যে ১০টি মুভি অবশ্যই দেখা উচিত তরুন উদ্যোক্তাদের!!
উদ্যোক্তা হওয়া মোটেই সহজ কাজ নয়। আর এ কাজে সফল হতে হলে কি পরিমাণ বাধা বিপত্তি পার হতে হয় তা একজন উদ্যোক্তা মাত্রই বুঝেন। প্রতি দিন প্রতি মুহূর্তে হাজারো বাধার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু তাই বলে পিছিয়ে যাবেন? পিছিয়ে যাওয়া হয়তো সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব, কিন্তু আপনি একজন উদ্যোক্তা। অবশ্যই আপনাকে সামনে এগুতে হবে।
কিন্তু কি করবেন যখন সব কিছু কঠিন এবং বিরক্তিকর লাগবে? হাপিয়ে উঠবেন প্রতিদিনকার মানসিক এবং শারীরিক চাপে? সব কিছু বাদ দিয়ে বসে পড়ুন মুভি দেখতে। একটা ভাল মুভি আপনাকে অনেক বেশি সাহায্য করবে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে এবং নতুন উদ্যোমে কাজ শুরু করতে।
১. The Social Network:
২০১০ সালে এই মুভিটি মুক্তি পাওয়ার সাথে সাথে হয়ে ওঠে ব্লকবাস্টার। সবাই হুমড়ি খেয়ে পরে The Social Network দেখার জন্য। কারণ এই মুভি তৈরি করা হয়েছে ফেসবুকের সৃষ্টি এবং এর অন্যতম নির্মাতা মার্ক যাকারবার্গ এর কাহিনী অবলম্বনে। মুভিটিতে দেখানো হয়েছে কি করে হাভার্ড ইউনিভার্সিটির বাস্তবজীবনে আপাতদৃষ্টিতে পিছিয়ে পড়া একজন ছাত্র বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশাল মিডিয়া ওয়েবসাইট ফেসবুকের আইডিয়া নিয়ে কাজ করছেন এবং সৃষ্টি করেছেন। মুভিটি দেখলে আপনি অনুধাবন করতে পারবেন, কি ভাবে ছোট এবং প্রায় সকলে দৃষ্টিতে মূল্যহীন কোন আইডিয়াকেও একটি সফল উদ্যোগে পরিণত করা যায় শুধুমাত্র আত্মবিশ্বাস এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে।
২. Glengarry Glen Ross:
ব্যবসা জগতটা অবশ্যই সহজ কোন ব্যাপার নয়। অনেকেই নিষ্ঠুর হতে হয় সফল হবার চেষ্টায়। এমনকি একজন সেলসম্যানের জন্যেও অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে টিকে থাকাটা। Glengarry Glen Rossমুভিটি আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে কতটা কঠিন পরিস্থিতিতে আপনাকে পড়তে হতে পারে। ১৯৯২ সালে নির্মিত এই মুভিতে দেখানো হয়েছে ৪ জন রিয়েল-এস্টেট সেলসম্যানের বেপরোয়া ভাবে কাটানো দুই দিনের ঘটনা, যখন তাদের কর্পোরেট অফিস থেকে ট্রেইনার পাঠিয়ে তাদেরকে জানানো হয়, ১ সপ্তাহের ভেতর সেরা দুজন সেলসম্যান ছাড়া বাকিদের বরখাস্ত করা হবে।
৩. Pirates of Silicon Valley:
বিশ্ব বিখ্যাত দুই টেক জায়ান্ট Apple এবং Microsoft এর প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস এবং বিল গেটস এর উত্থান এর কাহিনী নিয়ে বানানো মুভিটি অবশ্যই আপনাকে অনুপ্রানীত করবে। ১৯৯৯ সালে মুক্তি পাওয়া এই ডকুমেন্টরি স্টাইল মুভিটি তৈরি করা হয়েছে স্টিভ জবস এবং বিল গেটসের দৈনন্দিন জীবনের কাজ এবং ধীরে ধীরে তাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার গল্পকে ভিত্তি করে। যদি ভাবেন আপনার কিছুই নেই শুরু করবার মতন, অথবা আপনার আইডিয়া কোন কাজেই আসবে না তাহলে অবশ্যই মুভিটি দেখে নিতে পারেন।
৪. The Pursuit of Happyness:
২০০৬ এ মুক্তি পাওয়া বিখ্যাত অভিনেতা উইল স্মিথ কর্তৃক অভিনীত এই মুভিটি নির্মিত হয়েছে সত্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে। এখানে দেখানো হয়েছে, উইল স্মিথ একটি পোর্টেবল এক্সরে মেশিন তৈরি করেন এবং তা বিক্রির চেষ্টা করেন। যন্ত্রটি বিক্রিও হয়, কিন্তু খুব ধীরে। এই মাঝখানের সময়টা আর্থিক অসচ্ছ্বলতায় কাটাতে হয় তাকে। মুভিটি আপনাকে বোঝাবে, গৃহহীন এবং একমাত্র সন্তানের চাহিদা মেটানোর জন্য মরিয়া এই উদ্যোক্তা হাল না ছেড়ে কিভাবে নিজের অধ্যাবসায় আর ধৈর্যের সাহায্যে সাফল্য লাভ করেছেন। এমনকি আপনি যদি একজন উদ্যোক্তা নাও হয়ে থাকেন, তারপরেও মুভিটি দেখে নিতে পারেন।
৫. Moneyball:
বিখ্যাত অভিনেতা ব্র্যাড পিট এই মুভিতে অভিনয় করেছেন একটি বেসবল টিমের জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে। তাদের উপযুক্ত ফান্ড ছিলো না টিমের খেলোয়ারদের পিছনে খরচ করার। তাই ব্র্যাড পিটকে বিকল্প উপায় খুজে নিতে হয় টিমকে টিকিয়ে রাখার জন্য। মুভিটি আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে কিভাবে কোন কিছুর স্বল্পতা থাকার পরেও অন্য উপায় বানিয়ে নিতে হয় সফল হবার জন্য এবং ব্যবসা সংক্রান্ত পৃথিবীটা কিন্তু চলে এইভাবেই।
৬. Rocky:
সিলভেস্টার স্ট্যালনের লেখা এবং অভিনীত Rocky মুভিটি মুক্তি পায় ১৯৭৬ সালে। মুভিটির থিম ছিলো একজন বক্সার যিনি দেনার দায়ে প্রায় ডুবে আছেন। কিভাবে হাল না ছেড়ে শুধু মাত্র প্রচন্ড ইচ্চাশক্তি এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যেমে পরিণত হন একজন সফল বক্সারে। মুভিটি আপনাকে এই মেসেজটি দিবে, যদিও সারা দুনিয়া আপনাকে বুঝায়, যে আপনি সফল হতে পারবেন না, আপনার কোন আশাই নেই, তবু হাল ছাড়বেন না। আপনাকে লড়াই করতে হবে একদম শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ।
৭. Wall Street:
১৯৮৭ সালে মুক্তি পাওয়া এই মুভিতে দেখানো হয় একজন স্টকব্রোকার কিভাবে সাফল্য লাভের জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠে। উপরে উঠার আর ধনী হবার আশায় সে নিজ প্রতিষ্ঠানের গোপনীয় তথ্যও প্রকাশ করে দেয় অন্যদের কাছে। কেন দেখবেন এ মুভিটি? কারণ আপনাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, একজন উদ্যোক্তার একমাত্র উদ্দেশ্য অর্থ উপার্জন না। শুধু মাত্র ধনী হবার আশায় নিজের চরিত্রকে বিক্রি করে দেয়া কোন ভাবেই উচিত নয়।
৮. Jerry Maguire:
এই মুভিতে Jerry Maguire একজন ৩৫ বছর বয়সী স্পোর্টস এজেন্ট যার অসংখ্য বন্ধু, দারুণ ক্যারিয়ার এবং সুন্দরী স্ত্রী সবই আছে। কিন্তু তাকে হারাতে হয় সব কিছু। একসময় সে বুঝতে পারে, শুধুমাত্র টাকার পেছনে ছোটাটাই সব নয়, বরং ক্লায়েন্টকে সন্তুষ্ট করাটাও জরুরী। আপনাকে যা জানাবে এই মুভিটি, যে আপনার সব কিছুই থাকতে পারে এবং তা চলেও যেতে পারে আপনার কাছ থেকে। কিন্তু আপনাকে অবশ্যই নিজের লক্ষ্যে অটুট থাকতে হবে। শুধু মাত্র টাকাই সব নয়, যাদের সাথে আপনি কাজ করছেন, যাদের নিয়ে আপনি কাজ করছেন তাদের দিকেও আপনাকে সমান দৃষ্টি রাখতে হবে।
৯.Office Space:
১৯৯৯ সালে মুক্তি পাওয়া মুভিটি এমন অনেকের মনের কথাই প্রকাশ করে যারা কারো অধীনে কাজ করতে চান না। এখানে দেখানো হয়ছে অভিনেতা কতটা বিরক্ত আর হতাশ হয়ে পড়ছেন একটা নির্দিষ্ট কিউবিকলে দিনের পর দিন কাজ করতে, আর বসের আদেশ পালন করতে করতে। যারা চান নিজ উদ্যোগে কিছু শুরু করার কিন্তু সাহস পাচ্ছেন না, এই মুভিটি তাদের প্রেরণা যোগাতে পারে। কারো অধীনে কাজ করার চেয়ে নিজেই শুরু করুন। মনে রাখবেন, যদি আপনার আপনার স্বপ্ন পূরনের জন্য কাজ শুরু না করেন, তবে অন্য কেউ আপনাকে ঠিকই কাজে লাগাবে তার নিজের স্বপ্ন পূরনের জন্য।
১০. Citizen Kane:
একজন সফল নিউজপেপার টাইকুনের কাহিনী অবলম্বনে বানানো এই মুভিটি আপনাকে বুঝাবে, যে একজন ব্যবসায়ে সাফল্য অর্জন যদিও একজন উদ্যোক্তার মূল উদ্দেশ্য, কিন্তু এটাই জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য হতে পারে না।
মুভিগুলো দেখার পর অনুধাবন করতে পারবেন, যে একজন উদ্যোক্তা হওয়া মানে শুধুই নতুন কোন ব্যবসা শুরু করা নয়। এর সাথে জড়িয়ে থাকে আরো অনেক কিছু। আপনার চারপাশের মানুষের দিকে খেয়াল রাখা, যাদের সাথে যাদের নিয়ে কাজ করছেন তাদের দিকে লক্ষ্য রাখা, নিজ চরিত্র ঠিক রাখা, ধৈর্য আর সাহসের পরীক্ষা দেয়া ইত্যাদি হাজারটা কাজ নিয়েই তৈরি হয় একজন সফল উদ্যোক্তা। আপনি জানবেন, যে আপাতদৃষ্টিতে সামান্য বা তুচ্ছ কোন আইডিয়াও আপনাকে শীর্ষে নিয়ে যেতে পারে সাফল্যের যদি আপনি লেগে থাকতে পারেন।
Auto paragraph Facebook/Computer/Mobile phone/Internet/Television ( এই গুলার যে কোন একটা .......... দেওয়া জায়গা গুলাতে বসাতে হবে ) ..............is one of the greatest invention of modern science. It has made our life easy and comfortable. We use it in our daily life. We cannot think of our day without.......... . We can communicate with anyone of anywhere of the world by using.......... . It has made the word smaller. We can share our feelings, liking and disliking’s with others using............. . Nowadays......... has become a great medium of learning. People can learn many things using........ sitting at home. It is a great source of entertainment also. We can watch videos music news sports etc through.......... .we need not to go to stadium. Inspire of having so many good sides it has some bad sides also. It is harmful for our body. Sometimes students become addicted to it. At last it can be said that.......... is a ...
Comments
Post a Comment