বিশ্বাস রাখুন নিজের উপরঃ—
পাড়ার সবচেয়ে কালো ছেলেটি, যে কি না মাঝে মাঝেই নিজের ঘরে মুখ লুকিয়ে কাঁদতো, তাকে আজ একটি সুন্দর ফুটফুটে আপুর পাশে দেখা যায় ।তারা আজ বিয়ে করেছেন ।
ক্লাসের শেষ রোলের ছেলেটি— যে কি না প্রায়ই বিরক্ত হয়ে বই ছিঁড়ে পুড়িয়ে ফেলতো, তাকেই আজ দেখা যায় পাজেরোতে চেপে অফিস যেতে।
হ্যাঁ, সে আজ দেশের বিখ্যাত একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার ।
রাগের কারণে যে ছেলেটি ছিল সবচেয়ে বিখ্যাত, পাড়ার যেকোন গন্ডগোলে যেই ছেলেটিকে ছুঁড়ি হাতে দৌঁড়াদৌঁড়ি করতে দেখা যেত, সেই আজ মাথা ঠান্ডা রেখে পরিচালনা করে পুরো একটি ব্রিগেড ফোর্স । কাঁধভর্তি চকচকে স্টার আর জাতীয় প্রতীক শাপলা ।
সে আজ সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তা ।
যে ছেলেটি এক ফোঁটা রক্ত দেখলেই মাথা ঘুরে পড়ে যেত, সেই আজ অপারেশন থিয়েটারে রক্ত নিয়ে হাত মাখামাখি করে ফেলে ।
হ্যাঁ, সে আজ দেশের নামকরা একজন ডাক্তার ।
সবকিছুই বদলে যায় । বদলে যায় সমাজ, মানুষ আর মানুষের জীবন । শুধু দরকার একটু ধৈর্যের ।
স্কুলের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েটার কাছে ছ্যাঁকা খেয়ে আজ আপনি আত্মহত্যা করতে দৌঁড়াচ্ছেন, অথচ আপনি জানেনই না সৃষ্টিকর্তা আপনার জন্য ক্লাসের নয়, পুরো স্কুলের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েটাকে সৃষ্টি করে রেখেছেন ।
ক্লাস টেস্টে ফেল করে আপনি পড়ালেখাই বাদ দিতে চাইলেন, অথচ ভবিষ্যতে মেডিকেলের গেটটি আপনার পদধূলির জন্য উন্মুখ হয়ে অপেক্ষা করছে ।
ছোটখাটো ব্যর্থতা সবার জীবনেই থাকে, থাকবে । এই ব্যর্থতায় হতাশ হলে চলবে না । তাহলে দুঃখী মুখটাতে কখনোই হাসির ঝিলিক দেখা যাবে না ।
সবকিছুই একসময় বদলে যাবে । আপনার হতাশাও একসময় রুপ নেবে প্রাণোচ্ছ্বল হাসিতে ।
কিন্তু দরকার একটু ধৈর্য । হতাশার সময়টিতে শুধু এই একটি জিনিসই বদলে দিতে পারে আপনার পুরো জীবনকে । তাই মানসিকভাবে ভেঙ্গে না পড়ে একটু ধৈর্য ধরুন ।
সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস রাখুন, বিশ্বাস রাখুন নিজের উপর । বিশ্বাস রাখুন এই কথাটির উপর—
হ্যাঁ, আমি পারবই।
No comments:
Post a Comment