একাধিক পদ বা উপবাক্যকে একটি শব্দে প্রকাশ করা হলে, তাকে বাক্য সংকোচন, বাক্য সংক্ষেপণ বা এক কথায় প্রকাশ বলে ।
অর্থাৎ একটিমাত্র শব্দ দিয়ে যখন একাধিক পদ বা একটি বাক্যাংশের (উপবাক্য) অর্থ প্রকাশ করা হয়, তখন তাকে বাক্য সংকোচন বলে ।
যেমন- হীরক দেশের রাজা- হীরকরাজ
এখানে হীরকরাজ- শব্দের মাধ্যমে হীরক দেশের রাজা- এই তিনটি পদের অর্থই সার্থকভাবে প্রকাশ পেয়েছে । এই তিনটি পদ একত্রে একটি বাক্যাংশ বা উপবাক্যও বটে । অর্থাৎ, হীরক দেশের রাজা - তিনটি পদ বা বাক্যাংশটির বাক্য সংকোচন হল- হীরকরাজ ।
চোখ সম্পর্কিত
অক্ষির সমীপে = সমক্ষ
অক্ষির অভিমুখে = প্রত্যক্ষ
অক্ষির অগোচরে = পরক্ষ
চোখের কোণ = অপাঙ্গ
অক্ষি পত্রের লোম (চোখের লোম) = অক্ষিপক্ষ্ম
চক্ষুর সামনে সংঘটিত = চাক্ষুষ
চোখে দেখা যায় এমন = চক্ষুগোচর
চোখের নিমেষ না ফেলিয়া = অনিমেষ
পুণ্ডরীক্ষের (পদ্ম) ন্যায় অক্ষি যার = পুণ্ডরীকাক্ষ
বছর পূর্তি
পঁচিশ বছর পূর্ণ হওয়ার উৎসব = রজত জয়ন্তী
পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হওয়ার উৎসব = সুবর্ণ জয়ন্তী
ষাট বছর পূর্ণ হওয়ার উৎসব = হীরক জয়ন্তী
একশত পঞ্চাশ বছর = সার্ধশতবর্ষ
প্রতি সপ্তাহে তিন দিন = বারত্রয়িক
ইচ্ছা সম্পর্কিত
জানবার ইচ্ছা = জিঞ্জাসা
সৃষ্টি করার ইচ্ছা = সিসৃক্ষা
দেখবার ইচ্ছা = দিদৃক্ষা
সেবা করার ইচ্ছা = শুশ্রূষা
লাভ করার ইচ্ছা = লিপ্সা
পাওয়ার ইচ্ছা = ঈপ্সা
পান করার ইচ্ছা = পিপাসা
নিন্দা করার ইচ্ছা = জুগুপ্সা
হনন করবার ইচ্ছা = জিঘাংসা
জয় করার ইচ্ছা = জিগীষা
বিজয় লাভের ইচ্ছা=বিজিগীষা
বেঁচে থাকার ইচ্ছা = জিজীবিষা
গমন করার ইচ্ছা = জিগমিষা
ত্রাণ লাভ করার ইচ্ছা = তিতীর্ষা
করার ইচ্ছা = চিকীর্ষা
ক্ষমা করার ইচ্ছা = চিক্ষমিষা/তিতিক্ষা
ডাক
সিংহের নাদ/ডাক = হুঙ্কার
বাঘের ডাক = গর্জন।
রাজহাসের কর্কশ ডাক = ক্রেঙ্কার
ময়ূরের ডাক = কেকা
হাতির ডাক = বৃংহণ / বৃংহতি
কুকুরের ডাক = বুক্কন
অশ্বের ডাক = হ্রেষা
গাধার ডাক = রাসভ
মোরগের ডাক = শকুনিবাদ
পেঁচা বা উলূকের ডাক = ঘূৎকার
বিহঙ্গের ডাক/ধ্বনি=কূজন/কাকলি
ধ্বনি/শব্দ
ধনুকের ধ্বনি = টঙ্কার
ভ্রমরের শব্দ = গুঞ্জন
সমুদ্রের ঢেউ = ঊর্মি
সুমদ্রের ঢেউয়ের শব্দ = কল্লোল
অসির শব্দ = ঝঞ্জনা
নূপুরের ধ্বনি = নিক্বণ
অলঙ্কারের ধ্বনি = শিঞ্জন
গম্ভীর ধ্বনি=মন্দ্র
আনন্দজনক ধ্বনি = নন্দিঘোষ
মেঘের ধ্বনি = জীমূতমন্ত্র
অতি উচ্চ ধ্বনি = মহানাদ
তোপের ধ্বনি = গুড়ুম
কঠিন
যাহা সহজে লঙ্ঘন করা যায় না = দুলঙ্ঘ্য
যাহা সহজে উত্তীর্ণ হওয়া যায় না = দুস্তর
যা শুনলে দুঃখ দূর হয় = দুঃশ্রব
প্রাণী সম্পর্কিত
বাঘের চর্ম = কৃত্তি
হরিণের চর্ম = অজিন
হাতির শাবক = করভ
সাপের খোলস = নির্মোক, কঞ্চুক
ভূজের সাহায্যে চলে যে = ভুজগ, ভুজঙ্গ (সাপ); পা দিয়ে চলে না যে = পন্নগ (সাপ); উরস দিয়ে হাঁটে যে = উরগ (সাপ)।
যা বুকে হাঁটে = সরীসৃপ।
লাফিয়ে চলে যে = প্লবগ (ব্যাঙ, বানর)
ত্বরিত গমন করতে পারে যে = তুরগ (ঘোড়া)
বিহায়সে (আকাশে) বিচরণ করে যে = বিহগ, বিহঙ্গ
(সংগৃহিত)
No comments:
Post a Comment