Skip to main content

Posts

Showing posts from August, 2024

শিক্ষনীয় কাহিনি

ড. মুহাম্মদ খানী বলছেন - একদিন আমি আমার গাড়িতে বসে ছিলাম, হঠাৎ প্রায় ষোল বছর বয়সী এক কিশোর এসে আমাকে বলল, স্যার আমি কি আপনার গাড়ির সামনের  গ্লাসগুলো পরিস্কার করে দিতে পারি? আমি বললাম - হ্যাঁ। সে যত্ন করে গ্লাস পরিষ্কার করে দিলে আমি তার হাতে ২০ ডলার গুঁজে দিলাম।ছেলেটি খানিক অবাক হয়ে বলল, আপনি কি আমেরিকায় থাকেন?আমি বললাম - হ্যাঁ। কেন? সে বলল, আমি কি এই ২০ ডলারের বদলে সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সম্পর্কে কিছু কথা জানতে পারি? আমি তার বিনয় ও লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ দেখে তাকে কাছে ডেকে নিয়ে আলাপ শুরু করে দিলাম।  আলাপের শেষ দিকে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম - তুমি এভাবে রাস্তায় গাড়ি পরিস্কারের কাজ করে বেড়াচ্ছ কেন , তুমি তো একজন মেধাবী ছাত্র? উত্তরে সে বলল, আমার দু বছর বয়সেই আমার বাবা মারা যান। আমার মা মানুষের বাসায় কাজ করেন। আমি এবং আমার ছোট বোন বাইরে টুকটাক কাজ করে বেড়াই বাড়তি কিছু রোজগারের আশায় যা দিয়ে আমাদের লেখাপড়ার খরচ চলে। আমি শুনেছি আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নাকি মেধাবী ছাত্রদের উচ্চতর লেখাপড়ার জন্য স্কলারশিপ দেয়। আমার খুব ইচ্ছা সেখানে পড়ার।কিন্তু সেখানে আমাকে সাহায্য করার মত তো কেউ নেই...

ইউনুস নামা

ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসকে বিশ্রীভাবে 'সুদখোর' ঢাকা হয় বারবার। মজার ব্যাপার হচ্ছে- মুহাম্মদ ইউনূসকে যারা পছন্দ করেন তাদের বেশীরভাগও জানেন না, মুহাম্মদ ইউনূসের সুদের ব্যবসা নাই। গ্রামীণ ব্যাংক তার প্রতিষ্ঠিত হলেও গ্রামীন ব্যাংকে তাঁর এক টাকার মালিকানাও নাই, শেয়ারও নাই। কখনোই ছিল না। সারা পৃথিবীর ১০৭টা ইউনিভার্সিটিতে মুহাম্মদ ইউনূস সেন্টার আছে। ইউনিভার্সিটিগুলো নিজেদের উদ্যোগে এটা করেছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে তাঁর মাইক্রো-ফাইনান্স। যেটা তাঁকে এবং তাঁর গ্রামীন ব্যাংকে নোবেল শান্তি পুরষ্কার এনে দিয়েছিল। জিনিসটা আপনার-আমার কাছে আশ্চর্যজনক মনে হতে পারে। কিন্তু এটাই সত্যি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মাইক্রো-ফাইনান্সের ধারণার মূল ভিত্তিই হচ্ছে এটা। এই ব্যবসার কেউ মালিক হতে পারবে না। সম্পূর্ণ নন-প্রফিট তথা অলাভজনক। এটাকে বলে সামাজিক ব্যবসা। নির্দিষ্ট কোনো মালিক নাই। জনগণই এর মালিক। বাইর থেকে অনুদানের টাকা এনে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ড মুহাম্মদ ইউনূস। নিজে এটি প্রতিষ্ঠা করলেও প্রতিষ্ঠানে তার এক পয়সার মালিকানাও রাখেননি। বরং এর ২৫% মালিকানা সরকারের, বাকি মালিকানা গরীব মানুষের। নিজের প্রতিষ্ঠ...

আমার সমস্ত প্রার্থনা

আমার সমস্ত প্রার্থনা ডিঙায়া তোমারে যে পাইলো— সে যেনো তোমারে আগলাইয়া রাখে, চেইনস্মোকার যেমন আগলাইয়া রাখে তুমুল বৃষ্টিতে বুক পকেটের অন্তীম সিগারেট। আমার চোখের জলরে হারাইয়া যে তোমারে জিতে নিলো—সে তোমারে ভালোবাসুক। শরীর পুড়ে যাওয়া জ্বরের রাতে কপালে রাখা মায়ের হাতরে যেমন ভালোবাসে জ্বরে ভুক্তভোগী সন্তান। তোমার মন খারাপে মস্তিস্কের শেষ শিরা হতে কবিতা লিখুক। শাড়ি, চুড়ি, আলতা না দিলেও সে কুঁড়িয়ে দিক মুঠো ভর্তি শিশির মুদ্রিত জুঁই। আমারে আজন্মকাল অভাবী মানুষের কুয়োতে ফেলে দিয়ে যে তোমারে লাভ করে নিলো, সে তোমারে হারানোর ভয় করুক। ফাঁসির দড়ির সম্মুখে দাঁড়ায়া জীবন হারানোর পূর্বে মৃত্যুকে যেমন ভয় করে কয়েদি।  অতঃপর — আমার ঠোঁটে ছাইপাঁশ সেঁটে দিয়ে যে তোমার ঠোঁট মুখস্থ করে নিলো- সে যেন অমন আনন্দ নিয়া তোমারে চুমু খায় রোজ, প্রসবকালীন ব্যাথা ভুলে সন্তানের কপালে প্রথমবার মা হওয়ায় যেমন আনন্দ নিয়ে চুমু খায় ঊনিশের যুবতী। লেখা: আরিফ হুসাইন

না ছোয়া ভলবাসা

আপনারে না ছুঁইয়্যা, না দেইখ্যা যতখানি ভালোবাসছি, ততখানি ভালো আমি আমারেই কোনদিন বাসি নাই। কাছে আইলেন না, পাশে বইলেন না, কোনদিন চক্ষে চক্ষু রাইখ্যা হাসলেন না। তবুও দ্যাখেন, আপনারে ক্যান যেনো 'আমার আমার লাগে। ক্যান এমন লাগে কইতে পারবেন?  নগর থেকে নগর দু'চক্ষের দূরে আপনি, চক্ষু দুইখান বন্ধ করলেই, আপনারে দু'চক্ষুর সামনে মুচকি মুচকি হাসতে দেহি। ইহা পাগলামো না আপনি কন! সাঁতার না যাইনা প্রেম নদীতে ঝাঁপ দিলাম, চিমটিখান মায়া কইরা হাতখানা বাড়াইয়্যা দিলেন না। আমি মরলাম তো মরলাম, আপনার প্রেম নদীতে ডুইবা ডুইবা মরলাম। কি মায়ায় বান্ধিলেন আমারে! এহন যেদিতে তাকাই, শুধু আপনারে দেহি। চক্ষের মধ্যে কি লেন্স লাগাইয়্যা দিলেন, শয়নে সপনে শুধু দুইখান চক্ষের মধ্যে আপনি থাহেন ।  আপনি আমার মনের মধ্যে ঢুইক্কা, এক্কাদুক্কা খেইলাও আমার হইলেন না। আপনার লাইগ্যা কতখানি কলিজাডা পুড়ে, আপনারে বুঝাইতে পারলাম নাহ। ধরেন একখান মানুষ মরতাছে, শেষ নিঃশ্বাস ছাড়োনের আগে 'যদি তার ফুসফুস কেউ কুঠুরি দিয়া কুপায়, হের যেইখান কষ্টখান আইবো, ওইরকম কষ্ট কিংবা তারচে বেশি কষ্ট, আমার হইতাছে। দ্যাখেন, আপনি কিন্তু এর কিছুই জানলেন ন...

জানি

জানি, জীবন মানেই সংগ্রাম করে বেঁচে থাকা। তবুও কোন কোন রাতে ঘুমাইতে গেলে চোখ ভিঁজে যায়। জানি,  দুঃখ থাকে না চিরকাল। তবুও কোন কোন দিন মাথার পাশে একটা রিভালবার ঠেকিয়ে ইচ্ছে করে ঠেসে ভরে দেই পাঁচ রাউন্ড গুলি। জানি, একমাত্র ব্যার্থ মানুষরাই পৃথিবীর বুকে এনে দিতে পারে বিপুল বিপ্লব। তবুও কোন কোন দিন যঘন্যভাবে ঘৃণা করতে ইচ্ছে করে নিজেকে। জানি,  আনন্দের দিনগুলো মুছে গেছে মায়ের আঁচলে ভাত খেয়ে মুখ মুছার দিন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে। তবুও কোন কোন দিন পছন্দের গানকেও লাগে ভীষণ বিরক্ত, ক্ষীণ। জানি, জীবন থেকে মানুষ হারানো নিয়ম, থেকে যাওয়া আশ্চর্যের। তবুও কোন কোন দিন কবিতা পড়লে হৃদয় এত শূন্য হয়ে যায়। জানি;  যে ক্ষমা করে দেয় সে দয়ালু, ক্ষমা করা মহৎ গুন। তবুও কোন কোন দিন মনে হয় পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে ক্ষমা করে দিলেও, নিজেকে ক্ষমা করার কোন উপায় আমার জানা নেই। জানি,  জন্মালেই মরতে হয়, একদিন আগে অথবা পরে শুধু জানি না -কেনো মানুষ জীবন থেকে পালাতে গিয়ে আত্মহত্যা করে... [ “জানি” তেরো ডিসেম্বর, দু'হাজার তেইশ ] লেখা: আরিফ হুসাইন

শিয়া সুন্নি পার্থক্যের কারন

শিয়া-সুন্নি বিভাজনের নেপথ্যে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ইন্তেকালের এক শ বছরের কম সময়ের মধ্যে ইসলামের ইতিহাসের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটে। একটি হলো দ্রুতগতিতে আরবের সীমানা ছাড়িয়ে প্রাচ্যে পারস্য হয়ে ভারত এবং পাশ্চাত্যে আফ্রিকা হয়ে স্পেনে ইসলামের প্রসার। অন্যটি হলো মহানবীর উত্তরসূরি হিসেবে ইসলামি শাসনব্যবস্থার নেতৃত্ব প্রদান নিয়ে শিয়া ও সুন্নি—এই দুটি ধারায় মুসলমানদের বিভক্ত হয়ে পড়া। ব্রিটিশ-আমেরিকান লেখিকা লেইসলি হ্যাজেলটন তাঁর ‘আফটার দ্য প্রফেট: দ্য এপিক স্টোরি অব দ্য শিয়া-সুন্নি স্প্লিট’ বইয়ে সুন্দরভাবে এই বিভক্তির ইতিহাস তুলে ধরেছেন। শিয়াতু আলী বা আলীর দল বা আলীর অনুসারীরা সাধারণভাবে শিয়া নামে পরিচিতি। মুসলিম উম্মাহর এই প্রধান দলটির উদ্ভব ঘটেছিল প্রথমত রাজনৈতিক কারণে। এর সঙ্গে ধর্মীয় তথা আধ্যাত্মিক বিষয় যুক্ত হয়ে মতভেদ প্রবলতর হয়। শিয়াপন্থীরা বিশ্বাস করেন যে হজরত আলী (রা.) মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রকৃত উত্তরসূরি এবং এই ধারাবাহিকতায় হজরত আলীর দুই ছেলে হাসান ও হোসেন ইসলামের রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বের দাবিদার। কিন্তু অন্যরা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাঁদেরকে এই রাষ্ট্রীয় নেতৃত...

হাজার বইয়ের লিংক

হাজার হাজার বইয়ের লিংক  BCS / চাকরির বইসহ প্রয়োজনীয় প্রায় ২ হাজার বইয়ের pdf, বইগুলো লেখকের নাম ও ধরন অনুযায়ী আলাদা ফোল্ডার করা আছে। বন্ধের সময়টা বাসায় পড়ার মত বই না পেলে এখান থেকে নিতে পারেন।  ✅ ২,০০০ বইয়ের ডাউনলোড লিংকঃ https://drive.google.com/drive/u/0/mobile/folders/1QJq0YHa7ZL0HDhsS7LrJ6CCWRwLmjmkA ✅ ১৪০০ বইয়ের ডাউনলোড লিংকঃ https://drive.google.com/drive/mobile/folders/1dgkfYgaG9HksnFL1MWyTH8ivwPb8CFev?fbclid=IwAR33xEa3jkGOcU71d1Pzs0YQGN_1ApYypOpKzt_uue0H5dCvEMKl9CvAhMI ✅ নিজের পছন্দের তালিকা থেকে পড়ে ফেলুন বইঃ ১.মিছির আলি সিরিজ  https://bdebooks.com/genre/misir-ali/  2.আনিসুল হক https://bdebooks.com/genre/anisul-hoque/ ৩.বেগম রোকেয়া  https://bdebooks.com/genre/begum-rokeya/ ৪.আহমদ ছফা https://bdebooks.com/genre/ahmed-sofa/ ৫.সমরেশ মজুমদার  https://bdebooks.com/genre/samaresh-majumdar/ ৬.ফেলুদা সিরিজ  https://bdebooks.com/genre/feluda/ ৭.কাকাবাবু সিরিজ  https://bdebooks.com/genre/kakababu/ ৮.শুভ্র সিরিজ  https://bdebooks.com/genre/shuvr...