Saturday, June 29, 2024

Write an Application to the Police Superintendent for Controlling Anti-social Activities

Write an Application to the Police Superintendent for Controlling Anti-social Activities

25 june 2024

 

To

The Superintendent of Police

Khulna Range

Khulna Bangladesh.

 

Subject: Prayer for taking steps to control anti-social activities.

 

Dear Sir,

 

We have the honour to express our views about the problem of anti-social activities in khulna. For the last several months, some anti-social elements are in operation in this upzilla. They rob the passers-by of their valuables at the point of dagger. Sometimes they wander with revolvers and bombs to raid shops, houses etc. Sometimes they turn violent and destroy public and private properties. Moreover, they often taunt and tease the school and college going girls, cheat the shopkeepers, give no fair to the rickshaw pullers and behave roughly with people and passers-by. In a word, unrest, anarchy and violence have spread in every walk of life and the people of the upzilla are living in extreme panic.

 

Under the above circumstances, we earnestly pray and hope that you would try to realize the panic and anxiety with which we are passing our days and would take proper steps for dealing with these anti-social activities as early as possible.

 

Yours sincerely -

Md Tanvir 
On behalf of the sufferers.
Khulna

Friday, June 21, 2024

বেশ্যা কবিতা

বেশ্যা একটি গালি,
দেখেন মিলে কি না??

"অবৈধভাবে জ্ঞাত 
আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে যারা আজ সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত এরাই হলো সমাজের সবচেয়ে নিকৃষ্ট বেশ্যা।"

কিন্তু বেশ্যা চরিত্রটা কি খুব খারাপ ?

✍️অর্থের বিনিময়ে যে নারী দেহ বেচে সে বেশ্যা।
✍️অর্থের বিনিময়ে যে নৈতিকতা বেচে সেও বেশ্যা।
✍️অর্থের বিনিময়ে যে ফাইলে সই করে সেও বেশ্যা।
✍️অর্থের বিনিময়ে যে চাকুরিতে নিয়োগ দেয় সেও বেশ্যা।
✍️অর্থের বিনিময়ে যে আসামীকে জামিন দেয় সেও বেশ্যা।
✍️অর্থের বিনিময়ে যে দলের পদ বেচে সেও বেশ্যা।
✍️অর্থের বিনিময়ে যে নমিনেশন বেচে সেও বেশ্যা।

😥তবে যার বেচার মত অবশিষ্ট আর কিছু থাকেনা
সেই নারী  শুধু দেহ বেচে।
👉কার কাছে বেচে তার নাম কি??? 

কবি লিখেছেন:----------
😇বেশ্যা"😇
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম

সাধুর নগরে বেশ্যা মরেছে
পাপের হয়েছে শেষ,
বেশ্যার লাশ হবে না দাফন
এইটা সাধুর দেশ। 
জীবিত বেশ্যা ভোগে তো আচ্ছা, মরিলেই যত দোস?
দাফন কাফন হবে না এখন
সবে করে ফোস ফোস।
বেশ্যা তো ছিল খাস মাল, তোদের রাতের রানী,
দিনের বেলায় ভুরু কোচ কাও?
মরিলে দেওনা পানি!
সাধু সুনামের ভেক ধরিয়া দেখালি দারুন খেলা,
মুখোশ তোদের খুলবে অচিরে 
আসবে তোদের বেলা।
রাতের আধারে বেশ্যার ঘর স্বর্গ তোদের কাছে, 
দিনের আলোতে চিননা তাহারে? 
তাকাও নাকো লাজে!
চিনি চিনি ভাই সব সাধু রেই হরেক রকম সাজ,
সুযোগ পেলেই দরবেশী ছেরে দেখাও উদ্দাম নাচ!
নারী আমাদের মায়ের জাতি  বেশ্যা বানালো কে? 
ভদ্র সমাজে সতীর ছেলেরা খদ্দের সেজেছে?
গরীবের বৌ সস্তা জিনিস সবাই ডাকো ভাবি,
সুযোগ পেলেই প্রস্তাব দাও আদিম পাপের দাবি। 
স্বামী যখন মরলো ভাবির দুধের শিশু কোলে,
ভদ্র দেবর সুযোগ খোঁজে সহানুভূতির ছলে, 
দিনের মত দিন চলে যায়, 
হয় না তাতে দোষ
মরা লাশের সুযোগ পেয়ে মোল্লার রোষ।
মোল্লা সাহেব নায়েবে রাসুল ফতোয়া ঝারিশা কয়,
পতিতা নারীর জানাজা কবর এই এলাকায় নয়।
শুধাই আমি ওরে মোল্লা জানাযায় যত দোষ,
বেশ্যার দান নিয়াছো ঝোলিয়ে তুমি বেটা নির্দোষ?
বেশ্যার তবু আছে পাপ বোধ নিজেকে সে ভাবে দোষী,
তোমরা তো বেটা দিন বেচে খাও হচ্ছেয় খোদার খাসি।
আল্লাহর ঘর মসজিদে ও আছে বেশ্যার দান -কলেমা পড়েছে সে ওতো তবে নামেতে মোসলমান!
বেশ্যা নারী ব্যবসায় নারী পুরুষরা পুরুষরা সব সৎ?
জানি মোল্লা খুলবে না মুখ চাকরি যাওয়ার পথ!
আর কতকাল থাকবি অমন মুখোশ ধারীর দল,
আসবো এবার মশাল নিয়ে ভাঙতে তোদের কল।
সত্যর আলো জলবে যখন চিনবে তোদের সবে,
লেবাশধারী মুখোশধারী মুখোশ উপরে যাবে।
এই ভাবে আর চালাবি কত ছল চাতুরীর খেলা।
আসবে তিনি, এবার তোদের বিদায় নেবার পালা।।।❤️❤️ ❤️❤️
collected

Friday, June 14, 2024

Asset and Liability

ASSET vs LIABILITY

Son:  Dad, may I speak with you?
Dad: Go ahead.
Son: Among all my classmates, I am the only one without a car. It is embarrassing.
Dad: What do you want me to do?
Son: I need a car. I don't want to feel odd.
Dad: Do you have a particular car in mind?
Son: Yes dad (smiling)
Dad: How much?
Son: 5000 USD
Dad: I will give you the money on one condition.
Son: What is the condition?
Dad: You will not use the money to buy a car but invest it. If you make enough profit from the investment, you can go ahead and buy the car.
Son: Deal.

Then, the father gave him a cheque of 5000 USD. The son cashed the cheque and invested it in obedience to the verbal agreement that he had with his father.

Some months later, the father asked the son how he was faring. The son responded that his business was improving. The father left him. 

When it was exactly a year after he gave him the money, the father asked him to show him how far the business has gone. The son readily agreed and the following discussion took place:

Dad: From this I can see that you have made a lot of money.
Son: Yes dad.
Dad: Do you still remember our agreement?
Son: Yes
Dad: What is it?
Son: We agreed that I should invest the money and buy the car from the profit.
Dad: Why have you not bought the car?
Son: I don't need the car again. I want to invest more.
Dad: Good. You have learnt the lessons that I wanted to teach you.
- You didn't really need the car, you just wanted to feel among. That would have placed extra financial obligations on you. It wasn't an asset then; but a liability.
- Two, it is very important for you to invest in your future before living like a king.
Son: Thanks dad.

Then the father gave him the keys of the latest model of that car.

MORALS: 
1. Always invest first before you start living the way you want.

2. What you see as a need now may become a want if you can take a little time to get over your feelings.

3. Try to be able to distinguish between an asset and a liability so that what you see as an asset today will not become a liability to you tomorrow.

Collected from internet

Monday, June 10, 2024

দিলারা হাশেম

যশোরের কৃতি সন্তান ; দিলারা হাশেম, ভয়েস অফ আমেরিকা 

১৯৮০ এর দশকে ভয়েস অফ আমেরিকার এক অনন্য, অমর কণ্ঠ দিলারা হাশেম। নিয়মিত রাত্র ১০ টায় যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে প্রচারিত ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা বিভাগের তিনিই ছিলেন অত্যন্ত পরিচিত এক কণ্ঠস্বর। 

তার অসামান্য অবদান , আটলান্টিকের পার থেকে ভেসে আসা বাংলা বিশ্বসংবাদ বাংলাভাষী মানুষের জন্য ছিল বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের অসাধারণ  উৎস। এ সময় সংবাদ শিল্পী এ দিলারা হাশেমকে চিনত না এমন ব্যক্তির পরিচয় ছিল নিতান্তই দুর্লভ। রেডিও খুলে কান পেতে তার সংবাদ পাঠ শুনতাম। 
স্পষ্ট উচ্চারণ, অপূর্ব বাচনভঙ্গি ও অসাধারণ কন্ঠস্বর নিয়ে তিনি সংবাদ পড়তেন। সত্যিই মুগ্ধ হতাম খুঁজে পেতাম অন্য এক জগত!

দিলারা হাশেম যশোরেরই মেয়ে, এ অঞ্চলের কৃতি সন্তান।  আমাদের একান্ত কাছেরই প্রতিবেশী। তার  জন্ম ১৯৩৬ সালের ২৫ আগস্ট, যশোর জেলার মনিরামপুর থানাধীন মশ্বিমনগর ইউনিয়নের, চাকলা গ্রাম। চাকলা পাল পাড়ার সামনে বিশাল আমবাগান তারই পৈতৃক ভিটামাটি বসতবাড়ি। বাবা ছিলেন বজলুর রহমান খান। 

অতি-লাবণ্য, সুশ্রী ও কোমল স্বভাবের মেয়ে -কথা সাহিত্যিক ও সাংবাদিক এ দিলারা হাশেম ছিলেন অনন্য মেধাবী ও কৃতি-সন্তান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৬ সালে ইংরেজি সাহিত্যে বি. এ. অনার্স ও ১৯৫৭ সালে এম. এ. সম্পন্ন করার পর করাচী বেতার বাংলা সংবাদ পাঠিকা হিসাবে তার কর্ম জীবন শুরু করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ছোট গল্প লেখার মধ্য দিয়ে সাহিত্য জীবন শুরু করেন।

প্রখ্যাত সাহিত্য প্রেমী এ লেখিকা, তার প্রকাশিত কয়েকটি গ্রন্থ রুশ ও চীনা ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ‘ঘর মন জানালা’ ১৯৭৩ সালে চলচ্চিত্র হয়েও মুক্তি পায়। উপন্যাসের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্যে ১৯৭৬ সালে তিনি বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন। ১৯৭২ সাল সুদূর মার্কিন যুক্তরাষ্টে পাড়ি দেন, ওয়াশিংটনে বসবাস ও কর্মজীবন শুরু করেন। 

বিশ্বের সর্ব বৃহৎ বেতার প্রচার ভয়েস অফ আমেরিকায় সংবাদ পাঠক হয়ে কাজ করেন।  এ সময় প্রবাসী হয়েও বাংলা ভাষার প্রতি তাঁর হৃদয়ের টান অক্ষুণ্ণ রেখে নিরবচ্ছিন্ন-ভাবে বাংলা সাহিত্য চর্চা করে গেছেন। ইতালি, ফ্রান্স, হল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, জার্মানী, চেকোস্লোভাকিয়াসহ ইউরোপের বহু দেশ এবং চীন, জাপান ও কমিউনিস্ট শাসনামলে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভ্রমণ করেন। 

বর্ণাঢ্য জীবন ও  বিচিত্র ধারায়, তার লেখার মূল উপাধ্যে মূলত নগর জীবন ও বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত সমাজের সুখ-দুঃখ, আশা-হতাশার স্পষ্ট চিত্র তিনি তুলে ধরেন। ১৯৮২ সালে ভয়েস অব আমেরিকায় স্থায়ীভাবে যোগ দেন। অবসরে যান ২০১১ সালে। ২০ মার্চ ২০২২ সালে ৮৬ বছর বয়সে ওয়াশিংটনের নিজ বাসায় দিলারা হাশেম তার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

মনিরামপুর , যশোরের এ সুখ্যাত কৃতীসন্তানের পরিচয় ও নাম হয়তো অনেকের কাছে অজানা। নুতন প্রজন্মের কাছে তিনি রয়েগেছেন সত্যিই একান্ত অচেনা এক ব্যক্তিত্ব কিন্তু তিনি যে আমাদের অনেক কাছের এক জন কৃতিমুখ, সামনে চলার উৎস, পথ নির্দেশক সে কথা অতিস্বরণীয়। 

তথ্য: Akram Zaman  (সুইডেন)

Sunday, June 9, 2024

word meaning 1

As - কারন, যেহেতু
Say- ধরা যাক
So - অতএব , সুতরাং
Who - কে, যে, কাকে
And - এবং ,ও
But - কিন্তু, তথাপি
That - যে , যা, যাতে, ফলে
Even - এমনকি
At first - প্রথমত
Often - প্রায়ই , মাঝে মাঝে
More - আরো , অধিকতর
Which - যেটি , যা
As if - যেন
Although - যদিও, যাতে , সত্বেও
While - যখন
Similarly - অনুরূপভাবে, একইভাবে
Therefore - অতএব , সুতরাং
So that - যাতে , যেন
First of all - প্রথমত
Rather - বরং, চেয়ে
Such as - তেমনই
However – যাইহোক
Indeed – প্রকৃতপক্ষে
Whereas – যেহেতু
Usually - সাধারনত
Only – শুধু, কেবল, একমাত্র
Firstly - প্রথমত
Finally - পরিশেষে
Moreover - তাছাড়া, অধিকন্তু, উপরন্তু
But also - এমনি , এটিও
As well as – এবং, ও, পাশাপাশি
Furthermore - অধিকন্তু
Regrettably - দুঃখজনকভাবে ।
in fact – আসলে
Hence - অত:পর/সুতরাং
Such as - যথা/যেমন
Notably – লক্ষণীয়ভাবে
Consequently – অতএব
On the whole – মোটামুটি
Either - দুয়ের যে কোন একটি
Neither - দুয়ের কোনটি নয়
In any event - যাহাই ঘটুক না কেন
Additionally - অতিরিক্ত আরো
In this regard – এ বিষয়ে
As a matter of fact -বাস্তবিকপক্ষে/
প্রকৃতপক্ষে
Including - সেই সঙ্গে
Nonetheless - তবু
Nevertheless - তথাপি , তবুও , তারপরও
Lest - পাছে ভয় হয়
Whether - কি ...না , যদি
Comparatively - অপেক্ষাকৃত
To be honest - সত্যি বলতে
Come what may - যাই ঘটুক না কেন
If you do care - যদি আপনি চান
Next to nothing - না বললেও চলে
As far as it goes - এ ব্যাপারে যতটুকু বলা যায় ।As far as I’m concerned - আমার জানা মতে ।
Why on earth - (বিরক্তি প্রকাশার্থে)- কেন যে?
On the other hand - অন্যদিকে ।
In this connection - এ বিষয়ে ।
In addition - অধিকন্তু, মোটের উপর
Infact - প্রকৃতপক্ষে
To be frank - খোলাখুলি ভাবে বলা যায় ।
Sincerely speaking - সত্যিকার ব্যাপার হলো ।
To sum up - সংক্ষেপে বলতে গেলে
Though - যদিও, সত্বেও
Incidentally - ঘটনাক্রমে
Then - তারপর ,তখন
Than - চেয়ে , থেকে
For a while - কিছুক্ষণের জন্য
In order to - উদ্দেশ্যে, জন্যে।

Thursday, June 6, 2024

রিজিক

আল্লাহ তা'আলা যাকে অপছন্দ করেন তাকেও অঢেল ধন সম্পদ দান করেন। আর যাকে পছন্দ করেন তাকে দান করেন হিকমাহ।

যাকে হিকমাহ দান করা হয় তার ভিতরে থাকে সাকিনা। আরবি সাকিনা শব্দের অর্থ শান্ত, প্রশান্ত, ধীর, স্থির।

টেবিল ভর্তি খাবার অথচ প্রত্যেকটা খাবারে আপনি দোষ খুঁজে পাচ্ছেন, পেট ভরে খেতে পারছেন না। কেননা আপনাকে সম্পদ দান করা হয়েছে, হিকমাহ দেয়া হয়নি যে কারণে আপনার ভিতর সাকিনা নেই।

আপনাকে হিকমাহ দেয়া হয়েছে যে জন্যে আলু ভর্তা আর ডাল দিয়েও পরম প্রশান্তি নিয়ে পেট ভরে খেয়ে উঠে বলে উঠবেন আলহামদুলিল্লাহ।

উচ্চশিক্ষিতা সুন্দরী স্ত্রী পেয়েও আপনি তাকে নিয়ে সুখী নন, কারণ আপনাকে হিকমা দেয়া হয়নি।

টয়োটা এলিয়নে চড়েও আপনি সুখী নন, আপনার কেন পাজেরো নাই? এর কারণ আপনার মাঝে হিকমাহ নাই, সাকিনা উঠে গেছে। আপনি আপনার অবস্থানে সুখী নন।

আরবি হিকমা শব্দের অর্থ প্রজ্ঞা। যাকে আল্লাহ তা'আলা হিকমা দান করেন সে সর্ব অবস্থায় সন্তুষ্ট থাকে, শান্তিতে থাকে। এর অর্থ নিজেকে মানিয়ে চলা এবং তাতে সন্তুষ্ট থাকা।

রিজিক শব্দের অর্থ অনেক ব্যাপক।
■▪রিযিকেরর সর্বনিম্ন স্তর হচ্ছেঃ টাকা, পয়সা, অর্থ এবং সম্পদ।
■▪রিযিক এর সর্বোচ্চ স্তর হচ্ছেঃ শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা।
■▪রিযিকের সর্বোত্তম স্তর হচ্ছেঃ পুণ্যবান স্ত্রী এবং পরিশুদ্ধ নেক সন্তান এবং 
■▪রিযিক এর পরিপূর্ণ স্তর হচ্ছেঃ মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি।  

■■ রিযিক খুব গভীর একটি বিষয়, যদি আমরা তা বুঝতে পারি। 

■■ আমি পুরো জীবনে কত টাকা আয় করবো সেটা লিখিত, কে আমার জীবনসঙ্গী হবে সেটা লিখিত, কবে কোথায় মারা যাবো সেটাও লিখিত এবং কতটা খাবার ও পানীয় গ্রহণ করবো তাও লিখিত বা নির্দিষ্ট।

■■ আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, আমি কতগুলো দানা বা ভাত দুনিয়াতে খেয়ে তারপর মারা যাবো সেটা লিখিত। একটি দানাও কম না এবং একটিও বেশি না। 

■■ ধরুন এটা লিখিত যে আমি সারাজীবনে এক কোটি টাকা আয় করবো, এই সিদ্ধান্ত আল্লাহ্‌ তা'আলা নিয়েছেন। 

■■ কিন্তু, আমি হালাল উপায়ে আয় করবো না হারাম উপায়ে আয় করবো সেই সিদ্ধান্ত একান্তই আমার। 

■■ যদি ধৈর্য ধারণ করি, আল্লাহ্‌ তা'আলার কাছে চাই, তাহলে হালাল উপায়ে ওই এক কোটি টাকা আয় করেই আমি মারা যাবো। আর হারাম উপায়ে হলেও ওই এক কোটিই... নাথিং মোর, নাথিং লেস!

■■ আমি যেই ফলটি আজকে টেকনাফ  বসে খাচ্ছি, সেটা হয়ত ইতালি কিংবা থাইল্যান্ড থেকে ইমপোর্ট করা। ওই গাছে যখন মুকুল ধরেছে তখনই নির্ধারিত হয়েছে যে, সেটি আমার কাছে পৌঁছাবে। এর মধ্যে কত পাখি ওই ফলের উপর বসেছে, কত মানুষ এই ফলটি পাড়তে গেছে, দোকানে অনেকে এই ফলটি নেড়েচেড়ে রেখে গেছে, পছন্দ হয় নি বা কিনেনি। এই সব ঘটনার কারণ একটাই, ফলটি আমার রিযিকে লিখিত। যতক্ষণ না আমি কিনতে যাচ্ছি, ততক্ষণ সেটা ওখানেই থাকবে। 
এর মধ্যে আমি মারা যেতে পারতাম, অন্য কোথাও চলে যেতে পারতাম, কিন্তু না! রিযিকে যেহেতু লিখিত আমি এই ফলটি না খেয়ে মারা যাবো না। 

■■ রিযিক জিনিসটা এতোটাই শক্তিশালী! 

■■ কিংবা যেই আত্মীয় কিংবা বন্ধু-বান্ধব আমার বাসায় আসছে, সে আসলে আমার খাবার খাচ্ছে না। এটা তারই রিযিক, শুধুমাত্র আল্লাহ্‌ তা'ইলা আমার মাধ্যমে তার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। হতে পারে এর মধ্যে আমাদের জন্য মঙ্গল রয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ!

■■ কেউ কারওটা খাচ্ছে না, যে যার রিযিকের ভাগই খাচ্ছেন। 

■■ আমরা হালাল না হারাম উপায়ে খাচ্ছি, সেটা নির্ভর করছে আমি আল্লাহ্‌ তা'আলার উপর কতটুকু তাওয়াক্কাল আছি, কতটুকু ভরসা করে আছি। কেননা,
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
-------"দুনিয়ায় বিচরণকারী এমন কোনো প্রাণী নেই, যার রিযিকের দায়িত্ব আল্লাহর ওপর নেই। তাদের স্থায়ী এবং অস্থায়ী অবস্থানস্থল সম্পর্কে তিনি অবহিত। সব কিছুই একটি সুস্পষ্ট কিতাবে লেখা আছে।"
-----(সুরা হুদ : আয়াত ৬)

■■ আল্লাহ তা'আলা অন্যত্র বলেনঃ
-------"যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য কোনো না কোনো পথ বের করে দেবেন। আর তাকে (এমন উৎস থেকে) রিযিক দেবেন, যা সে ধারণাও করতে পারবে না।"
-----(সুরা ত্বালাক : আয়াত ২-৩)

■▪মহান আল্লাহ্‌ তা'আলা আমাদের সঠিক পথ এবং  হালাল ও প্রশস্ত কামাই রোজগার ও রিযিক এর ব্যবস্থা করে দিন এবং সকল প্রকার হারাম কামাই রোজগার ও রিযিক থেকে হিফাযত করুন এবং আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন,   এবং হিফাযত করুন(আমীন)।

 (সংগৃহীত)

Wednesday, June 5, 2024

Othello summery

Othello Summary (বাংলায় ) পড়ে দেখুন অসাধারণ, এবং বিসিএসে প্রচুর প্রশ্ন থাকে।
Characters:
Main Characters
Othello: (Protagonist) Good
Desdemona: (Heroine) good
Iago:(Antagonist) Bad-
Secondary Characters
Brabantio :(Good) দেসদিমোনার বাবা।
Michael Cassio: (Good) ওথেলোর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ এবং বাধ্য captain.
Minor Characters:
1. Bianca:(Good)-ক্যাসিয়োর প্রেমিকা
2. Emilia: (Good)-ইয়াগোর স্ত্রী এবং দেসদিমোনার মেইড সারভেন্ট।
ওথেলো ট্রাজেডির মূল সামারি খুব সহজেই ৯ পয়েন্টের মাধ্যমে জানা সম্ভব।
১. ওথেলো ট্রাজেডির পটভূমি
২. ইয়াগো ও রদ্রিগোর কথোপকথন
৩. ওথেলো ও ডেসডিমনার বিয়ে
৪. ইয়াগো ও রদ্রিগোর প্রথম চক্রান্ত
৫. ডিউকের কাছে ওথেলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ
৬. ওথেলোর সাথে ও ডেসডিমোনার যুদ্ধে যাওয়া
৭. ক্যাসিও ও ডেসডিমোনাকে কেন্দ্র করে ইয়াগোর চক্রান্ত
৮. ওথেলোর সলিলোকিউ ও ডেসডিমোনাকে হত্যা
৯. ওথেলোর দ্বারা নিজের ভুল বুঝতে পারা ও অনুতাপ
তো চলুন এবার মূল সামারি পয়েন্ট টু পয়েন্ট আলোচনা করা যাক।
১. ওথেলো ট্রাজেডির পটভূমি
ওথেলো শেক্সপিয়ারের একটি বিখ্যাত ট্রাজেডি। সামারির শুরুতেই আমাদের জেনে রাখা ভালো যে, এই নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র ওথেলো (সে ছিলো একজন Black moor)এবং ডেসডিমনা যারা দুজনে একে অপরের প্রতি মুগ্ধ হয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। এই নাটকে ইয়াগো একটি অন্যতম চরিত্র যার কারণেই ওথেলো ট্রাজিক পরিস্থিতির শিকার হয়। এর কারণ হলো ওথেলো ইয়াগোকে উপেক্ষা করে মাইকেল ক্যাসিও নামক এক ব্যক্তিকে সামরিক বাহিনীতে পদোন্নতি প্রদান করেছেন। আর এই অপমানের প্রতিশোধ নিতেই ইয়াগো ওথেলোর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে নাটকটিকে ট্রাজিক ড্রামাতে পরিণত করেছে।
২. ইয়াগো ও রদ্রিগোর কথোপকথন
নাটকটি শুরু হয় ভেনিসের একটি রাস্তায় যেখানে দুইজন চরিত্র কথা বলছিল যার একজন হলেন ইয়াগো এবং আরেকজন হলেন রদ্রিগো। রদরিগো ভেনিসের একজন নামকরা ব্যবসায়ী, যার টাকা পয়সা ও ধন দৌলতের কোন অভাব নেই। সে ডেসডিমনা অর্থাৎ নাটকের নায়িকাকে খুব পছন্দ করে এবং তাকে বিয়ে করতে চায়। আর এই প্রস্তাব সে বরাবরই পাঠাতে থাকে ইয়াগোর মাধ্যমে। ইয়াগো তাকে অনেক টাকা পয়সা ও বিভিন্ন উপহার দিত এবং সেগুলো রদরিগোকে ডেসডিমনার কাছে পাঠাতে বলতো। কিন্তু ইয়াগো এতটাই ধূর্ত চরিত্রের অধিকারী ছিল যে, সে এই উপহারগুলোর ডেসডিমনাকে তো দিতোই না বরং সেগুলো সে নিজের কাছেই রেখে দিত।
৩. ওথেলো ও ডেসডিমনার বিয়ে
একদিন ইয়াগো রদ্রিগোকে বলছে যে, ওথেলো ডেসডিমনাকে বিয়ে করে নিয়েছে। ঘটনা এখানেই শেষ নয় বরং ওথেলোর সাথে তার নিজেরও শত্রুতা রয়েছে। তাই সে রদ্রিগোকে বিভিন্ন কথাবার্তা বলে উত্তেজিত করা শুরু করলো যে, আমরা যদি ষড়যন্ত্র করে তাদের সংসারে ভাঙ্গন ধরাতে পারি, তাহলে আমার প্রতিশোধ নেয়া হবে এবং তুমি তোমার প্রাণের প্রিয়সিকে পেয়ে যাবে। এটা শুনে তারা দুইজন পরিকল্পনা করলো যে, ওথেলো যে ডেসডিমনাকে বিয়ে করেছে এটা ডেসডিমনার বাবা ব্রাবানশিও  জানেনা। তারা ডেসডিমনার বাবার কাছে যাবে এবং এই ব্যাপারটা তাকে জানাবে।
৪. ইয়াগো ও রদ্রিগোর প্রথম চক্রান্ত
পরিকল্পনা মতো তারা দুজনে ব্রাবানসিওর বাড়ির সামনে গেল এবং চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলো। শুরুর দিকে ব্রাবানসিও তাদের কথা বিশ্বাস না করলেও, পড়ে গিয়ে দেখে যে তার মেয়ে ডেসডিমনা ঘরে নেই। এখানে জেনে রাখা ভালো যে, নাটকের মূল চরিত্র ওথেলো এর জীবন বিভিন্ন যুদ্ধ-বিগ্রহ এবং সংগ্রামে পরিপূর্ণ। ওথেলো তার যুদ্ধের বীরত্বপূর্ণ কাহিনীগুলো ব্রাবানসিওর বাড়িতে এসে ব্রাবানসিও ও তার মেয়েকে শোনাতেন এবং তারা আনন্দ পেতেন। সবকিছু জানতে পেরে ব্রাবানসিও যখন কিছু লোকজন সাথে নিয়ে ওথেলোের বাড়ির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন অন্য দিক থেকে ইয়াগো তার বিশ্বাস ধরে রাখার জন্য ওথেলোর পাশে গিয়ে বসেন। ওথেলো দেখতে পেল যে, অনেক লোকজন জড়ো হয়ে তার বাড়ির দিকে এগিয়ে আসছে।
৫. ডিউকের কাছে ওথেলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ
এ সময় ওথেলো তরবারি বের করলেন কিন্তু হঠাৎ করে দেখতে পেলেন যে তার উদ্দেশ্যে ডিউক অফ ভেনিস একটি পত্র পাঠিয়েছেন, যেখানে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ডিউকের দরবারে উপস্থিত হওয়ার জন্য আদেশ দেওয়া হয়েছে। ব্রাবানসিও যখন ওথেলোের সামনে এসে ঝগড়ার মতো একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে লাগলেন, তখন ওথেলো ব্রাবানসিওকে বললেন যে, ডিউক অফ ভেনিস তাকে যেতে বলেছেন। তখন ব্রাবানজিও এবং ওথেলো দুজনেই ডিউকের দরবারে গেলেন এবং ব্রাবানসিও ডিউক এর কাছে বিচার দিলেন যে, ওথেলো তার মেয়ে ডেসডিমনাকে যাদু মন্ত্র করে বিয়ে করেছে।অন্যদিকে ওথেলো ডিউকের কাছে আত্মপক্ষ সমর্থনের অনুমতি নিয়ে বললেন যে, আমি আমার যুদ্ধের সংগ্রামী গল্পগুলো ডেসডিমনাকে শোনাতাম এবং সে এগুলোর প্রেমে পড়ে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। আমিও তার প্রস্তাবে সারা দিয়ে তার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই। এদিকে ডেসডিমনা ডিউকের দরবারে এসে ওথেলোের কথাকে সমর্থন জানায় এবং ডিউক ব্রাবানসিওকে বুঝিয়ে শুনিয়ে এই ব্যাপারটা এখানেই মিটিয়ে দেয়।
৬. ওথেলোর সাথে ডেসডিমোনার যুদ্ধে যাওয়া
তারপর ডিউক ওথেলোকে বলে যে তাকে এখনই সাইপ্রাসে যুদ্ধে যেতে হবে কারণ তুর্কি বাহিনী আক্রমণ করেছে। অন্যদিকে ডেসডিমনা এখানে বেঁকে বসে যে, সে যেহেতু ওথেলোর অ্যাডভেঞ্চারাস লাইফের প্রেমে পড়ে তাকে বিয়ে করেছে, তাই সে ওথেলোর সাথেই যেতে চায় এই জীবনটাকে খুব কাছে থেকে দেখার জন্য। এবং সে তার বাবা ব্রাবানসিওকে বলে যে, আমার মা যেমন তোমার প্রতি অনুগত তেমনি আমি আমার স্বামী ওথেলোর প্রতি অনুগত। এরপর ঠিক হলো যে, ডেসডিমনা আগে অন্য একটি জাহাজে করে যাবে এবং পরবর্তীতে আরেকটি জাহাজে করে ওথেলো যুদ্ধে রওনা দিবে। কিন্তু সেখানে গিয়ে ঘটনা অন্যদিকে মোর নিল।যুদ্ধে গিয়ে জানা গেল যে, সাইপ্রাস বাহিনী ঝরের কবলে পড়ে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে এবং তাদের আক্রমণ করার মতো আর কোনো সক্ষমতা নেই। এই বিজয় উদযাপন করতে বিশাল একটি পার্টির আয়োজন করা হলো যেখানে ওথেলোর যে লেফটেন্যান্ট ছিল ক্যাসিও, তাকে ইয়াগো মদ্যপ অবস্থায় উত্তেজিত করে তুললেন। ফলে ক্যাসিও ইয়াগোকে তাড়া করল এবং ঘটনাক্রমে দৌড়ে গিয়ে ওথেলোর সামনে দাঁড়িয়ে পড়লো।
৭. ক্যাসিও ও ডেসডিমোনাকে কেন্দ্র করে ইয়াগোর চক্রান্ত
ওথেলো এটা দেখে ক্যাসিওকে তার পদ থেকে অপসারিত করলেন, কারণ এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে এরকম আচরণ কোনভাবেই কাম্য নয়। যদিও এই ব্যাপারটা ছিল অত্যন্ত ক্ষুদ্র একটি ব্যাপার।
· চক্রান্ত হিসেবে ক্যাসিওকে ব্যবহার
ইয়াগো তখন ক্যাসিওকে বললেন যে বন্ধু তুমি একটা কাজ করো। তুমি যদি ওথেলোর স্ত্রী ডেসডিমনাকে গিয়ে একটু ভালোভাবে বলতে পারো, তাহলে হয়তো তুমি তোমার পদ ফিরে পাবে। অন্যদিকে ইয়াগো পরিকল্পনা করলো যে ক্যাসিও যখন ডেসডিমনার কাছে যাবে, তখন সে ওথেলোর কানে বিষ ঢালবে যে, তাদের মধ্যে একটি অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। ক্যাসিও যখন এবং যতবার ডেসডিমনার সাথে দেখা করেছে, ততবারই ইয়াগো ওথেলোকে পর্দার আড়ালে রেখে তার কানে বিষ ঢেলেছে, যাতে ওথেলো বিশ্বাস করে যে, ইয়াগো কখনোই মিথ্যা কথা বলতে পারে না। পরিশেষে ইয়াগো ওথেলোকে বিশ্বাস করাতে সক্ষম হয় যে, ডেসডিমনা একজন চরিত্রহীন মহিলা এবং সে ওথেলোর বিশ্বাসের যোগ্য নয়। এসব বিষয় জানতে পেরে ওথেলো একদিন বিষন্ন অবস্থায় বসে ছিল এবং ডেসডিমনা তার কাছে গিয়ে তার বিষন্নতার কারণ জিজ্ঞেস করলে ওথেলো কোন উত্তর দেয়নি। ডেসডিমনা তার হাতে থাকা রুমাল দিয়ে ওথেলোর মুখের ঘাম মুছে দিতে চেয়েছে, কিন্তু ওথেলো ঝটকা দিয়ে সেটা ফেলে দিয়েছে।
· চক্রান্ত হিসেবে রুমাল দেখানো
দুর্ভাগ্যক্রমে এই রুমাল চলে যায় এমিলিয়া অর্থাৎ ইয়াগোর স্ত্রীর হাতে। ইয়াগো তখন মনে মনে বুঝে ফেলে যে, তার পরিকল্পনা এখন সফল হতে চলেছে। একদিন ডেসডিমনা এবং ক্যাসিও কথা বলছিল যে কিভাবে ক্যাসিওকে তার পূর্বের পদে বহাল করা যায় এই ব্যাপারটি নিয়ে। কিন্তু ইয়াগো ওথেলোকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাদের আলোচনা দেখিয়ে দিয়ে বললেন যে, দেখেন কিভাবে এরা দুইজন একে অপরের প্রতি প্রেম নিবেদন করছে। এমনকি ইয়াগো ভৌনিতা করেও অভিনয় করে এমনভাবে ওথেলোর কাছে এই বিষয়টি বললেন, যাতে ওথেলো ইয়াগোকে কোনভাবেই অবিশ্বাস করতে না পারে।। ইয়াগো এটাও বললেন যে ওথেলো ও ডেসডিমনার ভালবাসার প্রথম যে উপহার রুমাল সেটা দিয়ে ডেসডিমনা ক্যাসিওর ঘাম মুছে দিয়েছেন, এটা ইয়াগো দেখতে পেয়েছেন।এগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে ইয়াগো বারবার ওথেলোকে বলছিল যে থাক এসব ব্যাপার তুলে আমি আপনাকে ব্যথিত করতে চাই না। ইয়াগোর প্রচুর চেষ্টার ফলে ওথেলো একসময় বিশ্বাস করে ফেললো যে, সে ডেসডিমনার কাছ থেকে প্রতারিত হয়েছে।
৮. ওথেলোর সলিলোকিউ ও ডেসডিমোনাকে হত্যা
এ সময় আমরা একটি সলিলোকিউ দেখতে পাবো অর্থাৎ ওথেলো নিজে নিজে মনে মনে কথা বলছে ডেসডিমনাকে হত্যা করার পূর্বে। সে বলছে যে আমি ডেসডিমনাকে হত্যা করবো এই কারণে নয় যে, তার সাথে আমার শত্রুতা রয়েছে। আমি প্রথমে ডেসডিমনার ঘরের ভেতরে যাবো এবং বাতি নিভিয়ে দেবো আর তারপর তাকে হত্যা করবো। তাকে হত্যা করার কারণ হলো যাতে আর কেউ ডেসডিমনার প্রতারণার শিকার না হয়। পূর্ব পরিকল্পনা মতো ওথেলো ডেসডিমনাকে গিয়ে হত্যা করলো এবং বেল চেপে সবার সামনে গিয়ে বলে দিল যে, সে ডেসডিমনাকে হত্যা করেছে, যে ছিল একজন বিশ্বাসঘাতকনী।
৯. ওথেলোর  নিজের ভুল বুঝতে পারা ও অনুতাপ
তখন এমিলিয়া ওথেলোর ভুল ভেঙ্গে দিয়ে বললো যে, এই রুমাল আসলে সে পেয়েছিল এবং ডেসডিমনা কখনোই ওথেলোের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেনি। বরং এই যে ষড়যন্ত্রের সবকিছুর মূলে ছিল ইয়াগো। এই ঘটনা জানতে পেরে ওথেলো খুব মর্মাহত হয় এবং নিজের কাছে থাকা একটি ছুরি দিয়ে সে নিজেকেই আঘাত করে মারা যায়। অন্যদিকে ক্যাসিও এবং ইয়াগো দুইজন দুইজনকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে দুজনেই মৃত্যুবরণ করে। এভাবেই শেষ হয় ওথেলো নাটকটি।

source: Lx notes

 #collected

অন্তর্মুখী মানুষ

একজন অন্তর্মুখী বা ইন্ট্রোভার্ট মানুষকে চিনবো কিভাবে?

১.ফোনের রিং শুনে আসতে আসতে লাইন কেটে গেলে এঁরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন।

২.রি-ইউনিয়ন বা গেট টুগেদারে এঁদের তেমন একটা দেখতে পাওয়া যায় না।

৩.বন্ধুর সংখ্যা নিতান্তই সীমিত।

৪.কথা বলার চেয়ে শুনতে বেশি পছন্দ করেন। এঁরা বেশ ভালো মানের শ্রোতা।

৫.ভালো পর্যবেক্ষক হয়ে থাকেন।

৬.নিজের আবেগ-অনুভূতি প্রকাশের ক্ষেত্রে এঁদের রাজ্যের সংকোচ।

৭.মানুষের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে অস্বস্তি বোধ করেন।

৮.অকারণ আড্ডা এঁদের পোষায় না। তবে পছন্দের বিষয়ে কথা বলতে দিলে এঁরা ঘন্টার পর ঘন্টা বক্তৃতা দিয়ে যেতে পারেন।

৯.এঁদের পছন্দকারী মানুষের সংখ্যা অনেক সময় তুলনামূলকভাবে কম হয়। অন্তর্মুখী স্বভাবের জন্য অনেকেই অহংকারী ভেবে বসতে পারে।

১০.প্রতিবেশীরা এঁদের নাম না-ও জানতে পারেন।

১১.ঋণ নিতে কুন্ঠিত বোধ করেন। একান্ত বাধ্য হয়ে নিলেও যতটা দ্রুত সম্ভব পরিশোধের ব্যবস্থা করেন। উদ্দেশ্য - মানুষের সাথে যোগাযোগ কম রাখা।

১২.কারো দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আগ্রহী নন। স্পটলাইট থেকে সর্বোচ্চ দূরত্ব বজায় রাখেন।

১৩.এঁদের রাগের তুলনায় অভিমানের মাত্রাটা একটু বেশি-ই হয়ে থাকে।

১৪.সাধারণত ঘরকুনো। পৃথিবী ঘুরে বেড়ানোর চেয়ে বৃষ্টির দিনে লেপ মুড়ি দিয়ে নন-ফিকশন পড়া এঁদের কাছে অনেক বেশি আনন্দের।

১৫.এঁদের জন্মদিনের তারিখ খুব কম মানুষ-ই জানে।

১৬.অনেক সময় আনস্মার্ট হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।

১৭.খুব কাছের মানুষ বাদে এঁদের বিশেষ দক্ষতা বা দুর্বলতাগুলো সম্পর্কেও তেমন কেউ জানে না।

১৮.মানুষের অঙ্গভঙ্গি বা বডি ল্যাংগুয়েজ সাধারণত এক্সট্রোভার্টদের তুলনায় বেশি বিশ্লেষণের ক্ষমতা রাখেন।

১৯.অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়ে কৌতূহল কম থাকে, বা থাকলেও সেভাবে প্রকাশ করেন না।

২০.এঁদের নিজস্ব কল্পনার জগৎ থাকে। আর তা আপনার ধারণার চেয়েও বহুদূর বিস্তৃত।

২১.অতিথিরা বেশিরভাগ সময় বাড়িতে এঁদের উপস্থিতি টের পান না।

২২.খুব পরিচিত কিছু মানুষ ব্যতিত কারো মেসেজের রিপ্লাই দিতে তুলনামূলকভাবে বেশি সময় নেন। এঁদের অনেকেই আবার বেশ গুছিয়ে কথা বলতে বা লিখতে সক্ষম।

২৩.বাসের সবচাইতে কোণার সিটখানা বা ক্লাসের শেষের দিকে বেঞ্চগুলোই এঁদের বেশি প্রিয়।

২৪.নিজেকে কারো পছন্দের যোগ্য বলে ভাবতে ভয় পান।

২৫.রাস্তায় হঠাৎ কোনো পরিচিতকে দেখতে পেলে এগিয়ে গিয়ে কথা বলার চেয়ে ছাতা দিয়ে মুখ ঢেকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া বা টুক করে পাশের গলিতে ঢুকে পড়ার কাজটাই বেশি করে থাকেন!

আপনিও কি এদের একজন? কমেন্টে জানান।
সংগৃহিত