Othello Summary (বাংলায় ) পড়ে দেখুন অসাধারণ, এবং বিসিএসে প্রচুর প্রশ্ন থাকে।
Characters:
Main Characters
Othello: (Protagonist) Good
Desdemona: (Heroine) good
Iago:(Antagonist) Bad-
Secondary Characters
Brabantio :(Good) দেসদিমোনার বাবা।
Michael Cassio: (Good) ওথেলোর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ এবং বাধ্য captain.
Minor Characters:
1. Bianca:(Good)-ক্যাসিয়োর প্রেমিকা
2. Emilia: (Good)-ইয়াগোর স্ত্রী এবং দেসদিমোনার মেইড সারভেন্ট।
ওথেলো ট্রাজেডির মূল সামারি খুব সহজেই ৯ পয়েন্টের মাধ্যমে জানা সম্ভব।
১. ওথেলো ট্রাজেডির পটভূমি
২. ইয়াগো ও রদ্রিগোর কথোপকথন
৩. ওথেলো ও ডেসডিমনার বিয়ে
৪. ইয়াগো ও রদ্রিগোর প্রথম চক্রান্ত
৫. ডিউকের কাছে ওথেলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ
৬. ওথেলোর সাথে ও ডেসডিমোনার যুদ্ধে যাওয়া
৭. ক্যাসিও ও ডেসডিমোনাকে কেন্দ্র করে ইয়াগোর চক্রান্ত
৮. ওথেলোর সলিলোকিউ ও ডেসডিমোনাকে হত্যা
৯. ওথেলোর দ্বারা নিজের ভুল বুঝতে পারা ও অনুতাপ
তো চলুন এবার মূল সামারি পয়েন্ট টু পয়েন্ট আলোচনা করা যাক।
১. ওথেলো ট্রাজেডির পটভূমি
ওথেলো শেক্সপিয়ারের একটি বিখ্যাত ট্রাজেডি। সামারির শুরুতেই আমাদের জেনে রাখা ভালো যে, এই নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র ওথেলো (সে ছিলো একজন Black moor)এবং ডেসডিমনা যারা দুজনে একে অপরের প্রতি মুগ্ধ হয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। এই নাটকে ইয়াগো একটি অন্যতম চরিত্র যার কারণেই ওথেলো ট্রাজিক পরিস্থিতির শিকার হয়। এর কারণ হলো ওথেলো ইয়াগোকে উপেক্ষা করে মাইকেল ক্যাসিও নামক এক ব্যক্তিকে সামরিক বাহিনীতে পদোন্নতি প্রদান করেছেন। আর এই অপমানের প্রতিশোধ নিতেই ইয়াগো ওথেলোর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে নাটকটিকে ট্রাজিক ড্রামাতে পরিণত করেছে।
২. ইয়াগো ও রদ্রিগোর কথোপকথন
নাটকটি শুরু হয় ভেনিসের একটি রাস্তায় যেখানে দুইজন চরিত্র কথা বলছিল যার একজন হলেন ইয়াগো এবং আরেকজন হলেন রদ্রিগো। রদরিগো ভেনিসের একজন নামকরা ব্যবসায়ী, যার টাকা পয়সা ও ধন দৌলতের কোন অভাব নেই। সে ডেসডিমনা অর্থাৎ নাটকের নায়িকাকে খুব পছন্দ করে এবং তাকে বিয়ে করতে চায়। আর এই প্রস্তাব সে বরাবরই পাঠাতে থাকে ইয়াগোর মাধ্যমে। ইয়াগো তাকে অনেক টাকা পয়সা ও বিভিন্ন উপহার দিত এবং সেগুলো রদরিগোকে ডেসডিমনার কাছে পাঠাতে বলতো। কিন্তু ইয়াগো এতটাই ধূর্ত চরিত্রের অধিকারী ছিল যে, সে এই উপহারগুলোর ডেসডিমনাকে তো দিতোই না বরং সেগুলো সে নিজের কাছেই রেখে দিত।
৩. ওথেলো ও ডেসডিমনার বিয়ে
একদিন ইয়াগো রদ্রিগোকে বলছে যে, ওথেলো ডেসডিমনাকে বিয়ে করে নিয়েছে। ঘটনা এখানেই শেষ নয় বরং ওথেলোর সাথে তার নিজেরও শত্রুতা রয়েছে। তাই সে রদ্রিগোকে বিভিন্ন কথাবার্তা বলে উত্তেজিত করা শুরু করলো যে, আমরা যদি ষড়যন্ত্র করে তাদের সংসারে ভাঙ্গন ধরাতে পারি, তাহলে আমার প্রতিশোধ নেয়া হবে এবং তুমি তোমার প্রাণের প্রিয়সিকে পেয়ে যাবে। এটা শুনে তারা দুইজন পরিকল্পনা করলো যে, ওথেলো যে ডেসডিমনাকে বিয়ে করেছে এটা ডেসডিমনার বাবা ব্রাবানশিও জানেনা। তারা ডেসডিমনার বাবার কাছে যাবে এবং এই ব্যাপারটা তাকে জানাবে।
৪. ইয়াগো ও রদ্রিগোর প্রথম চক্রান্ত
পরিকল্পনা মতো তারা দুজনে ব্রাবানসিওর বাড়ির সামনে গেল এবং চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলো। শুরুর দিকে ব্রাবানসিও তাদের কথা বিশ্বাস না করলেও, পড়ে গিয়ে দেখে যে তার মেয়ে ডেসডিমনা ঘরে নেই। এখানে জেনে রাখা ভালো যে, নাটকের মূল চরিত্র ওথেলো এর জীবন বিভিন্ন যুদ্ধ-বিগ্রহ এবং সংগ্রামে পরিপূর্ণ। ওথেলো তার যুদ্ধের বীরত্বপূর্ণ কাহিনীগুলো ব্রাবানসিওর বাড়িতে এসে ব্রাবানসিও ও তার মেয়েকে শোনাতেন এবং তারা আনন্দ পেতেন। সবকিছু জানতে পেরে ব্রাবানসিও যখন কিছু লোকজন সাথে নিয়ে ওথেলোের বাড়ির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন অন্য দিক থেকে ইয়াগো তার বিশ্বাস ধরে রাখার জন্য ওথেলোর পাশে গিয়ে বসেন। ওথেলো দেখতে পেল যে, অনেক লোকজন জড়ো হয়ে তার বাড়ির দিকে এগিয়ে আসছে।
৫. ডিউকের কাছে ওথেলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ
এ সময় ওথেলো তরবারি বের করলেন কিন্তু হঠাৎ করে দেখতে পেলেন যে তার উদ্দেশ্যে ডিউক অফ ভেনিস একটি পত্র পাঠিয়েছেন, যেখানে তাকে যত দ্রুত সম্ভব ডিউকের দরবারে উপস্থিত হওয়ার জন্য আদেশ দেওয়া হয়েছে। ব্রাবানসিও যখন ওথেলোের সামনে এসে ঝগড়ার মতো একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে লাগলেন, তখন ওথেলো ব্রাবানসিওকে বললেন যে, ডিউক অফ ভেনিস তাকে যেতে বলেছেন। তখন ব্রাবানজিও এবং ওথেলো দুজনেই ডিউকের দরবারে গেলেন এবং ব্রাবানসিও ডিউক এর কাছে বিচার দিলেন যে, ওথেলো তার মেয়ে ডেসডিমনাকে যাদু মন্ত্র করে বিয়ে করেছে।অন্যদিকে ওথেলো ডিউকের কাছে আত্মপক্ষ সমর্থনের অনুমতি নিয়ে বললেন যে, আমি আমার যুদ্ধের সংগ্রামী গল্পগুলো ডেসডিমনাকে শোনাতাম এবং সে এগুলোর প্রেমে পড়ে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। আমিও তার প্রস্তাবে সারা দিয়ে তার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই। এদিকে ডেসডিমনা ডিউকের দরবারে এসে ওথেলোের কথাকে সমর্থন জানায় এবং ডিউক ব্রাবানসিওকে বুঝিয়ে শুনিয়ে এই ব্যাপারটা এখানেই মিটিয়ে দেয়।
৬. ওথেলোর সাথে ডেসডিমোনার যুদ্ধে যাওয়া
তারপর ডিউক ওথেলোকে বলে যে তাকে এখনই সাইপ্রাসে যুদ্ধে যেতে হবে কারণ তুর্কি বাহিনী আক্রমণ করেছে। অন্যদিকে ডেসডিমনা এখানে বেঁকে বসে যে, সে যেহেতু ওথেলোর অ্যাডভেঞ্চারাস লাইফের প্রেমে পড়ে তাকে বিয়ে করেছে, তাই সে ওথেলোর সাথেই যেতে চায় এই জীবনটাকে খুব কাছে থেকে দেখার জন্য। এবং সে তার বাবা ব্রাবানসিওকে বলে যে, আমার মা যেমন তোমার প্রতি অনুগত তেমনি আমি আমার স্বামী ওথেলোর প্রতি অনুগত। এরপর ঠিক হলো যে, ডেসডিমনা আগে অন্য একটি জাহাজে করে যাবে এবং পরবর্তীতে আরেকটি জাহাজে করে ওথেলো যুদ্ধে রওনা দিবে। কিন্তু সেখানে গিয়ে ঘটনা অন্যদিকে মোর নিল।যুদ্ধে গিয়ে জানা গেল যে, সাইপ্রাস বাহিনী ঝরের কবলে পড়ে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে এবং তাদের আক্রমণ করার মতো আর কোনো সক্ষমতা নেই। এই বিজয় উদযাপন করতে বিশাল একটি পার্টির আয়োজন করা হলো যেখানে ওথেলোর যে লেফটেন্যান্ট ছিল ক্যাসিও, তাকে ইয়াগো মদ্যপ অবস্থায় উত্তেজিত করে তুললেন। ফলে ক্যাসিও ইয়াগোকে তাড়া করল এবং ঘটনাক্রমে দৌড়ে গিয়ে ওথেলোর সামনে দাঁড়িয়ে পড়লো।
৭. ক্যাসিও ও ডেসডিমোনাকে কেন্দ্র করে ইয়াগোর চক্রান্ত
ওথেলো এটা দেখে ক্যাসিওকে তার পদ থেকে অপসারিত করলেন, কারণ এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে এরকম আচরণ কোনভাবেই কাম্য নয়। যদিও এই ব্যাপারটা ছিল অত্যন্ত ক্ষুদ্র একটি ব্যাপার।
· চক্রান্ত হিসেবে ক্যাসিওকে ব্যবহার
ইয়াগো তখন ক্যাসিওকে বললেন যে বন্ধু তুমি একটা কাজ করো। তুমি যদি ওথেলোর স্ত্রী ডেসডিমনাকে গিয়ে একটু ভালোভাবে বলতে পারো, তাহলে হয়তো তুমি তোমার পদ ফিরে পাবে। অন্যদিকে ইয়াগো পরিকল্পনা করলো যে ক্যাসিও যখন ডেসডিমনার কাছে যাবে, তখন সে ওথেলোর কানে বিষ ঢালবে যে, তাদের মধ্যে একটি অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। ক্যাসিও যখন এবং যতবার ডেসডিমনার সাথে দেখা করেছে, ততবারই ইয়াগো ওথেলোকে পর্দার আড়ালে রেখে তার কানে বিষ ঢেলেছে, যাতে ওথেলো বিশ্বাস করে যে, ইয়াগো কখনোই মিথ্যা কথা বলতে পারে না। পরিশেষে ইয়াগো ওথেলোকে বিশ্বাস করাতে সক্ষম হয় যে, ডেসডিমনা একজন চরিত্রহীন মহিলা এবং সে ওথেলোর বিশ্বাসের যোগ্য নয়। এসব বিষয় জানতে পেরে ওথেলো একদিন বিষন্ন অবস্থায় বসে ছিল এবং ডেসডিমনা তার কাছে গিয়ে তার বিষন্নতার কারণ জিজ্ঞেস করলে ওথেলো কোন উত্তর দেয়নি। ডেসডিমনা তার হাতে থাকা রুমাল দিয়ে ওথেলোর মুখের ঘাম মুছে দিতে চেয়েছে, কিন্তু ওথেলো ঝটকা দিয়ে সেটা ফেলে দিয়েছে।
· চক্রান্ত হিসেবে রুমাল দেখানো
দুর্ভাগ্যক্রমে এই রুমাল চলে যায় এমিলিয়া অর্থাৎ ইয়াগোর স্ত্রীর হাতে। ইয়াগো তখন মনে মনে বুঝে ফেলে যে, তার পরিকল্পনা এখন সফল হতে চলেছে। একদিন ডেসডিমনা এবং ক্যাসিও কথা বলছিল যে কিভাবে ক্যাসিওকে তার পূর্বের পদে বহাল করা যায় এই ব্যাপারটি নিয়ে। কিন্তু ইয়াগো ওথেলোকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাদের আলোচনা দেখিয়ে দিয়ে বললেন যে, দেখেন কিভাবে এরা দুইজন একে অপরের প্রতি প্রেম নিবেদন করছে। এমনকি ইয়াগো ভৌনিতা করেও অভিনয় করে এমনভাবে ওথেলোর কাছে এই বিষয়টি বললেন, যাতে ওথেলো ইয়াগোকে কোনভাবেই অবিশ্বাস করতে না পারে।। ইয়াগো এটাও বললেন যে ওথেলো ও ডেসডিমনার ভালবাসার প্রথম যে উপহার রুমাল সেটা দিয়ে ডেসডিমনা ক্যাসিওর ঘাম মুছে দিয়েছেন, এটা ইয়াগো দেখতে পেয়েছেন।এগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে ইয়াগো বারবার ওথেলোকে বলছিল যে থাক এসব ব্যাপার তুলে আমি আপনাকে ব্যথিত করতে চাই না। ইয়াগোর প্রচুর চেষ্টার ফলে ওথেলো একসময় বিশ্বাস করে ফেললো যে, সে ডেসডিমনার কাছ থেকে প্রতারিত হয়েছে।
৮. ওথেলোর সলিলোকিউ ও ডেসডিমোনাকে হত্যা
এ সময় আমরা একটি সলিলোকিউ দেখতে পাবো অর্থাৎ ওথেলো নিজে নিজে মনে মনে কথা বলছে ডেসডিমনাকে হত্যা করার পূর্বে। সে বলছে যে আমি ডেসডিমনাকে হত্যা করবো এই কারণে নয় যে, তার সাথে আমার শত্রুতা রয়েছে। আমি প্রথমে ডেসডিমনার ঘরের ভেতরে যাবো এবং বাতি নিভিয়ে দেবো আর তারপর তাকে হত্যা করবো। তাকে হত্যা করার কারণ হলো যাতে আর কেউ ডেসডিমনার প্রতারণার শিকার না হয়। পূর্ব পরিকল্পনা মতো ওথেলো ডেসডিমনাকে গিয়ে হত্যা করলো এবং বেল চেপে সবার সামনে গিয়ে বলে দিল যে, সে ডেসডিমনাকে হত্যা করেছে, যে ছিল একজন বিশ্বাসঘাতকনী।
৯. ওথেলোর নিজের ভুল বুঝতে পারা ও অনুতাপ
তখন এমিলিয়া ওথেলোর ভুল ভেঙ্গে দিয়ে বললো যে, এই রুমাল আসলে সে পেয়েছিল এবং ডেসডিমনা কখনোই ওথেলোের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেনি। বরং এই যে ষড়যন্ত্রের সবকিছুর মূলে ছিল ইয়াগো। এই ঘটনা জানতে পেরে ওথেলো খুব মর্মাহত হয় এবং নিজের কাছে থাকা একটি ছুরি দিয়ে সে নিজেকেই আঘাত করে মারা যায়। অন্যদিকে ক্যাসিও এবং ইয়াগো দুইজন দুইজনকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে দুজনেই মৃত্যুবরণ করে। এভাবেই শেষ হয় ওথেলো নাটকটি।
source: Lx notes
No comments:
Post a Comment