়। যেমন- অক্সিজেন, ফ্লোরিন, ক্লোরিন, ব্রোমিন, আয়োডিন, পটাসিয়াম ডাইক্রোমেট, পটাসিয়াম পারম্যাঙ্গানেট ইত্যাদি জারক পদার্থসমূহ ইলেকট্রন গ্রহণ করে।
৭০। তড়িৎ কোষ সর্বপ্রথম ১৮০০সালে আবিষ্কার করেন ইটালির বিজ্ঞানী আলেকসান্দ্রো ভোল্টা।
৭১। তড়িৎ বিশ্লেষ্য কোষ ১৮৩৩ সালে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডে তড়িৎ বিশ্লেষণের দুটি সূত্র প্রণয়ন করেন।
৭২। ১৮৬৪ সালে ফরাসি বিজ্ঞানী জর্জেস লেকল্যান্স সর্বপ্রথম শুষ্ক কোষ আবিস্কার করেন।
৭৩। সাধারণ ড্রাইসেলে ইলেকট্রোড হিসাবে থাকে- কার্বন দণ্ড ও দস্তার কৌটা
৭৪। সাধারণ স্টোরেজ ব্যাটারিতে সীসার ইলেকট্রোডের সঙ্গে যে তরলটি ব্যবহৃত হয় তা হলো- সালফিউরিক এসিড। [ গাড়ির ব্যাটারিতে ব্যবহৃত এসিড সালফিউরিক এসিড।]
৭৫। ফ্রেডারিক উইলারকে জৈব রসায়নের জনক বলা হয়।
৭৬। আলেয়া কোনো ভৌতিক ঘটনা নয়, এটি একটি স্বাভাবিক প্রাকৃতিক ঘটনা।
৭৭। ক্লোরোফরমের রাসায়নিক নাম- ট্রাইক্লোরো মিথেন [ চেতনানাশক রূপে ক্লোরোফরম অস্ত্রোপচারে বহুল ব্যবহৃত হয়।]
৭৮। কাঁদানে গ্যাসের (টিয়ার গ্যাস) রাসায়নিক নাম- ক্লোরোপিক্রিন
৭৯। ফরমালডিহাইডের ৪০% জলীয় দ্রবণকে ফরমালিন বলে। [ ফরমালিন একটি কার্যকরী জীবাণুনাশক। এটি জীবদেহ সংরক্ষণ ও পঁচন নিবারক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।]
৮০। ফরমিক এসিডঃ
~ পিঁপড়ার কামড়ের সময় পিঁপড়ের লালার সাথে মিথানয়িক (ফরমিক) এসিড নিঃসৃত হয়।
~ পিঁপড়ের ল্যাটিন নাম ফরমিকা। তাই এই নামানুসারে এসিডটির ঐতিহাসিক নাম হলো ফরমিক এসিড।
~ বোলতা, মৌমাছি প্রভৃতির বিষেও ফরমিক এসিড থাকে।
৮১। সিরকাঃ
~ সিরকা তৈরীতে এসিটিক এসিড (এসিটিক এসিড একটি জৈব অম্ল) ব্যবহৃত হয়।
~অ্যাসিটিক এসিডের ৬-১০% জলীয় দ্রবণকে ভিনেগার (সিরকা) বলে।
~ খাদ্য উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
~ মাছ ও মাংসের সংরক্ষণে সিরকা ব্যবহার করা যায়।
~ শরীরের কোনো জায়গায় কোনো পোকা কামড় দিলে কামড়ের স্থানে আলতোভাবে সিরকা লাগিয়ে দিলে ব্যথা সেরে যায়।
~ রোদে দারুণ ভাবে পুড়ে যাওয়া ত্বকে সিরকা লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।
৮২। কচুতে অক্সালিক এসিড (ক্যালসিয়াম অক্সালেট) থাকায় গলা চুলকায়।
৮৩। বিভিন্ন খাদ্যে উপস্থিত জৈব এসিডঃ
★ লেবু, কমলা ------ সাইট্রিক এসিড
★ আমলকি, জাম, টমেটো, লেবু, কমলা -- অ্যাসকরবিক এসিড
★ আপেল, কলা, জাম, টমেটো - ম্যালিক এসিড
★ কচু, টমেটো, গোলমরিচ, চা- অক্সালিক এসিড
★ চা --------------- ট্যানিক এসিড
★ আঙ্গুর, তেঁতুল, আনারস, আলু, গাজর- টারটারিক এসিড
★ দুধ --------------- ল্যাকটিক অ্যাসিড
★ কফি ------------ ক্যাফিট্যানিক এসিড
৮৪। সাইট্রিক এসিড যা কাপড়ের কালির দাগ দূর করতে ব্যবহার করা হয়।
৮৫। সাবান তৈরির প্রধান কাঁচামাল হচ্ছে তেল বা চর্বি।
৮৬। সোডিয়াম সাবান পানিতে কম দ্রবণীয় তাই এটি প্রধানত কাপড় ধোয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়।
৮৭। পটাসিয়াম সাবান পানিতে অধিক দ্রবণীয় তাই এটি শ্যাম্পু ও শেভিং ক্রিম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
৮৮। টুথপেস্টে ফ্লোরাইড ব্যবহার করা হয়। কারণ এটা দাঁতের ক্ষয়রোধ করে।
৮৯। রেক্টিফাইড স্প্রিরিট হলো- ৯৫% ইথাইল অ্যালকোহল+ ৫% পানি
৯০। ফলের মিষ্টি গন্ধের জন্য দায়ী - এস্টার
৯১। সাবানের রাসায়নিক নাম- সোডিয়াম স্টিয়ারেট
৯২। টুথপেস্টের প্রধান উপাদান - সাবান ও পাউডার
৯৩। টলুইন হতে চিনির চাইতে মিষ্টি 'স্যাকারিন' প্রস্তুত করা হয়।
[ টলুইনের রাসায়নিক নাম- মিথাইল বেনজিন। স্যাকারিন একটি মিষ্টি জৈব পদার্থ। এটি চিনির চেয়ে ৫০০গুণ বেশি মিষ্টি। ডায়াবেটিস রোগীদের এটি খেতে দেওয়া হয়। স্যাকারিনের কোনো খাদ্যগুণ নেই। ]
৯৪। ফেনলের অপর নাম- কার্বলিক এসিড
[ ওষুধ শিল্পে যেমন স্যালিসাইলিক এসিড, বেদনানাশক অ্যাসপিরিন প্রস্তুতিতে এটি ব্যবহার করা হয়। শক্তিশালী অ্যান্টিসেপটিক ডেটল প্রস্তুতিতে ফেনল ব্যবহৃত হয়। জীবাণুনাশক রূপে যেমন পায়খানা, প্রসাবখানায় ফেনল বহুল ব্যবহৃত হয়।]
৯৫। সিমেন্ট তৈরির প্রধান কাঁচামাল - চুনাপাথর
[ সিমেন্ট তৈরির অন্যতম কাঁচামাল - জিপসাম, সিলিকা। পোর্টল্যান্ড সিমেন্ট আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।]
৯৬। সারিন এক প্রকার বিষাক্ত রাসায়নিক গ্যাস ও অস্ত্র।
৯৭। নাইট্রোগ্লিসারিন বিস্ফোরক পদার্থটি পাহাড় ভাঙা, টানেল তৈরি ও খনিজ শিল্পে ব্যবহৃত বিস্ফোরক পদার্থ 'ডিনামাইট ' প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয়।
৯৮। টি.এন.টি. (TNT) - এটি প্রধানত বিস্ফোরক পদার্থ হিসেবে বিভিন্ন ধরনের বোমায় ব্যবহৃত হয়।
৯৯। পিকরিক এসিড- এটি বিস্ফোরক যৌগ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া পোড়া ক্ষতের জ্বালা ও পচন নিবারণে বার্নল মলম নামে এটি ব্যবহৃত হয়।
১০০। ডি.ডি.টি. (DDT)- শক্তিশালী জীবাণুনাশক ও কীটনাশক হিসাবে ডি.ডি.টি. প্রচুর ব্যবহৃত হয়।
#
১০১। গ্যামেক্সিন/ লিনডেন- এটি শক্তিশালী জীবাণুনাশক ও কীটনাশক হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
১০২। কাগজের প্রধান রাসায়নিক উপাদান - সেলুলোজ
১০৩। তারপিন- এটি সরল চির বা পাইন জাতীয় গাছের নির্যাসে তৈরি তৈলবিশেষ। পেইন্টে দ্রাবক হিসেবে তারপিন ব্যবহৃত হয়।
[ Paint এবং Thinner হিসেবে সাধারণত ব্যবহার করা হয় - তারপিন]
১০৪। উড়োজাহাজের গতি নির্ণায়ক যন্ত্র - ট্যাকোমিটার
১০৫। শব্দের তীব্রতা নির্ণায়ক যন্ত্র - অডিওমিটার
১০৬। বায়ুতে আদ্রতা পরিমাপক যন্ত্রের নাম- হাইগ্রোমিটার
১০৭। সমুদ্রের গভীরতা মাপা হয় যে যন্ত্র দিয়ে - ফ্যাদোমিটার
১০৮। অ্যালটিমিটার-- উচ্চতা পরিমাপক যন্ত্র
১০৯। জাইরোকম্পাস --- জাহাজের দিক নির্ণায়ক যন্ত্র
১১০। বৃষ্টি পরিমাপক যন্ত্র- রেইনগেজ
১১১। ওডোমিটার - মোটর গাড়ির গতি নির্ণায়ক যন্ত্র
১১২। দুধের বিশুদ্ধতা নির্ণায়ক যন্ত্র - ল্যাক্টোমিটার
১১৩। তারকাসমূহের উত্তাপ নির্ণায়ক যন্ত্র - পাইরোমিটার
১১৪। উষ্ণতা পরিমাপক যন্ত্র- থার্মোমিটার
১১৫। উদ্ভিদের বৃদ্ধি নির্ণায়ক যন্ত্র - ক্রেসকোগ্রাফ
১১৫। তাপমাত্রার একক- কেলভিন
১১৬। তড়িৎ প্রবাহের একক-- অ্যাম্পিয়ার
১১৭। দীপন ক্ষমতার একক- ক্যান্ডেলা
১১৮। আলো, গতি ও মহাকাশ সূত্রের আবিষ্কারক- স্যার আইজ্যাক নিউটন [ নিউটনের গতিসূত্র তিনটি। একজন মাঝি নৌকা চালানোর সময় প্রয়োগ করে নিউটনের ৩য় সূত্র। নিউটনের ৩য় সূত্রটি হলো- প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। ]
১১৯। জেট ইঞ্জিন রি-অ্যাকশন ধরনের ইঞ্জিন। [ A rocket flying to the moon does not need wings because space is airless.]
১২০। চলন্ত বাস ব্রেক করলে যাত্রীরা সামনের দিকে ঝুঁকে পড়েন গতি জড়তার কারণে। থেমে থাকা বাস হঠাৎ চলা শুরু করলে যাত্রীরা পিছনের দিকে হেলে পড়েন স্থিতি জড়তার কারণে।
১২১। এস.আই. পদ্ধতিতে বলের একক - নিউটন
[সিজিএস পদ্ধতিতে বলের একক ডাইন। ১ নিউটন= ১০^৫ ডাইন।]
১২২। সহসা দরজা খুলতে চাইলে দরজার কব্জার বিপরীত প্রান্তে বল প্রয়োগ করা উচিত।
১২৩। যথাযথ ভাবে হাল ঘুরিয়ে নদীর একপাশ থেকে গুণ টেনে নৌকাকে মাঝ নদীতে রেখেই সামনের দিকে নেয়া সম্ভব।
১২৪। নৌকা থেকে আরোহীরা নামার নৌকা পেছনের দিকে আসে কারণ নৌকা ও আরোহীর ভরবেগ পরস্পর সমান কিন্তু বিপরীতমুখী।
১২৫। লোহা/ ইস্পাতের স্থিতিস্থাপকতা বেশি।
১২৬। Rubber is notable for its elasticity.
১২৭। মাধ্যাকর্ষণ বলের জন্য পৃথিবীর ঘূর্ণনের ফলে আমরা ছিটকিয়ে পড়ি না। [ মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আবিষ্কার করেন নিউটন।]
১২৮। মাধ্যাকর্ষণজনিত ত্বরণ সর্বোচ্চ ভূ-পৃষ্ঠে।
[ পৃথিবীর কেন্দ্রে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি শূন্য মানের হয়। পৃথিবীর কেন্দ্রে 'g'এর মান= ০ মি./সেকেন্ড^২। 'g' এর আদর্শ মান হচ্ছে 9.8 মিটার/সেকেন্ড ^২। 'g' এর মান মেরু অঞ্চলে সর্বাধিক এবং নিরক্ষীয় অঞ্চলে সর্বনিম্ন। ]
১২৯। শূন্য মাধ্যমে পাথর, লোহা, পালক, কাগজ, কাঠ সবগুলো একসাথে ছেড়ে দিলে সবকটি একসাথে মাটি স্পর্শ করবে।
১৩০। ওজনের একক নিউটন।
১৩১। কোনো বস্তুর ওজন কোথায় সবচেয়ে বেশি? - মেরু অঞ্চলে
১৩২। চন্দ্রে কোনো বস্তুর ওজন পৃথিবীতে ঐ বস্তুর ওজনের কত অংশ?- ১/৬
১৩৩। কাজের একক জুল।
১৩৪। ক্ষমতার একক ওয়াট।
১৩৫। ১ অশ্ব ক্ষমতা= ৭৪৬ ওয়াট
১৩৬। কাজ করার সামর্থ্যকে শক্তি বলে।
১৩৭। বৈদ্যুতিক মোটরে তড়িৎ শক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
১৩৮। হিটার, বৈদ্যুতিক ইস্ত্রি এবং টোস্টারে তড়িৎ শক্তি তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
১৩৯। বৈদ্যুতিক বাল্বে তড়িৎ শক্তি আলোক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
১৪০। বৈদ্যুতিক ঘণ্টা ও লাউড স্পিকারের মাধ্যমে তড়িৎ শক্তি শব্দশক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
১৪১। হেরিকেনের চিমনিতে আলোক শক্তি তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
১৪২। ফটোগ্রাফিক কাগজের উপর আলোর ক্রিয়ায় আলোক শক্তি রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
১৪৩। দুই হাতের তালু পরস্পরের সাথে ঘষলে যান্ত্রিক শক্তি তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
১৪৪। জেনারেটরের সাহায্যে যন্ত্র শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
১৪৫। জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে টারবাইন ঘুরানোর জন্য পানির বিভব শক্তিকে কাজে লাগানো হয়।
১৪৬। টেলিফোন ও রেডিওর গ্রাহক যন্ত্রে তড়িৎ শক্তি শব্দ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। [ মোবাইল, টেলিফোন লাইনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় তড়িৎ শক্তি ]
১৪৭। রেলগাড়ীর স্টীম ইঞ্জিনে তাপ শক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
১৪৮। বাল্বের ফিলামেন্টে তাপ শক্তি আলোক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
১৪৯। বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন সর্বাপেক্ষা বেশি দক্ষতাসম্পন্ন ইঞ্জিন। যেমন বৈদ্যুতিক মোটর।
১৫০। চাপের একক প্যাসকেল।
১৫১। একজন মানুষ শোয়া অবস্থায় পৃথিবীকে সবচেয়ে কম চাপ দেয়। দৌঁড়ানো অবস্থায় একজন মানুষ পৃথিবীকে সবচেয়ে বেশি চাপ দেয়।
১৫২। সাগরে সাঁতার কাটা সহজ।
১৫৩। বরফ পানিতে ভাসে কারণ বরফের তুলনায় পানির ঘনত্ব বেশি।
১৫৪। ডিমকে দুই হাতে চেপে ভাঙা যায় না কেন?- ডিম বক্র বহিরাবরণী খুব ঘাতসহ বলে তা সহজে ভাঙে না
১৫৫। সান্দ্রতার একক Poise.
১৫৬। চৌম্বক পদার্থঃ
~ লোহা, ইস্পাত, নিকেল, কোবাল্ট ইত্যাদি।
~ ক্যাসেট প্লেয়ারের টেপে চৌম্বক পদার্থ ব্যবহার করা হয়।
~ ক্যাসেটের ফিতায় শব্দ চৌম্বক ক্ষেত্র হিসেবে রক্ষিত থাকে।
১৫৭। অচৌম্বক পদার্থঃ
~ সোনা, রূপা, তামা, পিতল, অ্যালুমিনিয়াম, দস্তা, টিন ইত্যাদি অচৌম্বক পদার্থ।
১৫৮। টেপ রেকর্ডার এবং কম্পিউটারের স্মৃতির ফিতায় সিরামিক চুম্বক ব্যবহৃত হয়।
১৫৯। শব্দের একক ডিসিবল
১৬০। লোকভর্তি হল ঘরে শূন্যঘরের চেয়ে শব্দ ক্ষীণ হয় কারণ শূন্য ঘরে শব্দের শোষণ কম হয়।
১৬১। চাঁদে বায়ুমন্ডল নেই বলে যতো শব্দই করা হোক না কেনো তা পৃথিবীতে কখনো শোনা যাবে না।
১৬২। শূন্য মাধ্যমে শব্দের বেগ শূন্য।
১৬৩। কঠিন মাধ্যমে শব্দের গতি সবচেয়ে বেশি। [ লোহা বা ইস্পাতে শব্দের গতি সবচেয়ে বেশি। ]
১৬৪। বায়বীয় মাধ্যমে শব্দের গতি সবচেয়ে কম।
[ বাতাসের উষ্ণতা বাড়লে শব্দের গতি বাড়ে।]
১৬৫। শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন বিমান ( সুপারসনিক বিমান) এর নাম কি?- কনকর্ড
১৬৬। শব্দের প্রতিধ্বনি শোনার জন্য উৎস ও প্রতিফলকের মধ্যে নূন্যতম দূরত্ব - ১৬.৬ মিটার
১৬৭। প্রতিধ্বনির সাহায্যে সমুদ্র ও কুয়ার গভীরতা নির্ণয় করা যায়।
১৬৮। আমাদের মস্তিষ্কে শব্দের স্থায়িত্বকাল- ০.১ সেকেন্ড
১৬৯। শব্দোত্তর তরঙ্গ রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
১৭০। আলট্রাসনোগ্রাফি হলো ছোট তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের শব্দের দ্বারা ইমেজিং
১৭১। বাদুড় সৃষ্ট শব্দের প্রতিধ্বনি শুনে অন্ধকারে চলাফেরা করে।
১৭২। মানবদেহের স্বাভাবিক উষ্ণতা --- ৯৮.৪° ফারেনহাইট
১৭৩। তাপ প্রয়োগে সবচেয়ে বেশি প্রসারিত হয় বায়বীয় পদার্থ।
১৭৪। ৪° সেলসিয়াস উষ্ণতায় পানির ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি।
১৭৫। পানি বরফে রূপান্তরিত হলে আয়তন বাড়ে।
১৭৬। বায়ুর চাপ কম থাকার কারণে পাহাড়ের উপর রান্না করতে বেশি সময় লাগে।
১৭৭। প্রেসার কুকারে রান্না তাড়াতাড়ি হয়, কারণ উচ্চ চাপে তরলের স্ফুটনাংক বৃদ্ধি পায়।
১৭৮। শীতকালে ঠোঁট ও গায়ের চামড়া ফেটে যায় কারণ বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতা কম বলে।
১৭৯। মাটির পাত্র পানির বাষ্পীভবনে সাহায্য করে কারণ মাটির পাত্রে পানি ঠান্ডা থাকে।
১৮০। বাষ্পায়ন শীতলতার সৃষ্টি করে ঘর্মাক্ত দেহে পাখার বাতাস আরাম দেয়।
১৮১। বাষ্পীভবন প্রক্রিয়ায় রোদে কাপড় শুকায়।
১৮২। তামা সর্বোত্তম তাপ পরিবাহক।
১৮৩। সূর্য থেকে পৃথিবীতে তাপ আসে- বিকিরণ পদ্ধতিতে
[ তাপ সঞ্চালনের দ্রুততম প্রক্রিয়া - বিকিরণ ]
১৮৪। আকাশ মেঘলা থাকলে গরম বেশি লাগে কারণ মেঘ পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে বিকীর্ণ তাপকে ওপরে যেতে বাঁধা দেয় বলে।
১৮৫। কালো রঙের বস্তুর তাপ বিকিরণ এবং শোষণ ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি।
[ গ্রীষ্মকালে কালো রঙের কাপড় পরিধান করা কষ্টদায়ক। কালো রঙের কাপে চা তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয়।]
১৮৬। সাদা রঙের বস্তুর তাপ বিকিরণ এবং শোষণ ক্ষমতা সবচেয়ে কম।
[ গ্রীষ্মকালে সাদা রঙের কাপড় পরিধান করা আরামদায়ক। সাদা রঙের কাপে চা বেশিক্ষণ গরম থাকে। ]
১৮৭। তাপের বিকিরণ থেকে বাঁচার জন্য শহরের রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ সাধারণত সাদা ছাতা ও জামা ব্যবহার করে।
১৮৮। মোটরগাড়ীর ইঞ্জিনকে ঠান্ডা রাখার জন্য পানি ব্যবহার করা হয় কারণ অনেক তাপ শোষণ করলেও পানির উষ্ণতা অল্প বৃদ্ধি পায়।
১৮৯। যে যন্ত্র তাপ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে তাকে তাপ ইঞ্জিন বলে। তাপ ইঞ্জিনের কাজ তাপ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর। যেমনঃ বাষ্পীয় ইঞ্জিন, পেট্রোল ইঞ্জিন, ডিজেল ইঞ্জিন ইত্যাদি।
[ বাষ্পীয় ইঞ্জিন এর আবিষ্কারক জেমসওয়াট, রেলওয়ে ইঞ্জিনের আবিষ্কারক স্টিফেনসন, পেট্রোল ইঞ্জিনের আবিষ্কারক ড. অটো, ডিজেল ইঞ্জিনের আবিষ্কারক রুডলফ ডিজেল।]
১৯০। পেট্রোল ইঞ্জিনে কার্বুরেটর থাকে।
১৯১। রেফ্রিজারেটরে কমপ্রেসরের কাজ-- ফ্রেয়নকে ঘনীভূত করা।
১৯২। আলোকবর্ষঃ
~ আলো শূন্যস্থানে এক বৎসর সময়ে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে আলোকবর্ষ বলে।
~ এক আলোকবর্ষ= ৯.৪৬১× ১০^১২ কি.মি.
= ৫.৮৭৯× ১০^১২ মাইল
~ দূরত্বের সবচেয়ে বড় একক পারসেক।
~ এক পারসেক = ৩.২ আলোকবর্ষ
~ জ্যোতিবির্দ্যায় দূরত্বের একক হিসেবে আলোক বর্ষ, পারসেক ব্যবহৃত হয়।
১৯৩। শূন্য মাধ্যমে আলোর গতি= ১,৮৬,০০০ মাইল/সেকেন্ড (৩ লক্ষ কিলোমিটার/সেকেন্ড)
১৯৪। আলোর কোয়ান্টাম তত্ত্বের প্রবক্তা - ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক
১৯৫। আলোকবর্ষ কোনটির সাথে সম্পর্কিত?
- দূরত্ব
১৯৬। গামা রশ্মিঃ
~ ক্ষুদ্রতম তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের বিকিরণ।
~পারমাণবিক বিস্ফোরণের তেজস্ক্রিয় গামা রশ্মি উৎপন্ন হয়।
~ এ রশ্মি জীবজগত বিশেষ করে মানুষের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর।
~ টিউমার, ক্যান্সার প্রভৃতি রোগের চিকিৎসায় এ রশ্মি ব্যবহার করা হয়।
~ ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত গামা বিকিরণের উৎস হলো আইসোটোপ।
১৯৭। এক্সরেঃ
~ ভাঙা হাড়ের অবস্থান নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়।
~ রঙিন টেলিভিশন থেকে ক্ষতিকর এক্সরে বের হয়।
১৯৮। অতিবেগুনী রশ্মিঃ
~ এই রশ্মি ত্বকে ভিটামিন-ডি তৈরীতে সাহায্য করে।
১৯৯। অবলোহিত রশ্মিঃ
~ সূর্য থেকে যে বিকীর্ণ তাপ আসে তা অবলোহিত রশ্মি।
~ সাধারণত রিমোট কন্ট্রোল সমূহে অবলোহিত( Infrared ray) ব্যবহৃত হয়।
২০০। মাইক্রোওয়েভঃ
~ রাডার, টেলিভিশন ও মোবাইল ফোন প্রযুক্তিতে মাইক্রোওয়েভ তরঙ্গ ব্যবহৃত হয়।
২০১। বেতার তরঙ্গঃ
~ সর্বাপেক্ষা বড় তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের বিকিরণ।
~ বেতার তরঙ্গে বায়ুমণ্ডলের আয়নোস্ফিয়ারে প্রতিফলিত হয়।
২০২। LASER - Light Amplification by Stimulated Emission
[ মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী থিওডোর হ্যারল্ড মাইম্যান ১৯৬০ সালে লেজার রশ্মি আবিষ্কার করেন। ]
২০৩। দৃশ্যমান বর্ণালীর বৃহত্তম দৈর্ঘ্যের তরঙ্গ - লাল
[ লাল রঙ বেশি দূর থেকে দেখা যায়। ]
২০৪। কোন রঙের আলোর বিচ্যুতি সবচেয়ে কম?- লাল
২০৫। কোন বর্ণের আলোর প্রতিফলন সবচেয়ে বেশি? - লাল
২০৬। দৃশ্যমান বর্ণালীর ক্ষুদ্রতম তরঙ্গ দৈর্ঘ্য - বেগুনি
[ বেগুনি রঙের আলোর বিচ্যুতি সবচেয়ে বেশি ]
২০৭। আয়নার পিছনে কোন ধাতু ব্যবহৃত হয়?-- রৌপ্য
২০৮। আয়নায় প্রতিফলিত হলে কোন শব্দটির পরিবর্তন হবে না? -- OTTO
২০৯। পানিতে নৌকার বৈঠা বাঁকা দেখা যাওয়ার কারণ, আলোর প্রতিসরণ
২১০। হীরক উজ্জ্বল দেখায় কারণ আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন হয়।
২১১। মরীচিকায় কোন ঘটনা ঘটে?-- আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন
২১২। অপটিক্যাল ফাইবার-- খুব সরু নমনীয় কাচ তন্তু
[ অপটিক্যাল ফাইবারে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ]
২১৩। রংধনুতে ৭টি রং।
[ আকাশে রংধনু সৃষ্টির কারণ বৃষ্টির কণা ]
২১৪। বেনীআসহকলাঃ
~ বে- বেগুনি
নী - নীল
আ - আসমানী
স - সবুজ
হ - হলুদ
ক - কমলা
লা- লাল
২১৫। তিনটি মৌলিক রং- লাল, নীল, সবুজ
২১৬। একটি লাল ফুলকে সবুজ আলোয় রাখলে কেমন দেখাবে?- কালো
২১৭। নীল আলোর বিক্ষেপণ অপেক্ষাকৃত বেশি বলে আকাশ এবং সমুদ্র নীল দেখায়।
২১৮। গোধূলির কারণ কী?- বিক্ষেপণ
২১৯। মানুষের দর্শনানুভূতির স্থায়িত্বকাল- ০.১ সেকেন্ড
২২০। রাতের বেলা বিড়াল ও কুকুরের চোখ জ্বলজ্বল করে, কারণ কুকুর ও বিড়ালের চোখে টেপেটাম নামক রঞ্জক কোষ থাকে।
২২১। কোনো বস্তুতে আধানের অস্তিত্ব নির্ণয়ের যন্ত্র হলো তড়িৎবীক্ষণ যন্ত্র
২২২। বাংলাদেশের বাসাবাড়িতে বিদ্যুতের সাপ্লাই ভোল্টেজ হলো- ২২০ ভোল্ট এ.সি.
২২৩। বিদ্যুৎবাহী তারে পাখি বসলে সাধারণত বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয় না, কারণ মাটির সঙ্গে সংযোগ হয় না।
২২৪। বিদ্যুৎ প্রবাহ মাপার যন্ত্রের নাম- অ্যামিটার
২২৫। বাংলাদেশের বাসাবাড়িতে সরবরাহকৃত বিদ্যুৎ এর ফ্রিকোয়েন্সী -- ৫০ হার্জ
২২৬। বিদ্যুৎ পরিবাহকের রোধের একক- ওহম
২২৭। বৈদ্যুতিক পাখা ধীরে ধীরে ঘুরলে বিদ্যুৎ খরচ একই হয়।
২২৮। বিদ্যুৎ পরিবাহকঃ
~ সকল ধাতু, মানবদেহ, আদ্র বায়ু, পানি, মাটি ইত্যাদি।
[ রূপার বিদ্যুৎ পরিবাহিতা সবচেয়ে বেশি। তবে তামা সর্বোত্তম তড়িৎ বাহক।]
২২৯। বিদ্যুৎ অপরিবাহক/অন্তরকঃ
~ অধাতু, প্লাস্টিক, কাঠ, কাচ, রাবার, চীনামাটি, রেশম, শুষ্ক বাতাস ইত্যাদি।
২৩০। বিদ্যুৎ অর্ধপরিবাহীঃ
~ সিলিকন, জার্মেনিয়াম, গ্যালিয়াম, ক্যাডমিয়াম সালফাইড ইত্যাদি।
২৩১। তড়িৎ ক্ষমতার একক- ওয়াট
২৩২। বৈদ্যুতিক বিল কিলোওয়াট-ঘণ্টা বা B.O.T. এককে হিসাব করা হয়।
[ বিদ্যুৎ শক্তির বাণিজ্যিক একক- এক কিলোওয়াট ঘণ্টা ]
২৩৩। আবাসিক বাড়ির বর্তিনীতে সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার করা হয় - অতিমাত্রায় বিদ্যুৎ প্রবাহজনিত দুর্ঘটনা রোধের উদ্দেশ্যে
২৩৪। জেনারেটর/ডায়নামোঃ
~ যে তড়িৎ যন্ত্রে যান্ত্রিক শক্তিকে তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করা হয়, তাকে জেনারেটর বলে।
২৩৫। বৈদ্যুতিক মোটরঃ
~ যে তড়িৎ যন্ত্র তড়িৎ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে তাকে বৈদ্যুতিক মোটর বলে।
~ কমুটেটর, আর্মেচার, ব্রাশ ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়।
২৩৬। রূপান্তরক/ট্রান্সফরমারঃ
~ যে যন্ত্রের সাহায্যে উচ্চ বিভবকে নিম্ন বিভবে বা নিম্ন বিভবকে উচ্চ বিভবে রূপান্তরিত করা হয় তাকে রূপান্তরক বা ট্রান্সফরমার বলে।
~ ট্রান্সফরমারে পারস্পরিক আবেশ ব্যবহার করা হয়।
~ স্টেপ-আপ ট্রান্সফরমারের সাহায্যে উচ্চতর ভোল্ট থেকে নিম্নতর ভোল্ট পাওয়া যায়।
২৩৭। পাওয়ার স্টেশনে তড়িৎ উৎপাদন করা হয়।
২৩৮। একটি ডায়োড সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়- রেক্টিফায়ার হিসেবে
২৩৯। আবিষ্কার ও আবিষ্কারকের নামঃ
★ ছাপাযন্ত্র ----- জোহানেস গুটেনবার্গ
★ ফনোগ্রাফ, বৈদ্যুতিক বাতি, সিনেমা- এডিসন
★ টেলিফোন ---- আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল
★ রেডিও ------ গুলিয়েলমো মার্কোনি
★ টেলিভিশন ---- জন লজি বেয়ার্ড
★ রাডার ---- এইচ টেলর এবং লিও সি ইয়ং
★ উড়োজাহাজ -- অরবিল রাইট এবং উইলবার রাইট ভ্রাতৃদ্বয়
★ পলিগ্রাফ---- জন এ. লারসন
২৪০। যন্ত্র ও যন্ত্রের ব্যবহারঃ
★ পলিগ্রাফ -- মিথ্যা ধরার যন্ত্র
★ ফনোগ্রাফ -- শব্দ রেকর্ড করার জন্য যন্ত্র
২৪১। বিদ্যুৎকে সাধারণ মানুষের কাজে লাগানোর জন্য কোন বৈজ্ঞানিকের অবদান সবচেয়ে বেশি? - টমাস আলভা এডিসন।
২৪২। বৈদ্যুতিক বাল্বের ফিলামেন্ট টাংস্টেন ধাতু দিয়ে তৈরি।
২৪৩। সাধারণ বৈদ্যুতিক বাল্বের ভিতরে সাধারণত নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
২৪৪। টিউবলাইটে সাধারণত আরগন গ্যাস ব্যবহার করা হয়।
২৪৫। বৈদ্যুতিক হিটার ও বৈদ্যুতিক ইস্ত্রিতে নাইক্রোম তার ব্যবহার করা হয়।
২৪৬। RADAR- Radio Detection And Ranging
২৪৭। 'Cock pit' means an enclosed area of an aircraft where the pilot sits and steers the plane.
২৪৮। 'ব্ল্যাকবক্স ' যন্ত্রটি ব্যবহৃত হয়- উড়োজাহাজ
[ এটি বিমানে রক্ষিত ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার। ]
২৪৯। ড্রোন- চালকবিহীন বিমান
২৫০। কোন দেশ ১ম রকেট আবিষ্কার করে? - চীন
২৫১। বিশ্বে ১ম রেল সার্ভিস চালু হয় - যুক্তরাজ্যে
২৫২। এক্স-রে আবিষ্কার করেন - রন্টজেন
[ ভাঙা হাড় নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয় রঞ্জন রশ্মি (অজানা রশ্মি)। গোয়েন্দা বিভাগে এক্স-রে ব্যবহৃত হয়।]
২৫৩। তেজস্ক্রিয় আবিষ্কার করেন - হেনরি বেকরেল
২৫৪। তেজস্ক্রিয় পদার্থঃ
~ ইউরেনিয়াম, নেপচুনিয়াম, প্লুটোনিয়াম, রেডিয়াম, থোরিয়াম, রেডন ইত্যাদি তেজস্ক্রিয় পদার্থ।
২৫৫। তেজস্ক্রিয় আইসোটোপঃ
~ গলগণ্ড রোগ নির্ণয়ে রেডিও আইসোটোপ ব্যবহৃত হয়।
~ রেডিও আইসোটোপ থেকে নির্গত গামা রশ্মি টিউমার, ক্যান্সার প্রভৃতি রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
২৫৬। মানবকল্যাণে পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার ১ম শুরু হয় - ১৯৫৪ সালে
[ ঐসময় তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে (রাশিয়া) ১ম নিউক্লিয় তড়িৎ কেন্দ্রে তড়িৎ উৎপাদন শুরু করে। ]
২৫৭। নবায়নযোগ্য শক্তিঃ
~ সৌরশক্তি, বায়োগ্যাস, বায়ুপ্রবাহ শক্তি, পানি, সমুদ্রস্রোত, পানির জোয়ারভাটা, হাইড্রোজেন শক্তি, পরমাণু শক্তি ইত্যাদি।
~ নবায়নযোগ্য শক্তির ক্রয়মূল্য শূন্য।
২৫৮। বিশ্বের সর্ববৃহৎ সৌরশক্তি কেন্দ্র যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত।
[ সৌরশক্তি চালিত বিশ্বের ১ম রেলওয়ে সুড়ঙ্গ (Tunnel) বেলজিয়ামে অবস্থিত। ]
২৫৯। প্রাণীর মলমূত্র থেকে ব্যাকটেরিয়ার ফারমেন্টেশন প্রক্রিয়ার উৎপন্ন হয়- মিথেন
[ বায়োগ্যাসে প্রধানত মিথেন থাকে। বায়োগ্যাস প্ল্যান্টে গোবর ও পানির অনুপাত- ১ঃ২]
২৬০। বাংলাদেশের একটি জীবন্ত জীবাশ্মের নাম- রাজ কাঁকড়া
২৬১। CNG- Compressed Natural Gas
[সিএনজি অর্থ কমপ্রেস করা প্রাকৃতিক গ্যাস।]
২৬২। পেট্রোলকে বলা হয় সবুজ জ্বালানি।
[পেট্রোলিয়াম থেকে প্যারাফিন, গ্যাসোলিন, বিটুমিন প্রভৃতি পাওয়া যায়। ]
২৬৩। পেট্রোল এর আগুন পানি দ্বারা নিভানো যায় না। কারণ পেট্রোল পানির সাথে মিশে না এবং এটি পানির চেয়ে হালকা।
২৬৪। "কল্পনা জ্ঞানের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। "- টমাস আলভা এডিসন
২৬৫। 'থিওরি অব রিলেটিভিটি 'র প্রবক্তা - এডিসন
২৬৬। E=mc^2 সূত্রের আবিষ্কারক- আইনস্টাইন
২৬৭। প্রখ্যাত বৈজ্ঞানিক আইনস্টাইনের নামের সঙ্গে যে বাংলাদেশী বৈজ্ঞানিকের নাম জড়িত- প্রফেসর এম.এন.বোস
২৬৮। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন - সত্যেন্দ্রনাথ বসু
২৬৯। ঈশ্বর কণা কোনটি?- হিগস বোসন
২৭০। পারমাণবিক বোমা তৈরি হয় কি ধাতু দিয়ে?- ইউরেনিয়াম।
No comments:
Post a Comment