Saturday, March 8, 2025

ট্রয় যুদ্ধের কাহিনী

 ট্রয় যুদ্ধের কাহিনী Greek mythology’র একটি অতি জনপ্রিয় আখ্যান। Wolfgang Petersen পরিচালিত ২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘Troy’ মুভিটি আমরা প্রায় সকলেই দেখেছি, যেখানে ট্রয়বাসী এবং গ্রীকসেনাদের মাঝে সংঘটিত দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী ট্রয় যুদ্ধের খণ্ডচিত্র তুলে ধরা হয়। গ্রিক কবি Homer এর ‘Iliad’ মহাকাব্য অবলম্বনে মুভিটি নির্মিত হয়। কিন্তু হোমারের ‘ইলিয়াড’ এই যুদ্ধের মাত্র কয়েক দিনের ঘটনা নিয়ে রচিত। ট্রয় যুদ্ধের সূত্রপাত হয় Sparta’র রানী হেলেনের অপহরনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। কিন্তু মূল ঘটনার সূত্রপাত আরও পেছনে। আসুন সংক্ষেপে জেনে নিই সেই চমকপ্রদ কাহিনী।



ইলিয়াডের মহাকাব্যে তিনি সব কিছু চিত্রিত করেন নি ঠিকই, কিন্তু অন্য গ্রীক কবিরা (যেমন- আপোলোডোরাস, ইস্কাইলাস, ইউরিপিডিস) তাঁদের কালজয়ী বিভিন্ন সাহিত্যকর্মে ট্রয় যুদ্ধের আগের ও পরের কাহিনীর বিভিন্ন পর্যায় সম্পর্কে লিখেছেন। সেইসব কাহিনীসূত্র থেকে যতটুকু জানা যায়, দেবতাদের আবাস অলিম্পাসে তিন রূপসী দেবীর মধ্যকার এক বিবাদ থেকেই এই কাহিনীর সূত্রপাত।



বিয়ে হবে রাজা পিলিউস এবং জলদেবী থেটিসের। সেই বিয়ের ভোজসভায় কলহের দেবী এরিস বাদে নিমন্ত্রন পেলেন অন্য সকল দেব-দেবী। অপমানিতা দেবী সংকল্প করলেন, যে করেই হোক বিবাহসভায় একটা ভেজাল বাধাবেন। তিনি ভোজসভায় গিয়ে টেবিলের উপর একটি সোনার আপেল রাখলেন, যাতে খোদাই করা ছিল একটি কথা-“কেবলমাত্র সুন্দরীশ্রেষ্ঠার জন্য।” সকল দেবীই এর দাবীদার হলেন, কেননা-প্রত্যেকের মতে তিনিই সবচে সুন্দরী। অবশেষে চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামলেন দেবী হীরা, এথিনা এবং আফ্রোদিতি। এখানে বলে রাখা ভাল যে, হীরা সম্পদের দেবী, এথিনা জ্ঞানের দেবী এবং আফ্রোদিতি প্রেমের দেবী। তাঁরা ফলাফলের জন্য গেলেন দেবরাজ জিউসের কাছে। এদিকে, হীরা আবার তাঁর স্ত্রী। জিউস দেখলেন, হীরাকে সুন্দরীশ্রেষ্ঠা হিসেবে ফলাফল না দিলে তিনি এক গোলযোগ বাধাবেন, আবার হীরার পক্ষে রায় দিলে পক্ষপাতিত্ব হয়ে যাবে। তাই তিনি বিচারের ভার দিলেন মনুষ্যকুলের হাতে। ঠিক হল, পৃথিবীর কোন মানুষের হাতে আপেলটি তুলে দেয়া হবে। সে যে দেবীর হাতে আপেলটি তুলে দেবে সে-ই সুন্দরীশ্রেষ্ঠা হিসেবে বিবেচিত হবে।



ট্রয় নগরীর পাশের ‘আইডা’ পর্বতে মেষ চরান প্যারিস। একদিন তিন দেবী নেমে এলেন স্বর্গ থেকে। দেবীরা প্যারিসের হাতে আপেলটি দিয়ে বললেন, “যুবক, আমাদের মধ্যে যে সবচে সুন্দরী তাঁর হাতেই এই আপেলটি তুলে দাও। আমরা তোমাকে বিচারক নিযুক্ত করলাম।” বললেন বটে, তবে প্যারিসকে লোভের ফাঁদে ফেলে প্রত্যেক দেবীই সফল হতে চাইলেন। হীরা দেবী তাকে ইউরোপ এবং এশিয়ার অধীশ্বর বানিয়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিলেন, এথিনা তাকে দিতে চাইলেন পৃথিবীর তাবৎ জ্ঞান এবং দেবী আফ্রোদিতি পৃথিবীর সবচে সুন্দরী নারীকে তার প্রণয়িনী বানিয়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলেন। প্যারিস পৃথিবীর সবচে সুন্দরী নারীকে পাওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে আপেলটি তুলে দিলেন প্রেমের দেবী আফ্রোদিতির হাতে।[ইংরেজি প্রবাদ-Apple of discord(বিবাদের বিষয়)এই ঘটনাকেই স্মরণ করিয়ে দেয়।]

হেলেন, যে কিনা ভূখণ্ডে রূপে অদ্বিতীয়া, যাকে গ্রীসের এমন কোন রাজপুত্র ছিল না যে বিয়ে করতে চায় নি; স্বয়ম্ভর সভায় সেই হেলেনকে জিতে নিলেন মাইসিনির রাজা আগামেমনন এর ভাই মেনিলাউস। হেলেনের পিতা টিনডারিয়ুস কন্যা সম্প্রদান করলেন মেনিলাউসের হাতে এবং তাকে স্পারটার রাজা ঘোষণা করলেন। এদিকে, দেবী আফ্রোদিতি তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্যারিসকে হেলেনের সন্ধান দিলেন। প্যারিস তাঁর বন্ধুদের নিয়ে জাহাজ সাজিয়ে রওনা হলেন স্পারটার দিকে। ততদিনে তিনিও জেনে গেছেন যে, তিনি সাধারণ কোন মেষপালক নন; তিনি আসলে ট্রয় এর রাজা প্রায়ামের অন্যতম পুত্র(সেটা অন্য গল্প)। যাই হোক, স্পারটায় রাজা মেনেলাউস প্যারিসকে সাদর অভ্যর্থনা জানালেন। গ্রীকদের কাছে অতিথি দেবতাতুল্য। তাই তাঁরা ট্রয়ের রাজপুত্র প্যারিসের কোন অযত্ন হতে দিল না। বন্ধুদের নিয়ে ভোজনসভায় খেতে বসলেন প্যারিস। তখন সেখানে প্রবেশ করলেন রানী হেলেন, পৃথিবীতে যার রূপের কোন তুলনা নেই। হেলেনকে দেখামাত্রই প্রেমে পড়ে যায় প্যারিস। হেলেনও প্রেমে পড়ে যান প্যারিসের। আসলে পুরোটাই ছিল দেবী আফ্রোদিতির কারসাজি। যাই হোক, রাজগৃহে গোপনে মন দেয়া-নেয়া চলছিল প্যারিস ও হেলেনের। ইতোমধ্যে একদিন রাজকার্যে বাইরে যেতে হল হেলেনের স্বামী মেনেলাউসকে। এই সুযোগেই ঘর ছাড়লেন হেলেন, প্যারিসের হাত ধরে। জাহাজ পাল তুলে দিল ট্রয়ের দিকে। অপমানিত, ক্রুদ্ধ মেনিলাউস অন্যান্য রাজাদের সহযোগিতায়, তাঁদের পাঠানো সৈন্যদল নিয়ে বিশাল মিত্রবাহিনী গড়ে তুলে ট্রয় নগরী আক্রমন করলেন। প্রায় নয় বছর স্থায়ী হয়েছিল ট্রয় এর যুদ্ধ, যা সমৃদ্ধশালিনী এবং প্রতাপান্বিতা ট্রয়কে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছিল।

Leo Tolstoy নিজেই একটা পৃথিবী

আপনার কি মনে পড়ে লে তলস্তয়ের সেই "সাড়ে তিন হাত জমি" গল্পটির কথা? একটি গল্প যেন হাজারটি উপন্যাসের চেয়েও অনেক বেশি সুন্দর। নিশ্চয় মাধ্যমিকে সহপাঠ কিংবা আনন্দপাঠে গল্পটি আপনি পড়েছেন। যদি না পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই পড়বেন!

তলস্তয়ের মূল জীবনে প্রবেশের পূর্বে সংক্ষেপে গল্পটি বলার লোভ আমি সামলাতে পারছিনা। এটা আমার কৈশোরের মধুর স্মৃতিগুলোর একটি। রাশিয়ার এক দরিদ্র কিশোর পাখোম যার প্রচন্ড আকাঙ্ক্ষা ধনী হওয়ার। একদিন সে শয়তানের কাছে জানতে পারে ভলগা নদীর পাড়ে খুব কমদামে জমি কিনতে পারা যায়। ফলে ১০০ একর জমি পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা তার মনে জেঁকে বসলো। ফলে ঐ গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য হয়ে জমির মালিক হলো সে। এবার শয়তান তাকে জানালো পাশের দেশে আরো সহজে জমি পাওয়া যায়। যার মূল্য দিনপ্রতি ১০০ রুবল। অর্থাৎ একদিনে সে দৌড়ে যতটুকু জমি অতিক্রম করবে ততটুকু তার দখলে চলে আসবে। পাখোম একদিন প্রাণপণ দিয়ে দৌড়ালো, সে এত বেশি দৌড়ালো যে তার শরীর ভেঙে পড়লো। কিন্তু অধিক জমির লোভে সে আরো দৌড়ালো। সে অনেক জমি অধিকার করলো বটে কিন্তু সেসব তার ভাগ্যে জুটলোনা। সূর্য্যের সাথে তার জীবনসূর্য‌্যও ডুবে গেলো। অবশেষে সে সাড়ে তিন হাত জমি তথা একটা কবরের মধ্যে শায়িত হলো। 

একটু ভাবুন যার ছোটগল্প এত সুন্দর তার উপন্যাস আরো কত সুন্দর! লিও তলস্তয় আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন তার কালজয়ী উপন্যাস " যুদ্ধ ও শান্তি" (War and Peace) ও "আন্না কারেনিনা"- এর জন্য। এরছাড়াও তিনি অসংখ্য কালজয়ী ছোট গল্প, প্রবন্ধের স্রষ্টা। সোভিয়েত ইউনিয়নে তার সাহিত্যকর্ম ৯০ খন্ডে প্রকাশিত হয়েছিলো। এছাড়া তাকে নিয়ে প্রায় তেইশহাজার বই লেখা হয়েছে। 

জন্ম ও শৈশব:

তলস্তয়ের জন্ম হয়েছিলো ১৮২৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রাশিয়ার তুলা প্রদেশের ইয়াসনায়া পলিয়ানা (Yasnaya Polyana) -তে একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে। তিনি ছিলেন তার বাবা মায়ের কনিষ্ঠ সন্তান। তার পুরো নাম লেভ নিকোলায়েভিচ টলস্টয় (Lev Nikolayevich Tolstoy)। তার পিতার নাম কাউন্ট নিকোলাই টলস্টয় ও মায়ের নাম মারিয়া টলস্টায়া। ৯ বছর বয়সের পূর্বেই তিনি তার পিতামাতাকে হারান এবং বাকি তিন ভাইয়ের সাথে আত্মীয় স্বজনের কাছে লালিত-পালিত হন। জন্মসূত্রে তলস্তয় তৎকালীন রাশিয়ার অভিজাততন্ত্রের মানুষ ছিলেন। কিন্তু তিনি আভিজাত্যকে পছন্দ করেনি খুব একটা যা তার পরবর্তী জীবনে প্রতিফলিত হয়।

ব্যক্তিজীবন:

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ ছিলেন। চার্চের প্রকাশ্য সমালোচনা করে তিনি যাজকদের চক্ষুসূলে পরিণত হন। তিনি সবসময় বলতেন, "ইশ্বর ও যীশুকে নিয়ে ব্যবসা করে যারা তাদের চেয়ে আমি অধিক ধার্মিক খ্রিষ্টান।" তার লেখনীর জন্য চার্চ কর্তৃক তাকে ধর্ম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিলো। কিন্তু তলস্তয় তার চিন্তার উপর সবসময় বহাল থেকেছিলেন।
১৮৪৪ সালে তিনি কাজান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন কিন্তু পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারেননি। শিক্ষকরা তাকে একজন অমনোযোগী ও শিখতে অনিচ্ছুক ছাত্র হিসেবে চিহ্নিত করেন। অথচ এই ছাত্রটিই বিশ্ব জয় করেছিলো তার লেখনী দিয়ে। কয়েকবছর পর তিনি ডিগ্রী ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করেন এবং উদাসীন জীবনযাপন করেন। এরপর ১৯৫১ সালে তার বড় ভাইয়ের পরামর্শে তিনি  আর্মিতে যোগদান করেন ও ৫৫ সালে ক্রিমিয়ান যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধের বিরতিকালীন সময়ে তিনি লেখালেখি শুরু করেন। 

তিনি তার প্রবন্ধে জারতন্ত্রের প্রকাশ্য সমালোচনা করেছেন, শাসকদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানুষকে সোচ্চার করেছেন। দুর্ভিক্ষের সময় মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বেড়িয়েছেন, আদমশুমারিতে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি ৩৪ বছর বয়সে, ১৮৬২ সালে একজন চিকিৎসকের মেয়ে টলস্টয় সোফিয়া অ্যান্ড্রেয়েভ্‌না বেরোস (Sofya Andreyevna Behrs) কে বিবাহ করেন।তাদের মোট ১৩ জন সন্তান ছিলো। বিবাহের শুরুর জীবনগুলো তাদের জন্য সুখের হলেও তিনি সারাজীবন দাম্পত্য জীবন নিয়ে টানাপোড়েনে ছিলেন। তার জীবনের ভালবাসার গল্প এবং পরিবারের কলহ দ্বন্দ্বের উপাখ্যান থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই হয়তো তিনি লিখেছিলেন তার কালজয়ী উপন্যাস "আন্না কারেনিনা"। তার ব্যক্তিগত জীবন পুরোটাই একটি রোমাঞ্চ উপন্যাস।

সাহিত্যকর্ম:

রাশিয়ান সাহিত্যের যুগশ্রেষ্ঠ তিনজন সাহিত্যিক হচ্ছেন তলস্তয়, পুশকিন ও গোর্কি। তারা একে অপরের সাথে যেন প্রতিযোগিতা করেছেন। আমার দৃষ্টিভঙ্গিতে এই প্রতিযোগিতার বিজয়ীর মুকুটটি হয়তো তলস্তয়ের মাথাতেই উঠবে। স্বয়ং ম্যাক্সিম গোর্কি বলেছেন, "তলস্তয় নিজেই একটি পৃথিবী"। তলস্তয়ের কালজয়ী দুইটি উপন্যাস হচ্ছে "ওয়ার এন্ড পিস" ও "আন্না কারেনিনা"। ওয়ার এন্ড পিস তিনি লিখেছিলেন নেপোলিয়নের রুশ আক্রমণের প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে, যেখানে তিনি তার যুদ্ধ ও শান্তি সম্পর্কে মতামত দিয়েছেন। এই উপন্যাসটি ১৮৬৫ থেকে ১৮৬৭ সালে ধারাবাহিকভাবে ও ১৮৬৯ সালে বই আকারে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসটি প্রকাশিত হলে ব্যাপক সাড়া পড়ে যায় এবং তিনি তার পরবর্তী কালজয়ী উপন্যাস "আনা কারেনিনা" লেখায় হাত দেন। ১৮৭৩ থেকে ৭৭ পর্যন্ত বইটি প্রকাশিত হয় এবং পাঠক ও সমালোচকদের মন জয় করে নেয়। তার তিন খন্ডের আত্মজীবনীগুলো হলো "চাইল্ডহুড", "বয়হুড" ও "ইয়ুথ"। এই বই তিনটিও অত্যধিক জনপ্রিয় হয়ে উঠে। তবে তার কিছু লেখার মাধ্যমে তিনি কিছুটা বিতর্কিত হন। ১৮৮৩ সালে ‘দ্য মিডিয়েটর’ গ্রন্থে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত বিশ্বাস লিপিবদ্ধ করেন এবং চার্চের বিরুদ্ধাচরণ করেন। মূলত মুক্ত চিন্তা, শাসকের অন্যায়, যুদ্ধ, বিপ্লব ছিলো তার সাহিত্যের মূল উপাদান। অযাচিত কথা, অবাস্তব রোমান্টিকতা থেকে তিনি তার সাহিত্যকে দূরে রেখেছিলেন। 

যাদের দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিলেন:

তার সাহিত্য জীবন বিখ্যাত উপন্যাসিক চার্লস ডিকেন্স ও ভিক্টর হুগো ছাড়া অনুপ্রাণিত ছিলো। ১৮৬০ সালে ইউরোপ ভ্রমণের সময় ভিক্টর হুগোর সাথে তার পরিচয় হয় এবং সদ্য প্রকাশিত "লা মিজারেবল" তার জীবনে দাগ কাটে যার প্রতিফলন ঘটে "ওয়ার এন্ড পিস" উপন্যাসে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই তিনি মন্টেষ্কুর ব্যাপক সমালোচনা করেছিলেন এবং কিছুক্ষেত্রে অনুপ্রাণিত ছিলেন। 

দর্শন:

লিও তলস্তয় শুধু একজন সাহিত্যিক নয় পাশাপাশি একজন দার্শনিক বটে। তার দর্শন ছিলো চার্চের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে আসল ধর্মচর্চা করা ও অভিজাততন্ত্রকে বর্জন করা। এছাড়া তিনি অহিংস আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন যার দ্বারা ভারতের বাপুজি গান্ধী অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। বিখ্যাত ফরাসি বিপ্লবও তার সাহিত্যদর্শন থেকে অনুপ্রাণিত ছিলো। তিনি তার দর্শন প্রচার করে অনেকের চক্ষুসূল হলেও সরকার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি তার অত্যধিক জনপ্রিয়তার কারণে। যদিও বিখ্যাত অক্টোবর বিপ্লবের পূর্বেই তার জীবনাবসান হয়েছিলো কিন্তু তিনি এই বিল্পবের পূর্বেই তার দর্শন দ্বারা এই বিপ্লবকে উদ্বেলিত করেছিলেন। তিনি ইউরোপ ভ্রমণের সময় একটি মৃত্যুদন্ড স্বচক্ষে দেখে তার বন্ধু ভ্যাসিলি বটকিনকে বলেছিলেন, " সত্য কথা হলো রাষ্ট্র একটি ষড়যন্ত্র যা শুধু শোষণের জন্যই নয় সর্বোপরি তার নাগরিকদের দুর্নীতি করার জন্যই তৈরি হয়েছে। এখন থেকে আমি কোথাও আর কখনো কোনো সরকারের চাকরি করবো না।" 

নোবেলবিতর্ক:

জীবনকালে অত্যধিক জনপ্রিয় হলেও তলস্তয় তার যোগ্য পুরস্কার পাননি। ১৯০২ থেকে ১৯০৬ পর্যন্ত প্রতি বছরই তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য এবং ১৯০১, ১৯০২ এবং ১৯১০ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন কিন্তু একবারও নোবেল পাননি। যা হয়তো নোবেল ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত ঘটনা। তবে অন্য অনেক পুরস্কার তিনি পেয়েছেন। 

মৃত্যু:

জীবনের শেষ সময়গুলোতে তিনি খুব সহজ সরল জীবনযাপন করেছেন। চাষাদের সাথে থেকেছেন, তাদের মত পোশাক পড়েছেন। মৃত্যুর কিছুবছর পূর্বে  তার শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় ফলে পরিবার তার সেবার কোন কমতি রাখেনি। কিন্তু লিও তলস্তয় অভিজাত ও সুখের জীবনকে ত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। যার কারণে স্ত্রীকে ত্যাগ করে তিনি একদিন বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। ট্রেনে তিনি অহিংস ও শান্তির মতবাদ প্রচার করেন। হটাৎ ১৯১০ সালের ২০ নভেম্বর ইয়াসনায়া পলিয়ানার একটি স্টেশনে ঠান্ডা লেগে নিউমোনিয়া আক্রান্ত হন ও শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার শেষ সময়কে নিয়ে ২০০৯ সালে The Last Station নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। 

মৃত্যুর পর অসংখ্য মানুষ পুলিশি বাধা অতিক্রম করে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। এছাড়া যে যাজকরা তাকে ধর্ম থেকে বহিষ্কার করেছিলো তারা আগ্রহী হলেও তলস্তয়ের অনুসারীরা তাদের এ কাজে বাধা দেয় ও ধর্মীয় আচারনুষ্ঠান ছাড়াই তাকে সমাহিত করা হয়। 

রায়হান হৃদয় 
রাষ্ট্রবিজ্ঞান, 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। 

Copied from SA TT AC ADE M Y. 

Achillis heel এর কাহিনী

Achilles' Hell- Phrase টি আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বার বার আসতে দেখা যায়। Phrase টির বাংলা অর্থ
হলো ”দুর্বল জায়গা”। সিংহভাগ  পরীক্ষার্থীরাই এই বাংলা অর্থটুকু জেনে  প্রশ্নের  সঠিক উত্তর দিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তোলেন। Phrase সম্পর্কে বিস্তারিত অনেকেই জানেন না। আমার আজকের ব্লগটি Achilles' Hell পেছনের ঘটনা নিয়ে।

 Achilles হলো গ্রিক মিথলোজির বিখ্যাত দিগ্বিজয়ী বিশ্বনন্দিত মহাবীর। যার জন্মের সাথে জড়িয়ে ছিল মৃত্যুর ঠিকানা। অ্যাকিলিস, গ্রীক পৌরাণিক কাহিনীতে, মরণশীল মিরমিডনের রাজা পেলেউস  এবং জলদেবী থেটিস এর  পুত্র। অ্যাকিলিস ছিলেন ট্রোজান যুদ্ধে অ্যাগামেমননের সেনাবাহিনীর সবচেয়ে সাহসী, সুদর্শন এবং সর্বশ্রেষ্ঠ যোদ্ধা।

গ্রীক পুরাণে অ্যাকিলিস'র জন্মের পর  তার মা জলদেবী থেটিস তাকে নিয়ে গিয়েছিলেন দেবলোক অলিম্পাসে। সেখানে জিউসের কাছের পুত্রের জন্য বর চেয়েছিলেন। জিউস মা থেটিসকে দুটি বর থেকে যেকোন একটি বেছে নিতে বলেছিলেন।

একটি হলো ঘটনাবিহীন, সাধরণ মানুষের দীর্ঘজীবন। অন্যটি হলো  অকাল মৃত্যুর সাথে বীর যোদ্ধার ক্ষণস্থায়ী জীবন। জলদেবী পুত্রের জন্য দ্বিতীয় বরটি বেছে নিয়ে ছিলেন। তখন ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল যে তিনি অল্প বয়সে মারা যাবেন। 

মমতাময়ী মা পুত্রকে অকালমৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে Achilles কে অলিম্পাসে একটি অমৃতবারির পাত্রে (কারো মতে স্টাইক্স নদীতে)  চোবান। যাতে করে ঐ অমৃতস্পর্শে  Achilles এর সমস্ত দেহ অভেদ্য (Invulnerable) হয়ে  উঠে।

কিন্তু তখনই ঘটেছিল এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। যেহেতু মা থেটিস ছেলের গোড়ালি ধরে রেখেছিলেন,  জল Achilles এর পা স্পর্শ করেনি। অ্যাকিলিস একজন যুদ্ধের মানুষ হয়ে বেড়ে ওঠেন । যিনি অনেক বড় বড় যুদ্ধে জয় লাভ করেছিলেন এবং বেঁচে গিয়েছিলেন। 

যদিও ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল যে হোমারের ইলিয়াডে হেক্টরের দ্বারা অ্যাকিলিসের মৃত্যু হবে। সৌভগ্যক্রমে এটি আসলে ইলিয়াডে ঘটেনি। তবে এটি ইলিয়াডের পরে, পরবর্তীতে ট্রোজান যুদ্ধের ঘটনা সম্পর্কিত পরবর্তী গ্রীক এবং রোমান কবিতা এবং নাটকে  বর্ণনা করা হয়েছে। 

বিভন্ন যুদ্ধের পৌরাণিক কাহিনীতে বর্ণনা করা হয় যে, অ্যাকিলিস তার গোড়ালি একটি ক্ষত থেকে মারা গিয়েছিলেন । যা ঘটেছিল একটি বিষাক্ত তীর এর ফলে । গোড়ালি ছিল অ্যাকিলিস-এর দুর্বল  পয়েন্ট। 

Achilles এর অন্য সব রকম শক্তি থাকা সত্ত্বেও তার পায়ের গোড়ালি একটি দুর্বলতা, যা Achilles কে পতনের দিকে নিয়ে গিয়ে ছিল। পৌরাণিক উৎসে Achilles heel একটি শারীরিক দুর্বলতা বোঝায়।

Copied from S A TT AC ADE MY

১২টি গোপন সত্য যা ধনী লোকেরা আপনাকে জানতে দিতে চায় না.......

১২টি গোপন সত্য যা ধনী লোকেরা আপনাকে জানতে দিতে চায় না.......

আমরা এমন এক দুনিয়ায় বাস করি যা ধনীদের দ্বারা এবং ধনীদের জন্য গঠিত। আপনি যে মিডিয়া দেখেন, যে পরামর্শ শুনেন—সবকিছুই সুচিন্তিতভাবে সাজানো হয় আপনাকে কর্মজীবনের দৌড়ে ফাঁসিয়ে রাখার জন্য, যাতে তারা আরও উপরে উঠতে পারে। কিন্তু এবার পর্দা সরানোর সময় এসেছে এবং সেই সত্যগুলো জানার সময় এসেছে যা ধনী ব্যক্তিরা আপনাকে জানতে দিতে চায় না। প্রস্তুত থাকুন, কারণ এই তথ্যগুলো আপনার বিশ্বাসের অনেক ভ্রান্তি ভেঙে দিতে পারে।

১. কঠোর পরিশ্রম আপনাকে ধনী করবে না

হ্যাঁ, তারা আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে বলে, কিন্তু সত্যটা জানে—ধনী হওয়ার মূল চাবিকাঠি শ্রম নয়, লেভারেজ। মানে, যখন আপনি অতিরিক্ত সময় কাজ করে আপনার শক্তি খরচ করছেন, তারা অন্যের সময়, অর্থ এবং দক্ষতাকে ব্যবহার করে বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলছে।

২. তারা চায় আপনি বিশ্বাস করুন যে টাকা খারাপ জিনিস

আপনি যদি মনে করেন টাকা লোভ এবং দুর্নীতির প্রতীক, তাহলে আপনি কখনো এটি অর্জনের জন্য আত্মবিশ্বাসী হবেন না। অথচ ধনীরা জানে যে অর্থ কেবল একটি হাতিয়ার—যা সঠিকভাবে ব্যবহার করলে প্রভাব বিস্তারের শক্তিশালী মাধ্যম হতে পারে।

৩. সঞ্চয় আপনাকে ধনী করবে না

তারা বলে "সঞ্চয় করুন এবং মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করুন", কিন্তু নিজেরা তা করে না। তারা বিনিয়োগ করে বড় ঝুঁকি ও বড় লাভের সুযোগে—স্টার্টআপ, রিয়েল এস্টেট, স্টক মার্কেট এবং ব্যবসায়, যা তাদের সম্পদকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।

৪. শিক্ষাব্যবস্থা আসলে একটি ফাঁদ

শিক্ষাব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য হলো আপনাকে আজ্ঞাবহ কর্মচারী বানানো, উদ্যোক্তা বা ঝুঁকি গ্রহণকারী নয়। আপনাকে শেখানো হয় কীভাবে অর্থের জন্য কাজ করতে হয়, কিন্তু ধনী ব্যক্তিরা শেখে কীভাবে অর্থকে তাদের জন্য কাজ করানো যায়।

৫. কর ব্যবস্থা ধনীদের জন্য সুবিধাজনকভাবে তৈরি

তারা জানে কর কমানোর উপায়, আইনি ফাঁকফোকর এবং বিভিন্ন কর সুবিধা। কিন্তু সাধারণ মানুষ তাদের আয়ের বড় একটি অংশ কর হিসেবে পরিশোধ করতে বাধ্য হয়। ধনীরা বেতনভোগী নয়, তারা সম্পদের মালিক—আর সম্পদের ওপর করের হার ভিন্ন।

৬. ঋণ হলো শক্তিশালী অস্ত্র—যদি আপনি এটি ব্যবহার করতে জানেন

তারা চায় আপনি ঋণকে ভয় পান, কিন্তু ধনীরা ঋণকে ব্যবহার করে আরও বেশি সম্পদ অর্জন করতে। তারা অন্যের অর্থ (OPM) দিয়ে বিনিয়োগ করে এমন সম্পদ কেনে, যা তাদের জন্য নিয়মিত আয় সৃষ্টি করে এবং সেই আয় দিয়েই ঋণ শোধ হয়ে যায়।

৭. আপনার ভোগবাদ তাদের বিলাসী জীবনযাত্রার মূল কারণ

প্রতিবার যখন আপনি নতুন মোবাইল, ফ্যাশনেবল পোশাক বা দামি কফি কিনছেন, তখন আসলে আপনি তাদের পকেটেই অর্থ ঢালছেন। অন্যদিকে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে এমন সম্পদে, যা সময়ের সঙ্গে আরও মূল্যবান হয়।

৮. পরিচিতি প্রতিভার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ

তারা চায় না আপনি জানেন যে সঠিক মানুষের সংস্পর্শ আপনার জন্য অমূল্য সুযোগ তৈরি করতে পারে। তারা নিজেদের জন্য একটি এলিট নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে, যা তাদের ধনী থাকার সুযোগ নিশ্চিত করে এবং বাইরের লোকদের প্রবেশের পথ বন্ধ রাখে।

৯. সময় হলো তাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ

তারা সময় নষ্ট করে না। তারা এমন কাজ করে না যা অন্যরা করতে পারে। তারা মানুষ নিয়োগ করে তাদের জন্য কাজ করাতে, যাতে তারা সম্পদ গঠনের ওপর ফোকাস করতে পারে।

১০. শেয়ার বাজার তাদের সুবিধার জন্য নিয়ন্ত্রিত

আপনার শেয়ার বাজারের বিনিয়োগ থেকে নিয়মিত মুনাফার আশা থাকলেও, তারা ইন্সাইডার তথ্য, স্বয়ংক্রিয় ট্রেডিং প্রযুক্তি এবং বিশাল মূলধন ব্যবহার করে বাজারকে নিজেদের স্বার্থে নিয়ন্ত্রণ করে।

১১. ব্যর্থতা তাদের সবচেয়ে বড় শিক্ষা

তারা ব্যর্থতাকে ভয় পায় না, বরং প্রতিটি ব্যর্থতাকে শিক্ষার সুযোগ হিসেবে দেখে। কিন্তু আপনাকে শেখানো হয় নিরাপদ খেলা খেলতে, ঝুঁকি না নিতে। ধনীরা জানে বড় পুরস্কারের জন্য বড় ঝুঁকি নেওয়া লাগে।

১২. তারা চায় আপনি অজ্ঞ থাকুন

যত কম আপনি অর্থ, বিনিয়োগ এবং ব্যবসা সম্পর্কে জানবেন, তত বেশি তারা আপনার শ্রম, সময় এবং ভোক্তাস্বভাবকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের আরও ধনী করে তুলবে।

তাহলে আপনাকে কী করতে হবে?

এই নিয়ন্ত্রিত খেলায় আর অংশ নেবেন না। টাকার ব্যাপারে জ্ঞান অর্জন করুন, ইনভেস্টরের মতো চিন্তা করতে শিখুন, এবং ভোগের পরিবর্তে সম্পদের মালিক হওয়ার দিকে মনোযোগ দিন। গড়পড়তা জীবনের শৃঙ্খল থেকে বেরিয়ে এসে নিজের সাম্রাজ্য গড়ে তুলুন। এখনই সময় এসেছে ব্যবস্থা নেওয়ার, যাতে আপনি সেই সম্পদ এবং ক্ষমতা অর্জন করতে পারেন যা ধনীরা আপনাকে পেতে দিতে চায় না।

©

Wednesday, March 5, 2025

ভাল কিছু বইয়ের তালিকা

বুক লিস্ট-২০২৫ 

১) জিরো টু ওয়ান- পিটার থিয়েল ও ব্লেইক মাস্টার
২) ইমিডিয়েট অ্যাকশন- থিবাউট মিউরিস
৩) রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড- রবার্ট টি কিয়োসাকি
৪) ইকিগাই- হেক্টর গার্সিয়া, ফ্রান্সেস্ক মিরালস
৫) দ্যা মিরাকল মর্নিং- হল এলরড
৬) দ্য সাইকোলজি অব মানি- মর্গান হাউজেল
৭) ইট দ্যাট ফ্রগ- ব্রায়ান ট্রেসি
৮) রোড টু সাকসেস- নেপোলিয়ন হিল
৯) স্ট্র্যাটেজিক মাইন্ডসেট- থিবাউট মিউরিস
১০) অ্যাটমিক হ্যাবিটস- জেমস ক্লিয়ার
১১) টাইম ম্যানেজমেন্ট- ব্রায়ান ট্রেসি 
১২) থিংক অ্যান্ড গ্রো রিচ- নেপোলিয়ন হিল
১৩) কাইজেন- সারাহ হার্ভে
১৪) হাউ টু টক টু এনি ওয়ান- লেইল লোনডেস
১৫) ১০০ ওয়েজ টু মোটিভেট ইওরসেলফ- স্টিভ চ্যান্ডলার
১৬) দ্যা পাওয়ার অব পজেটিভ থিংকিং- নরম্যান ভিনসেন্ট পিল
১৭) পাওয়ারফুল ফোকাস- থিবাউট মিউরিস
১৮) লিডারশিপ- ব্রায়ান ট্রেসি
১৯) ডোপামিন ডিটক্স- থিবাউট মিউরিস
২০) হাউ সাকসেসফুল পিপল থিংক 
২১) দ্য আলকেমিষ্ট- পাওলো কোয়েলহ
২২। ফেসবুক মার্কেটিং- এসএম আকিব মুরশিদ
২৩। প্রোগ্রামিং ছাড়াই মোবাইল অ্যাপস তৈরি- রাজিব আহমেদ
২৪। সফল যদি হতে চাও- আনিসুল হক
২৫। দ্য বুক অব ফ্যাক্টস-১+২
২৬। যুক্তি ফাঁদে ফড়িং- চকম হাসান
২৭। কেমন করে মানুষ চিনবেন- পার্থ চট্টোপাধ্যায়
২৮। ভু সবই ভুল- সজল আশফাক
২৯। বিজ্ঞানীদের কাণ্ডকারখানা-১-৪
৩০। দ্য পাওয়ার অব ক্রিয়েটিভিটি- ব্রায়ান কলিনস
৩১। গল্পে গল্পে জেনেটিকস- চমক হাসান
৩২। সাইবার সিকিউরিটি- আরিফ মঈনুদ্দিন
৩৩। বংশবিদ্যার সহজপাঠ-আরাফাত রহমান
৩৪। জেনেটিক্স : বংশগতির সহজপাঠ-আরাফাত রহমান
৩৫। যে স্বপ্ন ঘুমোতে দেয় না- ডা. রমেশ পোথরিয়াল 'নিশংক'
৩৬। দ্য পাওয়ার অব ইউর সাবকনশাস মাউন্ড- ড. জোসেফ মারফি
৩৭। দ্য আর্ট অব থিংকিং ক্লিয়ারলি- রোল্ ডোবেল্লি
৩৮। দ্য আর্ট অব রিডিং মাইন্ডস- হেনরিক ফেক্সিউস
৩৯। তেত্তাে-চান- তেৎসুকো কুরোয়ানাগি
৪০। জিতুন বা হারুন তৈরী থাকুন- ড: উজ্জল পাটনী