Saturday, September 28, 2024

নবীজির পিতার একটি সুন্দর কাহীনি

লেখাটি হৃদয় ছুঁয়েছে....৷ 

বিশ্বনবী মুহাম্মদ সা. এর পিতা আব্দুল্লাহ, একদিন মক্কার বাজারে গিয়েছিলেন কিছু কেনা-কাটা করার জন্য I এক জায়গায় তিনি দেখলেন, এক লোক কিছু দাস- দাসী নিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে বিক্রি করছে I

আব্দুল্লাহ দেখলেন সেখানে দাঁড়িয়ে আছে, একটা ছোট নয় বছরের কালো আফ্রিকান আবিসিনিয়ার মেয়ে I মেয়েটাকে দেখে আব্দুল্লাহর অনেক মায়া হলো, একটু রুগ্ন হালকা-পাতলা কিন্তু কেমন মায়াবী ও অসহায় দৃষ্টি দিয়ে তাঁকিয়ে আছে I

তিনি ভাবলেন ঘরে আমেনা একা থাকেন, মেয়েটা পাশে থাকলে তার একজন সঙ্গী হবে I এই ভেবে তিনি মেয়েটাকে কিনে নিলেন I

মেয়েটিকে আব্দুল্লাহ ও আমেনা অনেক ভালোবাসতেন I স্নেহ করতেন I এবং তারা লক্ষ্য করলেন যে, তাদের সংসারে আগের চেয়েও বেশি রাহমাত ও বরকত চলে এসেছে I
এই কারণে আব্দুল্লাহ ও আমেনা মেয়েটিকে আদর করে নাম দিলেন "বারাকাহ"I

এই গল্প, বারাকার গল্প I

তারপর একদিন আব্দুল্লাহ, ব্যবসার কারণে সিরিয়া রওনা দিলেন I আমেনার সাথে সেটাই ছিল উনার শেষ বিদায় I

উনার যাত্রার দুই এক দিন পর আমেনা একরাতে স্বপ্নে দেখলেন, আকাশের একটা তারা যেন খুব আলো করে তার কোলে এসে পড়লো I

পরদিন ভোরে তিনি বারাকাকে এই স্বপ্নের কথা বললেন I
উত্তরে বারাকা মৃদু হেসে বললেন, "আমার মন বলছে আপনার একটা সুন্দর সন্তানের জন্ম হবে"

আমেনা তখনও জানতেন না তিনি গর্ভ ধারণ করেছেন কিন্তু কিছুদিন পর তিনি বুঝতে পারলেন, বারাকার ধারণাই সত্যি I

আব্দুল্লাহ আর ফিরে আসেন নি, সিরিয়ার পথেই মৃত্যুবরণ করেছেন I

আমেনার সেই বিরহ ও কষ্টের সময়ে, বারাকা ছিলেন একমাত্র সবচেয়ে কাছের সঙ্গী I

একসময় আমেনার অপেক্ষা শেষ হয় এবং তিনি জন্ম দিলেন আমাদের প্রিয় নবীকে I

শেখ ওমর সুলাইমানের বর্ণনা অনুযায়ী, সর্বপ্রথম আমাদের নবীকে দেখার ও স্পর্শ করার সৌভাগ্য হয়েছিল যে মানুষটির, সে হলো এই আফ্রিকান ক্রিতদাসী ছোট কালো মেয়েটি I

আমাদের নবীকে নিজ হাতে আমেনার কোলে তুলে দিয়েছিলেন, আনন্দে ও খুশিতে বলেছিলেন, 
"আমি কল্পনায় ভেবেছিলাম সে হবে চাঁদের মত কিন্তু এখন দেখছি, সে যে চাঁদের চেয়েও সুন্দর "

এই সেই বারাকা I নবীজির জন্মের সময় উনার বয়স ছিল তের বছর I ছোটবেলায় শিশু নবীকে আমেনার সাথে যত্ন নিয়েছেন, গোসল দিয়েছেন, খাওয়াতে সাহায্য করেছেন,আদর করে ঘুম পাড়িয়েছেন I

মৃত্যুর সময় আমেনা, বারাকার হাত ধরে অনুরোধ করেছিলেন তিনি যেন তাঁর সন্তানকে দেখে শুনে রাখেন I
বারাকা তাই করেছিলেন Iবাবা-মা দুজনকেই হারিয়ে, ইয়াতিম নবী চলে আসলেন দাদা আবদুল মোত্তালিবের ঘরে I

উত্তরাধিকার সূত্রে নবী হলেন বারাকার নতুন মনিব I
কিন্তু তিনি একদিন বারাকাকে মুক্ত করে দিলেন, বললেন, 
-"আপনি যেখানে ইচ্ছে চলে যেতে পারেন , আপনি স্বাধীন ও মুক্ত I"

সেই শিশুকাল থেকেই নবী এই ক্রীতদাস প্রথাকে দূর করতে চেয়েছিলেন Iবারাকা নবীকে ছেড়ে যেতে রাজি হলেন না I রয়ে গেলেন I মায়ের ছায়া হয়ে পাশে থেকে গেলেন I

এমনকি নবীজির দাদা উনাকে বিয়ে দেয়ার জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তিনি কিছুতেই রাজি হলেন না I উনার একই কথা, -"আমি আমেনাকে কথা দিয়েছি, আমি কোথাও যাবো না"

তারপর একদিন খাদিজা (রাঃ) এর সাথে নবীজির বিয়ে হলো I বিয়ের দিন রাসূল (সাঃ) খাদিজা (রাঃ) এর সাথে বারাকাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন I তিনি বললেন, "উনি হলেন আমার মায়ের পর আরেক মা "

বিয়ের পর রাসূল (সাঃ) একদিন বারাকাকে ডেকে বললেন, 
-"উম্মি ! আমাকে দেখাশুনা করার জন্য এখন খাদিজা আছেন, আপনাকে এখন বিয়ে করতেই হবে I" (নবীজি উনাকে উম্মি ডাকতেন, নাম ধরে ডাকতেন না )

তারপর রাসূল (সাঃ) ও খাদিজা মিলে উনাকে উবাইদ ইবনে জায়েদের সাথে বিয়ে দিয়ে দিলেন I কিছুদিন পর বারাকার নিজের একটা ছেলে হলো, নাম আইমান I এরপর থেকে বারাকার নতুন নাম হয়ে গেলো "উম্মে আইমান"I

একদিন বারাকার স্বামী উবাইদ মৃত্যু বরণ করেন, নবীজি গিয়ে আইমান ও বারাকাকে সাথে করে নিজের বাড়ি নিয়ে আসেন এবং সেখানেই থাকতে দিলেন I

কিছুদিন যাওয়ার পর নবীজি একদিন বেশ কয়েকজন সাহাবীকে ডেকে বললেন,

"আমি একজন নারীকে জানি, যার কোন সম্পদ নেই, বয়স্ক এবং সাথে একটা ইয়াতিম সন্তান আছে কিন্তু তিনি জান্নাতি, তোমাদের মধ্যে কেউ কি একজন জান্নাতি নারীকে বিয়ে করতে চাও?"

এইকথা শুনে জায়েদ ইবনে হারিসা (রাঃ) নবীজির কাছে এসে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন I নবীজি উম্মে আইমানের সাথে কথা বলে বিয়ের আয়োজন করলেন I

বিয়ের দিন রাসূল (সাঃ) জায়েদকে বুকে জড়িয়ে আনন্দে ও ভালোবাসায়, ভেজা চোখে, কান্না জড়িত কণ্ঠে বললেন, 
"তুমি কাকে বিয়ে করেছো, জানো জায়েদ ?"
-হাঁ, উম্মে আইমানকে I জায়েদের উত্তর I নবীজি বললেন, -"না, তুমি বিয়ে করেছো, আমার মা কে "

সাহাবীরা বলতেন, রাসূল (সাঃ) কে খাওয়া নিয়ে কখনো জোর করা যেত না I উনি সেটা পছন্দ করতেন না I কিন্তু উম্মে আইমান একমাত্র নারী, যিনি রাসূল (সাঃ) কে খাবার দিয়ে "খাও".." খাও".. বলে তাড়া দিতেন I আর খাওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত পাশে বসে থাকতেন I নবীজি মৃদু হেসে, চুপ চাপ খেয়ে নিতেন I

রাসূল (সাঃ) উনার দুধ মাতা হালিমাকে দেখলে যেমন করে নিজের গায়ের চাদর খুলে বিছিয়ে তার উপর হালিমাকে বসতে দিতেন ঠিক তেমনি মদিনায় হিজরতের পর দীর্ঘ যাত্রা শেষে উম্মে আইমান যখন ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন নবীজি উনার গায়ের চাদরের একটা অংশ পানিতে ভিজিয়ে, উম্মে আইমানের মুখের ঘাম ও ধুলোবালি নিজ হাতে মুছে দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, "উম্মি ! জান্নাতে আপনার এইরকম কোন কষ্ট হবে না"

নবীজি মৃত্যুর আগে সাহাবীদের অনেক কিছুই বলে গিয়েছিলেন I সেই সব কথার মধ্যে একটা ছিল, উম্মে আইমানের কথা Iবলেছেন, "তোমরা উম্মে আইমানের যত্ন নিবে, তিনি আমার মায়ের মত I তিনিই একমাত্র নারী, যিনি আমাকে জন্ম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখেছেন I আমার পরিবারের একমাত্র সদস্য, যিনি সারাজীবন আমার পাশে ছিলেন I"

সাহাবীরা সেই কথা রেখেছিলেন I গায়ের রং নয়, এক সময়ের কোন ক্রিতদাসী নয়, তাঁর পরিচয় তিনি যে নবীর আরেক মা I মায়ের মতোই তাঁরা, এই বৃদ্ধা নারীকে ভালোবেসে আগলে রেখেছিলেন I

সূত্র: ইবনে হিশাম ও শেখ ওমর সুলাইমান।

বিজ্ঞানীদের মজার কথা ০১

(#আইনস্টাইনের_মজার_কিছু_ঘটনা:-)

1) আইনস্টাইনের এক সহকর্মী একদিন 
তাঁর কাছে তাঁর টেলিফোন নম্বরটা চাইলেন। 
তখন আইনস্টাইন একটি টেলিফোন বই খুঁজে 
বের করলেন এবং সেই বই থেকে তাঁর নম্বরটা
খুঁজতে লাগলেন। তখন সহকর্মী তাকে বললেন, ‘কী ব্যাপার, নিজের টেলিফোন নম্বরটাও মনে
নেইআপনার।’ আইনস্টাইন বললেন, ‘না, তার দরকারই বা কী? যেটা আপনি বইতে পাবেন, সে
তথ্যটা মুখস্ত করে #মস্তিস্ক খরচ করবেন কেন ?’

2) আইনস্টাইন ছোটবেলায় তুলনামূলক অনেক
দেরীতে কথা বলতে শেখেন। একারণে তাঁর
বাবা মা অনেক দুশ্চিন্তায় ছিলেন। একদিন
রাতে খাবার টেবিলে বসে সকলে খাচ্ছেন
এমন সময় বালক আইনস্টাইন চিৎকার করে
বললেন, ‘এই স্যুপটা বড্ড গরম। তাঁর বাবা-মা যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। ছেলের মুখে প্রথম কথা
শুনে বাবা-মা বেশ অবাক হয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস
করলেন, ‘আগে তুমি কথা বলোনি কেন?’
উত্তরে আইনস্টাইন বললেন, ‘কারণ এর আগে
তো সব #ঠিকই ছিল।’

3) 1931 সালে কৌতুক অভিনেতা চার্লি
চ্যাপলিন আইনস্টাইনকে আমন্ত্রণ জানান
তার একটি শো দেখার জন্য। তখন চ্যাপলিনের
সিটি লাইটস্ সিনেমার স্কিনিং চলছিল। পরে
তারা শহরের পথ ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন, তখন
চ্যাপলিন আইনস্টাইনকে জিজ্ঞেস করলেন,
‘সবাই আমাকে সহজেই বোঝে, এজন্যই আমার
এতো জনপ্রিয়তা। কিন্তু মানুষ আপনাকে
কেন এতো পছন্দ করে বুঝলাম না।’ আইনস্টাইন
সহাস্যে প্রত্যুত্তরে জানালেন, ‘কেউ আমাকে সহজে #বুঝতে পারে না বলেই আমার এই জনপ্রিয়তা’।

4) একবার আইনস্টাইন ট্রেনে চেপে যাচ্ছিলেন।
চেকার সকলের টিকিট চেক করার এক পর্যায়ে
আইনস্টাইনের কাছে এসে টিকিট দেখতে
চাইলেন। কিন্তু আইনস্টাইন তাঁর টিকিটটি
খুঁজে পাচ্ছিলেন না। চেকার আইনস্টাইনকে
চিনতে পেরে বললেন, ‘স্যার আপনাকে আমি
চিনতে পেরেছি। আপনি নিশ্চয়ই টিকিট কেটে
উঠেছেন। আপনাকে টিকিট দেখাতে হবে
না।’ আইনস্টাইন কিছুটা চিন্তিত ভঙ্গিতে
বললেন, ‘না, না, ওটা আমাকে খুঁজে বের করতেই
হবে। না পেলে আমি জানব কি করে যে আমি
#কোথায় যাচ্ছিলাম।’

5) আইনস্টাইনের কাছে একবার আপেক্ষিকতার
সহজ ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হলো। উত্তরে
আইনস্টাইন বললেন, ‘আপনার হাত একটা জ্বলন্ত
চুল্লীর উপর ধরে রাখুন, মনে হবে এক ঘন্টা পার
হয়ে গেছে। কিন্তু একজন সুন্দরী মেয়ের
পাশে একঘন্টা বসে থাকুন, আপনার কাছে
মনে হবে মাত্র এক মিনিট পার হলো, এটাই
#আপেক্ষিকতা।’

6) একবার আইনস্টাইন বাইরে থেকে বাড়িতে
ফিরে দরজায় কড়া নাড়লেন। ভেতর থেকে তাঁর
স্ত্রী ভাবলেন অন্য কেউ হয়তো আইনস্টাইনকে
খুঁজতে এসেছেন, তাই তিনি বেশ বিরক্ত হয়ে
চেচিয়ে বললেন, আইনস্টাইন বাড়িতে নেই।
ব্যস, চিন্তিত আইনস্টাইন কোন কথা না বলে
#উল্টো হাঁটা ধরলেন।

#আরো_একটি_ঘটনা:-
আইনস্টাইনের যিনি ড্রাইভার ছিলেন, 
তিনি একদিন আইনস্টাইনকে বললেন - আপনি প্রতিটি সভায় যে ভাষণ দেন সেইগুলো শুনে শুনে আমার মুখস্থ হয়ে গেছে ।" -আইনস্টাইন তো #অবাক!!! 

উনি তখন বললেন "বেশ তাহলে এর পরের মিটিংয়ে যেখানে যাবো তারা আমাকে চেনেন না, তুমি আমার হয়ে ভাষণ দিও আর আমি #ড্রাইভার হয়ে বসে থাকবো।"

-এরপরে সেই সভায় তো ড্রাইভার হুবহু আইনস্টাইন-এর ভাষণ গড় গড় করে বলে গেলেন,,, উপস্থিত বিদ্বজ্জনেরা তুমুল করতালি দিলেন । এরপর তাঁরা ড্রাইভারকে আইনস্টাইন ভেবে #গাড়িতে পৌঁছে দিতে এলেন ।

-সেই সময়ে একজন অধ্যাপক ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলেন "স্যার, ঐ আপেক্ষিক এর যে #সংজ্ঞাটা বললেন, আর একবার সংক্ষেপে বুঝিয়ে দেবেন ?"-আসল আইনস্টাইন দেখলেন বিপদ, এবার তো ড্রাইভার ধরা পড়ে যাবে।কিন্তু তিনি ড্রাইভার-এর উত্তর শুনে #তাজ্জব হয়ে গেলেন । ড্রাইভার উত্তর দিল।।
-"এই সহজ জিনিসটা আপনার মাথায় ঢোকেনি ? আমার #ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করুন সে বুঝিয়ে দেবে ।"

বিঃদ্রঃ-- #জ্ঞানী ব্যক্তিদের সাথে চলাফেরা করলে আপনিও জ্ঞানী হবেন। আপনি যেমন মানুষের সাথে ঘুরবেন #তেমনই হবেন।

Friday, September 27, 2024

99 Beautiful Names of Almighty ALLAH

99 Names of Allah with English meaning!

1. Allah (الله) The Greatest Name
2. Ar-Rahman (الرحمن) The All-Compassionate
3. Ar-Rahim (الرحيم) The All-Merciful
4. Al-Malik (الملك) The Absolute Ruler
5. Al-Quddus (القدوس) The Pure One
6. As-Salam (السلام) The Source of Peace
7. Al-Mu’min (المؤمن) The Inspirer of Faith
8. Al-Muhaymin (المهيمن) The Guardian
9. Al-Aziz (العزيز) The Victorious
10. Al-Jabbar (الجبار) The Compeller
11. Al-Mutakabbir (المتكبر) The Greatest
12. Al-Khaliq (الخالق) The Creator
13. Al-Bari’ (البارئ) The Maker of Order
14. Al-Musawwir (المصور) The Shaper of Beauty
15. Al-Ghaffar (الغفار) The Forgiving
16 Al-Qahhar (القهار) The Subduer
17. Al-Wahhab (الوهاب) The Giver of All
18. Ar-Razzaq (الرزاق) The Sustainer/Provideru
19 Al-Fattah (الفتاح) The Opener
20 Al-`Alim (العليم) The Knower of All
21 Al-Qabid (القابض) The Constrictor
22. Al-Basit (الباسط) The Reliever/Expander
23 Al-Khafid (الخافض) The Abaser
24 Ar-Rafi (الرافع) The Exalter
25 Al-Mu’izz (المعز) The Bestower of Honors
26 Al-Mudhill (المذل) The Humiliator
27 As-Sami (السميع) The Hearer of All
28 Al-Basir (البصير) The Seer of All
29 Al-Hakam (الحكم) The Judge
30 Al-`Adl (العدل) The Just
31 Al-Latif (اللطيف) The Subtle One
32 Al-Khabir (الخبير) The All-Aware
33 Al-Halim (الحليم) The Forbearing
34 Al-Azim (العظيم) The Magnificent
35. Al-Ghafur (الغفور) The Forgiver and Hider of Faults
36. Ash-Shakur (الشكور) The Rewarder of Thankfulness
37 Al-Ali (العلى) The Highest
38 Al-Kabir (الكبير) The Greatest
39 Al-Hafiz (الحفيظ) The Preserver
40 Al-Muqit (المقيت) The Nourisher
41 Al-Hasib (الحسيب) The Accounter
42 Al-Jalil (الجليل) The Mighty
43. Al-Karim (الكريم) The Generous
44 Ar-Raqib (الرقيب) The Watchful One
45. Al-Mujib (المجيب) The Responder to Prayer
46 Al-Wasi (الواسع) The All-Comprehending
47 Al-Hakim (الحكيم) The Perfectly Wise
48 Al-Wadud (الودود) The Loving One
49 Al-Majeed (المجيد) The Majestic One
50 Al-Ba’ith (الباعث) The Resurrector
51 Ash-Shahid (الشهيد) The Witness
52 Al-Haqq (الحق) The Truth
53 Al-Wakil (الوكيل) The Trustee
54 Al-Qawiyy (القوى) The Possessor of All Strength
55 Al-Matin (المتين) The Forceful One
56 Al-Waliyy (الولى) The Governor
57 Al-Hamid (الحميد) The Praised One
58 Al-Muhsi (المحصى) The Appraiser
59 Al-Mubdi’ (المبدئ) The Originator
60 Al-Mu’id (المعيد) The Restorer
61 Al-Muhyi (المحيى) The Giver of Life
62 Al-Mumit (المميت) The Taker of Life
63 Al-Hayy (الحي) The Ever Living One
64 Al-Qayyum (القيوم) The Self-Existing One
65 Al-Wajid (الواجد) The Finder
66 Al-Majid (الماجد) The Glorious
67 Al-Wahid (الواحد) The One, the All Inclusive, The Indivisible
68. As-Samad (الصمد) The Satisfier of All Needs
69 Al-Qadir (القادر) The All Powerful
70 Al-Muqtadir (المقتدر) The Creator of All Power
71 Al-Muqaddim (المقدم) The Expediter
72 Al-Mu’akhkhir (المؤخر) The Delayer
73 Al-Awwal (الأول) The First
74 Al-Akhir (الأخر) The Last
75 Az-Zahir (الظاهر) The Manifest One
76 Al-Batin (الباطن) The Hidden One
77 Al-Wali (الوالي) The Protecting Friend
78 Al-Muta’ali (المتعالي) The Supreme One
79 Al-Barr (البر) The Doer of Good
80. At-Tawwab (التواب) The Acceptor to Repentance
81 Al-Muntaqim (المنتقم) The Avenger
82. Al-‘Afuww (العفو) The Forgiver/Pardoner
83. Ar-Ra’uf (الرؤوف) The Clement/Compassionate
84 Malik-al-Mulk (مالك الملك) The Owner of All
85 Dhu-al-Jalal wa-al-Ikram (ذو الجلال و الإكرام) The Lord of Majesty and Bounty
86 Al-Muqsit (المقسط) The Equitable One
87 Al-Jami’ (الجامع) The Gatherer
88 Al-Ghani (الغنى) The Rich One
89 Al-Mughni (المغنى) The Enricher
90. Al-Mani'(المانع) The Preventer of Harm
91 Ad-Darr (الضار) The Creator of The Harmful
92. An-Nafi’ (النافع) The Creator of Good
93 An-Nur (النور) The Light
94. Al-Hadi (الهادي) The Guide
95. Al-Badi (البديع) The Originator
96. Al-Baqi (الباقي) The Everlasting One
97. Al-Warith (الوارث) The Inheritor of All
98. Ar-Rashid (الرشيد) The Righteous Teacher
99. As-Sabur (الصبور) The Patient One

Allah says “And to Allah belong the best names, so invoke Him by them.” [Surat Al-‘A`rāf, 7:180]

The Messenger of Allah (peace be upon him) said,
“Allah has ninety-nine names, and whoever preserves them will enter Paradise.” (Muslim 2677)

Thursday, September 19, 2024

Asia You like it’s বাংলা

সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য। 
&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&&
As you like it - William Shakespeare - Bangla Translation - অ্যাজ ইউ লাইক ইট -উইলিয়াম শেক্সপিয়ার - বাংলা অনুবাদ পর্ব-১
------------------------------
ইউরোপের দুটো দেশ, ফ্রান্স আর বেলজিয়ামের মাঝখান দিয়ে বহুদূর পর্যস্ত চলে গেছে আর্ডেনের গহন অরণ্য। শুধু ওই দুটি দেশ নয়, ইউরোপের আরও অনেক দেশের সীমান্ত ছুঁয়ে গেছে সেই বন। এই বনে পাহাড়, ঝরনা, নদীর পাশাপাশি রয়েছে গোরু, ভেড়া চরাবার বিস্তীর্ণ সবুজ মাঠ। একদিকে যেমন বাঘ, সিংহ, নেকড়ে প্রভৃতি হিংস্র জন্তুরা শিকারের খোঁজে ঘুরে বেড়ায়, তেমনি অন্য দিকে ফুল-পাতায় ছাওয়া গাছের ডালে বসে কোকিল আর জংলি ময়নারা রচনা করে এক সুন্দর পরিবেশ। বনের একধারে স্ত্রী-পুত্র-পরিবার আর পোষা জন্তুদের সাথে বাস করে কিছু মেষপালক।
ফ্রান্সের একটা ছোটো রাজ্য রয়েছে ঠিক এই আর্ডেন জঙ্গলের লাগোয়া। সে সময় ইউরোপের অনেক ছোটো রাজ্যের রাজারা ডিউক উপাধি নিয়ে রাজ্য শাসন করতেন। এ গল্প যে রাজ্যকে নিয়ে লেখা হয়েছে তার প্রাক্তন শাসকের উপাধিও ছিল ডিউক। এই ডিউক নিজে সৎ ও সুশাসক হলেও তার ছোটো ভাই ফ্রেডারিক ছিলেন যেমন স্বার্থপর তেমনি ধান্দাবাজ। নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য যে কোনও অন্যায় কাজ করতেও পিছপা ছিলেন না তিনি।

নিজের মতোই সবাইকে সৎ এবং উদারমনা বলে মনে মনে ভাবেন ডিউক। এ ধরনের লোককে নিয়েই হয় মুশকিল। পরম নিশ্চিন্তে ছোটো ভাই ফ্রেডারিকের উপর রাজ্য শাসনের ভার ছেড়ে দিয়ে ধর্ম-কর্ম, পড়শোনা আর নির্দোষ আমোদ-প্রমোদে মেতে রয়েছেন তিনি। ফ্রেডারিক দেখলেন এই সুযোগ। বড় ভাইয়ের সরলতার সুযোগ নিয়ে অনায়াসেই তিনি কেড়ে নিতে পারেন তার রাজ্য। এর জন্য যুদ্ধ-বিগ্রহেরও প্রয়োজন নেই। তিনি মতলব ভাজতে লাগলেন। প্রথমে তিনি নিজের মত জঘন্য চরিত্রের কিছু লোককে খুজে বের করে তাদের প্রচুর টাকা পয়সা আর সম্পত্তি দিয়ে নিজের দলে টেনে নিয়ে এলেন। তারপর তিনি তাদের বসিয়ে দিলেন রাজ্যের নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে। তাদের সাহায্যে রাজ্যের সমস্ত ক্ষমতা করায়ত্ত করলেন তিনি। এতদিনে ছোটো ভাই ফ্রেডারিকের আসল চেহারা দেখে আতকে উঠলেন ডিউক। ফ্রেডারিক তাকে প্রাণে মেরে দেবে এই আশঙ্কা করে ডিউক পালিয়ে গেলেন আর্ডেনের বনে। সভাসদদের মধ্যে যারা তাকে সত্যি সত্যিই ভালোবাসত, তারাও চলে গেলেন ডিউকের সাথে। বহুদিন আগে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়ে মারা যান তার স্ত্রী। যাবার সময় সেই মা-হারা মেয়েটিকে সাথে নিয়ে যেতে পারলেন না ডিউক।
ডিউকের মেয়ে রোজালিন্ড দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি মধুর তার স্বভাব। ডিউকের পাষণ্ড ছোটো ভাই ফ্রেডারিকেরও মাত্র একটিই মেয়ে, নাম সিলিয়া। ওরা দুই বোনই সমবয়সি। সবে পা দিয়েছেন যৌবনে । রোজালিন্ডের সমবয়সি হলেও সিলিয়া কিন্তু দেখতে তার মতো সুন্দর নয়। ছোটোবেলা থেকে দুজনে একসাথে বড়ো হবার ফলে প্রগাঢ় বন্ধুত্ব জন্মেছে উভয়ের মাঝে। একে অপরকে ছেড়ে মোটেও থাকতে পারে না। বড়ো ভাই তার দু-চোখের বিষ হলেও সে কিন্তু নিজের মেয়ে সিলিয়ার মতোই ভালোবাসে রোজালিন্ডকে। বাবার অভাব যাতে সে বুঝতে না পারে তার জন্য চেষ্টার কোনও ক্রটি নেই ফ্রেডারিকের। সিলিয়াও সাধ্যমতো চেষ্টা করে রোজালিন্ডকে খুশি রাখতে তার বাবা যে রাজ্য হারিয়ে বনে বনে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কাকার দয়ায় যে সে বেঁচে - রোজালিন্ড সর্বদাই চেষ্টা করে যাচ্ছে তার আচার-আচরণ দিয়ে সে নিদারুণ লজ্জা মুছে ফেলার।
স্যার রোল্যান্ড ডি’বয় (Sir Rowland De’Bois) ছিলেন রাজ্যহীন ডিউকের অন্যতম প্রিয় বন্ধু। বহুদিন আগেই তিন ছেলেকে রেখে মারা গেছেন তার স্ত্রী। ছেলেদের নাম অলিভার, জ্যাক আর অরল্যান্ডো। ডিউক রাজ্য ছেড়ে বনে চলে যাবার কিছুদিন আগেই মারা যান রোল্যান্ড ডি’বয়। তার সম্পত্তির পুরোটাই একলা দেখা-শোনা করে বড়ো ছেলে অলিভার।

মেজো ভাই জ্যাককে সহ্য করতে পারলেও ছোটো ভাই অরল্যান্ডোকে মোটেও দেখতে পারে না অলিভার। মেজো ভাইকে বড়োলোকের ছেলেদের মতো দামি দামি পোশাক কিনে দিলেও, কেন জানি অরল্যান্ডোকে এ সব থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে অলিভার। বাবার মৃত্যুর পর সে একটাও দামি পোশাক কিনে দেয়নি ছোটো ভাইকে। তার নির্দেশে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়েছে অরল্যান্ডোর। চাষা-ভূষোর ছেলেদের মতো পুরনো ময়লা তালি-মারা পোশাক পরে খেত-খামারে কাজ করতে হয় অরল্যান্ডোকে। কিন্তু এসব দুঃখ-কষ্ট সত্তেও হতাশ হবার ছেলে নয় অরল্যান্ডো। বড়ো ভাই অলিভারের নজর এড়িয়ে নিজের চেষ্টায় লেখাপড়া শিখেছে সে। এ বয়সেই সুন্দর কবিতা লিখতে পারে অরল্যান্ডো। ছন্দের দোলায় সেগুলো হয়ে ওঠে এক একটি চমৎকার কবিতা ।
অরল্যান্ডো শুধু দেখতে সুন্দর নয়, সে প্রচণ্ড শক্তিধর। জলে ভিজে, রোদে পুড়ে আর ভেড়া, ছাগল চরিয়ে শুধু তার স্বাস্থ্যই মজবুত হয়নি, দৃঢ় হয়েছে তার মাংসপেশিও। অরল্যান্ডো যে কত শক্তি ধরে কদিন বাদে তা টের পেয়ে অবাক হল সবাই।
চার্লস নামে এক মাইনে করা কুস্তিগীর আছে রাজসভায়। মাঝে মাঝেই সে দেশের লোককে আহবান জানায় তার সাথে কুস্তি লড়তে। আগে অনেকেই তার আহবানে সাড়া দিত। কিন্তু হেরে যাওয়া কুস্তিগীরের হাত-পা ভেঙে দেয় বলে কেউ তার সাথে কুস্তি লড়তে যায় না। এবার বহুদিন পর কুস্তি লড়ার ডাক দিয়েছে চার্লস। তার আহবানে সাড়া দেয় এক বুড়ো চাষির তিন জোয়ান ছেলে আর অরল্যান্ডো। কিন্তু কুস্তি লড়ার দিন একরকম গায়ে পড়ে তার সাথে ঝগড়া বাধাল অলিভার। অরল্যান্ডো তখন বাগানে বসে পুরনো চাকর অ্যাডামের সাথে কথা বলছিল। কথায় কথায় তার বাবা স্যার ডি’বয়ের রেখে যাওয়া উইলের কথা তুলে তিনি অ্যাডামকে বললেন, “আমার যতদূর জানা আছে বাবা তার উইলে মাত্র একহাজার ক্রাউন আমার জন্য বরাদ্দ করে গেছেন, আর আমায় মানুষ করার দায়িত্ব দিয়ে গেছেন বড়ো ভাইয়ের ওপর, সে কথা তুমিও জানো অ্যাডাম। কিন্তু আমার বড়ো ভাই শুধু মেজভাই জ্যাককে লেখা-পড়া শেখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছে। লেখা-পড়া শিখে সে উন্নতিও করেছে। আর আমার বড়ো ভাই অলিভার কিনা আমার লেখা-পড়া বন্ধ করে দিয়ে খেত-খামারে কাজে লাগিয়েছে। সারাদিন সেখানে মজুরের মতো কাজ করার পর রাতে আমায় খেতে হয় চাকর-বাকরদের সাথে। এভাবে প্রতিদিন সে আমার উপর অন্যায়-অত্যাচার করে চলেছে। আমি আর কিছুতেই সহ্য করতে রাজি নই অলিভারের এ অন্যায়।
অ্যাডাম নিজেই এ সব অন্যায়ের সাক্ষী। তাই অরল্যান্ডোর কথায় ঘাড় নেড়ে সায় দিল সে। অলিভার বলল, “অ্যাই অরল্যান্ডো! কাজ-কর্ম বাদ দিয়ে সকালবেলা এই বাগানে বসে আড্ডা দিচ্ছিস”
গলাটা সামান্য চড়িয়ে বলল অরল্যান্ডো, ‘তা কী আর করব! আমায় তো কোনও কাজ-কর্ম শেখানো হয়নি, তাই কিছু করছি না’।
অরল্যান্ডোকে ধমকে বলে উঠল অলিভার, ‘তাই নাকি? আজকাল দেখছি তোর বড্ড বাড় বেড়েছে। কার সাথে কথা বলছিস তা খেয়াল আছে?’
‘কেন? আমি কথা বলছি আমার বড়ো ভাই অলিভারের সাথে’, জবাব দিল অরল্যান্ডো, একই রক্ত বইছে আমাদের শিরায়’।
‘তবে রে! তোর এত দূর সাহস!’ বলে তার দিকে তেড়ে এল অলিভার।

একটুও ঘাবড়ে না গিয়ে অরল্যান্ডো বলল, ‘মুখ সামলে কথা বলবি অলিভার। এদিক দিয়েমতুই আমার চেয়ে অনেক ছোটো’।
অলিভার উত্তেজিত হয়ে বলল, ‘শয়তান, তুই আমায় মারের ভয় দেখাচ্ছিস!’
অরল্যান্ডো জবাব দিল, ‘শয়তান আমি না তুই নিজে? নেহাত তুই আমার বড়ো ভাই, নইলে তোর জিভ টেনে ছিড়ে ফেলে দিতাম’।
দু-ভাইয়ের মাঝে মারামারি বেধে যাবার উপক্রম। তখন তাদের থামাতে এসে অ্যাডাম বলল, ছিঃ! ছিঃ! কী করছেন আপনারা? বড়ো কর্তা মারা যেতে না যেতেই নিজেদের মধ্যে মারামারি শুরু করেছেন? আপনাদের প্রয়াত পিতার কথা মনে রেখে নিজেদের বিভেদ ভুলে যান।
এরই মধ্যেই মারামারি চলতে লাগল। এক সময় অরল্যান্ডো তার চেয়ে দুর্বল দাদা অলিভারের গলা টিপে ধরল।
যন্ত্রণায় চিৎকার করে বলল অলিভার, ওরে অরল্যান্ডো! ভালো চাস তো ছেড়ে দে আমার গলা। ভীষণ লাগছে আমার।
আমার কথা না শোনা পর্যস্ত আমি তোমায় ছাড়ব না, জবাব দিল অরল্যান্ডো, বাবা তার উইলে আমায় মানুষ করার দায়িত্ব দিয়ে গেছেন তোমার উপর। সে দায়িত্ব কতটুকু পালন করেছ তুমি? হয় তুমি নিজের দায়িত্ব পালন কর নতুবা বাবা আমার জন্য যা টাকা রেখে দিয়েছেন তা আমায় দিয়ে দাও। নিজের ভাগ্যকে সাথে নিয়ে চলে যাব আমি ।
গর্জে উঠে অলিভার বলল, বাবার উইল অনুযারী তোমার কিছু পাওনা থাকলে তবে তো পাবে! আর এতই যদি নিজের পাওনা-গণ্ডা বুঝতে শিখেছ, তাহলে নিজের ভার নিজেই নিয়ে নাও। আজ থেকে তোমায় খাওয়াবার দায়িত্ব আমি ছেড়ে দিলাম। তুমি এখনই আমার সামনে থেকে দূর হয়ে যেখানে খুশি চলে যাও। এরপর অ্যাডামের দিকে সে তাকিয়ে বলল, আর, হ্যা অ্যাডাম, তোর মতো আপদকে পুষতে চাই না আমি । হারামজাদা! তুইও দূর হয়ে যা অরল্যান্ডোর সাথে সাথে।
জলভরা দু-চোখে অলিভারের দিকে তাকিরে বলল অ্যাডাম, বাহ অলিভার, কি সুন্দর কথা বলতে শিখেছ তুমি? তোমর স্বর্গবাসী পিতা, আমার মনিবও কখনও এভাবে কথা বলেননি আমার সাথে। বেশ আমি যাচ্ছি। ঈশ্বর তোমার পিতার আত্মাকে শান্তি দিন।

As you like it - William Shakespeare - Bangla Translation - Part 2 - অ্যাজ ইউ লাইক ইট -
 বাংলা - পর্ব ২
----------------------
দু-ভাইয়ের মাঝে মারামারি বেধে যাবার আগেই অরল্যান্ডোকে টেনে বাইরে নিয়ে এল অ্যাডাম। ঠিক এমন সময় সেখানে এসে হাজির হল কুস্তিগীর চার্লস। সে অলিভারকে বলল, কী ব্যাপার স্যার অলিভার! শুনলাম আপনার ছোটো ভাই নাকি আজ আমার সাথে কুস্তি লড়তে আসবেন? শুনেই তো ভয়ে আমার বুক কাপছে। তাই তো ছুটে এলাম আপনার কাছে। আপনি তো জানেন কেউ আমার সাথে কুস্তি লড়তে এলে আমি মেরে তার হাড়গোড় ভেঙে দিই। আপনার ভাই এলেও আমি কিন্তু তাকে ছেড়ে কথা কইব না। কারণ কুস্তিই আমার পেশা! এ পেশায় জয়ী হওয়াটাই বড়ো কথা। এ পেশায় টিকে থাকতে হলে লড়াইয়ে আমায় জিততেই হবে, নইলে না খেতে পেয়ে মারা যাব। এসব কথা ভেবেই আমি ছুটে এসেছি আপনার কাছে। আপনার ভাইকে যদি বাচাতে চান, তাহলে আমার সাথে লড়াই থেকে বিরত করুন তাকে। নইলে উনি প্রাণে বাচবেন না একথা আগেই বলে দিলাম আপনাকে।
অলিভার বললেন, তুমি এসে ভালোই করেছ চার্লস, নইলে খবরটা পেতাম না আমি। আমার ভাইয়ের কথা আর বলো না তুমি। ও যেমন আমার অবাধ্য, তেমনি বজ্জাত আর একগুঁয়ে। ওর জন্যে কোনও মায়া-দয়া নেই আমার। ইচ্ছে করলে কুস্তির সময় তুমি ওর হাত-পা ভেঙে পঙ্গু বানিয়ে দিতে পার ওকে, এমনকি মেরেও ফেলতে পার। তুমি কিছু মনে করো না, আমি ঠান্ডা মাথায় এ কথা বলছি। বেশ, এই কথা রইল, তুমি কুস্তির প্যাচে ওকে মেরে ফেলবে আর আমিও দু-হাত ভরে বকশিশ দেব তোমাকে। হারামজাদা অরল্যান্ডোর সাহস দেখ! ও কিনা লড়তে চায় তোমার মতো কুস্তিগীরের সাথে? তুমি জন্মের মতো ওর লড়াইয়ের সাধটা মিটিয়ে দাও। তুমি আমায় দেখলে আমিও দেখব তোমাকে।

চার্লস রাজি হয়ে গেল অলিভারের প্রস্তাবে। স্থির হল, কুস্তির প্যাচে চার্লস মেরে ফেলবে অরল্যান্ডোকে, তারপর দু-হাত ভরে বকশিশ নেবে অলিভারের কাছ থেকে।
চার্লস চলে যাবার পর নিজের মনে আক্ষেপ করে বলে উঠল অলিভার, আমার কাছে অরল্যান্ডো একটা জানোয়ার বই আর কিছু নয়। ওকে ঘেন্না করি আমি। অথচ অন্য সবাই ওকে ভীষণ ভালোবাসে। ওর মার্জিত কথা-বার্তা আর বিনয়ী আচরণ দেখে সবাই ভাবে ও খুব শিক্ষিত। এর ফলে দিন দিন সবার চোখে ছোটো হয়ে যাচ্ছি আমি। কিন্তু অরল্যান্ডোর চালাকি আর বেশিদিন চলবে না। এবার হতভাগা শেষ হয়ে যাবে চার্লসের হাতে।
নিদিষ্ট সময়ে শুরু হয়ে গেল কুস্তি। চার্লসের সাথে কুস্তি লড়তে একে একে মঞ্চে উঠে এল বুড়ো চাষির তিন জোয়ান ছেলে। দৈহিক শক্তি তাদের যথেষ্ট থাকলেও পেশাদার কুস্তিগীরের সাথে লড়তে গেলে যে কৌশলের দরকার তা তাদের কারও ছিল না। ফলে তারা তিনজনই হেরে গেল চার্লসের কাছে। কুস্তিতে হারিয়ে দেবার পর অন্য সবার যা ব্যবস্থা করে চালস, এবারও তাই করল। ওদের পাঁজরের দু-তিনটি করে হাড় সে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল। অসহায় বুড়ো আর কী করে!
কোনও মতে তিন ছেলেকে কাধে বয়ে নিয়ে কাদতে কাদতে বাড়ি ফিরে গেল। চার্লসের সাথে বুড়ো চাষির তিন ছেলের একই জায়গায় পরপর লড়াই হবার পর মঞ্চের জায়গাটা খারাপ হয়ে গেছে। ডিউক অলিভার তাই নির্দেশ দিলেন এবার লড়াইটা হবে তার প্রাসাদের সামনের ময়দানে । পরবর্তী কুস্তির লড়াই দেখতে এবার উৎসাহী দর্শকেরা একে একে এসে ডিউকের প্রাসাদের সামনে ভিড় জমাল। তখন রোজালিন্ড আর সিলিয়া ঘুরে বেড়াচ্ছিল সে বনে। রাজপ্রাসাদের আরাম-আয়াসের মাঝে কাটালেও এতটুকু শান্তি নেই রোজালিন্ডের মনে। তার মন তখনই বিষগ্ন হয়ে ওঠে যখন সে ভাবে কত কষ্টের মাঝে আর্ডেনের বনে দিন কাটাচ্ছেন তার বাবা। সবসময় রোজালিন্ডের এই বিষণ্ণ কালো মুখ দেখে একটুও ভালো লাগে না সিলিয়ার। তার বাবা ফ্রেডারিক যে অন্যায়ভাবে রোজালিন্ডের বাবার রাজ্য কেড়ে নিয়েছে, সে কথা সে জানে। আর এও জানে তারই বাবার জন্য আজ আর্ডেনের বনে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন রোজালিন্ডের বাবা। রোভালিন্ডকে সব সময় আনন্দ এবং খুশির মধ্যে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে সে, তবুও কেন যেন হাসি নেই রোজালিন্ডের মুখে। ভেবে ভেবেও এর কারণ খুঁজে পায় না সিলিয়া।

একদিন সে মুখ ফুটে বলেই ফেলল, তুমি আমায় মোটেও ভালোবাস না রোজালিন্ড। তোমার জায়গায় আমি হলে কিন্তু এভাবে মুখ কালো করে বসে থাকতাম না। তোমার বাবা যদি আমার বাবাকে রাজ্যছাড়াও করতেন, তবু আমি নিজের বাবার মতো মনে করতাম তোমার বাবাকে।
জোর করে মুখে হাসি এনে রোজালিন্ড বলল, বেশ তো, এই কথা! এবার থেকে বাবার কথা ভুলে গিয়ে দিনরাত তোমার সাথে হেসে হেসে কথা বলব, তাহলে হবে তো?
নিজেকে সামলে নিয়ে আস্তে আস্তে বলল সিলিয়া, “তুমি আমার ভূল বুঝো না রোজালিন্ড। তুমি তো জান আমি বাবার একমাত্র সস্তান। তার অবর্তমানে সব সম্পত্তির মালিক হব অমি। আমি কথা দিচ্ছি তোমার বাবার কাছ থেকে অন্যায়ভাবে কেড়ে নেওয়া সম্পত্তি তখন আমি ফেরত দেব। দোহাই তোমার! একটু হাসো। এভাবে মুখ কালো করে বসে থেক না।”
হেসে বলল রোজালিন্ড, “দেখো সিলিয়া! ভালোবাসার খেলা খেলে একটু মজা করে দেখলে হয় না?”
কপট শাসনের ভান করে চোখ পাকিয়ে বলল সিলিয়া, “তবে রে মেয়ে! মনে মনে এসব ফন্দি আঁটা হচ্ছে? চারপাশটা একবার দেখে নিয়ে চুপি চুপি বলল, “মজা করলে তো ভালোই হয়! দেখো, প্রেমের খেলা খেলতে সেটা যেন শেষে আবার সত্যি হয়ে না দাড়ায়।
সায় দিয়ে রোজালিন্ড বলল, হ্যা, সেটা তো একটা ভাববার বিষয়।
এমন সময় সেখানে এসে হাজির হলেন লাবো নামে ডিউক ফ্রেডারিকের এক পারিষদ। তিনি সরাসরি রোজালিন্ড আর সিলিয়াকে উদ্দেশ্য করে বললেন, “তোমরা এখানে বসে আছ? খানিক আগে একটা সুন্দর কুস্তির লড়াই হয়ে গেল তা দেখলে না তোমরা? আমাদের কুস্তিগীর চার্লসের সাথে লড়তে এসেছিল এক ব্যাটা বুড়োর তিন জোয়ান ছেলে। চার্লসের কুস্তির প্যাঁচে ওদের তিনজনেরই বুকের হাড় ভেঙে গেছে। ওদের কাধে নিয়ে বুড়ো বাপটা কাদতে কাদতে বাড়ি ফিরে গেছে। এখন এই ময়দানে শুরু হবে কুস্তির আসল খেলা।”
ধীরে ধীরে এগিয়ে এল দ্বিতীয় লড়াইয়ের সময়। সপারিষদ ডিউক ফ্রেডারিকও হাজির হয়েছেন সেখানে। সিলিয়াকে দেখে তিনি বললেন, “এবার চার্লসের সাথে যার লড়াই হবে সে একটা কমবয়সি ছেলে। সবাই তাকে নিষেধ করেছে চার্লসের সাথে লড়তে। কিন্তু সে কারও কথা শুনছে না- বলতে বলতে অন্যদিকে চলে গেলেন ডিউক। এবার সিলিয়ার অনুরোধে লাবো গিয়ে নিয়ে এলেন চার্লস-এর তরুণ প্রতিদ্বন্দ্বীকে। রোজালিন্ড তাকে জিজ্ঞেস করল, “তাহলে তুমিই লড়তে চাও চার্লসের সাথে?”
বিনীতভাবে জবাব দিল অরল্যান্ডো, রাজকন্যা! আমি একজন প্রতিদ্বন্দ্বী। শুধু নিজের শক্তি পরীক্ষার আশায় আমি সাড়া দিয়েছি ওর আহবানে।
সিলিয়া বলল, তুমি কি জানো, এটা তোমার নিছক হঠকারিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ চার্লস-এর সাথে লড়াইয়ে আজ পর্যস্ত কেউ জেতেনি, প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে ও তার হাড়-পাঁজরা ভেঙে দিয়েছে। তোমার অল্প বয়স, ওর সাথে লড়তে গিয়ে যদি তোমার মৃত্যু হয় তাহলে সেটা খুব দুঃখের ব্যাপার হবে। এখনও বলি, ওর সঙ্গে লড়াইয়ের আশা ত্যাগ কর।
অরল্যান্ডো বলল, আপনাদের ভয় যে নিছক অমূলক নয় তা আমি জানি রাজকন্যা। কিন্তু এখন আর ফেরার রাস্তা নেই। আমি মারা গেলেও কোনও দুঃখ নেই, কারণ আমার জন্য কাঁদবার কেউ নেই।
“হায়! আমার সবটুকু শুভেচ্ছা দিয়ে যদি তোমায় আটকে রাখতে পারতাম!” বলল রোজালিন্ড।
“আমারও সেই মত”, সায় দিয়ে বলল সিলিয়া, “ক্ষমতা থাকলে আমার সবটুকু শুভেচ্ছা দিয়ে বেঁধে রাখতাম তোমায়।”
লড়াইয়ের ঘন্টা বেজে উঠতেই চার্লস মঞ্চে উঠে অভিবাদন জানাল ডিউককে।
ডিউক বললেন, “চার্লস, তুমি মাত্র এক রাউন্ড খেলবে। মনে রেখ, প্রতিদ্বন্দ্বী মাটিতে পড়ে যাবার পর তুমি আর তাকে  ছোবে না।”
 “আপনার আদেশ শিরোধার্য”, বলল চার্লস, “এক রাউন্ডই আমার পক্ষে যথেষ্ট। প্রতিদ্বন্দ্বী একবার আছাড় খেয়ে পড়ে গেলে সে আর উঠে দাড়াতে পারবে না।”
এবার অন্যদিক দিয়ে মঞ্চে এগিয়ে এল অরল্যান্ডো। ডিউককে অভিবাদন জানিয়ে এগিয়ে গেল চার্লসের দিকে। শুরু হয়ে গেল দুজনের লড়াই। সবাই ধরেই নিয়েছিল সামান্য কিছুক্ষণের মধ্যেই চার্লস তার প্রতিদ্বন্দ্বীকে মাটিতে আছড়ে ফেলে তার হাড়গোড় ভেঙে দেবে। খানিক বাদেই ডিউক চেঁচিয়ে বলে উঠলেন, “আর নয়, এবার লড়াই থামাও”।
এদিকে অরল্যান্ডোর প্যাঁচে মাটিতে আছাড় খেয়ে চার্লসের অবস্থা তখন শোচনীয়। কয়েকজন লোক এসে ধরাধরি করে নিয়ে গেল তাকে। অরল্যান্ডোর দিকে তাকিয়ে ডিউক বললেন, “কী নাম তোমার?”
অরল্যান্ডো জবাব দিল, “স্যার রোল্যাল্ড ডি’বয়ের ছোটো ছেলে আমি-নাম অরল্যান্ডো।”
তার কথা শুনে ভ্রু কুচকে গম্ভীর স্বরে ডিউক বললেন, তোমার বাবাকে সবাই খুব ভালোবাসত,  শ্রদ্ধা ভক্তি করত-যদিও তিনি আজও আমার শক্র। যাই হোক, তুমি ভালোই লড়াই করেছ। তুমি একজন বীর। ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করুন।”
(বাকি পর্ব গুলো পরবর্তীতে দেওয়া হবে)

Saturday, September 14, 2024

Auto Paragraph

Auto paragraph

Facebook/Computer/Mobile phone/Internet/Television

 (এই গুলার যে কোন একটা..........  দেওয়া জায়গা গুলাতে বসাতে হবে )

..............is one of the greatest invention of modern science. It has made our life easy and comfortable. We use it in our daily life. We cannot think of our day without.......... . We can communicate with anyone of anywhere of the world by using.......... . It has made the word smaller. We can share our feelings, liking and disliking’s with others using............. . Nowadays.........  has become a great medium of learning. People  can learn many things using........   sitting at home. It is a great source of entertainment also. We can watch videos music news sports etc through..........  .we need not to go to stadium. Inspire of having so many good sides it has some bad sides also. It is harmful for our body. Sometimes students become addicted to it. At last it can be said that..........  is a blessing for us and we all should use it properly.


paragraph on Bangladesh.

 A Paragraph On My Country- Bangladesh

The name of our country is the People’s Republic of Bangladesh. It is one of the most beautiful countries in the world. Our country was a part of Pakistan before 1971. Then we freed our country and achieved victory after nine month’s liberation war. 3 million people sacrificed their lives in the liberation war in 1971. Our independence day is 26th March and Victory day is 16th December. The national language of our country is Bangla. It is also a matter of great pride for us that we are the only nation that sacrificed their lives for the sake of their mother tongue on 21st February of 1952. In order to show respect to them, UNESCO has declared 21st February as International Mother Language Day. The name of the capital of Bangladesh is Dhaka. It is the busiest and populated city in our country. The total population is 16 crore. The total area of our country is 1,47,570 square km. Our country is a river-oriented country. The main rivers of our country are Padma, Jamuna, Meghna. But due to pollution and river pollution, all of these rivers have shrunk. People of all religions live peacefully in this country but most of them are Muslim. The famous places for tourist’s visit to our country are Sundarban, Cox’sBazar, St Martin, Kuakata. Sundarban is the largest Mangrove forest in the world. Cox’s Bazar has the longest sea beach. The main occasion that people celebrate is Eid Ul Fitr, Eid Ul Adha, Pahela Baishakh, etc. Bangladesh is a developing country. The economics of this country is mainly based on agriculture. The main crops that this country produces are rice, jute, tea, fruit, etc. The country also earns a large amount of foreign remittance by exporting RMG and Manpower. The main food that the inhabitant of this country eat is rice and fish. Hilsha is the national fish and Doyel is the national bird of our country. The national beast of the country is the Royal Bengal Tiger. The national bird of our country is Magpie and the national flower is Water Lily. Hadudu is the national game of our country but Cricket is the most popular game. People of this country know how to live happily and peacefully within poverty and national hazards.

Bangladesh paragraph

Paragraph On My Country

My country’s name is Bangladesh. It is situated in eastern South Asia and is bordered by the Bay of Bengal in the south, India, and Myanmar to the east, and just India to the west. Its general area is 147,570 square kilometers, including waterways. It achieved independence after a brutal liberation fight. Approximately three million men and women gave their lives for the cause of independence. After attaining independence, the newborn nation went through many difficult times and challenges. However, it rises nicely. Bangladesh is now one of the greatest places to live in South Asia. There are so many beautiful places to see in our nation.

Bangladesh is a tiny nation. However, it has a huge population. This little country is populated by around 120 million people. Here, the population density is high. About 800 people reside in a square kilometer. Bangladesh is predominantly an agricultural nation, with the majority of its population being farmers. However, it remains a very beautiful and peaceful nation. People in Bangladesh are exceedingly kind to one another.

It is one of the world’s most beautiful nations, with its lush green landscapes and plenty of trees and flora. Cox’s Bazaar is the longest sea beach in the world. The Sundarban is one of the world’s largest mangrove forests and a tremendous source of beauty. There you may locate Royal Bengal Tiger. I love my nation a great deal. I was blessed to be born here.

Tuesday, September 10, 2024

রিজাইন ভাইভা

সময় টা ২০০৯,

আমি সেসময় কাজ করি এশিয়ান পেইন্টস লিঃ  এ খুলনা টেরিটোরি সেলস ইনচার্জ হিসাবে। জব চেঞ্জ করব বলে জব ছাড়লাম। রিজাইন লেটার জমা দিলাম। ফিনান্সিয়াল হিসাব আর চার্জ বুঝিয়ে দেয়া সহ  অন্যান্য ফর্মালিটিও মোটামুটি শেষ। শেষ দিন আমাকে হঠাৎই ডাকা হল হেড অফিসের এইচ আর এ।

গেলাম... 

সেখানে ছিলেন এইচ আর হেড আর সাথে কোম্পানীর কান্ট্রি চিফ। উনি ছিলেন ইন্ডিয়ান। আমাকে হাসিমুখেই  বসতে বললেন। খোলাখুলিভাবে বললেন আপনার একটা ইন্টারভিউ বাকী আছে। আমি মোটামুটি অবাক, আবার ভীতও... 

আমাকে সাহস দিতে বললেন এটা জব এক্সিট ইন্টারভিউ।  আপনি যেদিন চাকরীর জন্য এসেছিলেন সেদিন একটা ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন, আর আজ যাবার বেলায় আর একবার..... আমার কাছে কন্সেপ্ট টা ছিল একেবারে নতুন। আমাকে আরো সাহস দিতে তারা যেটা বললেন তার মর্মার্থ হল - একজন এপ্লয়ী যখন চলে যান জব কুইট করে, তখন তার অনুভূতি জানতে চাওয়াই এই ইন্টারভিউ এর উদ্দেশ্য!  কেমন ছিল এখানের পরিবেশ, কাজের দিনগুলোতে পাওয়া সহযোগীতা  এবং অসহযোগীতা,  কোনো অভিযোগ,  ক্ষোভ বা অপ্রাপ্তি, আবার ভবিষ্যতে কখনো আসার ইচ্ছা থাকবে কিনা, অথবা অন্যদের-ও এখানে কাজের কথা শুনলে উৎসাহিত করব কিনা -   এসব শোনা হল আমার কাছে, আর ফাইনালী শোনা হল কোন পরামর্শ অথবা একজন কর্মী হিসাবে আমার কোনো পরামর্শ থাকলে তা যেন আমি শেয়ার করি যাতে এই পজিশন এ এরপর যিনি আসবেন তার কাজের পরিবেশ আরো সুন্দর হয়। 

আমি সেদিন বিস্মিত হয়ে গেছিলাম। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি হিসাবে তাদের কাজের সুযোগ সুবিধা আমার কাছে সবসময়ই ভাল ছিল, কিন্তু একটা গোছানো এইচ আর পলিসির কর্মপরিকল্পনা বা কর্মী মূল্যায়ন  এতোটা আকর্ষণীয় হতে পারে আমার কল্পনায় ছিলনা। 

অনেকগুলো বছর কেটে গেছে, সেদিন আমি এক্সিট ইন্টারভিউ এর গুরুত্ব টা ততোটা বুঝতে না পারলেও ঘটনা টা আমার মনে এতোটাই দাগ ফেলেছিল আমি এতগুলো বছরেও ভুলতেই পারিনা এক্সিট ইন্টারভিউ নামে একজন কর্মীর বিদায় বেলার ওই অভিজ্ঞতা। 

প্রতিটা প্রতিষ্ঠান ইভেন জীবন থেকে চলে যাওয়া বা বিদায় নেয়া  প্রতিটা  মানুষের সাথে যদি এরকম এক্সিট ইন্টারভিউ এর ব্যাবস্থা থাকতো, তাহলে বোধহয় দুপাক্ষিক মূল্যায়ন টা অনেক ভাল হতো...

X Ray এ-র কাহিনি

এটি সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে বিখ্যাত ছবি। কেন জানেন? কারণ এই ছবিটি তার ফটোগ্রাফারকে এনে দিয়েছিল নোবেল পুরস্কার!
হ্যাঁ কারণ এটি পৃথিবীর প্রথম এক্স-রে ছবি। ছবিটি তুলেছিলেন ১৮৯৫ সালে, উইলহেম রন্টজেন। যাঁকে তার এই অসাধারণ আবিষ্কারটির জন্যে ১৯০১ সালে বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়। চিকিৎসাশাস্ত্রে এই আবিষ্কারের মূল্য উপলব্ধি করতে পেরেই রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে যান এই বিজ্ঞানী।
মজার কথা হলো, এই প্রথম ছবিটিতে তিনি তুলেছিলেন তাঁর স্ত্রী বার্থার হাতের। দেখুন ছবিতে মহিলার হাতের আঙুলে বিয়ের আংটিটা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। রন্টজেন সাহেব নিজেও জানতেন না যে এই অদৃশ্য রস্মিটি আসলে কী, যা কিনা মানুষের শরীর ভেদ করে হাড়ের ছাপ এঁকে দিতে সক্ষম হয় পর্দায়। তাই তিনি এই অজানা রস্মির নাম দিয়েছিলেন - "X"। যা গাণিতে অজানা কিছুকে বোঝায়। সেই থেকেই আজকে আমাদের সকলের অতি পরিচিত নামটি এসেছে - X- Ray!