Saturday, March 8, 2025

ট্রয় যুদ্ধের কাহিনী

 ট্রয় যুদ্ধের কাহিনী Greek mythology’র একটি অতি জনপ্রিয় আখ্যান। Wolfgang Petersen পরিচালিত ২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘Troy’ মুভিটি আমরা প্রায় সকলেই দেখেছি, যেখানে ট্রয়বাসী এবং গ্রীকসেনাদের মাঝে সংঘটিত দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী ট্রয় যুদ্ধের খণ্ডচিত্র তুলে ধরা হয়। গ্রিক কবি Homer এর ‘Iliad’ মহাকাব্য অবলম্বনে মুভিটি নির্মিত হয়। কিন্তু হোমারের ‘ইলিয়াড’ এই যুদ্ধের মাত্র কয়েক দিনের ঘটনা নিয়ে রচিত। ট্রয় যুদ্ধের সূত্রপাত হয় Sparta’র রানী হেলেনের অপহরনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। কিন্তু মূল ঘটনার সূত্রপাত আরও পেছনে। আসুন সংক্ষেপে জেনে নিই সেই চমকপ্রদ কাহিনী।



ইলিয়াডের মহাকাব্যে তিনি সব কিছু চিত্রিত করেন নি ঠিকই, কিন্তু অন্য গ্রীক কবিরা (যেমন- আপোলোডোরাস, ইস্কাইলাস, ইউরিপিডিস) তাঁদের কালজয়ী বিভিন্ন সাহিত্যকর্মে ট্রয় যুদ্ধের আগের ও পরের কাহিনীর বিভিন্ন পর্যায় সম্পর্কে লিখেছেন। সেইসব কাহিনীসূত্র থেকে যতটুকু জানা যায়, দেবতাদের আবাস অলিম্পাসে তিন রূপসী দেবীর মধ্যকার এক বিবাদ থেকেই এই কাহিনীর সূত্রপাত।



বিয়ে হবে রাজা পিলিউস এবং জলদেবী থেটিসের। সেই বিয়ের ভোজসভায় কলহের দেবী এরিস বাদে নিমন্ত্রন পেলেন অন্য সকল দেব-দেবী। অপমানিতা দেবী সংকল্প করলেন, যে করেই হোক বিবাহসভায় একটা ভেজাল বাধাবেন। তিনি ভোজসভায় গিয়ে টেবিলের উপর একটি সোনার আপেল রাখলেন, যাতে খোদাই করা ছিল একটি কথা-“কেবলমাত্র সুন্দরীশ্রেষ্ঠার জন্য।” সকল দেবীই এর দাবীদার হলেন, কেননা-প্রত্যেকের মতে তিনিই সবচে সুন্দরী। অবশেষে চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামলেন দেবী হীরা, এথিনা এবং আফ্রোদিতি। এখানে বলে রাখা ভাল যে, হীরা সম্পদের দেবী, এথিনা জ্ঞানের দেবী এবং আফ্রোদিতি প্রেমের দেবী। তাঁরা ফলাফলের জন্য গেলেন দেবরাজ জিউসের কাছে। এদিকে, হীরা আবার তাঁর স্ত্রী। জিউস দেখলেন, হীরাকে সুন্দরীশ্রেষ্ঠা হিসেবে ফলাফল না দিলে তিনি এক গোলযোগ বাধাবেন, আবার হীরার পক্ষে রায় দিলে পক্ষপাতিত্ব হয়ে যাবে। তাই তিনি বিচারের ভার দিলেন মনুষ্যকুলের হাতে। ঠিক হল, পৃথিবীর কোন মানুষের হাতে আপেলটি তুলে দেয়া হবে। সে যে দেবীর হাতে আপেলটি তুলে দেবে সে-ই সুন্দরীশ্রেষ্ঠা হিসেবে বিবেচিত হবে।



ট্রয় নগরীর পাশের ‘আইডা’ পর্বতে মেষ চরান প্যারিস। একদিন তিন দেবী নেমে এলেন স্বর্গ থেকে। দেবীরা প্যারিসের হাতে আপেলটি দিয়ে বললেন, “যুবক, আমাদের মধ্যে যে সবচে সুন্দরী তাঁর হাতেই এই আপেলটি তুলে দাও। আমরা তোমাকে বিচারক নিযুক্ত করলাম।” বললেন বটে, তবে প্যারিসকে লোভের ফাঁদে ফেলে প্রত্যেক দেবীই সফল হতে চাইলেন। হীরা দেবী তাকে ইউরোপ এবং এশিয়ার অধীশ্বর বানিয়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিলেন, এথিনা তাকে দিতে চাইলেন পৃথিবীর তাবৎ জ্ঞান এবং দেবী আফ্রোদিতি পৃথিবীর সবচে সুন্দরী নারীকে তার প্রণয়িনী বানিয়ে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলেন। প্যারিস পৃথিবীর সবচে সুন্দরী নারীকে পাওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে আপেলটি তুলে দিলেন প্রেমের দেবী আফ্রোদিতির হাতে।[ইংরেজি প্রবাদ-Apple of discord(বিবাদের বিষয়)এই ঘটনাকেই স্মরণ করিয়ে দেয়।]

হেলেন, যে কিনা ভূখণ্ডে রূপে অদ্বিতীয়া, যাকে গ্রীসের এমন কোন রাজপুত্র ছিল না যে বিয়ে করতে চায় নি; স্বয়ম্ভর সভায় সেই হেলেনকে জিতে নিলেন মাইসিনির রাজা আগামেমনন এর ভাই মেনিলাউস। হেলেনের পিতা টিনডারিয়ুস কন্যা সম্প্রদান করলেন মেনিলাউসের হাতে এবং তাকে স্পারটার রাজা ঘোষণা করলেন। এদিকে, দেবী আফ্রোদিতি তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্যারিসকে হেলেনের সন্ধান দিলেন। প্যারিস তাঁর বন্ধুদের নিয়ে জাহাজ সাজিয়ে রওনা হলেন স্পারটার দিকে। ততদিনে তিনিও জেনে গেছেন যে, তিনি সাধারণ কোন মেষপালক নন; তিনি আসলে ট্রয় এর রাজা প্রায়ামের অন্যতম পুত্র(সেটা অন্য গল্প)। যাই হোক, স্পারটায় রাজা মেনেলাউস প্যারিসকে সাদর অভ্যর্থনা জানালেন। গ্রীকদের কাছে অতিথি দেবতাতুল্য। তাই তাঁরা ট্রয়ের রাজপুত্র প্যারিসের কোন অযত্ন হতে দিল না। বন্ধুদের নিয়ে ভোজনসভায় খেতে বসলেন প্যারিস। তখন সেখানে প্রবেশ করলেন রানী হেলেন, পৃথিবীতে যার রূপের কোন তুলনা নেই। হেলেনকে দেখামাত্রই প্রেমে পড়ে যায় প্যারিস। হেলেনও প্রেমে পড়ে যান প্যারিসের। আসলে পুরোটাই ছিল দেবী আফ্রোদিতির কারসাজি। যাই হোক, রাজগৃহে গোপনে মন দেয়া-নেয়া চলছিল প্যারিস ও হেলেনের। ইতোমধ্যে একদিন রাজকার্যে বাইরে যেতে হল হেলেনের স্বামী মেনেলাউসকে। এই সুযোগেই ঘর ছাড়লেন হেলেন, প্যারিসের হাত ধরে। জাহাজ পাল তুলে দিল ট্রয়ের দিকে। অপমানিত, ক্রুদ্ধ মেনিলাউস অন্যান্য রাজাদের সহযোগিতায়, তাঁদের পাঠানো সৈন্যদল নিয়ে বিশাল মিত্রবাহিনী গড়ে তুলে ট্রয় নগরী আক্রমন করলেন। প্রায় নয় বছর স্থায়ী হয়েছিল ট্রয় এর যুদ্ধ, যা সমৃদ্ধশালিনী এবং প্রতাপান্বিতা ট্রয়কে পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছিল।

Leo Tolstoy নিজেই একটা পৃথিবী

আপনার কি মনে পড়ে লে তলস্তয়ের সেই "সাড়ে তিন হাত জমি" গল্পটির কথা? একটি গল্প যেন হাজারটি উপন্যাসের চেয়েও অনেক বেশি সুন্দর। নিশ্চয় মাধ্যমিকে সহপাঠ কিংবা আনন্দপাঠে গল্পটি আপনি পড়েছেন। যদি না পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই পড়বেন!

তলস্তয়ের মূল জীবনে প্রবেশের পূর্বে সংক্ষেপে গল্পটি বলার লোভ আমি সামলাতে পারছিনা। এটা আমার কৈশোরের মধুর স্মৃতিগুলোর একটি। রাশিয়ার এক দরিদ্র কিশোর পাখোম যার প্রচন্ড আকাঙ্ক্ষা ধনী হওয়ার। একদিন সে শয়তানের কাছে জানতে পারে ভলগা নদীর পাড়ে খুব কমদামে জমি কিনতে পারা যায়। ফলে ১০০ একর জমি পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা তার মনে জেঁকে বসলো। ফলে ঐ গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য হয়ে জমির মালিক হলো সে। এবার শয়তান তাকে জানালো পাশের দেশে আরো সহজে জমি পাওয়া যায়। যার মূল্য দিনপ্রতি ১০০ রুবল। অর্থাৎ একদিনে সে দৌড়ে যতটুকু জমি অতিক্রম করবে ততটুকু তার দখলে চলে আসবে। পাখোম একদিন প্রাণপণ দিয়ে দৌড়ালো, সে এত বেশি দৌড়ালো যে তার শরীর ভেঙে পড়লো। কিন্তু অধিক জমির লোভে সে আরো দৌড়ালো। সে অনেক জমি অধিকার করলো বটে কিন্তু সেসব তার ভাগ্যে জুটলোনা। সূর্য্যের সাথে তার জীবনসূর্য‌্যও ডুবে গেলো। অবশেষে সে সাড়ে তিন হাত জমি তথা একটা কবরের মধ্যে শায়িত হলো। 

একটু ভাবুন যার ছোটগল্প এত সুন্দর তার উপন্যাস আরো কত সুন্দর! লিও তলস্তয় আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন তার কালজয়ী উপন্যাস " যুদ্ধ ও শান্তি" (War and Peace) ও "আন্না কারেনিনা"- এর জন্য। এরছাড়াও তিনি অসংখ্য কালজয়ী ছোট গল্প, প্রবন্ধের স্রষ্টা। সোভিয়েত ইউনিয়নে তার সাহিত্যকর্ম ৯০ খন্ডে প্রকাশিত হয়েছিলো। এছাড়া তাকে নিয়ে প্রায় তেইশহাজার বই লেখা হয়েছে। 

জন্ম ও শৈশব:

তলস্তয়ের জন্ম হয়েছিলো ১৮২৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রাশিয়ার তুলা প্রদেশের ইয়াসনায়া পলিয়ানা (Yasnaya Polyana) -তে একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে। তিনি ছিলেন তার বাবা মায়ের কনিষ্ঠ সন্তান। তার পুরো নাম লেভ নিকোলায়েভিচ টলস্টয় (Lev Nikolayevich Tolstoy)। তার পিতার নাম কাউন্ট নিকোলাই টলস্টয় ও মায়ের নাম মারিয়া টলস্টায়া। ৯ বছর বয়সের পূর্বেই তিনি তার পিতামাতাকে হারান এবং বাকি তিন ভাইয়ের সাথে আত্মীয় স্বজনের কাছে লালিত-পালিত হন। জন্মসূত্রে তলস্তয় তৎকালীন রাশিয়ার অভিজাততন্ত্রের মানুষ ছিলেন। কিন্তু তিনি আভিজাত্যকে পছন্দ করেনি খুব একটা যা তার পরবর্তী জীবনে প্রতিফলিত হয়।

ব্যক্তিজীবন:

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ ছিলেন। চার্চের প্রকাশ্য সমালোচনা করে তিনি যাজকদের চক্ষুসূলে পরিণত হন। তিনি সবসময় বলতেন, "ইশ্বর ও যীশুকে নিয়ে ব্যবসা করে যারা তাদের চেয়ে আমি অধিক ধার্মিক খ্রিষ্টান।" তার লেখনীর জন্য চার্চ কর্তৃক তাকে ধর্ম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিলো। কিন্তু তলস্তয় তার চিন্তার উপর সবসময় বহাল থেকেছিলেন।
১৮৪৪ সালে তিনি কাজান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন কিন্তু পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারেননি। শিক্ষকরা তাকে একজন অমনোযোগী ও শিখতে অনিচ্ছুক ছাত্র হিসেবে চিহ্নিত করেন। অথচ এই ছাত্রটিই বিশ্ব জয় করেছিলো তার লেখনী দিয়ে। কয়েকবছর পর তিনি ডিগ্রী ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয় ত্যাগ করেন এবং উদাসীন জীবনযাপন করেন। এরপর ১৯৫১ সালে তার বড় ভাইয়ের পরামর্শে তিনি  আর্মিতে যোগদান করেন ও ৫৫ সালে ক্রিমিয়ান যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধের বিরতিকালীন সময়ে তিনি লেখালেখি শুরু করেন। 

তিনি তার প্রবন্ধে জারতন্ত্রের প্রকাশ্য সমালোচনা করেছেন, শাসকদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানুষকে সোচ্চার করেছেন। দুর্ভিক্ষের সময় মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বেড়িয়েছেন, আদমশুমারিতে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি ৩৪ বছর বয়সে, ১৮৬২ সালে একজন চিকিৎসকের মেয়ে টলস্টয় সোফিয়া অ্যান্ড্রেয়েভ্‌না বেরোস (Sofya Andreyevna Behrs) কে বিবাহ করেন।তাদের মোট ১৩ জন সন্তান ছিলো। বিবাহের শুরুর জীবনগুলো তাদের জন্য সুখের হলেও তিনি সারাজীবন দাম্পত্য জীবন নিয়ে টানাপোড়েনে ছিলেন। তার জীবনের ভালবাসার গল্প এবং পরিবারের কলহ দ্বন্দ্বের উপাখ্যান থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই হয়তো তিনি লিখেছিলেন তার কালজয়ী উপন্যাস "আন্না কারেনিনা"। তার ব্যক্তিগত জীবন পুরোটাই একটি রোমাঞ্চ উপন্যাস।

সাহিত্যকর্ম:

রাশিয়ান সাহিত্যের যুগশ্রেষ্ঠ তিনজন সাহিত্যিক হচ্ছেন তলস্তয়, পুশকিন ও গোর্কি। তারা একে অপরের সাথে যেন প্রতিযোগিতা করেছেন। আমার দৃষ্টিভঙ্গিতে এই প্রতিযোগিতার বিজয়ীর মুকুটটি হয়তো তলস্তয়ের মাথাতেই উঠবে। স্বয়ং ম্যাক্সিম গোর্কি বলেছেন, "তলস্তয় নিজেই একটি পৃথিবী"। তলস্তয়ের কালজয়ী দুইটি উপন্যাস হচ্ছে "ওয়ার এন্ড পিস" ও "আন্না কারেনিনা"। ওয়ার এন্ড পিস তিনি লিখেছিলেন নেপোলিয়নের রুশ আক্রমণের প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে, যেখানে তিনি তার যুদ্ধ ও শান্তি সম্পর্কে মতামত দিয়েছেন। এই উপন্যাসটি ১৮৬৫ থেকে ১৮৬৭ সালে ধারাবাহিকভাবে ও ১৮৬৯ সালে বই আকারে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসটি প্রকাশিত হলে ব্যাপক সাড়া পড়ে যায় এবং তিনি তার পরবর্তী কালজয়ী উপন্যাস "আনা কারেনিনা" লেখায় হাত দেন। ১৮৭৩ থেকে ৭৭ পর্যন্ত বইটি প্রকাশিত হয় এবং পাঠক ও সমালোচকদের মন জয় করে নেয়। তার তিন খন্ডের আত্মজীবনীগুলো হলো "চাইল্ডহুড", "বয়হুড" ও "ইয়ুথ"। এই বই তিনটিও অত্যধিক জনপ্রিয় হয়ে উঠে। তবে তার কিছু লেখার মাধ্যমে তিনি কিছুটা বিতর্কিত হন। ১৮৮৩ সালে ‘দ্য মিডিয়েটর’ গ্রন্থে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত বিশ্বাস লিপিবদ্ধ করেন এবং চার্চের বিরুদ্ধাচরণ করেন। মূলত মুক্ত চিন্তা, শাসকের অন্যায়, যুদ্ধ, বিপ্লব ছিলো তার সাহিত্যের মূল উপাদান। অযাচিত কথা, অবাস্তব রোমান্টিকতা থেকে তিনি তার সাহিত্যকে দূরে রেখেছিলেন। 

যাদের দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিলেন:

তার সাহিত্য জীবন বিখ্যাত উপন্যাসিক চার্লস ডিকেন্স ও ভিক্টর হুগো ছাড়া অনুপ্রাণিত ছিলো। ১৮৬০ সালে ইউরোপ ভ্রমণের সময় ভিক্টর হুগোর সাথে তার পরিচয় হয় এবং সদ্য প্রকাশিত "লা মিজারেবল" তার জীবনে দাগ কাটে যার প্রতিফলন ঘটে "ওয়ার এন্ড পিস" উপন্যাসে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই তিনি মন্টেষ্কুর ব্যাপক সমালোচনা করেছিলেন এবং কিছুক্ষেত্রে অনুপ্রাণিত ছিলেন। 

দর্শন:

লিও তলস্তয় শুধু একজন সাহিত্যিক নয় পাশাপাশি একজন দার্শনিক বটে। তার দর্শন ছিলো চার্চের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে আসল ধর্মচর্চা করা ও অভিজাততন্ত্রকে বর্জন করা। এছাড়া তিনি অহিংস আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন যার দ্বারা ভারতের বাপুজি গান্ধী অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। বিখ্যাত ফরাসি বিপ্লবও তার সাহিত্যদর্শন থেকে অনুপ্রাণিত ছিলো। তিনি তার দর্শন প্রচার করে অনেকের চক্ষুসূল হলেও সরকার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি তার অত্যধিক জনপ্রিয়তার কারণে। যদিও বিখ্যাত অক্টোবর বিপ্লবের পূর্বেই তার জীবনাবসান হয়েছিলো কিন্তু তিনি এই বিল্পবের পূর্বেই তার দর্শন দ্বারা এই বিপ্লবকে উদ্বেলিত করেছিলেন। তিনি ইউরোপ ভ্রমণের সময় একটি মৃত্যুদন্ড স্বচক্ষে দেখে তার বন্ধু ভ্যাসিলি বটকিনকে বলেছিলেন, " সত্য কথা হলো রাষ্ট্র একটি ষড়যন্ত্র যা শুধু শোষণের জন্যই নয় সর্বোপরি তার নাগরিকদের দুর্নীতি করার জন্যই তৈরি হয়েছে। এখন থেকে আমি কোথাও আর কখনো কোনো সরকারের চাকরি করবো না।" 

নোবেলবিতর্ক:

জীবনকালে অত্যধিক জনপ্রিয় হলেও তলস্তয় তার যোগ্য পুরস্কার পাননি। ১৯০২ থেকে ১৯০৬ পর্যন্ত প্রতি বছরই তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য এবং ১৯০১, ১৯০২ এবং ১৯১০ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন কিন্তু একবারও নোবেল পাননি। যা হয়তো নোবেল ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত ঘটনা। তবে অন্য অনেক পুরস্কার তিনি পেয়েছেন। 

মৃত্যু:

জীবনের শেষ সময়গুলোতে তিনি খুব সহজ সরল জীবনযাপন করেছেন। চাষাদের সাথে থেকেছেন, তাদের মত পোশাক পড়েছেন। মৃত্যুর কিছুবছর পূর্বে  তার শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় ফলে পরিবার তার সেবার কোন কমতি রাখেনি। কিন্তু লিও তলস্তয় অভিজাত ও সুখের জীবনকে ত্যাগ করতে চেয়েছিলেন। যার কারণে স্ত্রীকে ত্যাগ করে তিনি একদিন বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। ট্রেনে তিনি অহিংস ও শান্তির মতবাদ প্রচার করেন। হটাৎ ১৯১০ সালের ২০ নভেম্বর ইয়াসনায়া পলিয়ানার একটি স্টেশনে ঠান্ডা লেগে নিউমোনিয়া আক্রান্ত হন ও শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার শেষ সময়কে নিয়ে ২০০৯ সালে The Last Station নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। 

মৃত্যুর পর অসংখ্য মানুষ পুলিশি বাধা অতিক্রম করে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে। এছাড়া যে যাজকরা তাকে ধর্ম থেকে বহিষ্কার করেছিলো তারা আগ্রহী হলেও তলস্তয়ের অনুসারীরা তাদের এ কাজে বাধা দেয় ও ধর্মীয় আচারনুষ্ঠান ছাড়াই তাকে সমাহিত করা হয়। 

রায়হান হৃদয় 
রাষ্ট্রবিজ্ঞান, 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। 

Copied from SA TT AC ADE M Y. 

Achillis heel এর কাহিনী

Achilles' Hell- Phrase টি আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বার বার আসতে দেখা যায়। Phrase টির বাংলা অর্থ
হলো ”দুর্বল জায়গা”। সিংহভাগ  পরীক্ষার্থীরাই এই বাংলা অর্থটুকু জেনে  প্রশ্নের  সঠিক উত্তর দিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তোলেন। Phrase সম্পর্কে বিস্তারিত অনেকেই জানেন না। আমার আজকের ব্লগটি Achilles' Hell পেছনের ঘটনা নিয়ে।

 Achilles হলো গ্রিক মিথলোজির বিখ্যাত দিগ্বিজয়ী বিশ্বনন্দিত মহাবীর। যার জন্মের সাথে জড়িয়ে ছিল মৃত্যুর ঠিকানা। অ্যাকিলিস, গ্রীক পৌরাণিক কাহিনীতে, মরণশীল মিরমিডনের রাজা পেলেউস  এবং জলদেবী থেটিস এর  পুত্র। অ্যাকিলিস ছিলেন ট্রোজান যুদ্ধে অ্যাগামেমননের সেনাবাহিনীর সবচেয়ে সাহসী, সুদর্শন এবং সর্বশ্রেষ্ঠ যোদ্ধা।

গ্রীক পুরাণে অ্যাকিলিস'র জন্মের পর  তার মা জলদেবী থেটিস তাকে নিয়ে গিয়েছিলেন দেবলোক অলিম্পাসে। সেখানে জিউসের কাছের পুত্রের জন্য বর চেয়েছিলেন। জিউস মা থেটিসকে দুটি বর থেকে যেকোন একটি বেছে নিতে বলেছিলেন।

একটি হলো ঘটনাবিহীন, সাধরণ মানুষের দীর্ঘজীবন। অন্যটি হলো  অকাল মৃত্যুর সাথে বীর যোদ্ধার ক্ষণস্থায়ী জীবন। জলদেবী পুত্রের জন্য দ্বিতীয় বরটি বেছে নিয়ে ছিলেন। তখন ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল যে তিনি অল্প বয়সে মারা যাবেন। 

মমতাময়ী মা পুত্রকে অকালমৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে Achilles কে অলিম্পাসে একটি অমৃতবারির পাত্রে (কারো মতে স্টাইক্স নদীতে)  চোবান। যাতে করে ঐ অমৃতস্পর্শে  Achilles এর সমস্ত দেহ অভেদ্য (Invulnerable) হয়ে  উঠে।

কিন্তু তখনই ঘটেছিল এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। যেহেতু মা থেটিস ছেলের গোড়ালি ধরে রেখেছিলেন,  জল Achilles এর পা স্পর্শ করেনি। অ্যাকিলিস একজন যুদ্ধের মানুষ হয়ে বেড়ে ওঠেন । যিনি অনেক বড় বড় যুদ্ধে জয় লাভ করেছিলেন এবং বেঁচে গিয়েছিলেন। 

যদিও ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিল যে হোমারের ইলিয়াডে হেক্টরের দ্বারা অ্যাকিলিসের মৃত্যু হবে। সৌভগ্যক্রমে এটি আসলে ইলিয়াডে ঘটেনি। তবে এটি ইলিয়াডের পরে, পরবর্তীতে ট্রোজান যুদ্ধের ঘটনা সম্পর্কিত পরবর্তী গ্রীক এবং রোমান কবিতা এবং নাটকে  বর্ণনা করা হয়েছে। 

বিভন্ন যুদ্ধের পৌরাণিক কাহিনীতে বর্ণনা করা হয় যে, অ্যাকিলিস তার গোড়ালি একটি ক্ষত থেকে মারা গিয়েছিলেন । যা ঘটেছিল একটি বিষাক্ত তীর এর ফলে । গোড়ালি ছিল অ্যাকিলিস-এর দুর্বল  পয়েন্ট। 

Achilles এর অন্য সব রকম শক্তি থাকা সত্ত্বেও তার পায়ের গোড়ালি একটি দুর্বলতা, যা Achilles কে পতনের দিকে নিয়ে গিয়ে ছিল। পৌরাণিক উৎসে Achilles heel একটি শারীরিক দুর্বলতা বোঝায়।

Copied from S A TT AC ADE MY

১২টি গোপন সত্য যা ধনী লোকেরা আপনাকে জানতে দিতে চায় না.......

১২টি গোপন সত্য যা ধনী লোকেরা আপনাকে জানতে দিতে চায় না.......

আমরা এমন এক দুনিয়ায় বাস করি যা ধনীদের দ্বারা এবং ধনীদের জন্য গঠিত। আপনি যে মিডিয়া দেখেন, যে পরামর্শ শুনেন—সবকিছুই সুচিন্তিতভাবে সাজানো হয় আপনাকে কর্মজীবনের দৌড়ে ফাঁসিয়ে রাখার জন্য, যাতে তারা আরও উপরে উঠতে পারে। কিন্তু এবার পর্দা সরানোর সময় এসেছে এবং সেই সত্যগুলো জানার সময় এসেছে যা ধনী ব্যক্তিরা আপনাকে জানতে দিতে চায় না। প্রস্তুত থাকুন, কারণ এই তথ্যগুলো আপনার বিশ্বাসের অনেক ভ্রান্তি ভেঙে দিতে পারে।

১. কঠোর পরিশ্রম আপনাকে ধনী করবে না

হ্যাঁ, তারা আপনাকে কঠোর পরিশ্রম করতে বলে, কিন্তু সত্যটা জানে—ধনী হওয়ার মূল চাবিকাঠি শ্রম নয়, লেভারেজ। মানে, যখন আপনি অতিরিক্ত সময় কাজ করে আপনার শক্তি খরচ করছেন, তারা অন্যের সময়, অর্থ এবং দক্ষতাকে ব্যবহার করে বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলছে।

২. তারা চায় আপনি বিশ্বাস করুন যে টাকা খারাপ জিনিস

আপনি যদি মনে করেন টাকা লোভ এবং দুর্নীতির প্রতীক, তাহলে আপনি কখনো এটি অর্জনের জন্য আত্মবিশ্বাসী হবেন না। অথচ ধনীরা জানে যে অর্থ কেবল একটি হাতিয়ার—যা সঠিকভাবে ব্যবহার করলে প্রভাব বিস্তারের শক্তিশালী মাধ্যম হতে পারে।

৩. সঞ্চয় আপনাকে ধনী করবে না

তারা বলে "সঞ্চয় করুন এবং মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করুন", কিন্তু নিজেরা তা করে না। তারা বিনিয়োগ করে বড় ঝুঁকি ও বড় লাভের সুযোগে—স্টার্টআপ, রিয়েল এস্টেট, স্টক মার্কেট এবং ব্যবসায়, যা তাদের সম্পদকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।

৪. শিক্ষাব্যবস্থা আসলে একটি ফাঁদ

শিক্ষাব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য হলো আপনাকে আজ্ঞাবহ কর্মচারী বানানো, উদ্যোক্তা বা ঝুঁকি গ্রহণকারী নয়। আপনাকে শেখানো হয় কীভাবে অর্থের জন্য কাজ করতে হয়, কিন্তু ধনী ব্যক্তিরা শেখে কীভাবে অর্থকে তাদের জন্য কাজ করানো যায়।

৫. কর ব্যবস্থা ধনীদের জন্য সুবিধাজনকভাবে তৈরি

তারা জানে কর কমানোর উপায়, আইনি ফাঁকফোকর এবং বিভিন্ন কর সুবিধা। কিন্তু সাধারণ মানুষ তাদের আয়ের বড় একটি অংশ কর হিসেবে পরিশোধ করতে বাধ্য হয়। ধনীরা বেতনভোগী নয়, তারা সম্পদের মালিক—আর সম্পদের ওপর করের হার ভিন্ন।

৬. ঋণ হলো শক্তিশালী অস্ত্র—যদি আপনি এটি ব্যবহার করতে জানেন

তারা চায় আপনি ঋণকে ভয় পান, কিন্তু ধনীরা ঋণকে ব্যবহার করে আরও বেশি সম্পদ অর্জন করতে। তারা অন্যের অর্থ (OPM) দিয়ে বিনিয়োগ করে এমন সম্পদ কেনে, যা তাদের জন্য নিয়মিত আয় সৃষ্টি করে এবং সেই আয় দিয়েই ঋণ শোধ হয়ে যায়।

৭. আপনার ভোগবাদ তাদের বিলাসী জীবনযাত্রার মূল কারণ

প্রতিবার যখন আপনি নতুন মোবাইল, ফ্যাশনেবল পোশাক বা দামি কফি কিনছেন, তখন আসলে আপনি তাদের পকেটেই অর্থ ঢালছেন। অন্যদিকে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে এমন সম্পদে, যা সময়ের সঙ্গে আরও মূল্যবান হয়।

৮. পরিচিতি প্রতিভার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ

তারা চায় না আপনি জানেন যে সঠিক মানুষের সংস্পর্শ আপনার জন্য অমূল্য সুযোগ তৈরি করতে পারে। তারা নিজেদের জন্য একটি এলিট নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে, যা তাদের ধনী থাকার সুযোগ নিশ্চিত করে এবং বাইরের লোকদের প্রবেশের পথ বন্ধ রাখে।

৯. সময় হলো তাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ

তারা সময় নষ্ট করে না। তারা এমন কাজ করে না যা অন্যরা করতে পারে। তারা মানুষ নিয়োগ করে তাদের জন্য কাজ করাতে, যাতে তারা সম্পদ গঠনের ওপর ফোকাস করতে পারে।

১০. শেয়ার বাজার তাদের সুবিধার জন্য নিয়ন্ত্রিত

আপনার শেয়ার বাজারের বিনিয়োগ থেকে নিয়মিত মুনাফার আশা থাকলেও, তারা ইন্সাইডার তথ্য, স্বয়ংক্রিয় ট্রেডিং প্রযুক্তি এবং বিশাল মূলধন ব্যবহার করে বাজারকে নিজেদের স্বার্থে নিয়ন্ত্রণ করে।

১১. ব্যর্থতা তাদের সবচেয়ে বড় শিক্ষা

তারা ব্যর্থতাকে ভয় পায় না, বরং প্রতিটি ব্যর্থতাকে শিক্ষার সুযোগ হিসেবে দেখে। কিন্তু আপনাকে শেখানো হয় নিরাপদ খেলা খেলতে, ঝুঁকি না নিতে। ধনীরা জানে বড় পুরস্কারের জন্য বড় ঝুঁকি নেওয়া লাগে।

১২. তারা চায় আপনি অজ্ঞ থাকুন

যত কম আপনি অর্থ, বিনিয়োগ এবং ব্যবসা সম্পর্কে জানবেন, তত বেশি তারা আপনার শ্রম, সময় এবং ভোক্তাস্বভাবকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের আরও ধনী করে তুলবে।

তাহলে আপনাকে কী করতে হবে?

এই নিয়ন্ত্রিত খেলায় আর অংশ নেবেন না। টাকার ব্যাপারে জ্ঞান অর্জন করুন, ইনভেস্টরের মতো চিন্তা করতে শিখুন, এবং ভোগের পরিবর্তে সম্পদের মালিক হওয়ার দিকে মনোযোগ দিন। গড়পড়তা জীবনের শৃঙ্খল থেকে বেরিয়ে এসে নিজের সাম্রাজ্য গড়ে তুলুন। এখনই সময় এসেছে ব্যবস্থা নেওয়ার, যাতে আপনি সেই সম্পদ এবং ক্ষমতা অর্জন করতে পারেন যা ধনীরা আপনাকে পেতে দিতে চায় না।

©

Wednesday, March 5, 2025

ভাল কিছু বইয়ের তালিকা

বুক লিস্ট-২০২৫ 

১) জিরো টু ওয়ান- পিটার থিয়েল ও ব্লেইক মাস্টার
২) ইমিডিয়েট অ্যাকশন- থিবাউট মিউরিস
৩) রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড- রবার্ট টি কিয়োসাকি
৪) ইকিগাই- হেক্টর গার্সিয়া, ফ্রান্সেস্ক মিরালস
৫) দ্যা মিরাকল মর্নিং- হল এলরড
৬) দ্য সাইকোলজি অব মানি- মর্গান হাউজেল
৭) ইট দ্যাট ফ্রগ- ব্রায়ান ট্রেসি
৮) রোড টু সাকসেস- নেপোলিয়ন হিল
৯) স্ট্র্যাটেজিক মাইন্ডসেট- থিবাউট মিউরিস
১০) অ্যাটমিক হ্যাবিটস- জেমস ক্লিয়ার
১১) টাইম ম্যানেজমেন্ট- ব্রায়ান ট্রেসি 
১২) থিংক অ্যান্ড গ্রো রিচ- নেপোলিয়ন হিল
১৩) কাইজেন- সারাহ হার্ভে
১৪) হাউ টু টক টু এনি ওয়ান- লেইল লোনডেস
১৫) ১০০ ওয়েজ টু মোটিভেট ইওরসেলফ- স্টিভ চ্যান্ডলার
১৬) দ্যা পাওয়ার অব পজেটিভ থিংকিং- নরম্যান ভিনসেন্ট পিল
১৭) পাওয়ারফুল ফোকাস- থিবাউট মিউরিস
১৮) লিডারশিপ- ব্রায়ান ট্রেসি
১৯) ডোপামিন ডিটক্স- থিবাউট মিউরিস
২০) হাউ সাকসেসফুল পিপল থিংক 
২১) দ্য আলকেমিষ্ট- পাওলো কোয়েলহ
২২। ফেসবুক মার্কেটিং- এসএম আকিব মুরশিদ
২৩। প্রোগ্রামিং ছাড়াই মোবাইল অ্যাপস তৈরি- রাজিব আহমেদ
২৪। সফল যদি হতে চাও- আনিসুল হক
২৫। দ্য বুক অব ফ্যাক্টস-১+২
২৬। যুক্তি ফাঁদে ফড়িং- চকম হাসান
২৭। কেমন করে মানুষ চিনবেন- পার্থ চট্টোপাধ্যায়
২৮। ভু সবই ভুল- সজল আশফাক
২৯। বিজ্ঞানীদের কাণ্ডকারখানা-১-৪
৩০। দ্য পাওয়ার অব ক্রিয়েটিভিটি- ব্রায়ান কলিনস
৩১। গল্পে গল্পে জেনেটিকস- চমক হাসান
৩২। সাইবার সিকিউরিটি- আরিফ মঈনুদ্দিন
৩৩। বংশবিদ্যার সহজপাঠ-আরাফাত রহমান
৩৪। জেনেটিক্স : বংশগতির সহজপাঠ-আরাফাত রহমান
৩৫। যে স্বপ্ন ঘুমোতে দেয় না- ডা. রমেশ পোথরিয়াল 'নিশংক'
৩৬। দ্য পাওয়ার অব ইউর সাবকনশাস মাউন্ড- ড. জোসেফ মারফি
৩৭। দ্য আর্ট অব থিংকিং ক্লিয়ারলি- রোল্ ডোবেল্লি
৩৮। দ্য আর্ট অব রিডিং মাইন্ডস- হেনরিক ফেক্সিউস
৩৯। তেত্তাে-চান- তেৎসুকো কুরোয়ানাগি
৪০। জিতুন বা হারুন তৈরী থাকুন- ড: উজ্জল পাটনী

Friday, February 28, 2025

তবু মনে রেখো

তবু মনে রেখো
___ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

তবু মনে রেখো যদি দূরে যাই চলে।
যদি পুরাতন প্রেম ঢাকা পড়ে যায় নবপ্রেমজালে।
যদি থাকি কাছাকাছি,
দেখিতে না পাও ছায়ার মতন আছি না আছি–
তবু মনে রেখো।
যদি জল আসে আঁখিপাতে,
এক দিন যদি খেলা থেমে যায় মধুরাতে,
তবু মনে রেখো।
এক দিন যদি বাধা পড়ে কাজে শারদ প্রাতে– মনে রেখো।
যদি পড়িয়া মনে
ছলোছলো জল নাই দেখা দেয় নয়নকোণে–
তবু মনে রেখো।

#collected

এসকিউএল ইনজেকশন অ্যাটাক

এসকিউএল ইনজেকশন অ্যাটাট কি? October 5, 2024 by Mahmudul Table of Contents SQL ইনজেকশন কী? SQL ইনজেকশন কীভাবে কাজ করে? যুক্তরাষ্ট্র ভারত চীন ব্রাজিল SQL ইনজেকশন আক্রমণ প্রতিরোধ : এসকিউএল ইনজেকশন সচেতনতা: FAQ (Frequently Asked Questions) ১. এসকিউএল ইনজেকশন অ্যাটাক কী? ২. এসকিউএল ইনজেকশন অ্যাটাক কিভাবে সংঘটিত হয়? ৩. এসকিউএল ইনজেকশন অ্যাটাকের পরিণতি কী? ৪. এসকিউএল ইনজেকশন অ্যাটাক থেকে কিভাবে রক্ষা পাবেন? ৫. এসকিউএল ইনজেকশন অ্যাটাক সম্পর্কে আরও তথ্য কোথায় পাওয়া যাবে? অবশ্যই দেখুন! এসকিউএল ইনজেকশন অ্যাটাট কি? ডিজিটাল যুগে, ডেটাবেসগুলি অনেক অ্যাপ্লিকেশন এবং ওয়েবসাইটের মূল অংশ হিসেবে কাজ করছে, যা ব্যবহারকারী তথ্য থেকে লেনদেনের রেকর্ড পরিচালনা করছে। যেহেতু প্রতিষ্ঠানগুলি ডেটাবেসগুলির উপর নির্ভরশীল হয়ে উঠছে, সেহেতু সাইবার আক্রমণের ঝুঁকিও বাড়ছে। সাইবার হামলার মধ্যে সবচেয়ে কুখ্যাত এবং ক্ষতিকর ফর্ম হল SQL ইনজেকশন আক্রমণ (SQLi)। এই নিবন্ধটি SQL ইনজেকশন আক্রমণগুলি, তাদের মেকানিক্স, সম্ভাব্য প্রভাব এবং প্রতিরোধের জন্য ব্যাপক কৌশলগুলি বিশ্লেষণ করে। SQL ইনজেকশন কী? SQL ইনজেকশন হল একটি সাইবার আক্রমণ যেখানে একজন আক্রমণকারী একটি অ্যাপ্লিকেশনের সফ্টওয়্যার দুর্বলতাগুলি কাজে লাগিয়ে স্ট্রাকচারড কোয়েরি ল্যাঙ্গুয়েজ (SQL) কোয়েরিগুলি ব্যবহার করে। SQL হল একটি মানক প্রোগ্রামিং ভাষা যা সম্পর্কিত ডেটাবেস পরিচালনা এবং প্রক্রিয়া করতে ব্যবহৃত হয়। যখন একটি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারকারীর ইনপুটকে সঠিকভাবে যাচাই বা স্যানিটাইজ করতে ব্যর্থ হয়, তখন এটি অজান্তেই ক্ষতিকারক SQL কমান্ড চালানোর অনুমতি দিতে পারে। মূলত, SQL ইনজেকশন খারাপভাবে লেখা SQL কোয়েরিগুলির সুযোগ নেয় যা ব্যবহারকারীর ইনপুটকে যথাযথভাবে পরিচালনা করার অনুমতি দেয়। এই ধরনের আক্রমণ সংবেদনশীল তথ্য যেমন ব্যবহারকারীর পরিচয়পত্র, ব্যক্তিগত ডেটা এবং আর্থিক বিবরণে অননুমোদিত অ্যাক্সেসের দিকে নিয়ে যেতে পারে। এর ফলে, SQL ইনজেকশন শুধুমাত্র একটি প্রযুক্তিগত ত্রুটি নয় বরং তথ্যের অখণ্ডতা এবং নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর হুমকি। SQL ইনজেকশন কীভাবে কাজ করে? SQL ইনজেকশন এর প্রক্রিয়া কয়েকটি মূল পদক্ষেপে বিভক্ত করা যেতে পারে: ব্যবহারকারী ইনপুট দুর্বলতা: প্রক্রিয়াটি সাধারণত তখন শুরু হয় যখন একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারকারী ইনপুট গ্রহণ করে, যেমন লগইন ফর্ম বা অনুসন্ধান বাক্স, যথাযথভাবে যাচাই বা স্যানিটাইজ না করে। উদাহরণস্বরূপ, যখন একটি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারকারীদের তাদের ব্যবহারকারীর নাম বা পাসওয়ার্ড সরাসরি একটি কোয়েরিতে প্রবেশ করার অনুমতি দেয়, তখন এটি একটি দুর্বলতা তৈরি করে। SQL কোয়েরি পরিবর্তন: একজন আক্রমণকারী স্ট্যান্ডার্ড ডেটার পরিবর্তে বিশেষভাবে নির্মিত SQL কোড ইনপুট করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি লগইন ফর্ম ব্যবহারকারীর নাম প্রত্যাশা করে, তাহলে একজন আক্রমণকারী একটি স্ট্রিং ইনপুট করতে পারেন যাতে SQL কমান্ড রয়েছে যা উদ্দেশ্যগত কোয়েরিকে পরিবর্তন করতে ডিজাইন করা হয়েছে। ক্ষতিকারক কমান্ডের কার্যকরীতা: যদি অ্যাপ্লিকেশন এই অ fil্টার করা ইনপুট ব্যবহার করে SQL কোয়েরি তৈরি করে, তবে ডেটাবেস এই ক্ষতিকারক কমান্ডগুলি কার্যকর করবে। এই কার্যকরীতা আক্রমণকারীকে ডেটা পরিবর্তন, সংবেদনশীল তথ্য বের করা বা এমনকি ডেটাবেসের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার অনুমতি দিতে পারে। SQL ইনজেকশন আক্রমণের সম্ভাব্য প্রভাব SQL ইনজেকশন আক্রমণের সম্ভাব্য ফলাফলগুলি প্রতিষ্ঠানের জন্য মারাত্মক হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে: ডেটা লঙ্ঘন: আক্রমণকারীরা ব্যক্তিগত তথ্য, আর্থিক বিবরণ এবং বাণিজ্য গোপনীয়তা সহ সংবেদনশীল তথ্য বের করতে পারে। এই লঙ্ঘন শুধুমাত্র ব্যবহারকারীর গোপনীয়তার ক্ষতি করে না, বরং প্রতিষ্ঠানের জন্য আইনগত পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। ডেটা পরিবর্তন: আক্রমণকারীরা গুরুত্বপূর্ণ ডেটা পরিবর্তন বা মুছে ফেলতে পারে, যার ফলে ভুল তথ্য, অপারেশনাল বিভ্রান্তি এবং সম্ভাব্য বিপর্যয়কর ফলাফল হতে পারে, বিশেষ করে ব্যবসায়ের জন্য যেগুলি সঠিক তথ্যের উপর নির্ভরশীল। আর্থিক ক্ষতি: প্রতিষ্ঠানগুলি প্রতিকারমূলক খরচ, আইনগত ফি এবং তথ্য লঙ্ঘনের কারণে হওয়া জরিমানা সহ উল্লেখযোগ্য আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। পুনরুদ্ধারের এবং আইনগত পরিণতির সাথে যুক্ত খরচগুলি প্রচুর হতে পারে। খ্যাতির ক্ষতি: একটি সফল SQL ইনজেকশন আক্রমণ গ্রাহক বিশ্বাসকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং একটি প্রতিষ্ঠানের খ্যাতি নষ্ট করতে পারে। একবার একটি কোম্পানি নিরাপত্তা ত্রুটির জন্য পরিচিত হলে, গ্রাহকের আস্থা পুনরুদ্ধার করা একটি দীর্ঘ এবং কঠিন প্রক্রিয়া হতে পারে। সেবা ব্যাঘাত: SQL ইনজেকশন ডিনায়াল অফ সার্ভিস (DoS) আক্রমণগুলি সক্ষম করতে পারে, যা সেবা এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলির প্রবেশে ব্যাঘাত ঘটায়, যা অপারেশনাল সমস্যাগুলি বাড়িয়ে তোলে। এসকিউএল ইনজেকশন আক্রমণের বিশ্বব্যাপী দৃশ্যপট : এসকিউএল ইনজেকশন (SQLi) বিশ্বের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনগুলিকে প্রভাবিতকারী সবচেয়ে সাধারণ এবং বিপজ্জনক নিরাপত্তা দুর্বলতার মধ্যে একটি। এই আক্রমণ পদ্ধতিটি সাইবার অপরাধীদের জন্য ক্ষতিকর ইনপুট ক্ষেত্রের মাধ্যমে ব্যাকএন্ড ডেটাবেসগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে দেয়, যা অ unauthorized থিত্রীকরণ, তথ্য লঙ্ঘন এবং অন্যান্য ম্যালিশিয়াস কার্যকলাপের দিকে নিয়ে যায়। একটি নির্দিষ্ট দেশের এসকিউএল ইনজেকশনের সংখ্যা নির্ধারণ করা চ্যালেঞ্জিং হলেও, কিছু অঞ্চলে ডিজিটাল অবকাঠামোর পরিপক্কতা, সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা এবং অ্যাপ্লিকেশন উন্নয়নের গুণগত মানের কারণে বেশি ঘটনা দেখা যায়। যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্র প্রায়ই সাইবার নিরাপত্তা আলোচনা ও এসকিউএল ইনজেকশন আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য হিসেবে পরিচিত। হাজার হাজার কোম্পানি অনলাইনে কাজ করছে এবং বিভিন্ন খাতে বিশাল পরিমাণে সংবেদনশীল তথ্য সংরক্ষিত থাকায়, আক্রমণকারীরা প্রায়ই মার্কিন ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশনগুলির দুর্বলতা কাজে লাগায়। রিপোর্টগুলি দেখায় যে যুক্তরাষ্ট্রে তথ্য লঙ্ঘনের একটি উল্লেখযোগ্য শতাংশ এসকিউএল ইনজেকশনের কারণে ঘটে। উচ্চ ডিজিটাল কার্যকলাপ এবং শিল্পের মধ্যে পরিবর্তিত নিরাপত্তা ব্যবস্থার সমন্বয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে এ ধরনের ঘটনার জন্য উর্বর জমিতে পরিণত করেছে। বড় বড় কর্পোরেশন ও সরকারি সংস্থাগুলি এসকিউএল ইনজেকশনের কারণে লঙ্ঘনের শিকার হয়েছে, যা নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতির জরুরি প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। ভারত ভারত আরেকটি দেশ যেখানে এসকিউএল ইনজেকশন আক্রমণ ক্রমবর্ধমানভাবে দেখা যাচ্ছে। দ্রুত বর্ধনশীল প্রযুক্তি কেন্দ্র হিসেবে, ভারতের একটি গতিশীল ডিজিটাল পরিসর রয়েছে যেখানে অনেক স্টার্টআপ এবং প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করছে। তবে, এই অ্যাপ্লিকেশনগুলির মধ্যে অনেকগুলি যথাযথ নিরাপত্তা প্রোটোকল ছাড়া তৈরি হয়েছে, যা এসকিউএল ইনজেকশনের জন্য তাদের দুর্বল করে তুলেছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে ভারতের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ্লিকেশন এসকিউএল ইনজেকশনের প্রতি সংবেদনশীল, যা গুরুতর তথ্য লঙ্ঘন এবং ব্যবহারকারীর তথ্যের ক্ষতি ঘটাতে পারে। ডিজিটাল অর্থনীতি বাড়ানোর সাথে সাথে শক্তিশালী নিরাপত্তা প্রথার প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি জরুরি হয়ে পড়ছে। চীন চীনের দ্রুত ডিজিটাল পরিবর্তনও এসকিউএল ইনজেকশনের ঘটনাগুলির বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। লক্ষ লক্ষ ওয়েবসাইট এবং বিশাল ব্যবহারকারী ভিত্তি থাকার কারণে, শোষণের সম্ভাবনা প্রচুর। সাইবার অপরাধীরা প্রায়ই চীনা কোম্পানিগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করে, বিশেষ করে ই-কমার্স এবং ফিনটেকের মতো সেক্টরে যেখানে বিশাল পরিমাণে সংবেদনশীল তথ্য প্রক্রিয়াকৃত হয়। সরকারের সাইবার নিরাপত্তা উন্নত করার প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, অনলাইন কার্যকলাপের বিশাল পরিমাণ এসকিউএল ইনজেকশন এবং অন্যান্য আক্রমণের জন্য অনেক সুযোগ সৃষ্টি করে। ব্রাজিল দক্ষিণ আমেরিকায়, ব্রাজিল এসকিউএল ইনজেকশনের ঘটনাগুলির জন্য একটি উল্লেখযোগ্য দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই অঞ্চলের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির মধ্যে একটি হিসেবে, ব্রাজিলে ইন্টারনেট ব্যবহারে এবং অনলাইন বাণিজ্যে একটি বৃদ্ধি দেখা গেছে। দুঃখজনকভাবে, অনেক ব্যবসায়ের কাছে যথেষ্ট সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই, যা সাইবার অপরাধীদের জন্য সহজ লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। রিপোর্টগুলি ব্রাজিলে সাইবার আক্রমণের বাড়তে থাকা ঘটনা, যার মধ্যে এসকিউএল ইনজেকশন অন্তর্ভুক্ত, স্থানীয় কোম্পানিগুলোর মধ্যে আরও ভাল নিরাপত্তা প্রথার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরছে। SQL ইনজেকশন আক্রমণ প্রতিরোধ : SQL ইনজেকশন আক্রমণ প্রতিরোধের জন্য একটি বহুমুখী পন্থা প্রয়োজন যা বেশ কয়েকটি সেরা অভ্যাস অন্তর্ভুক্ত করে: ইনপুট যাচাই: সবসময় ব্যবহারকারী ইনপুট যাচাই এবং স্যানিটাইজ করুন। এটি প্রত্যাশিত অক্ষর এবং বিন্যাসের অনুমতি দেওয়ার জন্য হোয়াইটলিস্টিং ব্যবহার করে। প্রত্যাশিত অক্ষর বা প্যাটার্নগুলিতে অন্তর্ভুক্ত না থাকা যে কোনও ইনপুট প্রত্যাখ্যান করুন। প্রিপেয়ারড স্টেটমেন্ট এবং প্যারামিটারাইজড কোয়েরি: SQL ইনজেকশন প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুত বিবৃতি বা প্যারামিটারাইজড কোয়েরি ব্যবহার করা সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতিগুলির মধ্যে একটি। এই পদ্ধতিগুলি SQL কোড এবং ব্যবহারকারীর ইনপুটকে আলাদা করে, যা আক্রমণকারীদের জন্য ক্ষতিকারক কোড সন্নিবেশ করা অনেক কঠিন করে তোলে। স্টোরড প্রোসিজার: স্টোরড প্রোসিজার ব্যবহার করা ব্যবহারকারীর ইনপুট এবং SQL কমান্ডগুলির মধ্যে অতিরিক্ত স্তরের বিমূর্ততা প্রদান করতে পারে। নির্দিষ্ট কোয়েরি সংজ্ঞায়িত করে যা কেবল কার্যকর করা যেতে পারে, স্টোরড প্রোসিজার SQL ইনজেকশনের ঝুঁকি হ্রাস করে। ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ফায়ারওয়াল (WAF)**: একটি WAF বাস্তবায়ন SQL ইনজেকশন প্রচেষ্টা সনাক্ত এবং ব্লক করতে সাহায্য করতে পারে এর আগে যে তারা অ্যাপ্লিকেশনে পৌঁছায়। WAF একটি ফিল্টার হিসাবে কাজ করে এবং ইনকামিং ট্রাফিক বিশ্লেষণ করে। নিয়মিত সিকিউরিটি অডিট: নিয়মিত নিরাপত্তা মূল্যায়ন এবং কোড পর্যালোচনা পরিচালনা করুন যাতে দুর্বলতাগুলি সনাক্ত এবং সংশোধন করা যায়। ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষামূলক কার্যক্রম নিরাপত্তা বজায় রাখতে অপরিহার্য। লিস্ট প্রিভিলেজ প্রিন্সিপাল: ডেটাবেস ব্যবহারকারীর অনুমতিগুলিকে শুধুমাত্র তাদের ভূমিকার জন্য প্রয়োজনীয় স্তরে সীমিত করুন। প্রবেশাধিকার সীমিত করলে আক্রমণের সময় সম্ভাব্য ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব। ত্রুটি পরিচালনা: বিস্তারিত ত্রুটি বার্তা প্রকাশ করতে এড়িয়ে চলুন যা আক্রমণকারীদের ডেটাবেসের কাঠামোর সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করতে পারে। কাস্টমাইজড ত্রুটি বার্তা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন রাখতে সাহায্য করে। মোটরিং এবং লগিং: ডেটাবেস অ্যাক্সেস এবং অপারেশন ট্র্যাক করতে ব্যাপক লগিং এবং মনিটরিং প্রতিষ্ঠা করুন। অস্বাভাবিক কার্যকলাপের জন্য লগগুলি নিয়মিত পর্যালোচনা করা সম্ভবপর আক্রমণ সনাক্ত করতে সাহায্য করে। নিরাপত্তা সরঞ্জাম ব্যবহার করুন: এমন ডেটাবেস নিরাপত্তা সরঞ্জাম ব্যবহার করুন যা দুর্বলতার জন্য স্ক্যান করতে পারে এবং SQL ইনজেকশন বা অন্যান্য আক্রমণের সংকেত মনিটর করতে পারে। স্বয়ংক্রিয় সরঞ্জামগুলি ম্যানুয়াল নিরাপত্তা প্রচেষ্টার কার্যকারিতা বাড়াতে পারে। এসকিউএল ইনজেকশন সচেতনতা: এসকিউএল ইনজেকশনের আমাদের অনুসন্ধানের পরিসমাপ্তিতে, এই আলোচনার মধ্য দিয়ে আমরা যে গুরুত্বপূর্ণ ধারণাগুলি অর্জন করেছি সেগুলো নিয়ে ভাবা জরুরি। এসকিউএল ইনজেকশন শুধুমাত্র একটি প্রযুক্তিগত ত্রুটি নয়; ভালো খবর হলো, এসকিউএল ইনজেকশন প্রতিরোধযোগ্য। আমরা এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেরা অভ্যাস নিয়ে আলোচনা করেছি যা এই ধরনের আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। প্রস্তুতকৃত স্টেটমেন্ট, প্যারামিটারাইজড কুইরি এবং কঠোর ইনপুট যাচাইকরণের মতো কৌশলগুলি ঝুঁকি কমাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত কোড পর্যালোচনা এবং নিরাপত্তা অডিটগুলি দুর্বলতা চিহ্নিত করতে সাহায্য করতে পারে, যা আমাদের অ্যাপ্লিকেশনের নিরাপত্তা বাড়ায়। শিক্ষা এবং সচেতনতা আমাদের এই চলমান যুদ্ধে সবচেয়ে বড় মিত্র। একটি সংস্থার প্রতিটি সদস্য—শুধুমাত্র ডেভেলপার নয়—এসকিউএল ইনজেকশনের সঙ্গে জড়িত ঝুঁকি এবং নিরাপদ কোডিং প্রথার গুরুত্ব বোঝা জরুরি। নিরাপত্তা সচেতনার একটি সংস্কৃতি গড়ে তুললে, আমরা প্রতিটি দলের সদস্যকে সক্রিয় এবং সতর্ক হতে উত্সাহিত করতে পারি। অবশেষে, সাইবার হুমকির দৃশ্যপট ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে। যদিও এসকিউএল ইনজেকশন অনেক দুর্বলতার মধ্যে একটি, এটি অন্যতম সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন । তথ্যের নিরাপত্তার প্রতি সচেতন ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে, আমরা আমাদের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে এবং মূল্যবান তথ্য সম্পদের রক্ষা করতে পারি। FAQ (Frequently Asked Questions) ১. এসকিউএল ইনজেকশন অ্যাটাক কী? উত্তর: এসকিউএল ইনজেকশন অ্যাটাক হল একটি সাইবার আক্রমণ, যেখানে আক্রমণকারী একটি অ্যাপ্লিকেশনের দুর্বলতাগুলি কাজে লাগিয়ে ক্ষতিকারক SQL কোড সন্নিবেশ করে। এটি ডেটাবেসের তথ্য চুরি বা পরিবর্তন করতে পারে। ২. এসকিউএল ইনজেকশন অ্যাটাক কিভাবে সংঘটিত হয়? উত্তর: যখন একটি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারকারীর ইনপুটকে যথাযথভাবে যাচাই করে না, তখন আক্রমণকারী SQL কোড ইনপুট করে যা অ্যাপ্লিকেশনকে অপ্রত্যাশিতভাবে কাজ করতে বাধ্য করে। ৩. এসকিউএল ইনজেকশন অ্যাটাকের পরিণতি কী? উত্তর: এসকিউএল ইনজেকশন অ্যাটাকের ফলে ডেটা লঙ্ঘন, সংবেদনশীল তথ্যের চুরি, আর্থিক ক্ষতি এবং সংস্থার খ্যাতির ক্ষতি হতে পারে। ৪. এসকিউএল ইনজেকশন অ্যাটাক থেকে কিভাবে রক্ষা পাবেন? উত্তর: এসকিউএল ইনজেকশন অ্যাটাক থেকে রক্ষা পেতে ইনপুট যাচাই, প্রস্তুতকৃত বিবৃতি ব্যবহার, এবং নিয়মিত নিরাপত্তা অডিটের মতো কৌশল অবলম্বন করা উচিত। ৫. এসকিউএল ইনজেকশন অ্যাটাক সম্পর্কে আরও তথ্য কোথায় পাওয়া যাবে? উত্তর: এসকিউএল ইনজেকশন অ্যাটাক সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য সাইবার নিরাপত্তা বই, অনলাইন কোর্স এবং নিরাপত্তা ফোরামগুলি সহায়ক হতে পারে।

Tuesday, February 25, 2025

শেক্সপিয়ার এর বানী

আপনার জীবনকে পাল্টে দিতে পারে শেক্সপিয়ারের এমন কিছু উক্তি সমূহ :

 🟢যা তুমি দেখাও, তার চেয়ে বেশি তোমার থাকা উচিত। যা তুমি জান, তার তুলনায় কম কথা বলা উচিত।!

 🟢সততার কাছে দুর্নীতি কোন দিন জয়ী হতে পারে না।

🟢দুটো জিনিস খুবই কষ্টদায়ক। একটি হচ্ছে, যখন তোমার ভালোবাসার মানুষ তোমাকে ভালোবাসে কিন্তু তা তোমাকে বলে না। আর অপরটি হচ্ছে, যখন তোমার ভালোবাসার মানুষ তোমাকে ভালোবাসে না এবং সেটা তোমাকে সরাসরি বলে দেয়।

🟢বিপদের সময়ে যে হাত বাড়িয়ে দেয় সেই সত্যিকারের বন্ধু।

 🟢দু:খ কখনও একা আসে না, যখন আসে তখন তার দলবল নিয়ে-ই আসে।

🟢আমি সবসময় নিজেক সুখী ভাবি, কারণ আমি কখনো কারো কাছে কিছু প্রত্যাশা করি না, কারো কাছে কিছু প্রত্যাশা করাটা সবসময় এই দুঃখের কারণ হয়ে দাড়ায়।

🟢অভাব যখন দরজায় এসে দাঁড়ায়, ভালবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায়।

🟢কাউকে সারা জীবন কাছে পেতে চাও। তাহলে প্রেম দিয়ে নয় বন্ধুত্ব দিয়ে আগলে রেখো। কারন, প্রেম একদিন হারিয়ে যাবে কিন্তু বন্ধুত্ব কোনদিন হারায় না।

🟢যে তার ভালবাসা প্রকাশ করতে পারে না, সে ভালোবাসতেই জানে না।

🟢আনন্দ ও কাজ সময়কে সংক্ষিপ্ত করে।

🟢সাফল্যের ৩টি শর্তঃ - অন্যের থেকে বেশী জানুন! - অন্যের থেকে বেশী কাজ করুন! - অন্যের থেকে কম আশা করুন!

🟢তোমার একটু অভিমানের জন্য যদি কারো চোঁখে জল আসে, তবে মনে রেখো, তার চেয়ে বেশি কেউ তোমাকে ভালোবাসে না।

🟢তোমার বন্ধু যখন বিপদে থাকবে, তখন সে না ডাকলেও তাকে সাহায্য কর। কিন্তু, যখন সে খুশিতে থাকবে, তখন সে না ডাকলে যেওনা।

🟢শেক্সপিয়ার কে একজন জিজ্ঞেস করলো "তুমি বিয়ে করেছ তোমার চেয়ে বেশি বয়সের একটি মেয়েকে। তোমার লজ্জা করেনা।" শেক্সপিয়ার তাকে একটি ক্যালেন্ডার এনে দেখালেন আর বললেন "আপনি বলতে পারবেন সপ্তাহের সাতটি দিনের মধ্যে কোনটা যুবক আর কোনটা বৃদ্ধ?" আসলে ভালবাসার কোন বয়স হয়না আপনি যে কাউকেই ভালবাসতে পারেন।

🟢প্রয়োজন খারাপ কেও ভাল করে তোলে।

🟢মহত্ত্বের প্রতীক হচ্ছে ক্ষমাশীলতা।

 🟢জীবন-জীবন মানেই অনিশ্চিত ভ্রমণ।

🟢আমি নষ্ট করেছি সময়, এখন সময় নষ্ট করছে আমায়।

🟢ভীরুরা তাদের প্রকৃত মৃত্যুর আগেই বহুবার মরে, কিন্তু সাহসীরা জীবনে মাত্র একবারই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে থাকে।।🙂

Self Confidence

Sunday, February 23, 2025

(Upload vulnerability)আনরেস্ট্রিক্টেড ফাইল আপলোড ভার্নাবিলিটি নিয়ে আলোচনা!!

আসুন জেনে নেই- ৫
(Upload vulnerability)
আনরেস্ট্রিক্টেড ফাইল আপলোড ভার্নাবিলিটি নিয়ে আলোচনা!!
আপনাদের আজকের ক্লাস টা অনেকের কাছেই একটু কঠিন মনে হতে পারে। তাই চলুন আজকের ক্লাসের টপিকের কনসেপ্ট একটু বোঝার চেষ্টা করি।
মূল আলোচনা: আজকের ক্লাস টপিকের মূল বিষয়বস্তু ছিল ওয়েব শেল পরিচিতি এবং ডিফেস পেজ তৈরী। এখন ওয়েব শেল টা আবার কি? প্রত্যেকটা ওয়েবসাইটের একটি করে সি প্যানেল থাকে, যেখান থেকে ওয়েবসাইটের মালিকরা তাদের ওয়েবসাইটের ফাইল, ফোল্ডার, স্ট্রাকচার, কাঠামোগত দিক সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারে বা তার ইচ্ছা অনুযায়ী মডিফিকেশন করতে পারে। এখন আমরা তো শুধুমাত্র এতদিন পর্যন্ত এডমিন ড্যাশবোর্ড এক্সেস করেছি। যার মাধ্যমে শুধুমাত্র ওয়েবসাইটের নির্দিষ্ট কিছু রোলপ্লে করতে পেরেছি, যা পূর্ব থেকে নির্ধারিত ছিল। এর বাহিরে কোন সুপ্রিম এডমিনের মত করে পুরো সার্ভারের/ওয়েব এপ্লিকেশন সিস্টেম এর সম্পূর্ণ এক্সেস করতে পারিনি। আর এখানেই ওয়েব শেল এর ম্যাজিক! এই পার্টে আমরা ওয়েব শেলের মাধ্যমে একটি ওয়েব এপ্লিকেশন সিস্টেমের পুরো সার্ভার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো।
এখন অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে; আমি কি চাইলেই একটি ওয়েবসাইটে শেল আপলোড করতে পারি? এর উত্তরটা নির্ভর করে ওয়েবসাইটে কি ধরনের দুর্বলতা রয়েছে এবং আমরা সেই দুর্বলতাকে কিভাবে কাজে লাগাতে পারি। আজকে আমরা ক্লাসে দেখলাম আন রেস্ট্রিক্টেড ফাইল আপলোড ভার্নাবিলিটির মাধ্যমে শেল আপলোড করা। এর অ্যাডভান্স মেথড সহ আরো বেশ কিছু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শেল আপলোড আমরা পর্যায়ক্রমে ক্লাসে শিখতে এবং জানতে পারবো।

করণীয়: এতদিন পর্যন্ত আপনার নিজের অ্যাক্সেস নেওয়া ওয়েবসাইট গুলোতে এই শেল টি আপলোড করার চেষ্টা করুন। এটি একটি সাধারণ আপলোডার শেল যার কাজ যে কোন ধরনের ফাইল আপলোড করা। যদি আপনার অ্যাক্সেস নেওয়া কোন একটি ওয়েবসাইটের আন রেস্ট্রিক্টেড ফাইল আপলোড ভার্নাবিলিটি থেকে থাকে তাহলে এই ওয়েবশেল খুব সহজেই আপলোড করে ফেলতে পারবেন। আর যদি আপনার এক্সেস নেওয়া ওয়েবসাইটে ফাইলটি আপলোড সাকসেসফুলি না হয় তাহলে সেটি সংরক্ষণে রাখুন। আমরা পরবর্তী ক্লাসে এডভান্স ওয়েবশেল আপলোড এবং বাইপাস টেকনিকগুলো দেখে নিব। আপাতত এতটুকু ট্রাই করুন এবং নিজের হেক্সর নামে খুব সুন্দর একটা ডিফেস পেজ তৈরি করুন। আর কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে আমাকে কমেন্টে জানান
ধন্যবাদ। 😀
ও হ্যাঁ আপলোডার শেল লিঙ্ক: https://limewire.com/d/fc234b1c-b11a-4af0-a7c6-65372671c9bc#htwyzvexkZS60O63WcvxsZYnSNstcQA8Pur_sA6MwJ8

Wednesday, February 19, 2025

mid term exam question of cyber security

Correct answer: 📝
১. কোন পদ্ধতিতে হ্যাকার ওয়েবসাইট অ্যাক্সেস নিতে পারে?
উত্তর: উপরের সবগুলো
২. OSINT কি?
উত্তর: সর্বজনীনভাবে উপলব্ধ উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহের একটি পদ্ধতি
৩. হাভিজ কি?
উত্তর: SQL ইনজেকশনের জন্য ব্যবহৃত একটি টুল
৪. হাভিজ ব্যবহার করার উদ্দেশ্য কি?
উত্তর: একটি ওয়েবসাইটের ডাটাবেসে সংরক্ষিত গোপন তথ্য অ্যাক্সেস পেতে
৫. হাভিজ ব্যবহার করে ওয়েবসাইটগুলি কীভাবে SQLi আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারে?
উত্তর: Input validation and Parameterized queries মতো যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে
6. Find out this target's (professional) email, phone number, and current address via OSINT:
Target: https://www(.)linkedin(.)com/in/carl-abraham-12452b21/ (4 marks)
উত্তর: https://catalog(.)nyit(.)edu/administration_and_faculty/faculty/#
cabrah04@nyit.edu
(870) 680-8827
Wilson Hall, Room: 424C Jonesboro, Arkansas, United States
৭. কোন ধরনের ওয়েব দূর্বলতা সবচেয়ে বিপজ্জনক?
উত্তর: SQL Injection
৮. What is the correct domain of Bangladesh? (4 marks)
উত্তর: All of them
৯. What are the username and password of this website: spacefurniture(.)co(.)in (6 marks)
উত্তর: admin=admin@123
১০. What is the Internal Server Error status code?
উত্তর: 500
১১. inmakeslh(.)in What type of vulnerability exist in this website? (SQL, XSS or No-Redirect) - 4 marks
উত্তর: No-Redirect & SQL Injection Both are correct!
১২. রাজনৈতিক ভঙ্গিতে নজিবুল ইসলাম কোন দলের অনুসারী?
উত্তর: আওয়ামী লীগ (সাবেক সর-কা-রী দল)
১৩. নজিবুল ইসলাম এর বাবার নাম কি? (4 marks)
উত্তর: মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম
১৪. সেশন হাইজ্যাকিংয়ের একটি অ্যাডঅন এর নাম লিখুন।
উত্তর: No-Redirect

collected

LFI (local fule inclution এর Dork)

নিচে LFI এর ডার্ক দিয়ে দেয়া হলো...
allinurl:pgg=contact.php
allinurl:page=contact.php
allinurl:home=contact.php
allinurl:?index.php?pagina=contato.php site:br
allinurl:?index.php?pagina=clientes.php site:br
allinurl:?index.php?pagina=produtos.php site:br
allinurl:?index.php?pagina=contato.php
index.php?pagina=home.php
index.php?pagina=empresa.php
index.php?pagina=obras.php
index.php?pagina=localizacao.php
index.php?pagina=contato.php
thumb.php
index.php?pagina=empresa.php
index.php?pagina=produtos.php
index.php?pagina=representantes.php
index.php?pagina=contato.php
index.php?pagina=home.php
index.php?pagina=guia_consumidor.phpa
index.php?pagina=responsabilidade.php
LFI dork collection
inurl:"?page=news.php"
inurl:"index.php?main=*php"
inurl:"index.php?inc=*php"
inurl:"index.php?pg=*php"
inurl:"index.php?include_file=*php"
inurl:"index.php?main=*html"
inurl:"index.php?inc=*html"
inurl:"index.php?pg=*html
inurl:index.php?id=
inurl:index.php?cat=
inurl:index.php?action=
inurl:index.php?content=
inurl:index.php?page=
inurl: .php?page=contact.php site:in/pk/id
collected

Http and Https বিস্তারিত

INFORMATIONAL POST-03
অনেকেই HTTP & HTTPS নিয়ে ঝামেলায় পড়েছেন, একটু সহজ করে দেই বিষয়টা।।
HTTP & HTTPS
কোন ওয়েভসাইট যেমন ধরুন আপনি ইত্তেফাক নিউজ পেপারটি পড়তে চান, তাহলে কি করবেন??
ব্রাইজারে যাবেন তারপর সেখানে ইত্তেফাক নিউজ পেপারের ওয়েবের এড্রেসটি (ittefaq.com.bd )
বা তার আইপি এড্রেসটি দিয়ে এন্টার করলে ইত্তেফাক নিউজপেপারটি পড়তে পারবেন।
তো এই ওয়েব এড্রেসটি দিতে শুরু করতে হয় http দিয়ে। যেমনঃ http://ittefaq.com.bd/
http://www.ittefaq.com.bd/
আর তারপর সাইটের কন্টেন্ট গুলো চলে আসে, আমাদের পিসি বা মোবেইলের ব্রাউজার হলো ক্লাইন্ট, আর ইত্তেফাক ‍নিউজপেপারটি কোন এক সার্ভারে রাখা আছে, সেই সার্ভারে কানেক্ট করে সেই পেইজ বা ফাইল কে রিকোয়েষ্ট করে এবং সেই সার্ভার আপনার ব্রাউজার কে রেসপন্স করে কনটেন্ট গুলো দেখায়। বিষয়টি হলো এমন- আপনি কারো বাসায় একটি পার্সেল পাঠাতে চান, তাহলে কি লাগবে? সেই বাড়ির নাম, সেই বাড়ির নাম্বার, এলাকার নাম, বর্তমান লোকেশন। http হল ওয়েব পেইজের ঠিকানা, রোড নম্বরের মত। পূর্ণ নাম- হাইপার টেক্সট ট্রান্সফার প্রটোকল Hypertext Transfer Protocol (HTTP)। মূলতঃ http একটি অনুরোধ প্রোটোকল যা ক্লায়েন্ট এবং সার্ভারের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যম গঠন করে। আমরা আমাদের পিসি বা মোবাইল থেকে কোন ব্রাউজারে লিখি www.ittefaq.com.bd
Client এর যে File বা লিংক এর দরকার পরে তার রিকোয়েস্ট Server কে পাঠায় এবং সার্ভার সেই ফাইল টি খুঁজে ক্লায়েন্টকে সেন্ড করে ।
সো একটি বিষয় ক্লিয়ার সেটা হলো হলো http একটি প্রটোকল।
দিনে দিনে এই রিকোয়েষ্ট টেকনোলজি, প্রটোকল সবকিছুই অনেক আপডেট হয়েছে। এখন আর এত কিছু লেখার প্রয়োজন হয় না। ব্রাউজারে গিয়ে শুধুমাত্র ওয়েব এড্রেসটি লিখলেই ব্রাউজার সার্ভারের সাথে কানেক্ট হওয়ার প্রটোকল খুঁজে নেয়। তাই ittefaq.com.bd লিখলেই সে বুঝে নেয় এটা হলো http://www.ittefaq.com.bd/
HTTPS:
HTTPS = HTTP + SSL
HTTPS এর পুর্ণরুপ হচ্ছে HyperText Transfer Protocol Secure, মানে হলো HTTP এর সাথে SSL certificates যুক্ত হয়ে ডাটাগুলো এনক্রিপটেড ( Encrypted ) হয়ে পারাপার হয়, ফলে ডাটাগুলো নিরাপদ থাকে ।
ওয়েভ সাইটের সেনসেটিভ ডাটা যেন লীক না হয় সেজন্য ওয়েভ সাইটগুলো সিকিউরিটির জন্য SSL (Secure Sockets Layer) certificates ব্যবহার করে ওয়েভ সার্ভার ও ইউজারের ব্রাউজারের মধ্যে একটি সিকিউর কানেকশন তৈরী করে যাতে এইচ টি টি পি ট্রান্সমিশন এর সময় ডাটা নিরাপদ থাকে।
আর তাই আজকাল অনেক ওয়েব সাইট ই https প্রটোকল ব্যবহার করে থাকে, বিশেষ করে যে সমস্ত ওয়েব সাইট – এ পেমেন্ট সিস্টেম আছে কিংবা বিভিন্ন ব্যাংক গুলো বা গুরুত্বপূর্ন ওয়েভ সাইটগুলো যাদের ডাটা মিস উইস হলে সমস্যা হতে পারে সেসব সাইট ।
https প্রটোকল ব্যবহার করা সাইটগুলোর বামে একটি তালার ছবি থাকে, মানে সিকিউর।
https এ আপনার আর সার্ভারে কানেকশন স্টাবলিশ হওয়ার সাথে সাথে SSL সার্টিফিকেট এক্সচেঞ্জ হয়, এই সার্টিফিকেটে আপনার এবং সার্ভারের "পাবলিক কি" দেয়া থাকে। আপনি যা পাঠাবেন তা সার্ভারের পাবলিক কি দিয়ে এনক্রিপ্টেড হয়ে যাবে, সার্ভার যা ফেরত পাঠাবে তা আপনার পাবলিক কি দিয়ে এনক্রিপ্টেড হয়ে আসবে।
আরো একটু সহজ করে বলি-
http প্রটোকলের মাধ্যমে আপনি আপনার মোবাইল/ পিসির ব্রাউজার থেকে (মানে ক্লাইন্ট ইন্ড এটা) কোন একটি সার্ভারে একটি টেক্সট পাঠালেন যেমন ধরুনঃ ”বন্ধু কেমন আছিস- বল??” এখন আপনার পিসি থেকে ঔ সার্ভার এ যাওয়ার পথে যে কেউ ঐ ডাটা ধরতে পারলে সেও পড়তে পারবে আপনি কি ডাটা পাঠিয়েছেন,, এটাতো ভালো.. এখন যদি ডাটা টা GF বা BF এর কাছে পাঠানো কোন টেক্সট হয়, সেকি এতো ভালো কথা লিখবে??
আচ্ছা যদি https প্রটোকলের মাধ্যমে হতো, তাহলে কি হতো??
তাহলে ক্লাইন্ট থেকে সার্ভারে যে ডাটা যেত সেটা ইনক্রাপ্টেড হয়ে যেত, পথিমধ্যে কেউ পেলেও লাভ নাই, কি সব হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি হিজিবিজি
বাই দ্য ওয়ে- কোন প্রটোকলেই কেউ প্রেমপত্র পাঠায় না, জাষ্ট আপনাদের বোঝানোর জন্য বল্লাম।।
collected