Skip to main content

Posts

Showing posts from September, 2023

একজন অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধার কাহিনি

উনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়ার অপরাধে রাজাকাররা তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করার হুমকি দিয়েছিলো। এটা শুনে যুদ্ধের ময়দান থেকে বাড়ী এসেছিলো স্ত্রী সন্তানের খবর নিতে। এসে দেখলো তাঁর  স্ত্রী সতীত্ব বাচাতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্বহত্যা করেছে। বাচ্চারা একজনও বেচে নেই। পাহাড় সমান শোককে শক্তি করে বাড়ি ছেড়েছিলেন আর দেশ স্বাধীন করেই তবে বাড়ী ফিরেছিলেন।  মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তিনি পাঁচ হাজার মুক্তিযোদ্ধার এক দুধর্ষ গেরিলা বাহিনী গড়েছিলেন যারা বরিশাল, ঝালকাঠি, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুর আর বাগেরহাট এলাকায় দুর্দান্ত প্রতাপের সাথে যুদ্ধ করে পাকিস্তানী হানাদার আর তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকারদের পরাভুত করেছে। একদিন সম্মুখ যুদ্ধে একটা বুলেট লোকটার গালের একপাশ দিয়া ঢুকে আরেক পাশ দিয়ে বেড়িয়ে যায়। আটটা দাঁত পড়ে গেল। ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিলো তবুও লোকটা যুদ্ধ থামায় নি, অজ্ঞান হওয়ার  আগ পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে গেছে এবং শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানি হানাদাররা পরাজিত হয়ে পালিয়েছিলো। লোকটির নাম হেমায়েত উদ্দিন।  হেমায়েত বাহিনীর প্রধান বীর বিক্রম হেমায়েত উদ্দিন। শুধু বাংলাদেশের না, সমগ্র মডার্ন মিলিটা...

যেভাবে মাপা হলো পৃথিবীর ওজন

যেভাবে মাপা হলো পৃথিবীর ওজন ক্যাভেন্ডিসের পরীক্ষা যেভাবে মাপা হলো পৃথিবীর ওজন এভাবে পৃথিবীর ওজন মাপা যায় নাছবি: সংগৃহীত পৃথিবীর ওজন কত? কৌতূহলী প্রশ্ন বটে। যাঁরা একটু বিজ্ঞান সচেতন, তাঁরা জানেন, প্রশ্নটা বলে আসলে ওজন বোঝানো হচ্ছে না। জানতে চাওয়া হচ্ছে ভর। সঠিক প্রশ্নটা তাই হবে, পৃথিবীর ভর কত? গুগল করলেই পাওয়া যাবে উত্তর। ৫.৯৭২×১০ ২৪ কেজি। এখন আসল প্রশ্নটা। কৌতূহলী হলে নিশ্চয়ই আপনার মাথায় এসেছে। পৃথিবীর এই ভর (বা চলতি ভাষায় ‘ওজন’) মাপা হলো কীভাবে? মজা করে কেউ কেউ বলতেই পারেন, একটা বিশাল পাল্লায় পৃথিবীটাকে বসিয়ে মেপে ফেললেই তো হয়, নাকি! তা, অমন দুষ্টবুদ্ধি আপনার আগেও আরও অনেকের মাথায়ই এসেছে। এই যেমন ১৯ শতকের একটা মজার ছবির কথাই ধরুন। সিনাগগ নামের একটি বিখ্যাত বইতে এর বিষয়বস্তুর উল্লেখ আছে। বইটার লেখক গ্রিক সভ্যতার পড়ন্ত বেলার অন্যতম সেরা গণিতজ্ঞ প্যাপাস অব আলেকজান্দ্রিয়া। তিনি আর্কিমিডিসের একটা উক্তি তুলে ধরেছেন, সে অনুযায়ী ১৯ শতকের এই দুষ্ট (কিংবা হয়তো সিরিয়াসই, কে জানে!) ছবি। যেখানে দেখা যাচ্ছে, একটা সি-স রাইডের একপ...

জীবনে কিছু করতে চাইলে বাসের ড্রাইভারের মত হও

জীবনে কিছু করতে চাইলে নাইটকোচ এর ড্রাইভারের মতো হও........ হানিফ এন্টারপ্রাইজের একটি বাস জয়পুরহাট-হিলির উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করল। বাসটির ৪০ টি সিট যাত্রীতে পূর্ণ। বাসের সুপারভাইজার,  ড্রাইভার এবং হেলপার বেশ খুশি মনে ‘বিসমিল্লাহ...’ পড়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলেন। ড্রাইভারের পিছনের সিটে দু’জন মাঝবয়সী লোক বসেছেন। তাদের একজন আজকের ‘ প্রতিদিনের বাংলাদেশ’ পত্রিকা পড়তে শুরু করলেন। পত্রিকার পাতাগুলো উদ্দেশ্যহীনভাবে উল্টানোর এক পর্যায়ে তার চোখ দু’টো বিনোদন পাতায় আটকে গেল। হালের উঠতি এক নায়িকা স্বল্প বসন পরিহিত ছবিতে তার নয়ন দু’টি থমকে গেছে। তার নয়নের এরূপ কড়া দৃষ্টি দেখে তার পাশের জনও পত্রিকার পাতার দিকে তাকালেন। তিনিও মোহগ্রস্থ হলেন। তিনি একবার সামনের দিকে তাকান আর একবার আড়চোঁখে পত্রিকায় দৃশ্যমান স্বল্প বসনের সেই নায়িকার দিকে তাকান। এভাবেই এক সময় বাসটি নবীনগর,চন্দ্রা অতিক্রম করে এখন হাইওয়েতে উঠেছে। মাঝের দিকে বসেছেন দুই তরুন-তরুনী। তারা সম্ভবত নববিবাহিত দম্পতি। যাত্রী ভর্তি এই বাসেও তাদের ভালোবাসাময় দুষ্টামী থেমে থাকে না। এরই ফাঁকে মেয়েটি লজ্জা,শঙ্কা আর খানিকটা ভয়ার্ত দৃষ্টি ন...

দুই কলশীর নীতি গল্প

একটি নীতিমূলক গল্প একজন বয়স্ক মহিলার দুটি বড় পাত্র ছিল, যা তার কাঁধের বাকের দুই প্রান্তে ঝোলানো ছিল।  একটি পাত্রের মধ্যে সূক্ষ্ম একটি ফাটল ছিল কিন্তু অন্য  পাত্রটি ছিল নিখুঁত এবং নদী থেকে জল আনার সময় একটি পাত্র পুরোপুরি জলে ভর্তি থাকতো অপরটি অর্ধেক জল পূর্ণ থাকত।  পুরো দুই বছর ধরে,এভাবেই ভদ্রমহিলা দেড় পাত্র জল নিয়ে ঘরে ঢুকতেন।  অবশ্যই, নিখুঁত পাত্র তার পূর্ণতার জন্য  গর্বিত ছিল কিন্তু বেচারা পটকা পাত্র নিজের অপূর্ণতার জন্য লজ্জিত ছিল এবং তার মনে দুঃখ ছিল যে পুরো জল কখনোই বহন করতে পারে না।  দুই বছর পর খুঁত যুক্ত পাত্রটি বৃদ্ধার কাছে খুব দুঃখ করে বলল-আমি সত্যি সত্যি নিজে নিজের অক্ষমতার জন্য লজ্জিত। আমার যা করা উচিত ছিল আমি সেটা কখনোই করে উঠতে পারি না। আমার ভেতর একটা ফাটল আমাকে আমার কাজ করতে দেয় না। বৃদ্ধা মুচকি হেসে বললেন, 'আচ্ছা খেয়াল করেছ,তোমাকে যে রাস্তা দিয়ে নিয়ে আসা হয় সেই রাস্তার পাশে কত ফুলের সারি!আমি তোমার ত্রুটি জানি, যে স্থান দিয়ে তোমাকে আনা হয় সেখানে আমি কিছু ফুলের বীজ ছড়িয়ে দিয়েছি, সেখান থেকে গাছ হয়ে ফুল জন্মেছে। পথের পা...

নফস কে নিয়ন্ত্রনের ব্যাপারে কিছু পরামর্শ

১. ফজরের পরে না ঘুমানোর অভ্যাস করুন। প্রয়োজনে কাইলুলা (দুপুরের হালকা ঘুম) করা যাবে। ২. দিনে ম্যক্সিমাম তিনবার খাবার অভ্যাস করুন। সকাল, দুপুর ও রাতের খাবারের মাঝখানে হাবিজাবি খাবার যেমন ফাস্টফুড, স্ট্রিটফুড খাওয়া যাবেনা ক্ষুধা লাগলে খেজুর, আপেল এগুলো খাওয়া যায়। ৩. প্রতিবেলা খাবার সময় যেটুকু খাবার যথেষ্ট বলে মনে হবে তার থেকে একটু কম খাবেন। ৪. অপ্রয়োজনীয় কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। কোন মন্তব্য করার আগে একবার চিন্তা করুন এই কথাটা আপনি না বললে কি কোন লস আছে? বলা কি আবশ্যিক? উত্তর না হলে ওই কথা বলার দরকার নাই। ৫. সকাল সন্ধ্যার জিকির-আযকার করুন। ৬. ইশরাকের সালাত আদায়ের অভ্যাস করতে হবে। ৭. প্রতিদিন নিয়মত কুরআন পড়ার অভ্যাস করতে হবে। হতে পারে ১ রুকু থেকে ১ পারা - যেকোন পরিমাণ। ৮. ঘুমের পরিমাণ কমাতে হবে। ৯. ফজরের পরে কিছুক্ষণ ব্যায়ামের অভ্যাস করা। আর কিছু না পারলে ১৫-২০ মিনিট জগিং করে এসে গোসল করে ইশরাকের সালাত পড়ার অভ্যাস করা। ১০. দৃষ্টি অবনত রাখা। না পারলে ওইসব জায়গা এড়িয়ে চলার সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে। ১১. ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার (সোশ্যাল মিডিয়া) কম ব্যবহার করা। ১২. প্রতিদিন হিফজের একটা টার্গ...

জীবনের হিসাব

জীবনের হিসাব – সুকুমার রায় বিদ্যে বোঝাই বাবু মশাই চড়ি শখের বোটে মাঝিরে কন, “বলতে পারিস সূর্য কেন ওঠে? চাঁদটা কেন বাড়ে কমে? জোয়ার কেন আসে?” বৃদ্ধ মাঝি অবাক হয়ে ফেলফেলিয়ে হাসে, বাবু বলেন, “সারা জীবন মরলিরে তুই খাটি, জ্ঞান বিনা তোর জীবনটা যে চারি আনাই মাটি!” খানিক বাদে কহেন বাবু, “বলত দেখি ভেবে নদীর ধারা কেমনে আসে পাহাড় হতে নেবে? বলত কেন লবন পোরা সাগর ভরা পানি?” মাঝি সে কয়, “আরে মশাই অত কি আর জানি?” বাবু বলেন, “এই বয়সে জানিসনেও তা কি? জীবনটা তোর নেহাত খেলো, অষ্ট আনাই ফাঁকি!” আবার ভেবে কহেন বাবু, “বলত ওরে বুড়ো, কেন এমন নীল দেখা যায় আকাশের ঐ চূড়ো? বলত দেখি সূর্য চাঁদে গ্রহন লাগে কেন?” বৃদ্ধ বলেন, “আমায় কেন লজ্জা দিছেন হেন?” বাবু বলেন, “বলব কি আর বলব তোরে কি, তা,- দেখছি এখন জীবনটা তোর বারো আনাই বৃথা।” খানিক বাদে ঝড় উঠেছে ঢেউ উঠেছে ফুলে, বাবু দেখেন নৌকাখানি ডুবল বুঝি দুলে। মাঝিরে কন, “একি আপদ ওরে ও ভাই মাঝি, ডুবল নাকি নৌকো এবার? মরব নাকি আজি?” মাঝি শুধায়, “সাতার জানো?” মাথা নারেন বাবু, মূর্খ মাঝি বলে, “মশাই এখন কেন কাবু? বাঁচলে শেষে আমার কথা হিসেব করো পিছে, তোমার দেখি জীবন খানা...

জীবন বিনিময়

জীবন বিনিময় - গোলাম মোস্তফা  বাদশা বাবর কাঁদিয়া ফিরিছে, নিদ নাহি চোখে তাঁর- পুত্র তাঁহার হুনায়ন বুঝি বাঁচে না এবার আর! চারিধারে তার ঘনায়ে আসিছে মরন-অন্ধকার। রাজ্যের যত বিজ্ঞ হেকিম কবিরাজ দরবেশ এসেছে সবাই, দিতেছে বসিয়া ব্যবস্থা সবিশেষ, সেবাযত্নের বিধিবিধানের ত্রুটি নাহি এক লেশ। তবু তাঁর সেই দুরন্ত রোগ হটিতেসে নাকো হায়, যত দিন যায়, দুর্ভোগ তার ততই বারিয়া যায়— জীবন-প্রদীপ নিভিয়া আসিছে অস্তরবির প্রায়। শুধাল বাবর ব্যগ্রকন্ঠে ভিষকব্রিন্দে ডাকি, ‘বলো বলো আজি সত্যি করিয়া, দিও নাকো মোরে ফাঁকি, এই রোগ হতে বাদশাজাদার মুক্তি মিলিবে নাকি?” নতমস্তকে রহিল সবাই, কহিল না কোনো কথা, মুখর হইয়া উঠিল তাঁদের সে নিষ্ঠুর নীরবতা শেলসম আসি বাবরের বুকে বিঁধিল কিসের ব্যাথা! হেনকালে এক দরবেশ উঠি কহিলেন—‘সুলতান, সবচেয়ে তব শ্রেষ্ট যে-ধন দিতে যদি পার দান, খুশি হয়ে তবে বাঁচাবে আল্লা বাদশাজাদার প্রান।’ শুনিয়া সে কথা কহিল বাবর শঙ্কা নাহিক মানি- ‘তাই যদি হয়, প্রস্তুত আমি দিতে সেই কোরবানি, সবচেয়ে মোর শ্রেষ্ঠ যে ধন জানি তাহা আমি জানি।’ এতেক বলিয়া আসন পাতিয়া নিরিবিলি গৃহতল গ...

গল্প হলেও অনেক স্বামী স্ত্রীর বাস্তবতার শিকার

  গল্প হলেও অনেক স্বামী স্ত্রীর বাস্তবতার শিকার। স্ত্রী যখন আট মাসের গর্ভবতী তখন আমার শাশুড়ি এসে স্ত্রীকে নিয়ে গেলো বাপে র বাড়ি। ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার দুদিন পর শাশুড়ি স্ট্রোক করলো। এতে তার শরীরের বাঁ দিক অবশ হয়ে গেলো। যে মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিলো দেখাশোনা করার জন্য, সেই মেয়ে এখন উল্টো মাকে দেখাশোনা করতে লাগলো। অসুস্থ শাশুড়িকে দেখতে গিয়ে স্ত্রীকে বললাম,"সন্তান জন্মের পরই বাড়িতে চলে এসো।" স্ত্রী বললো,"বাবা সারাদিন চাকরিতে ব্যস্ত থাকেন। ছোটো ভাইও ভার্সিটি, টিউশনি নিয়ে দিনভর বাইরে থাকে। গোটা দিন মাকে দেখার কেউ নেই। এই অবস্থায় অসুস্থ মাকে রেখে কী করে যাই?" "কী বলতে চাও তুমি?" "মা নিজে নিজে উঠতে বসতে পারলে, এবং কিছুটা হাঁটতে পারলে আমি চলে যাবো। সেই পর্যন্ত আমাকে থাকতে দাও।" বিরক্ত হয়ে বললাম,"তোমার মায়ের ঐ অবস্থায় আসতে ছয় মাস লাগবে। ততোদিন থাকবে এখানে?" "ছয় মাস লাগবে না। ডাক্তার বলেছেন দু মাসের মধ্যে মা সুস্থ হয়ে যাবে।" অসন্তুষ্ট হয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে এলাম। যথা সময়ে আমার একটা ছেলে সন্তান হলো। স্ত্রী ঐ সদ্যজাত ...

গণিতের ৫টি চমৎকার কৌশল

  গণিতের ৫টি চমৎকার কৌশল  গণিতে অনেক মজার কৌশল আছে। সেগুলো না জানা থাকলে গণিতের আসল মজা বোঝা যায় না। গণিত তখন খটমট কঠিন বিষয়ে পরিণত হয়। তবে আজ আমরা পাঁচটি গণিতের কৌশল শিখবো। এ সহজ কৌশলগুলো আপনাকে আরও দ্রুত ও সহজে গণণা করতে সাহায্য করবে। নিজের গাণিতিক স্কিল বাড়ানোর পাশাপাশি আপনি এ কৌশলের সাহায্যে শিক্ষক, পিতামাতা ও বন্ধুদের প্রভাবিত করতে পারেন। চলুন কৌশলগুলো জানা যাক।  ১. ৬ দিয়ে গুণ  যেকোনো সংখ্যাকে ৬ দিয়ে গুণের একটি সহজ পদ্ধতি আছে। যে সংখ্যা দিয়ে ৬-কে গুণ করবেন সেটি হবে উত্তরের শেষ সংখ্যা (ডিজিট)। আর ওই শেষ ডিজিটের অর্ধেক বসবে তার ঠিক আগে। যেমন, ৬ × ৪ = ২৪। খেয়াল করুন, এখানে ৬-কে গুণ করেছি ৪ দিয়ে। উত্তরে শেষ সংখ্যা হবে ৪। আর ৪-এর অর্ধেক ২ হবে তার আগে।  তবে ৬-কে যদি ৯-এর ওপরের কোনো সংখ্যা দিয়ে গুণ করেন, তাহলে আরেকটু নিয়ম জানতে হবে। ১০-১৯ এর মধ্যে কোনো সংখ্যা দিয়ে গুণ করলে যে সংখ্যা দিয়ে গুণ করবেন, তার অর্ধেকের সঙ্গে ১ যোগ করতে হবে। ২০-২৯ এর মধ্যে কোনো সংখ্যা দিয়ে গুণ করলে যোগ করতে হবে ২। এভাবে যত ওপরের দিকে যাবেন, তত যোগ করতে হবে। যেমন, ১২ × ৬ করুন...

এ পি যে আবুল কালাম

পৃথিবীতে এমন মানুষ এই একজনই এসেছিলেন ।          কিন্তু জানেন , এই মানুষটিনা খুব বোকা ছিলেন ।          আরে বাবা যে দেশের রাষ্ট্রপতি তার কাছে মানে রাষ্ট্রপতি ভবনে স্বপরিবারে বেড়াতে আসলেন তারই নিজের ভাই ১১ জন সদস্য ৩ দিন ছিলেন তারা ।           বেশ তাতে কিহয়েছে !!            হয়েছে মানে !! জানেন কি হয়েছে !!          তাদের থাকা ও খাওয়াতে যা খরচ হয়েছে সেই খরচের হিসাব চাইলেন রাষ্ট্রপতি ভবনের অধিকারীকের কাছে এবং সেই খরচ নিজের নামে ব্যাঙ্কে জমে থাকা রাষ্ট্রপতি ভাতা থেকে ৩ ২২ ০০০ টাকার চেক কেটে দিলেন যেটা সরকারি কোষাগারে জমা পড়ল ।           বলেন কি মশাই !! এ যে সত্যিই আশ্চর্য !!           নামেই মুসলমান কিন্তু কোনোদিন মসজিদে যাননি নামাজ পড়েননি বরঞ্চ গীতা পড়তেন , তানপুরা বাজিয়ে গান করতেন , সাধু সন্যাসীদের পায়ে হাত দিয়ে প্রনাম করতেন , মঠে আশ্রমে যেতেন , দুস্থ শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ক্ষেত্রে অকাতরে সাহায্য করতেন । ...

রবি ঠাকুরের দুখের ফিরিস্তি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর- জীবনে যত দুঃখ বহন করেছেন তা পৃথিবীর আর কোন সাহিত্যিকের জীবনে ঘটেছে বলে জানা নেই।  ১. তের বছর বয়সে মাতৃহারা হন। ২. তাঁর বিয়ের রাতে ভগ্নিপতি মারা যান।  ৩. চারমাস পরে আত্মহত্যা করেন যার প্রেরণা ও ভালোবাসায় তিনি কবি হয়ে উঠেছেন, সেই নতুন বৌঠান কাদম্বরী দেবী।  ৪. ১৯০২ কবিপত্নী মৃণালিনী দেবী ২৯ বছর বয়সে মারা গেলেন l রবীন্দ্রনাথ তখন একচল্লিশ।  ৫. দুই মেয়ের বিয়ের সময় শর্ত অনুযায়ী জামাইদের বিলেতে ব্যারিস্টারি ও ডাক্তারি পড়াতে বিলেত পাঠালেন। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই রেনুকা অসুস্থ হয়ে পড়লেন। তাঁকে বাঁচানো গেল না ।  ৫. ১৯০৫-এ চলে গেলেন পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।  ৭.  ১৯০৭ কনিষ্ঠ পুত্রের (১২ বছরের) কলেরায় মৃত্যু।  ৮. ১৯১৩ রবীন্দ্রনাথ নোবেল পেলেন l  ৯.  ১৯১৮ বড় মেয়ে বেলা অসুস্থ, বেলাকে প্রতিদিন গাড়িতে করে দেখতে যেতেন কবি। বাবার হাত ধরে মেয়ে বসে থাকত বিছানায়। আর তখন রবীন্দ্রনাথের জামাই শরৎ টেবিলের ওপর পা তুলে সিগারেট খেতে খেতে রবীন্দ্রনাথকে ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ করতেন। একদিন বেলাকে দেখতে গিয়ে মাঝপথে শুনলেন সে মারা গেছে। মেয়েকে শেষ দেখা...

যোগ্যতা নাকি সৌন্দর্য?

প্রাচীন মিশরে পাতলা কোমরের মেয়ের খুব কদর ছিল। যে মেয়ে যত স্লিম, তাকে তত আকর্ষণীয় ধরা হত। কিন্তু এসব পাতলা কোমরের মেয়েরা যখন বিয়ে করতো, তখন তারা বেছে বেছে মোটা ভুঁড়িওয়ালাদেরই বিয়ে করতো। কারণ সেসময়ে ভাবা হত, ধনীরা গরীবদের চেয়ে ভাল মন্দ খায় । তাই মোটা লোকরা আর্থিকভাবে সচ্ছল ও ধনবান হয়। তখন দেখা যেত, অনেক পুরুষই কৃত্রিমভাবে মোটা হওয়ার চেষ্টা করত। আবার মাথায় টাকওয়ালা পুরুষদের ভাবা হত মহাজ্ঞানী । তাদেরও বেশ কদর ছিল। মধ্যযুগে এসে মোটা মেয়েদের কদর খুব বেড়ে যায়। কারণ তাদের ধনী-অভিজাত পরিবারের ভাবা হত। কারণ, একগাদা দাসী থাকার কারণে তাদের কোন কাজই করতে হতো না। ফলে কাজ না করার জন্য মোটা হয়ে যেত,  সেটাই ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। আসলে সৌন্দর্যের সংজ্ঞা যুগ ভেদে একেক রকম। আজ সারা বিশ্বে প্রচার করা হচ্ছে মেয়েদের জন্য ফর্সা মানেই সুন্দর, জিরো ফিগার মানেই আকর্ষণীয়। এই জন্য দু'বেলা হাফ প্লেট ভাত খেয়ে দুর্বল শরীর নিয়ে হলেও ফিগার জিরো মেইনটেইন করায় ব্যস্ত সবাই। অথচ আগের যুগে জিরো ফিগারের মেয়ে দেখলে লোকে নির্ঘাত ভাবতো, মেয়েটা নিশ্চয় কাঙ্গাল পরিবারের। না খেতে পেয়ে এমন শুকিয়ে গেছে। এগুলো আসলে কিছুই না। সবই ক...

একজন সৎ প্রধান্মন্ত্রীর গল্প "লাল বাহাদুর শাস্ত্রী"

এমন একজন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন যিনি ১৯৬৫ সালে নিজের একটি ৪ চাকার গাড়ি ক্রয় করতে পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকে মাত্র ৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, জীবদ্দশায় সেই ঋণের একটি কিস্তিও উনি জমা করতে পারেননি । ১৯৬৬ সালে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর ব্যাঙ্ক কতৃপক্ষ উনার বাড়িতে নোটিশ পাঠান। নোটিশ পেয়ে উনার স্ত্রী নিজের পেনশনের টাকা থেকে ওই ঋণের সকল কিস্তি জমা করেন। যার কথা বলছি উনি আর কেউ নন, উনি লাল বাহাদুর শাস্ত্রী। উনার সহধর্মিণী ললিতা শাস্ত্রীও ঠিক উনারই মতো সৎ স্বভাবী ছিলেন এবং সারা জীবন একজন প্রকৃত জীবনসঙ্গীর মতোই পাশে ছিলেন। শাস্ত্রীর ওই ৪ চাকার গাড়িটি আজও রয়েছে জনপথের আবাসে (বর্তমানে সংগ্রহশালা)! এবার এখানে একটু থামুন, আর ভাবুন কিছু এমন লোকের কথা যারা ব্যাঙ্ক এর ঋণের কোটি কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা।  এমন আর একটি ঘটনার কথা আজ বলা খুব দরকার। ১৯৬২ সালের কথা, সেসময় শাস্ত্রীজি অখিল ভারতীয় কংগ্রেস কমিটির মহাসচিব। তখন প্রধানমন্ত্রী জওহর লাল নেহেরু। উনার কোনো এক কাজের দরুন কাশ্মীর যাওয়ার দরকার ছিল। নেহরু উনাকে কাশ্মীর যেতে লাগাতার অনুরোধ করলেও তিনি বার বার যেতে অস্বীকার কর...

কিংবদন্তি সার্জন ডাঃ হ্যামিল্টন মাস্টার অফ মেডিসিন

এক নিরক্ষর ডাক্তার। তিনি লেখা পড়া জানতেন না। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনের বাসিন্দা ,, বিখ্যাত সার্জন ডাঃ হ্যামিল্টন। যাকে "মাষ্টার অফ মেডিসিন" সম্মানে সম্মানিত করা হয়।।  এটা কিভাবে সম্ভব ??  চলুন,, একটু জেনে নেওয়া যাক। "কেপটাউন মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি" চিকিৎসা জগত এবং ডাক্তারি পড়াশোনা করার জন্য বিশ্ব বিখ্যাত এক প্রতিষ্ঠান। এই বিশ্ববিদ্যালয় এমন একজন ব্যাক্তিকে মাষ্টার অফ মেডিসিন সম্মান জানিয়েছে,,যিনি জীবনে কখনো স্কুলে যাননি। পৃথিবীর প্রথম "বাইপাস সার্জারি" হয়েছিল, কেপটাউনের এই ইউনিভার্সিটিতে। 2003 সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রফেসর "ডাঃ ডেভিড ডেট" এক আড়ম্বর- পূর্ণ অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেন,, " আজ আমরা এমন একজন ব্যাক্তিকে সম্মান জানাতে চলেছি,, যার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় হাজারো পড়ুয়া সার্জারি শিখেছেন। যিনি  কেবলমাত্র একজন শিক্ষক নন,, বরং একজন উচ্চ মানের সার্জন এবং ভালো হৃদয়ের মানুষ। ইনি চিকিৎসা বিজ্ঞানে যে অবদান রেখে গেছেন,, সেটা পৃথিবীর খুব কম মানুষই রাখতে পেরেছেন।"  এরপর প্রফেসর "ডেভিড" সাহেব "সার্জন হ্যামিল্টন" এর নাম নিতেই...

সত্য চিরকাল সত্য

জেরুজালেমে ঘোড়ার আস্তাবলে যীশুর জন্মাতে তখনও তিনশো চুরাশি বছর দেরি ; জন্ম নিলেন এ্যারিস্টটল!  শুধু গ্রীস নয় সারা বিশ্ব নড়ে চড়ে উঠল মানুষটার কথাবার্তায়! গ্রীক বীর আলেকজাণ্ডারকে টিউশন পড়িয়ে ফেরার পথে গার্জেনদের জটলায় দাঁড়িয়ে   বললেন, "শিক্ষার শেকড়ের স্বাদ তেতো হলেও ফল মিষ্টি" ; এতগুলো বছর পরে মানুষটা নেই, রয়ে গেছে কথাগুলো আগুনের মতো সত্যি হয়ে!  তারও আগে এথেন্স এ্যাকাডেমির বারান্দায় দাঁড়িয়ে সোচ্চার কন্ঠে বলে গেলেন প্লেটো,  "রাজনীতিতে অংশগ্রহণে অনীহার অন্যতম শাস্তি হলো নিজের চেয়ে নিকৃষ্টদের দ্বারা শাসিত হওয়া!"  মিথ্যে নয় কথাগুলো!  দু'হাজার ছ'শো বছর আগেই বোধহয় মানুষটা জানতেন...এম.এল.এ.,এম.পি. হয়ে বিধানসভা কিংবা পার্লামেন্টে পৌঁছোতে গেলে এম.এ., এম.এস.সি.,পি.এইচ.ডি. অথবা মিনিমাম কোনো কোয়ালিফিকেশনের প্রয়োজন নেই বরং এম.এ, এম.এস.সি,পি.এইচ.ডি'রাই নন ম্যাট্রিক এম.এল.এ, এমপি'দের পিছনে হাত কচলাতে কচলাতে স্যার স্যার করে ঘুরবে !  তার চেয়েও বহু আগে পৃথিবীতে যীশু আসার  চারশো সাতাশ বছর আগে হেমলক ভর্তি কাপে  চুমুক দিতে দিতে প্লেটোর মাস্টারমশায় সক্রেটিস বলে...

নির্মম নিষ্ঠুর কলম্বাসের কাহিনী

ইতিহাস বড়ই নির্মম। সে কাউকেই ক্ষমা করেনি, করবেও না। আজ হোক বা শত শত বছর, ইতিহাস তার ফেলে আসা সময়ের বিচার করবেই। পাঁচ শতক পেরিয়ে গেলেও আমেরিকার আবিস্কারক হিসেবে পরিচিত কলম্বাসকে কিন্তু ইতিহাস ছাড়েনি। আমেরিকা জয়ের পরে তাঁর সেই নির্মমতার প্রতীকী বিচার শুরু হয়েছে। ১৪৯২ সালের ১২ অক্টোবর। ক্রিস্টোফার কলম্বাসের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী তিনটি জাহাজে চড়ে আমেরিকার বাহামাস দ্বীপে পৌঁছান। সরলমনা স্থানীয় আদিবাসীরা তাদেরকে অতিথি হিসেবে স্বাগত জানান। কলম্বাসের একটি ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ মেরামতও করে দেন তারা। অভ্যর্থনা জানাতে আসা আদিবাসীদের দেহে স্বর্ণের অলঙ্কার দেখে কলম্বাস অনুমান করেন আশেপাশের কোথাও স্বর্ণের খনি রয়েছে। আদিবাসীদের সরলতা কলম্বাসকে মুগ্ধ করে এ জন্য যে, তিনি খুবই কম পরিশ্রমে ওই ভূখণ্ডের সব কিছু নিজের দখলে নিতে পারবেন। তিনি আমেরিকার মূল মালিক আদিবাসীদের নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা পাকাপোক্ত করেন এবং স্পেনে গিয়ে আরও এক হাজার দুইশ’ ইউরোপীয়কে সঙ্গে নিয়ে আসেন। শুরু হয় নির্মমতা, চলে গণহত্যা। কলম্বাস বাহিনী হিস্পানিওলা দ্বীপের একটি প্রদেশে ১৪ বছরের উপরের সব আদিবাসীকে তিন মাস পরপর একটা নির্দিষ্ট পরিম...

যেমন ছিলেন প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সা.)।

যেমন ছিলেন প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সা.)। ১/ তিনি দীর্ঘ সময় নীরব থাকতেন।  ২/ তিনি কম হাসতেন।  ৩/ তিনি মুচকি হাসতেন, হাসি ওনার ঠোঁটে লেগে থাকতো। ৪/ তিনি অট্টহাসি হাসতেন না। ৫/ তিনি তাহাজ্জুদ নামাজ ত্যাগ করতেন না। ৬/ তিনি দৈনিক শতবার ক্ষমা প্রার্থনা করতেন।  ৭/ তিনি কখনোই প্রতিশোধ নিতেন না। ৮/ তিনি যুদ্ধক্ষেত্র ছাড়া কাউকেই আঘাত করেননি।  ৯/ তিনি বিপদে পড়লে তাৎক্ষনিক নামাজে দাঁড়িয়ে পড়তেন। ১০/ তিনি অসুস্থ হলে বসে নামাজ পড়তেন।  ১১/ তিনি শিশুদের সালাম দিতেন।  ১২/ তিনি সমাবেত মহিলাদের সালাম দিতেন।  ১৩/ তিনি শিশুদের পরম স্নেহ করতেন। ১৪/ তিনি পরিবারের সদস্যদের সাথে কোমল আচরণ করতেন। ১৫/ তিনি সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখতেন।  ১৬/ তিনি ঘুম থেকে জেগে মেসওয়াক করতেন। ১৭/ তিনি মিথ্যাকে সার্বাধিক ঘৃণা করতেন। ১৮/ তিনি উপহার গ্রহণ করতেন। ১৯/ তিনি সাদকাহ (দান) করতেন। ২০/ তিনি সব সময় আল্লাহকে স্মরণ করতেন। ২১/ তিনি আল্লাহকে সব সময় ভয় করতেন ২২/ হাতে যা আসতো তা আল্লাহর রাস্তায় দান করে দিতেন। ২৩/ কেউ কথা বলতে বসলে সে ব্যক্তি উঠা না পর্যন্ত তিনি উঠতেন না।  ২৪/ বিনা প্রয়োজন...

টমাস আলভা এডিসনের ছোটবেলার চিঠি

পিতৃহারা ৭/৮ বছর বয়সের ছেলেটি স্কুল হতে বাড়ীতে এসে মাকে বলল,,,, "মা"-- প্রিন্সিপাল আমাকে আদর করে কিছু ক্যান্ডি দিয়েছে,, আর-- তোমার জন্য এই চিঠিটা,,, মা চিঠিখানা খুলে পড়ে কেঁদে ফেললেন,, মায়ের চোখে জল দেখে ছেলেটি বললো --"মা" কাঁদছ কেনো? চোখ মুছতে মুছতে মা বললেন-- "বাবা" এটা আনন্দের কান্না,,,,, বলেই ছেলেটিকে চুমু দিয়ে বললেন,; আমার জিনিয়াস বাবা,; তোকে চিঠিটা পড়ে শোনাই,, মা আনন্দের সাথে চিৎকার করে স্যার‌ের ল‌েখার ভাষা বদল‌ে নিজের মত কর‌ে পড়তে লাগলেন,,,, "ম্যাম" আপনার ছেলেটি সাংঘাতিক জিনিয়াস,, আমাদের ছোট্ট শহরে ওকে শিক্ষা দেওয়ার মত শিক্ষক আমাদের নেই;; তাই--যদি পারেন আপনার ছেলেকে বড় শহরে কোনো স্কুলে ভর্তি করে দিলে ভালো হয়,, এই ছেলেটি একদিন বিশ্বে প্রচুর সুনাম অর্জন করবে,, পত্রখানা পড়েই মা, ছেলেটিকে চুমু দিয়ে বললেন, এই জিনিয়াস ছেলেটিকে আমি নিজেই পড়াবো,,, মা নিজেই শিক্ষা দিয়ে ছেলেটিকে যুক্তরাষ্ট্রের তথা সমগ্ৰ পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক বানালেন,, """#টমাস_আলভা_এডিসন""" বৈদ্যুতিক বাল্ব, শব্দ রেকর্ডিং, মুভি ক্যামেরা বা চল...

সাড়ে ৩ হাত জমি

বড় বোন ব্যবসায়ীর স্ত্রী, থাকে শহরে। ছোট বোন কৃষকের স্ত্রী, থাকে গ্রামে। বড় বোন এসেছে ছোট বোনের গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে। চা খেতে খেতে দুই বোন গল্প করছিল। বড় বোন বলছিল শহরে থাকার সুযোগ-সুবিধার কথা। বেশ বাড়িয়ে বলা। যাকে বলে গল্প দেওয়া। ছোট বোনও গ্রামে থাকার ভালো দিকগুলোর কথা বলে। ছোট বোনের স্বামী পাখোম সব শুনছিল। সে বলল, ‘কথা ঠিক। ছোটবেলা থেকেই মাটির কোলে পড়ে আছি। তাই বলে তেমন কোনো অভাব নেই। অভাব কেবল একটিই, আমার জমি খুব কম। জমি যদি পাই তা হলে কাউকে পরোয়া করব না, স্বয়ং শয়তানকেও না।’ শয়তান শুনে বেশ খুশি হলো। ভাবল, একে নিয়ে মজার একটা খেলা খেলবে। আগে অনেক জমি দেবে, তারপর কেড়ে নেবে। পাখোমের জমি ক্রয় পাখোমের বাড়ির কাছে একজন মহিলা বাস করতেন। তিনি ছিলেন ২৪০ একর জমির মালিক। ভালো মানুষ তিনি। প্রতিবেশীদের সঙ্গে তার সম্পর্কও ভালো। অবসরপ্রাপ্ত একজন সৈনিককে জমিদারির ওভারশিয়ার নিযুক্ত করলেন তিনি। ওভারশিয়ার লোকটি ভালো নয়। নানা ছলছুতায় কৃষকদের জরিমানা করে সে। কারো গরু, ঘোড়া, বাছুর জমি জিরাতে ঢুকলেই সে জরিমানা করে, অত্যাচার করে। এরই মধ্যে শোনা গেল জমিদার মহিলা তার সব জমি বিক্রি করে দেবেন। আর ওভা...

রুটির দাম ও রাজার গল্প

এক রাজার রাজ্যে ১ লোক রুটি বিক্রি করতো। একমাত্র রুটি বিক্রেতা।  সে একদিন রাজার কাছে যেয়ে বললঃ 'হুজুর, অনেক বৎসর ৫ টাকা করে রুটি বিক্রি করি। এখন দাম বাড়িয়ে ১০ টাকা করতে চাই। আপনি যদি অনুমতি দেন!'  রাজা বললেন, 'যা, কাল থেকে ২০ টাকা রুটির দাম!'  দোকানী বলল, 'না হুজুর, আমার ১০ টাকা হলেই চলবে!'  রাজা বললেন, 'চুপ করে থাক! আর আমি যে দাম বাড়াতে বলেছি, কাউকে বলবিনা!'  রুটি ওয়ালা খুশিমনে ফিরে গেল।  পরদিন থেকে তার রুটির দাম ২০ টাকা! সারা রাজ্যে প্রতিবাদ! জনগণ ক্ষেপে গিয়ে রাজার কাছে বিচার দিল, 'হুজুর, আমাদের বাঁচান! এ কি অন্যায়! ৫ টাকার রুটি ২০ টাকা হলে আমরা বাচবো কি খেয়ে!' রাজা হুংকার দিলেন, 'রুটি ওয়ালাকে ধরে আনো! এই অন্যায় মানা যায় না!'  তারপর ঘোষণা দিলেন কাল থেকে রুটির দাম অর্ধেক (মানে ১০ টাকা!)  সারা রাজ্যে ধন্য ধন্য পড়ে গেল! শুধু এমন একজন রাজা ছিলো বলে! না হলে জনগণের কি হতো! রুটি ওয়ালা খুশি!  জনগণও খুশি! রাজাও খুশি! 🙄 এটাই হলো বর্তমানের বাস্তব চিত্র। সময় নিয়ে ভেবে দেখবেন।

অভিশাপ (কাজী নজরুল ইসলাম)

অভিশাপ - কাজী নজরুল ইসলাম---(দোলনচাঁপা কাব্যগ্রন্থ) যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে, অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুছবে-                       বুঝবে সেদিন বুঝবে!                   ছবি আমার বুকে বেঁধে                   পাগল হ’লে কেঁদে কেঁদে                   ফিরবে মর” কানন গিরি,                   সাগর আকাশ বাতাস চিরি’                   যেদিন আমায় খুঁজবে-                       বুঝবে সেদিন বুঝবে! স্বপন ভেঙে নিশুত্‌ রাতে জাগবে হঠাৎ চমকে, কাহার যেন চেনা-ছোঁওয়ায় উঠবে ও-বুকে ছমকে,-                       জাগবে হঠাৎ চমকে!                   ভ...