Friday, June 10, 2022

ছোটদের ছড়া কবিতা সংগ্রহ

আয়রে আয় টিয়ে

আয়রে আয় টিয়ে
নায়ে ভরা দিয়ে ।
নাও নিয়ে গেল বোয়াল মাছে,
তাই না দেখে ভোঁদড় নাচে ।
ওরে ভোঁদড় ফিরে চা
খুকুর নাচন দেকে যা ।

 

আম পাতা জোড়া জোড়া

 

আম পাতা জোড়া জোড়া
মারব চাবুক চলবে ঘোড়া ।
ওরে বুবু সরে দাঁড়া
আসছে আমার পাগলা ঘোড়া
পাগলা ঘোড়া ক্ষেপেছে
চাবুক ছুড়ে মেরেছে ।

 

আতা গাছে তোতা পাখি

 

আতা গাছে তোতা পাখি

ডালিম গাছে মউ ।

এত ডাকি তবু 

কথা কও না কেন বউ ।

 

আয় আয় চাঁদ মামা

 

আয় আয় চাঁদ মামা

টিপ দিয়ে যা ।

চাঁদের কপালে চাঁদ টিপ দিয়ে যা ।

ধান ভাঁনলে কুঁড়ো দেবো,

মাছ কাটলে মুঁড়ো দেবো,

ধুদ খাবার বাটি দেবো,

চাঁদের কপালে চাঁদ

টিপ দিয়ে যা ।

 

       বাক বাকুম পায়রা

বাক বাকুম পায়রা

মাথায় দিয়ে টায়রা

বউ সাজবে কাল কি

চড়বে সোনার পালকি ।

 

       হাট টিমা টিম টিম 

হাট টিমা টিম টিম 

তারা মাঠে পাড়ে ডিম ।

তাদের খাড়া দুটো শিং,

তারা হাট টিমা টিম টিম ।

 

আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা

 

আয় ছেলেরা, আয় মেয়েরা

ফুল তুলিতে যাই,

ফুলের মালা গলায় দিয়ে

মামার বাড়ি যাই ।

ঝড়ের দিনে মামার দেশে

আম কুড়াতে সুখ,

পাকা জামের মধুর রসে

রঙিন করি মুখ ।

 

নোটন নোটন পায়রাগুলি

 

নোটন নোটন পায়রাগুলি

ঝোটন বেঁধেছে,

ওপারেতে ছেলে মেয়ে

নাইতে নেমেছে ।

দুই ধারে দুই রুই কাতলা

ভেসে উঠেছে,

কে দেখেছে কে দেখেছে

দাদা দেখেছে ।

দাদার হাতে কলম ছিল

ছুড়ে মেরেছে,

উঃ বড্ড লেগেছে ।



         ওখানে কে রে ?

ওখানে কে রে ?

আমি খোকা ।

মাথায় কী রে ?

আমের ঝাঁকা ।

খাসনে কেন রে ?

দাঁতে পোকা ।

বিলুস নে কেন রে ?

ওরে বাবা!

 

তাই তাই তাই

 

তাই তাই তাই

মামা বাড়ি যাই

মামা দিলো দুধ ভাত

পেট ভরে খাই

মামী এলো লাঠি নিয়ে

পালাই পালাই ।

 

            কানাবগীর ছা

ঐ দেখা যায় তাল গাছ

ঐ আমাদের গাঁ

ঐ খানেতে বাস করে

কানাবগীর ছা ।

ও বগী তুই খাস কি ?

পানতা ভাত চাস কি ?

পানতা আমি খাই না ?

পুঁটি মাছ পাই না,

একটা যদি পাই

অমনি ধরে গাপুস গুপুস খাই ।

 


           আমাদের ছোট নদী

আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে,

বৈশাখ মাসে তার হাঁটুজল থাকে ।

পার হয়ে যায় গরু, পার হয় গাড়ি,

দুই ধার উঁচু তার, ধালু তার পাড়ি ।

চিকচিক করে বালি, কোথা নাই কাদা,

এক ধারে কাশবন ফুলে ফুলে সাদা ।

কিচিমিচি করে সেথা শালিকের ঝাঁক,

রাতে ওঠে থেকে থেকে শেঁয়ালের হাঁক ।

 


      খোকন খোকন ডাক পাড়ি,

খোকন খোকন ডাক পাড়ি,

খোকন মোদের কার বাড়ি ?

আয়রে খোকন ঘরে আয়,

দুধ মাখা ভাত কাকে খায় ।

 

 

খোকন খোকন করে মায়

খোকন গেছে কাদের নায় ?

সাতটা কাকে দাঁড় বায়

খোকন রে তুই ঘরে আয়

 

               আমি হব

আমি হব সকাল বেলার পাখি

সবার আগে কুসুমবাগে

উঠব আমি ডাকি !

সুষ্যি মামা জাগার আগে

উঠব আমি জেগে,

হয় নি সকাল, ঘুমো এখন,

মা বলবেন রেগে।

বলব আমি - আসলে মেয়ে

ঘুমিয়ে তুমি থাক,

হয় নি সকাল, তাই বালে কি

সকাল হবে না  আমরা যদি না জাগি মা

কেমনে সকাল হবে ?

তোমার ছেলে উঠলে গো মা

রাত পোহাবে তবে ।

 

সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি,

 

সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি,

 

সারা দিন আমি যেন ভালো হয়ে চলি ।

আদেশ করেন যাহা মোর গুরুজনে,

আমি যেন সেই কাজ করি ভালো মনে ।

ভাইবোন সকলেরে যেন ভালোবাসি,

একসাথে থাকি যেন সবে মিলেমিশি ।

ভালো ছেলেদের সাথে মিশে করি খেলা,

পাঠের সময় যেন নাহি করি হেলা ।

সুখী যেন নাহি হই আর কার দুখে,

মিছে কথা কভু যেন নাহি আসে মুখে ।

সাবধানে যেন লোভ সামলিয়ে থাকি,

কিছুতে কাহারে যেন নাহি দিই ফাঁকি ।

ঝগড়া না করি যেন কভু কার সনে,

সকালে উঠিয়া এই বলি মনে মনে ।

 

ভোর হলো দোর খোল

খুকুমণি ওঠ রে,

ঐ ডাকে জুঁই-শাখে

ফুল-খুকি ছোট রে ।

খুলি হাল তুলি পাল

ঐ তরি চলল,

এইবার এইবার

খুকু চোখ খুলল ।

আসলে নয় সে

ওঠে রোজ সকালে,

রোজ তাই চাঁদা ভাই

টিপ দেয় কপালে ।

 

তাঁতির বাড়ি

ব্যাঙের বাসা 

কোলা ব্যাঙের ছা ।

খায় দায়

গান গায়

তাইরে নাইরে না ।

 

No comments:

Post a Comment