Skip to main content

Posts

Showing posts from 2025

চোখ

এইমাত্র যে মেয়েটা তার সর্বনাশা চোখদুটো দিয়ে আমার দিকে অপলক তাকিয়ে রইলো, আমি চাই সে শুধু আমার হোক।  তার পাহাড়প্রমাণ জেদ হোক, শীতের চাদরের মতো মখমলে হোক বা ঝড়ের মতো মর্মান্তিক, তবু সে শুধুমাত্র আমারই হোক,,.. ওর নকশাকাটা জামদানির আঁচল বেয়ে অপেক্ষা নামুক, নাকছাবিতে লেগে থাক আক্ষেপ।  আমি চাই প্রতিটা ভুলের পর মেয়েটা ছুট্টে এসে আছড়ে পড়ুক আমার বুকে, ঠিক যেমন করে এক উদাসীন কালবৈশাখী তোলপাড় করে দেয় কোনো সাজানো বিকেল! মাথা নামিয়ে নালিশ করুক, ফুঁপিয়ে-ফুঁপিয়ে কাজল লেপ্টে একাকার করে দিক জামার দু-পাশ,  তারপর খুব শান্ত হয়ে হাতে হাত রেখে জানতে চাক “আমি না থাকলে ঠিক কতটা এলোমোলো হবে তুমি?” collected from  Mukherjee Nil

কে শিশ দিলো?

একজন অধ্যাপক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নিচ্ছিলেন। ক্লাস শুরু হতেই এক ছাত্র শিস দিয়ে বসল। অধ্যাপক থেমে গিয়ে বললেন: — "কে শিস দিল?" কেউ কোনো উত্তর দিল না। তিনি আবার পাঠ দেওয়া শুরু করলেন। কিছুক্ষণ পর সেই ছাত্র আবার শিস দিল। অধ্যাপক আবার থেমে জিজ্ঞেস করলেন: — "কে শিস দিচ্ছে?" তবুও কেউ উত্তর দিল না। তিনি আবার ক্লাস শুরু করলেন। কিন্তু এবার যখন তৃতীয়বারের মতো শিস এল, তিনি কলম বন্ধ করলেন এবং বই গুটিয়ে বললেন: — "আজকের ক্লাস এখানেই শেষ। তবে আমি তোমাদের একটা গল্প শোনাব।" ক্লাসে নেমে এলো নিস্তব্ধতা, সবাই মনোযোগ দিল। অধ্যাপক বললেন: "এক রাতে ঘুম আসছিল না, অস্থির হয়ে বাসা থেকে বের হয়ে গাড়ি চালিয়ে কোথাও যাচ্ছিলাম। কোনো নির্দিষ্ট গন্তব্য ছিল না। হঠাৎ দেখি এক বৃদ্ধা মহিলা, হাতে ভারী বোঝা নিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। আমি গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, 'মা, কিছু সাহায্য লাগবে কি?' তিনি খুশি হলেন, গাড়িতে উঠলেন। চলতে চলতে বুঝলাম, তিনি আমাকে ভালোভাবেই চেনেন। তিনি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বললেন: — ‘ডক্টর সাহেব, আমার একটা অবৈধ সন্তান আছে, সে আপনার ইউনিভার্সিটিতেই পড়ে। আমি চাই...

গুগল থেকে পিডিএফ বই ডাউনলোডের কৌশল

গুগল থেকে পিডিএফ বই ডাউনলোডের কৌশল   ইন্টারনেটের সহজলভ্যতায় প্রয়োজনীয় প্রায় সব ধরনের তথ্য ও বই এখন গুগলে খুঁজে পাওয়া যায়। তবে প্রায়ই দেখা যায়, বই খুঁজে পেলেও সেটি পিডিএফ ফরম্যাটে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। কিছু সহজ কৌশল অনুসরণ করলে গুগল থেকে পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করা অনেক সহজ হয়। এই কৌশলগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের বই সহজে ডাউনলোড করা যায়, যেমন একাডেমিক বই, গবেষণাভিত্তিক বই, ইতিহাস বিষয়ক বই, জীবনী, উপন্যাস, গল্পের বই, জীবনধর্মী বই, প্রযুক্তি ও সায়েন্স ফিকশন, ধর্মীয় গ্রন্থ, ভাষা শিক্ষার বই, কিশোর সাহিত্য এবং স্ব-উন্নয়নমূলক বই। পিডিএফ বই ডাউনলোড করার সময় অবশ্যই কপিরাইট আইন মেনে চলা এবং ফাইলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। এতে অবৈধ ফাইল ডাউনলোড এবং ম্যালওয়্যারের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।  কীভাবে নির্দিষ্ট বই খুঁজে পাওয়া যায়?    নির্দিষ্ট কোনো বইয়ের পিডিএফ ডাউনলোড করতে চাইলে গুগলের সার্চ বারে বইয়ের নামের সঙ্গে 𝙛𝙞𝙡𝙚𝙩𝙮𝙥𝙚:𝙥𝙙𝙛 যোগ করতে হয়। উদাহরণ হিসেবে, 𝘼𝙩𝙤𝙢𝙞𝙘 𝙃𝙖𝙗𝙞𝙩𝙨 বইটির পিডিএফ খুঁজতে হলে সার্চ বারে লিখতে হবে 𝘼𝙩𝙤𝙢𝙞𝙘 𝙃𝙖𝙗𝙞𝙩...

তোমার জন্য -সাদাত হোসাইন

তোমার জন্য যতটা পথ হেঁটেছি, ততটা পথ হাঁটলে- আমি পৌঁছে যেতে পারতাম জেরুজালেম, আমার প্রিয়তম শহর। তোমার জন্য যতটা রাত কেঁদেছি, ততটা কান্নায় আমি ছুঁয়ে দিতে পারতাম মেঘ, বরষায় ভিজিয়ে দিতে পারতাম তৃষ্ণার্ত সাহারা। যে দহনে রোজ পুড়ে গেছি, তাতে জ্বেলে দিতে পারতাম অজস্র- গনগনে ভিসুভিয়াস। যতটা তৃষ্ণায় গুনে গেছি অপেক্ষার প্রতিটি প্রহর ততটা মেটাতে পারে সাধ্য নেই সাইবেরিয়ার। যতটা ডুবে গেছি রোজ, যতটা উবে গেছি রোজ, যতটা ভেসে গেছি চুপ, যতটা বেহিসেবী ডুব, সবটাই মিশে গেছে ওই। তোমাকে পাওয়া হলে দেখি এই আমি, সেই আমি নই। ~ সাদাত হোসাইন

পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণের মুহূর্তে কি ঘটে

 পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণের মুহূর্তে কি ঘটে, পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের প্রথম ৬০ সেকেন্ডের টাইমটেবিল প্রথম সেকেন্ড (০-১ সেকেন্ড): বোমা ফাটলে একটি তীব্র ঝলক (flash of light) দেখা যায় - এতটাই তীব্র যে চোখ সঙ্গে সঙ্গে পুড়ে যেতে পারে (permanent blindness)। তাপমাত্রা ১০ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত - সূর্যের পৃষ্ঠের চেয়েও বেশি গরম। বিস্ফোরণ কেন্দ্রে (Ground Zero) যা কিছু থাকে সব বাষ্পীভূত (vaporized) হয়ে যায় - মানুষ, দালান, গাড়ি, সবকিছু। ২-৩ সেকেন্ড: একটি বিশাল আগুনের গোলা (fireball) তৈরি হয়, যা দ্রুত আকাশে ছড়িয়ে পড়ে। ১-২ কিলোমিটারের মধ্যে যা কিছু থাকে, তা সম্পূর্ণ পুড়ে যায় - তৃতীয়-মাত্রার পোড়া (third-degree burns) প্রায় তাৎক্ষণিক। ৫-১০ সেকেন্ড: শকওয়েভ (shockwave) নির্গত হয় - বাতাসের শক্তিতে বিল্ডিং ভেঙে পড়ে, দেয়াল ভেঙে যায়, মানুষ অনেক দূরে ছিটকে যায়। ৩-৪ কিলোমিটারের মধ্যে কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে, শ্বাস নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে। ১০-৩০ সেকেন্ড: সব দিকে সুপারসোনিক ব্লাস্ট ওয়েভ (supersonic blast wave) ছড়িয়ে পড়ে - ১৫০০+ কিমি/ঘণ্টা বেগে বাতাসের ঢেউ ছড়িয়ে পড...

বাংলা সাহিত্যে প্রথম

চাকরির পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ #সাহিত্যেযতপ্রথম  ১.  প্রথম উপন্যাস – আলালের ঘরের দুলাল ২.  মুসলমান চরিত্র অবলম্বনে প্রথম নাটক - জমিদার দর্পণ ৩.  প্রথম মুসলিম পুথিসংগ্রহকারী - আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ- ৪.  প্রথম সনেট রচয়িতা - মাইকেল মধুসূদন দত্ত ৫.  প্রথম যতিচিহ্নের ব্যবহার করেন - ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ৬  প্রথম কাহিনীধর্মী গ্রন্হ - বেতাল পঞ্চবিংশতি ৭.  প্রথম নাগরিক কবি - ভারতচন্দ্র ৮.  প্রথম স্বার্থক ট্রাজেডি - কৃষ্ণকুমারি ৯  প্রথম বাংলা মুদ্রিত গ্রন্হ - কথোপকথন ১০. প্রথম মহাকাব্য - মেঘনাদবধ ১১. প্রথম মহাকবি - বড়ু চণ্ডীদাস ১২. ভাষা আন্দোলনভিত্তিক প্রথম নাটক - কবর ১৩. প্রথম মুসলিম কবি রচিত নাটক - বসন্ত ১৪. প্রথম মুসলিম নাট্যকার - মীর মশাররফ ১৫. প্রথম পত্র উপন্যাস - বাধনহারা ১৬. মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম উপন্যাস - রাইফেল রোটি আওরাত ১৭. প্রথম রোমান্টিক উপন্যাস - কপাল কুণ্ডলা ১৮. ভাষা আন্দোনভিত্তিক প্রথম উপন্যাস - আরেক ফাল্গুন ১৯. প্রথম মহিলা উপন্যাসিক - স্বর্ণকুমারী দেবী ২০. প্রথম নাটক - ভদ্রার্জুন ২১. প্রথম স্বার্থক নাটক - শর্মিষ্ঠা ২২....

ঈরান ও ঈজরাইল যুদ্ধের প্রভাব

আপনারা হয়তো ভাবছেন সেই সুদূর মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশ গুতাগুতি করছে, তাতে আমার কি! আমরা বরং নাকে তেল দিয়া ঘুমাই... ব্যাপারটা তেমন নাও হতে পারে। ফলাফল হতে পারে সুদূরপ্রসারী।  যা আপনার ঘাড়েও আসতে পারে। দেখেন ইসরায়েলের শত্রু কে? সোজা বাংলায় মুসলিমরা। দ্বিতীয় কোনো কথা নেই এখানে। বলেন তো এই মুহূর্তে ইরানের সাথে সাথে ইসরায়েলের প্রধান আতংক ও মাথা ব্যাথা কে ? পাকিস্তান! পাকিস্তানই একমাত্র মুসলিম দেশ যার পারমাণবিক বোমা আছে। এটা ইসরায়েলের জন্যে একটা বড় মাথা ব্যাথার কারন। দেখবেন ইরান যদি কলাপ্স করে তারপর ইসরায়েল ধরতেছে পাকিস্তান কে৷ সেই ধরায় সাথে থাকবে ইন্ডিয়া। আর ইসরায়েল যে তাদের ধরবে এটা পাকিস্তান বুঝতে পেরেই দেখেন ইরানের পাশে দাঁড়াইছে। শুধু মৌখিক পাশে দাঁড়ানো না, দরকারে মাঠেও নামবে। ইসরায়েল ইন্ডিয়াকে সাথে নিয়ে পাকিস্তানকে ধরার পর কি হবে? তারপর কি? তারপর বাংলাদেশ।  নাহ ইসরায়েল বাংলাদেশকে আক্রমণ করতে আসবে না। আসবে ইন্ডিয়া... এটা একটা চেইন রিয়াকশন এর মতো সারা দুনিয়াকে পোড়াবে। তাই ইরানের জন্যে দোয়া করেন যেন কলাপ্স না করে! কিন্তু একটু বাস্তবতা এনালাইসিস যদি করি, কি আসে সেখানে....? হাদিস মোতাব...

হাতির ন্যায় বিচার

লিওনার্দো দা ভিঞ্চি একবার লিখেছিলেন, "হাতি ন্যায়বিচার, বিচক্ষণতা এবং ভারসাম্যের প্রতিনিধিত্ব করে।" যখন একটি হাতিকে এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে বিমানে ভ্রমণ করতে হয়—উদাহরণস্বরূপ, ভারত থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তখন তার খাঁচা শিকল বা শক্তিশালী দণ্ড দিয়ে বাঁধা থাকে না। হাতির চারিপাশে ছোট ছোট ছানা দিয়ে ভরা থাকে🐣 এটি শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও বাস্তবে এটাই সত্যি। প্রকৃতির এই দৈত্য ছোট প্রাণীটির ক্ষতি করতে ভয় পায়। এবং এটি কোনও ছোটখাটো ভয় নয়। এটি তার মতোই বড়। পুরো ভ্রমণ জুড়ে, সে স্থির থাকে, যাতে তার চারপাশে থাকা ক্ষুদ্র প্রাণীদের মধ্যে একটিকেও আঘাত না করে। এভাবে, অজান্তেই হাতি বিমানের স্থিতিশীলতা বজায় রাখে এবং আমাদের তার মহৎ চরিত্রের প্রথম স্বাদ দেয়🐘✨ এই মনোভাব দেখে আগ্রহী হয়ে, বিজ্ঞানীরা আরও গভীরভাবে দেখার সিদ্ধান্ত নেন। তারা তাদের মস্তিষ্ক বিশ্লেষণ করে কিছু আশ্চর্যজনক জিনিস আবিষ্কার করেছেন। ফিউসিফর্ম নিউরন নামে একপ্রকার কোষ যা খুব কম প্রাণীরই থাকে। হাতির মধ্যে এই কোষ রয়েছে যার কারণে তারা সহানুভূতি, আত্ম-সচেতনতা এবং সামাজিক বোধগম্যতার সাথে সম্পর্কিত। অথচ এই একই কোষ মানু...

তুই পারবি না”, “এটা অসম্ভব

collected story কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ক্লাস।  সকালে ক্লাসে ঢোকার আগেই বোর্ডে লেখা ছিলো দুটি গণিত সমস্যা। ক্লাস চলাকালীন ছাত্র George Dantzig ঘুমিয়ে পড়েছিল। ক্লাস যখন শেষ, সে তখন ধীরে ধীরে ঘুম থেকে উঠে। বোর্ডের দিকে তাকিয়ে দেখে—দুইটি অঙ্ক এখনো চকচকে করে জ্বলছে। স্যার কিছু বলেননি, ক্লাসমেটরাও চলে গেছে, তাই সে ধরে নিলো, এই অঙ্ক দুটিই বুঝি হোমওয়ার্ক। ঘরে ফিরে সে শুরু করলো সেই হোমওয়ার্ক নিয়ে যুদ্ধ। প্রথমেই ধাক্কা খায়—এগুলো তো সাধারণ অঙ্ক নয়! প্রচণ্ড জটিল, লজিক খুঁজে পাওয়া দায়। কিন্তু George হাল ছাড়লো না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দিল লাইব্রেরিতে। বিভিন্ন বই, রেফারেন্স, আগের পেপার ঘাঁটাঘাঁটি করে। সূত্র বসিয়ে আবার ভুল করে, আবার চেষ্টা করে। যেন এক অসমাপ্ত মিশন। দিন কেটে যায়। সে টানা লেগে থাকে। শেষমেশ সে চার পৃষ্ঠার বিশ্লেষণ দাঁড় করালো—একটি অঙ্কের সমাধান সে করে ফেলেছে! পরের ক্লাসে সে সেই সমাধান জমা দিলো প্রফেসরের হাতে। স্যার কিছু না বলে কাগজটা হাতে নিলেন, পড়তে শুরু করলেন। দু’দিন পর, George ক্লাসে এলে প্রফেসর বিস্মিত চোখে তার দিকে তাকালেন। তারপর হেসে বললেন, “George, তুম...