"আগামীকাল আপনি মৃত্যুবরণ করবেন, খবরটি পেলে কি করবেন?"- একটা ভাইভা বোর্ডের প্রশ্ন ছিল।
জবাবে বলেছিল..
"বেছে বেছে আমার শত্রুদের সাথে সাক্ষাত করব।"
জবাব শুনে ভাইভা বোর্ডের লোক অবাক হয়ে ব্যাখ্যা চাইলেন।
কারন হিসেবে বলেছিল
"যারা আমার আপন মানুষ তাদের সাথে আর মায়া বাড়ানোর মানে হয় না, এতে তাদের আর আমার কষ্ট বাড়বে। বরং আমার প্রতি যাদের ক্ষোভ তাদের সাথে একটু ভালো সম্পর্ক করে গেলে তারাও হয়তো আমার জন্য শুভ কামনা করবে।"
জ্বি, ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার সব কাজ যেন আপনদের জন্য না হয়, কিছু কাজ শত্রুর কথা ভেবেও করবেন, তাতে আপনারই লাভ হবে।
যে লোকটা আপনার লেখায় বানান ভুল ধরে সে লোকটা আপনার লেখার প্রশংসাকারীর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
তাকে আনফ্রেন্ড না করলে লাভ আপনারই। তার ভয়ে সঠিক বানান লিখুন।
প্রতিটা অর্জনের পেছনে শত্রু থাকলে সেটার দ্রুত ফিডব্যাক পাওয়া যায়, তবে সেটা কঠিনও বটে।
তবে মনে রাখবেন আপনার শত্রুরা আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ তাই তাদেরকে ভালোবাসুন।
একটা মানুষ যখন আপনাকে গালি দেয় তখন সে গালির মেসেজটা সেন্ড করেই আপনার কাছ থেকেও একটা গালি শোনার অপেক্ষা করে।
আপনি গালি দিয়ে দিলেন তো শেষ, ব্যাপারটা
নোংরা হলে সে সফল হলো। আর যদি গালির জবাবে হাসি মুখে তার জন্য দোয়া সেন্ড করেন আপনার সম্পর্কে সে ভিন্নভাবে ভাববে, বিশ্বাস করুন সে আপনাকে নতুন করে দেখবে।
ডু সামথিং ডিফরেন্ট।
নিজেকে আবিষ্কার করুন।
সবাইকে ভালোবাসুন, দিন শেষে আপনার শত্রু আপনাকে নিয়ে ভাবতে বসে যাবে।
এটা পরীক্ষিত। প্রত্যেক শত্রুই আপনার জন্য এক একটা সতর্কতা,
কেউ নেতার চাচা বলে পাওয়ার দেখালে সেখানে আপনি নেতার মামা পরিচয় না দিয়ে তাকে সালাম দিয়ে চলে আসুন। আপনি ছোট হবেন-না, বরং বড় হবেন।
সংগৃহীত
No comments:
Post a Comment