আয়রে আয় টিয়ে
আয়রে আয় টিয়ে
নায়ে ভরা দিয়ে ।
নাও নিয়ে গেল
বোয়াল মাছে,
তাই না দেখে
ভোঁদড় নাচে ।
ওরে ভোঁদড় ফিরে
চা
খুকুর নাচন দেকে
যা ।
আম পাতা জোড়া জোড়া
আম পাতা জোড়া জোড়া
মারব চাবুক চলবে
ঘোড়া ।
ওরে বুবু সরে
দাঁড়া
আসছে আমার পাগলা
ঘোড়া
পাগলা ঘোড়া
ক্ষেপেছে
চাবুক ছুড়ে
মেরেছে ।
আতা গাছে তোতা পাখি
আতা গাছে তোতা পাখি
ডালিম গাছে মউ ।
এত ডাকি তবু
কথা কও না কেন বউ ।
আয় আয় চাঁদ মামা
আয় আয় চাঁদ মামা
টিপ দিয়ে যা ।
চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা ।
ধান ভাঁনলে কুঁড়ো দেবো,
মাছ কাটলে মুঁড়ো দেবো,
ধুদ খাবার বাটি দেবো,
চাঁদের কপালে চাঁদ
টিপ দিয়ে যা ।
বাক বাকুম পায়রা
বাক বাকুম পায়রা
মাথায় দিয়ে টায়রা
বউ সাজবে কাল কি
চড়বে সোনার পালকি ।
হাট টিমা টিম টিম
হাট টিমা টিম টিম
তারা মাঠে পাড়ে ডিম ।
তাদের খাড়া দুটো শিং,
তারা হাট টিমা টিম টিম ।
আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা
আয় ছেলেরা, আয় মেয়েরা
ফুল তুলিতে যাই,
ফুলের মালা গলায় দিয়ে
মামার বাড়ি যাই ।
ঝড়ের দিনে মামার দেশে
আম কুড়াতে সুখ,
পাকা জামের মধুর রসে
রঙিন করি মুখ ।
নোটন নোটন পায়রাগুলি
নোটন নোটন পায়রাগুলি
ঝোটন বেঁধেছে,
ওপারেতে ছেলে মেয়ে
নাইতে নেমেছে ।
দুই ধারে দুই রুই কাতলা
ভেসে উঠেছে,
কে দেখেছে কে দেখেছে
দাদা দেখেছে ।
দাদার হাতে কলম ছিল
ছুড়ে মেরেছে,
উঃ বড্ড লেগেছে ।
ওখানে কে রে ?
ওখানে কে রে ?
আমি খোকা ।
মাথায় কী রে ?
আমের ঝাঁকা ।
খাসনে কেন রে ?
দাঁতে পোকা ।
বিলুস নে কেন রে ?
ওরে বাবা!
তাই তাই তাই
তাই তাই তাই
মামা বাড়ি যাই
মামা দিলো দুধ ভাত
পেট ভরে খাই
মামী এলো লাঠি নিয়ে
পালাই পালাই ।
কানাবগীর ছা
ঐ দেখা যায় তাল গাছ
ঐ আমাদের গাঁ
ঐ খানেতে বাস করে
কানাবগীর ছা ।
ও বগী তুই খাস কি ?
পানতা ভাত চাস কি ?
পানতা আমি খাই না ?
পুঁটি মাছ পাই না,
একটা যদি পাই
অমনি ধরে গাপুস গুপুস খাই ।
আমাদের ছোট নদী
আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে,
বৈশাখ মাসে তার হাঁটুজল থাকে ।
পার হয়ে যায় গরু, পার হয় গাড়ি,
দুই ধার উঁচু তার, ধালু তার পাড়ি ।
চিকচিক করে বালি, কোথা নাই কাদা,
এক ধারে কাশবন ফুলে ফুলে সাদা ।
কিচিমিচি করে সেথা শালিকের ঝাঁক,
রাতে ওঠে থেকে থেকে শেঁয়ালের হাঁক ।
খোকন খোকন ডাক পাড়ি,
খোকন খোকন ডাক পাড়ি,
খোকন মোদের কার বাড়ি ?
আয়রে খোকন ঘরে আয়,
দুধ মাখা ভাত কাকে খায় ।
খোকন খোকন করে মায়
খোকন গেছে কাদের নায় ?
সাতটা কাকে দাঁড় বায়
খোকন রে তুই ঘরে আয়
আমি হব
আমি হব সকাল বেলার পাখি
সবার আগে কুসুমবাগে
উঠব আমি ডাকি !
সুষ্যি মামা জাগার আগে
উঠব আমি জেগে,
হয় নি সকাল, ঘুমো এখন,
মা বলবেন রেগে।
বলব আমি - আসলে মেয়ে
ঘুমিয়ে তুমি থাক,
হয় নি সকাল, তাই বালে কি
সকাল হবে না আমরা যদি না জাগি মা
কেমনে সকাল হবে ?
তোমার ছেলে উঠলে গো মা
রাত পোহাবে তবে ।
সকালে উঠিয়া আমি
মনে মনে বলি,
সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি,
সারা দিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি ।
আদেশ করেন যাহা মোর গুরুজনে,
আমি যেন সেই কাজ করি ভালো মনে ।
ভাইবোন সকলেরে যেন ভালোবাসি,
একসাথে থাকি যেন সবে মিলেমিশি ।
ভালো ছেলেদের সাথে মিশে করি খেলা,
পাঠের সময় যেন নাহি করি হেলা ।
সুখী যেন নাহি হই আর কার দুখে,
মিছে কথা কভু যেন নাহি আসে মুখে ।
সাবধানে যেন লোভ সামলিয়ে থাকি,
কিছুতে কাহারে যেন নাহি দিই ফাঁকি ।
ঝগড়া না করি যেন কভু কার সনে,
সকালে উঠিয়া এই বলি মনে মনে ।
ভোর হলো দোর খোল
খুকুমণি ওঠ রে,
ঐ ডাকে জুঁই-শাখে
ফুল-খুকি ছোট রে ।
খুলি হাল তুলি পাল
ঐ তরি চলল,
এইবার এইবার
খুকু চোখ খুলল ।
আসলে নয় সে
ওঠে রোজ সকালে,
রোজ তাই চাঁদা ভাই
টিপ দেয় কপালে ।
তাঁতির বাড়ি
ব্যাঙের বাসা
কোলা ব্যাঙের ছা ।
খায় দায়
গান গায়
তাইরে নাইরে না ।
No comments:
Post a Comment