Thursday, November 30, 2023

দুই উকিলের গল্প

*হাইকোর্টে একটি মামলায় সাক্ষী হিসাবে কাজের মাসি শিলার ডাক পড়েছে।*।

বাদীপক্ষের দুঁদে উকিল 'প্রমথ বিশ্বাস' শিলা মাসি কে ঘাবড়ে দেবার জন্য প্রথমেই জিজ্ঞাসা করলেন: *"আপনি আমায় চেনেন ??"*

শিলা মাসির উত্তর: *“ওমা চিনব না কেন ?? তুমি প্রমথ তো !! তোমায় ন্যাংটা বয়স থেকেই চিনি। পুরো বখে যাওয়া ছেলে ছিলে। মিথ্যা কথা বলতে। লোক ঠকানোয় ওস্তাদ ছিলে। লাগানি ভাঙানি ভালোই করতে। আরো অনেক গুন তোমার ছিল সে সব আর বলছি না। নিজেকে মস্ত কেউকেটা ভাবতে যদিও কানাকড়ির মুরোদ ছিল না। তোমাকে আমি ভালই চিনি।"*

প্রমথ বাবু স্তম্ভিত হয়ে গেলেন। ভেবে পাচ্ছিলেন না কি করবেন। কোর্ট ঘরের অপর প্রান্তে বিবাদী পক্ষের উকিল "অসিত ধরে"র দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে বললেন: *“ওনাকে চেনেন ??"*

শিলা মাসির উত্তর: *“ওমা চিনব না কেন ?? ওতো অসিত। খুব ভাল করেই চিনি। অলস অকর্মণ্য। কারো সাথে সদ্ভাব ছিল না। পাঁড় মাতাল। শহরের সবচেয়ে পিশাচ উকিল। বৌয়ের চোখে ধুলো দিয়ে তিনটে ছুঁড়ির সাথে ফষ্টিনষ্টি করে। তার মধ্যে একজন তোমার বৌ। ওকেও ছোট থেকেই চিনি।”*

*বিবাদী পক্ষের উকিল অসুস্থ বোধ করতে লাগলেন।*

এমন সময় জজ সাহেব দুই উকিলকে কাছে ডাকলেন। উকিলদ্বয় কাছে যাবার পর নিচু গলায় শান্তস্বরে জজ সাহেব বললেন:

*“দুই গর্দভের একজনও যদি ওই মহিলাকে প্রশ্ন করো যে আমায় চেনে কিনা? তাহলে তোমাদের আমি ফাঁসি কাঠে চড়াব।”* 
🤣🤣🤣🤣🤣🤣😂😂🤐🤐🤐
collected

Monday, November 27, 2023

Ideoms and phrases

◾বিগত bcs পরীক্ষায় আসা ইংরেজির কিছু প্রশ্ন।
#BCS #Admission #nursing #primary #ইংরজি 

১। ‘Null and void’ – বাতিল [38th BCS preli ; 32th BCS Written]
২। ‘Once in a blue moon’- খুবই কদাচিৎ [38th BCS preli ]
৩। ‘Take the bull by the horse’- একটি কঠিন সমস্যার মীমাংসিত চুক্তি [38th BCS preli ]
৪। ABC-প্রাথমিক জ্ঞান [31st BCS Written]
৫। All in-পরিশ্রান্ত [17th BCS Written]

৬। A round dozen-পূর্ণ ডজন বা ১২টি [14th BCS Written]
৭। An apple of discord-বিবাদের বিষয় [32nd BCS Written]
৮। As though-যেন [29th BCS Written]
৯। At a loss-হতবুদ্ধি [28th BCS Written]
১০। A castle in the air-আকাশকুমুস কল্পনা [11th BCS Written]

১১। After one’s own heart-মনের মতো [25th BCS Written]
১২। An axe to grind-সম্পৃক্ততার ব্যক্তিগত কারণ [24th BCS
১৩। At arm’s length-নিরাপদ দূরত্ব [21st BCS
১৪। Benefit of the doubt- সন্দেহাবসর [15th BCS Written]
১৫। Burning question-গুরুত্বপূর্ণ বিষয় [28th BCS Written]
১৬। By dint of-বদৌলতে [17th BCS Written]
১৭। By fits and starts-অনিয়মিত ভাবে [22nd & 31st BCS Written]
১৮। Bring to pass-কোন কিছু ঘটা [27th BCS Written]
১৯। Bolt from the blue-বিনা মেঘে বজ্রপাত [29th BCS Written]
২০। Bottom line-সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় [15th BCS Written]
২১। Black and blue-নির্মমভাবে [ TEO -2015]
২২। Black sheep-কুলাঙ্গার [32nd BCS Written]
২৩। Cry in the wilderness-অরণ্যে রোদন [22nd BCS Written]
২৪। Call to mind-স্মরণ করা [33rd BCS]
২৫। Come to terms-ঐকমত্যে পৌছা [20th & 31st BCS Written]

২৬। Cast aside-বাতিল করা [24th BCS Written]
২৭। Draw the line-সীমারেখা নির্ধারণ করা [21st BCS Written]
২৮। Dilly dally-সময় অপচয় [20th BCS]
২৯। Dog days-সবচেয়ে গরমের দিন [14th BCS]
৩০। Day after day-দিনের পর দিন [32th BCS Written]
৩১। Down to earth-বাস্তবিক [ TEO -2015]
৩২। Eat humble pie-অপমান হজম করে ক্ষমা চাওয়া [18th BCS Written]
৩৩। End in smoke-ব্যর্থতায় পর্যবসিত হওয়া [31st BCS Written]
৩৪। Few and far between-কদাচিত [31st BCS Written]
৩৫। Flesh and blood-রক্তমাংসের দেহ [21st BCS Written]
৩৬। For good-স্থায়ীভাব [TEO-2015]
৩৭। Fool’s paradise-বোকার স্বর্গ [28th BCS Written]
৩৮। Fresh blood-নতুন সভ্য [29th BCS Written]
৩৯। Gift of the gab-বাগ্নিতা [27th BCS Written]
৪০। Get along-কারো সাথে সুসম্পর্ক থাকা [27th BCS Written]

৪১। Give in-বশ্যতা স্বীকার করা [13th BCS Written]
৪২। Half a chance-সামান্য সুযোগ [21st BCS Written]
৪৩। Hand in glove-ঘনিষ্ঠ [23rd BCS Written]
৪৪। Hold water-পরীক্ষায় টিকে থাকা [11th BCS]
৪৫। Heart and soul-সর্বান্তকরণে [32nd BCS Written]
৪৬। In cold blood-ঠান্ডা মাথায় [14th BCS & 15th BCS Written]
৪৭। In case-যদি [29th BCS Written]
৪৮। In addition to-অধিকন্তু [25th BCS Written]
৪৯। In order that-যাতে [25th BCS Written]
৫০। In black and white-লিখিতভাবে [11th BCS Written]
৫১। Kith and kin-আত্মীয় [সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা-২০১৫]
৫২। Look forward to-ভালো কিছু আশা করা [29th BCS Written]
৫৩। Let loose-বল্গাহীনভাবে ছেড়ে দেয়া [21st BCS Written]
৫৪। Make a case-যুক্তি দেখানো [21st BCS Written]
৫৫। Make hay while the sun shines-ঝোপ বুঝে কোপ মারা [24th BCS Written]
৫৬। Maiden speech-প্রথম বক্তৃতা [23rd, 26th, 34th BCS Written]
৫৭। Make up one’s mind-মনস্থির করা [29th BCS Written]
৫৮। Make good-ক্ষতিপূরণ করা [24th BCS Written]
৬০। Out of the question-অসম্ভব [15th BCS Written]

৬১। Out and out-সম্পূর্ণরুপে [11t­h, 26th BCS Written]
৬২। Open secret-যে গোপন সর্বজন বিদিত [28th BCS Written]
৬৩। Pick a quarrel with-ঝগড়া বাধানো [24th BCS Written]
৬৪। Pros and cons-খুটিনাটি [31st BCS Written]
৬৫। Put heads together-একমত হওয়া; একত্রে বসে পরামর্শ করা [24th BCS Written]
৬৬। Pass away-মারা যাওয়া [33rd BCS]
৬৭। Put up with-সহ্য করা [15th, 31st, 33rd BCS Written]
৬৮। Raise one’s eyebrow-চোখ কপালে ওঠা, বিস্মিত হওয়া [32nd BCS]
৬৯। Red handed-হাতে নাতে [28th BCS Written]
৭০। Rank and file-সাধারণ সৈনিক [22nd BCS Written]
৭১। Spare no pains-যথাসাধ্য সব কিছু করা [24th BCS Written]
৭২। Swan song-শেষ কর্ম [23rd BCS]
৭৩। Soft soap-তোষামোদ করা [14th BCS]
৭৪। Sorry figure-কৃতিত্ব দেখাতে না পারা [27th BCS Written]
৭৫। Tell upon-ক্ষতি করা [25th BCS Written]

৭৬। Three score-ষাট [16th BCS]
৭৭। Through and through-সম্যকভাবে [17th BCS Written]
৭৮। To smell a rat-সন্দেহ করা [21st BCS Written]
৭৯। Take a fancy to-ভালো লাগা [27th BCS Written]
৮০। Take into account-বিবেচনা করা [33rd BCS]
৮১। Through thick and thin-বিপদে আপদে সব অবস্থাতেই [27th BCS]
৮২। To do away with-ত্যাগ করা [36th BCS]
৮৩। Turn over a new leaf-নতুন অধ্যায়ের সূচনা করা [14th BCS]
৮৪। To end in smoke-ব্যর্থতায় পর্যবসিত হওয়া [31st BCS]
৮৫। To get along with-কারো সাথে সুসম্পর্ক থাকা[28th BCS]
৮৬। To meet trouble half way- হতবুদ্ধি হওয়া [14th BCS]
৮৭। Up and doing- উঠে পড়ে লাগা [20th BCS Written]
৮৮। With a good grace-সানন্দে [17th BCS Written]
৮৯। With a view to- উদ্দেশ্যে [13th BCS Written]
৯০। Worth one’s while- যথার্থ মূল্য দেয়া [20th BCS Written]

৯১। White elephant- কাজে আসে না অথচ দামি ও অসুবিধাজনক [10th, 26th BCS]
৯২। A man of letters-পন্ডিত ব্যক্তি [32nd BCS Written]
৯৩। A man of straw-দুর্বলচিতের লোক [11th BCS Written]
৯৪। A square pig in a round whole- অনুপযুক্ত [18th BCS Written

"প্রত্যাবর্তনের লজ্জা" আল মাহমুদ

( এই কবিতাটি কেউ  পড়লে কবি আল মাহমুদ হাউমাউ করে কাঁদতেন। সে এক মর্মান্তিক দৃশ্য বটে, মনোহরও।)

"প্রত্যাবর্তনের লজ্জা"
 আল মাহমুদ

শেষ ট্রেন ধরবো বলে এক রকম ছুটতে ছুটতে ষ্টেশনে পৌঁছে দেখি

নীলবর্ণ আলোর সংকেত। হতাশার মতোন হঠাৎ

দারুণ হুইসেল দিয়ে গাড়ি ছেড়ে দিয়েছে।

যাদের সাথে শহরে যাবার কথা ছিল তাদের উৎকণ্ঠিত মুখ

জানালায় উবুড় হয়ে আমাকে দেখছে। হাত নেড়ে সান্ত্বনা দিচ্ছে।

আসার সময় আব্বা তাড়া দিয়েছিলেন, গোছাতে গোছাতেই

তোর সময় বয়ে যাবে, তুই আবার গাড়ি পাবি।

আম্মা বলেছিলেন, আজ রাত না হয় বই নিয়েই বসে থাক,

কত রাত তো অমনি থাকিস।

আমার ঘুম পেলো। এক নিঃস্বপ্ন নিদ্রায় আমি নিহত হয়ে থাকলাম।

অথচ জাহানারা কোনদিন ট্রেন ফেল করে না। ফরহাদ

আধ ঘণ্টা আগেই ষ্টেশনে পৌঁছে যায়। লাইলী

মালপত্র তুলে দিয়ে আগেই চাকরকে টিকিট কিনতে পাঠায়।

নাহার কোথাও যাওয়ার কথা থাকলে আনন্দে ভাত পর্যন্ত খেতে পারে না।

আর আমি এদের ভাই

সাত মাইল হেঁটে এসে শেষ রাতের গাড়ি হারিয়ে

এক অখ্যাত ষ্টেশনে কুয়াশায় কাঁপছি।

কুয়াশার সাদা পর্দা দোলাতে দোলাতে আবার আমি ঘরে ফিরবো।

শিশিরে আমার পাজামা ভিজে যাবে। চোখের পাতায়

শীতের বিন্দু জমতে জমতে নির্লজ্জের মতোন হঠাৎ

লাল সূর্য উঠে আসবে। পরাজিতের মতো আমার মুখের ওপর রোদ

নামলে, সামনে দেখবো পরিচিত নদী। ছড়ানো ছিটানো

ঘরবাড়ি, গ্রাম। জলার দিকে বকের ঝাঁক উড়ে যাচ্ছে। তারপর

দারুণ ভয়ের মতো ভেসে উঠবে আমাদের আটচালা।

কলার ছোট বাগান।

দীর্ঘ পাতাগুলো না না করে কাঁপছে। বৈঠকখানা থেকে আব্বা

একবার আমাকে দেখে নিয়ে মুখ নিচু করে পড়তে থাকবেন,

ফাবি আইয়ে আলা ই-রাব্বিকুমা তুকাজ্বিবান...।

বাসি বাসন হাতে আম্মা আমাকে দেখে হেসে ফেলবেন।

ভালোই হলো তোর ফিরে আসা। তুই না থাকলে

ঘরবাড়ি একেবারে কেমন শূন্য হয়ে যায়। হাত মুখ

ধুয়ে আয়। নাস্তা পাঠাই।

আর আমি মাকে জড়িয়ে ধরে আমার প্রত্যাবর্তনের লজ্জাকে

ঘষে ঘষে

তুলে ফেলবো।
collected

Saturday, November 25, 2023

ইংরেজি বর্ণমালা আপনাকে কী পরামর্শ দিচ্ছেঃ

“গুনে গুনে ৮টা চুল ওয়ালা একটা লোককে গতকাল সেলুনে দেখলাম। সেলুনে যেহেতু মোটামুটি কাস্টমার ছিল তাই নাপিত মহাশয়ের তখন মেজাজ খারাপ। লোকটি চুলের দিকে ইঙ্গিত করতেই নাপিত জানতে চাইলেন, কী ভাই, কাটবো না গুনবো?
লোকটি তখন হেসে উত্তর দিলেন, নারে ভাই ওইসব না, চুলগুলো রাঙ্গিয়ে দিন প্লিজ।

সেলুনের সবাই একটু মজা নিলেও আমি মোটেও মজা পাইলাম না কারন আমার কাছে '"জীবন উপভোগ করার বিষয়'"। তাই জীবনে যতটুকু আছে তা নিয়েই হাসিমুখে উপভোগ করতে হয়। কোন একটা ক্লাসে আমার শিক্ষক একবার বলেছিল যাদের মাথায় চুল কম তাদের পকেটে চিরুনি থাকে কেননা "" হারিয়ে খুঁজি তাকে" ছন্দটি ওনার জন্যই প্রযোজ্য।

আসল কথায় আসি, যদি আপনি কখনো STRESSED ফিল করেন তবে সবকিছু থেকে সাময়িক বিরতি নিবেন, আইস্ক্রিম, চকলেট, মিস্টি, বগুড়ার দই, টাঙ্গাইলের চমচম, পেস্ট্রি বা ফালুদা দিয়ে নিজেকে আপ্যায়িত করবেন।

এখন জানতে চাইতে পারেন কেন?

STRESSED শব্দটাকে উল্টো করে লিখে দেখুন উত্তরটা পেয়ে যাবেন, STRESSED কে উল্টো করে লিখলে সেটা DESSERTS ই হয়।

আপনি কি কখনও ইংরেজি বর্ণমালা নিয়ে ভেবে দেখেছেন,  যদি না ভাবেন তবে দেখে নিন ইংরেজি বর্ণমালা আপনাকে কী পরামর্শ দিচ্ছেঃ

১. A B C = Avoid Boring Company =বিরক্তিকর সহচার্য এড়িয়ে চলুন। 

২. D E F =Don't Entertain  Fools = মূর্খদের গুরুত্ব দিবেন না। 

৩. G H I = Go for a High Idea = উচ্চ ধারণার খোঁজ করুন ।

৪. J K L M = Just keep a friend like Me = নিজের মতো বন্ধু বানান।

৫. N O P = Never Overlook the Poor= দরিদ্র এবং পীড়িতদের কখনো অবজ্ঞা করবেন না। 

৬. Q R S = Quit Reacting to Silly tales= অযথা বাজে কথায় প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না। 

৭. T U V = Tune Yourself (Urself) for your Victory = নিজেকে বিজয়ের জন্য প্রস্তুত করুন। 

৮. W X Y Z = We Expect (Xpect) You to Zoom ahead in life = আমরা আশা করি তুমি জীবনে এগিয়ে যাবে। 

চাঁদের দিকে তাকালে  আপনি স্রষ্টার তৈরী সৌন্দর্য দেখতে পাবেন। সুর্যের দিকে তাকালে আপনি  স্রষ্টার শক্তিমত্তা দেখতে পাবেন। আর আয়নার দিকে তাকালে আপনি স্রষ্টার সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি দেখতে পাবেন। তাই সবসময় নিজের উপরে আস্থা এবং বিশ্বাস রাখবেন।

জীবনের লক্ষ যদি এমন হয় তবে কেমন হবে  ৯৮৭৬৫৪৩২১০

৯ = প্রতিদিন ৯ গ্লাস পানি পান করুন।
৮ = প্রতিদিন ৮ ঘন্টা ঘুমান।
৭ = পরিবার নিয়ে ৭ আশ্চর্য ঘুরে আসুন।
৬ = ৬ ডিজিটের আয় রোজগার করুন। 
৫ = ৫ কর্ম দিবসের সপ্তাহ তৈরি করুন। 
৪ = ৪ চাকার একটি গাড়ি কিনুন। 
৩ = ৩ বেড রুমের একটা ফ্লাট কিনুন।
২ = ২  টা ফুটফুটে বাচ্চার অভিভাবক হন।
১ = ১ প্রেয়সী গড়ুন। 
০ =  দুশ্চিন্তাকে শুন্যের কোটায় নামিয়ে ফলুন।

collected from  facebook 

নিজস্ব মতামত, ভুল বুঝবেন না

@ Zahid Mahmud Ushan

Friday, November 24, 2023

155 phrasal verbs with Banlga meaning

গুরুত্বপূর্ণ 155টি Group verb বা Phrasal Verb বাংলা অর্থসহ উদাহরণে মাধ্যমে........
▪️Act
1) Act against (বিরুদ্ধে কাজ করা): We all should act against the corruption.
2) Act for (পক্ষে কাজ করা): A alway lawyer acts for his clients.
3) Act from (কোন উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করা): We should act from a sense of responsibility.
4) Act on (অনুসারে কাজ করা): We acted on this instruction.
5) Act under (আদেশ মেনে কাজ করা): He acted under the orders of his Boss.
6) Act upon (প্রভাবিত করা): Over eating definitely acts upon our health.
7) Act upon (নির্ভর করা): The police raided the hostel acting upon the secret information.
8) Act up to (পূর্ণ করা): This new computer is not acting up to our expectation.
9) Act the role of (ভূমিকায় অভিনয় করা): She acted the role of Mousumi

▪️Bear
10) Bear away (জয় লাভ করা): We bore away the first prize in the football match.
11) Bear down (দমন করা): We should bear down dowry system from our society.
12) Bear off (প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করা): Salman bore off the prize.
13) Bear up (সহ্য করা/অটল থাকা): I can’t bear up his misbehavior.
14) Bear with (সহ্য করা): I can’t bear with such an insult.

▪️Blow
15) Blow away (উড়িয়ে নেওয়া): The storm blew away the small house.
16) Blow down (উপড়িয়ে ফেলা): Many trees were Blow down by the storm last night.
17) Blow out (নিবিয়ে ফেলা): Please, blow out the lamp when you go to bed.
18) Blow over (প্রবাহিত হওয়া): A tremendous storm blew over our village.
19) Blow up (বিস্ফোরণ ঘটা): The Bridge was blown up by the enemy.

▪️Break
20) Break away (হঠাৎ পালিয়ে যাওয়া): He broke away from here.
21) Break down (ভেঙ্গে যাওয়া): His health has broken down due to over work.
23) Break into (ভেঙ্গে প্রবেশ করা): A thief  broke into my room and took away all my money last night.
25) Break off (ছিন্ন করা/সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করা): He suddenly breaks off all relations with us.
26) Break open (ভঙ্গেফেলা): The broke the door opens.
27) Break out (প্রাদুর্ভাব হওয়া): Corona Virus has broken out in Bangladesh at the beginning or 2020.
28) Break up (ছুটি হওয়া): My office breaks up to 5:00 pm.
29) Break with (সম্পর্ক ছিন্ন করা): I broke with her for her misconduct.

▪️Bring
30) Bring about (ঘটানো): She brought about a revolution in Chemistry.
31) Bring down (নত হওয়া): She brought down my prestige.
32) Bring forth (প্রসব করা): She brought forth a baby.
33) Bring off (উদ্ধার করা/সফল হওয়া): It was a difficult job but somehow he managed to bring it off.
34) Bring on (ঘটায়): Ulcers are not brought on by a rich diet.
35) Bring out (প্রকাশ করা/ বুঝা): The magazine will also be bringing out a book in November to celebrate its 40th anniversary.
38) Bring to book (তিরস্কার করা): He was brought to book for his ignorance.
39) Bring to light (প্রকাশ করা): The secret will bring to light one day.

▪️Burst
40) Burst into tears (কেঁদে ফেলা/কান্নায় ফেটে পড়া):  He burst into tears hearing  the news of his father’s death.
41) Burst out (হাসিতে ফেটে পড়া): Selim burst out a laughter.

▪️Call
44) Call forth (আহবান করা): Our boss called forth an immediate meeting yesterday.
45) Call in (ডাকা): If you feel sick, please call in a doctor.
46) Call off (প্রত্যাহার করা): The workers called off their strike.
47) Call on (কারো সাথে দেখা করা): They called on me at my house.
48) Call out (জোরে ডাকা): The man called out the police.
49) Call over (নাম ডাকা): The teacher called over the rolls.
50) Call up (স্মরণ করা): Suddenly, I cannot call up his name.
51) Call upon (সাক্ষাৎ করা): I will call upon the manager next week

▪️Carry
52) Carry away (বহন করা): The boy was carried away many valuable lives.
53) Carry off (জয় করা): He carried off the first prize in the completion.
54) Carry on (চালিয়ে যাওয়া): Don’t stop. Just carry on your duty.
55) Carry out (পালন করা): We should carry out our parent’s advice.
56) Carry the day (জয়লাভ করা): Hurrah!! We have carried the day.

▪️Cast
57) Cast away (ছুড়ে ফেলা): He cast away the used pen.
58) Cast off (ফেলে দেওয়া): He has cast off his old shoes.
59) Cast out (কেটে দেওয়া): My name was cast out of the committee.

▪️Come
61) Come away (খুলে যাওয়া): The handle of the axe came away several times.
62) Come about (ঘটা): I don’t know how it came about.
63) Come across (নজরে পড়া/দেখতে পাওয়া): I came across him in the village.
64) Come along (আসা): The shirt comes along with 3 sizes.
65) Come at (আক্রমণ করা): He came at with sharp knife.
66) Come by (হঠাৎ দেখতে পাওয়া): I came by a purse of gold on the way.
67) Come down (কমে আসা): The demand of radio is now coming down.
68) Come forward (এগিয়ে আসা): I came forward and saved the child from danger.
69) Come of (জন্ম গ্রহন করা): He came of Muslim family.
70) Come off (অনুষ্ঠিত হওয়া): The marriage creamery of my elder brother come off last Sunday.
72) Come over (উওীর্ণ হওয়া): He came over many difficulties.
73) Come in (প্রবেশ করা): May I come in?
74) Come round (রোগমুক্ত হওয়া): He came round soon.
75) Come upon (হঠাৎ দেখা পাওয়া): I came upon him on the way.
76) Come up to (আশানুরূপ  হওয়া): His HSC result did not come up to his expectation.

▪️Cut
77) Cut down (কেটে ফেল): People are cutting down trees randomly.
78) Cut off (কেটে ফেল): She cut off her hair.
79) Cut out (সরানো): She cut his photograph out of the paper.
80) Cut out (বাদ দেওয়া): I cut out rich food from my menu list since last week.
81) Cut in (কথা মাঝখানে কথা বলা/ অংশ নেওয়া): He cuts in the middle of our conversation.

▪️Do
83) Do away with (পরিত্যাগ করা): Do away with your bad habits.
84) Do for (নিঃস্ব হওয়া): He is done for his wrong decision.
85) Do for (কাজ চলা): This pen will do for a pencil.
86) Do into (অনুবাদ করা): Do the letter into English.
87) Do off (খুলে ফেলা): Do your shirt off.
88) Do on (পরিধান করা): If you are ready, you can do on your dress.

▪️Draw
90) Draw back (সরে যাওয়া): If you promise, you cannot draw back from your words.
91) Draw off (পিছু হটা): Finally, the enemy drew off in our liberation war.
92) Draw on (কাছে আসা): As our examination is drawing on, we need to study more.
93) Draw out (পিছনে সরে আসা ): You cannot draw out of the contract now.
94) Draw to (আকৃষ্ট হওয়া): I drew him since the day I saw him.
95) Draw up (সাজানো): The forces were drawn up in the battle field.

▪️Get
96) Get down (লেখা): Get down what I say.
97) Get down (অবতরণ করা): I got down from the running  bus.
98) Get in (প্রবেশ করা): We got in the room.
99) Get into (বিপদে পড়া): We got into trouble last night.
100) Get off (নামা): He got off from the bus.
101) Get out (বাইরে যাওয়া): Don’t get out in the rain.
102) Get over (অতিক্রম করা): He gets over all difficulties.
103) Get through (শেষ করা): Get through the work in a week.
104) Get to (পৌছা): Can you please tell me how to get to the National Museum.
105) Get up (উঠা): Get up early from bed to maintain a good health.

▪️Give
106) Give away (বিতরণ করা): The Government has given away relief goods to the flood affected people.

▪️Go
121) Go out (বাইরে যাওয়া): Don’t go out in the rain.
120) Go out (নিভে যাওয়া):  The lamp suddenly went out.
119) Go on (চালিয়ে যাওয়া): He is going on well with.
117) Go in for (পক্ষ নেওয়া/ সমর্থন করা): The public will go in for the Minister.
116) Go into (তদন্ত করা): The police will go into the murder.
115) Go for (বিবেচিত হওয়া): He goes for youth leader in our country.
113) Go by (কথা মত চলা): They go by their company policy.
112) Go back (ফিরে যাওয়া): Go back to your country.
111) Go ahead (অগ্রসর হওয়া): Go ahead for five minutes and you will find the bank.
110) Go against (বিরুদ্ধে যাওয়া): I will not go against my father.
109) Go abroad (বিদেশে যাওয়া): He went abroad last year.
107) Go away (চলে যাওয়া): They have  gone away from the country forever.

▪️Hold
126) Hold in (সংযত রাখা): Relax, Hold in your temper.
127) Hold out (প্রসারিত করা): He held out his hands to me.
128) Hold over (মুলতবি রাখা): The conference was held over.
129) Hold to (লেগে থাকা): You need to hold to your plan if you want success.
130) Hold up (থামা/আটকে থাকা ):  I was help up by the traffic jam.
131) Hold with (একমত হওয়া): I hold with you in this regard.

▪️Keep
132) Keep away (দূরে থাকা): Keep away from the bad boys.
133) Keep at (লেগে থাকা): If you keep at your work, you will succeed soon.
134) Keep from (দূরে থাকা): We should keep ourselves from dishonest man.

▪️Look
135) Look at (তাকান): Look at the drawing board.
136) Look upon (ঘৃণার চোখে দেখা): We should not look down upon the poor people.
137) Look for (খোঁজ করা): I am looking for a good job.
138) Look up  (খুঁজে বের করা): Look up the word in the dictionary.

▪️ Pass
139) Pass away (মরে যাওয়া): His father passed away last night.
140) Pass by (চলে যাওয়া): The river passes by his house.
141) Pass on (অগ্রসর হওয়া):  We need to pass on the next target.

▪️Pick
142) Pick at (খুত ধরা): Don’t  try to pick at others.
143) Pick up (সংগ্রহ করা): I picked up a ticket for next movie.
144) Pick up with (সাক্ষাত হওয়া): Where did you pick up him?

▪️Pull
145) Pull at (টেনে সরানো): They are trying to pull at heavy metal from the garage.
147) Pull out (ত্যাগ করা/বের করা): He is pulling the air out of the car wheel.

 ▪️Make
Make after ধাওয়া করা We made after the thief.

Make for কোন দিকে ধাবিত হওয়া The ship made for the harbor

Make up মনস্থির করা I have made up my mind to go Abroad.

Make out বুঝতে পারা I cannot make out what you want to say.

Be made of গঠিত This table made of wood.

Make away with চুরি করা The thief made away with all money.

▪️Set
153) Set down (নামিয়ে দেওয়া): The bus set him down near his shopping mall.
154) Set up (ব্যবসা শুরু করা): My brother has set up a small business.

▪️Take
155) Take away (ফিরিয়ে নেওয়া): He took away the gift he gave me.
156) Take to (অভ্যাস করা): I have taken to drinking.
157) Take in (প্রতারিত হওয়া): I was taken in by them.

 ▪️Turn
Turn against  শত্রু ভাবা পন্ন হওয়া When  I ran a business some of my friend turned against me.

Turn down প্রত্যখান করা I turned down the proposal of the job though it pays well.

Turn back ফিরে আসা Once he left home, he never turned back to us.

Turn up হাজির হওয়া I could not turn up in time because I miss the first train..
.

Collected

Wednesday, November 22, 2023

এক নজরে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ:

▪️এক নজরে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ:
☑শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী = ড. কুদরত-এ-খুদা
☑শ্রেষ্ঠ ভাষাবিদ = ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
☑শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত সাধক = ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁ
☑শ্রেষ্ঠ কবি = কাজী নজরুল ইসলাম
☑শ্রেষ্ঠ চিত্র শিল্পী = জয়নুল আবেদীন
☑শ্রেষ্ঠ ফুটবলার = জাদুকর সামাদ
☑শ্রেষ্ঠ স্থপতি = ফজলুর রহমান খান (এফ.আর. খান)
☑শ্রেষ্ঠ ভবন নির্মাতা = জহুরুল ইসলাম
☑শ্রেষ্ঠ মহিলা কবি = সুফিয়া কামাল
☑শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকার = জহির রায়হান
☑শ্রেষ্ঠ কাঠ খোদাই শিল্পী = অলক রায়
☑শ্রেষ্ঠ সাতারু = ব্রজেন দাস
☑শ্রেষ্ঠ দাবাড়ু = নিয়াজ মোর্শেদ
☑শ্রেষ্ঠ ভাস্কর = শামীম শিকদার
☑শ্রেষ্ঠ আধুনিক কবি = শামসুর রহমান
☑শ্রেষ্ঠ মহিলা দাবাড়ু = রানী হামিদ
☑শ্রেষ্ঠ কার্টুনিস্ট = রফিকুন্নবী (রনবী)
☑শ্রেষ্ঠ জাদুকর = জুয়েল আইচ
☑শ্রেষ্ঠ আধুনিক গানের শিল্পী = রুনা লায়লা
☑শ্রেষ্ঠ উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী = বারীণ মজুমদার
☑শ্রেষ্ঠ বাংলা গান = আমার সোনার বাংলা
collected

Monday, November 20, 2023

Magical Words male female

Magic word meaning (Male & Female)
০১) Bachelor ( অবিবাহিত পুরুষ ) ➫ Maid / Spinster ( কুমারী ).
০২) Horse ( ঘোটক ) ➫ Mare ( ঘোটকী ).
০৩) Drone ( পুরুষ মৌমাছি ) ➫ Bee ( স্ত্রী মৌমাছি ).

০৪) Beau ( সুন্দর পুরুষ ) ➫ Belle ( সুন্দরী মহিলা ).

০৫) Lad ( বালক ) ➫ Lass ( বালিকা ).

০৬) Ox ( ষাড় ) ➫ Cow ( গাভী ).

০৭) Hart ( হরিণ ) ➫ Roe ( হরিণী ).

০৮) Gander ( রাজহংস ) ➫ Goose ( রাজহংসী ).

০৯) Wizard ( যাদুকর ) ➫ Witch ( যাদু ).

১০) Monk ( সন্ন্যাসী ) ➫ Nun ( সন্ন্যাসিনী ).

১১) Fox ( খেঁকশিয়াল ) ➫ Vixen ( খেঁকশিয়ালিনী ) .

১২) Sire ( পশুদের সম্রাট ) ➫ Dame ( পশুদের সম্রাজ্ঞী ) .

১৩) Nephew ( ভাগ্নে ) ➫ Niece ( ভাগ্নি / ভাইঝি ) .

১৪) Buck ( হরিণ ) ➫ Doe ( হরিনী ) .

১৫) Boar ( শূকর ) ➫ Sow ( শূকরী ) .

১৬) Duck ( সম্রাট ) ➫ Duchess ( সম্রাজ্ঞী ) .

১৭) Dog ( কুকুর ) ➫ Bitch ( কুকুরী ) .

১৮) Ram ( ভেড়া ) ➫ Ewe ( ভেড়ী ) .

১৯) Stag ( হরিণ ) ➫ Hind ( হরিণী ) .

২০) Widower ( বিপত্নীক ) ➫ Widow ( বিধবা ) .

২১) Don ( মহশিয় ) ➫ Donna ( প্রেয়সী ) .

২২) Colt ( ওঘাড়া ) ➫ Filly ( ঘোটকী ) .

২৩) Rex ( রাজা ) ➫ Rexona ( রাণী ) .

২৪) Sloven ( নোংরা পুরুষ ) ➫ Slut ( নোংরা মহিলা ) .

২৫) Swine ( যুবক ) ➫ Nymph ( যুবতী ) .

২৬) Auther ( লেখক ) ➫ Autheress ( লেখিকা )

২৭) Bridegroom ( বর ) ➫ Bride ( কনে ) .

২৮) Count ( সম্মানিত ব্যক্তি ) ➫ Countess ( সসম্মানিত মহিলা ) .

২৯) Giant ( দানব ) ➫ Giantess ( দানবী ).

৩০) God ( দেবতা ) ➫ Goddess ( দেবী ) .

৩১) Host ( অতিথিসেবক ) ➫ Hostess ( অতিথিসেবিকা ) .

৩২) Jew ( ইহুদি পুরুষ ) ➫ Jews ( ইহুদি মহিলা ) .

৩৩) Poet ( কবি ) ➫ Poetess ( মহিলা কবি ) .

৩৪) Sheep ( ভেড়া ) ➫ Ram ( ভেড়ী ) .

৩৫) Heir ( উত্তরাধিকারি ) ➫ Heiress ( উত্তরাধিকারিণী ) .

৩৬) Lion ( সিংহ ) ➫ Lioness ( সিংহী ).

৩৭) Patron ( পৃষ্ঠপোষক ) ➫ Patroness ( পৃষ্ঠপোষকারিণী ) .

৩৮) Priest ( ধর্মযাজক ) ➫ Priestess ( মহিলা ধর্মযাজক ) .

৩৯) Shepherd ( পুং রাখাল ) ➫ Shepherdess .

৪০) Hero ( বীর ) ➫ Heroine ( বীরঙ্গনা ) .

৪১) Executor ( নির্বাহক ) ➫ Executrix ( নির্বাহিকা ) .

৪২) Aboot ( মঠাধ্যক্ষ ) ➫ Abbess ( মঠাধ্যক্ষ্যা ) .

৪৩) Emperior ( সম্রাট ) ➫ Empress ( সম্রাজ্ঞী ) .

৪৪) Murderer ( পুরুষ খুনী ) ➫ Muderess ( মহিলা খুনী ) .

৪৫) Marguis ( সম্রান্ত পুরুষ ) ➫ Marchioness ( সম্রান্ত মহিলা ).

৪৬) Bull ( বলদ ) ➫ Cow ( গাভী ) .

৪৭) Sir ( মহাশয় ) ➫ Madam ( মহাশয়া ) .

৪৮) Friar ( সন্ন্যাসী ) ➫ Nun ( সন্ন্যাসিনী ) .

৪৯) Weather ( ভেড়া ) ➫ Ewe ( ভেড়ী ) .

৫০) Tailor ( দর্জি ) ➫ Seamstress ( মহিলা
 দর্জি )
Collected

Saturday, November 18, 2023

Word neaning 001

I (আই) = আমি
Me (মী) = আমাকে
My (মাই) = আমার
Mine (মাইন) = আমার
We (উঈ) = আমরা
Us (আস) = আমাদেরকে
Our (আউয়ার) = আমাদের
Ours (আউয়াজ) = আমাদের
He (হী) = সে, তিনি (পুরুষ)
Him (হিম) = তাকে, তাঁকে
His (হিজ) = তার, তাঁর
She (শী) = সে, তিনি (মহিলা)
Her (হার)  = তাকে, তাঁকে, তার, তাঁর
You (ইউ) = তুমি, তোমরা
You (ইউ) = তোমাকে, তোমাদেরকে
You (ইউ) = আপনাকে, আপনাদেরকে
Your (ইয়োর) = তোমার, তোমাদের
They (দেই) = তারা, তাঁরা, ওরা, ওঁরা
Them (দেম) = তাদেরকে, তাঁদেরকে
Their (দেয়ার) = তাদের, তাঁদের
Theirs (দেয়াজ) = তাদের
It (ইটা) = ইহা, এটা, এটি (বস্তু)
It (ইট) = ইহাকে
Its (ইটস) = ইহার, তার
This (দিস) = এই, এটা
These (দীজ) = এইগুলো
That (দ্যাট) = ঐ, যে, যা
Those (দৌজ) = ঐগুলো, সেগুলো
What (হোঅট) = কি, যা
Which (হুইচ) = কোনটি, যেটি
Who (হু) = কে, কারা, যে, যারা
Whom (হুম) = কাকে, কাদেরকে
Whose (হুজ) = কার, কাদের
Myself (মাইসেল্ফ) = নিজে নিজে
Ourselves = আমরা নিজেরাই
Yourself = তুমি নিজেই
Yourselves = তোমরা নিজেরাই
Himself = সে নিজেই
Herself = সে নিজেই
Themselves = তারা নিজেরাই
Itself = ইহা নিজেই, ইহা স্বয়ং
Each (ঈচ) = প্রত্যেক
Every (এভরি) = প্রত্যেক
collected

ঐতিহাসিক তারিখগুলো কি বার ছিল

 

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কি বার ছিল.?
➺বৃহস্পতিবার। [ভাষা আন্দোলন]
১৯৭১ সালের ২ মার্চ কি বার ছিল.?
➺বৃহস্পতিবার। [জাতীয় পতাকা দিবস]
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ কি বার ছিল.?
➺রবিবার। [৭ মার্চের ভাষণ]
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কি বার ছিল.?
➺বৃহস্পতিবার। [কালরাত্রি]
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ কি বার ছিল.?
➺শুক্রবার। [স্বাধীনতা দিবস]
১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল কি বার ছিল.?
➺শনিবার। [মুজিবনগর অস্থায়ী সরকার গঠন]
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল কি বার ছিল.?
➺শনিবার। [মুজিবনগর অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ]
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর কি বার ছিল.?
➺মঙ্গলবার। [শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস]
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর কি বার ছিল.?
➺বৃহস্পতিবার। [বিজয় দিবস]
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি কি বার ছিল.?
➺সোমবার। [বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন]
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কি বার ছিল.?
➺শুক্রবার। [সপরিবারে বঙ্গবন্ধু নিহত]১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কি বার ছিল.?
➺বৃহস্পতিবার। [ভাষা আন্দোলন]
১৯৭১ সালের ২ মার্চ কি বার ছিল.?
➺বৃহস্পতিবার। [জাতীয় পতাকা দিবস]
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ কি বার ছিল.?
➺রবিবার। [৭ মার্চের ভাষণ]
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কি বার ছিল.?
➺বৃহস্পতিবার। [কালরাত্রি]
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ কি বার ছিল.?
➺শুক্রবার। [স্বাধীনতা দিবস]
১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল কি বার ছিল.?
➺শনিবার। [মুজিবনগর অস্থায়ী সরকার গঠন]
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল কি বার ছিল.?
➺শনিবার। [মুজিবনগর অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ]
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর কি বার ছিল.?
➺মঙ্গলবার। [শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস]
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর কি বার ছিল.?
➺বৃহস্পতিবার। [বিজয় দিবস]
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি কি বার ছিল.?
➺সোমবার। [বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন]
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কি বার ছিল.?
➺শুক্রবার। [সপরিবারে বঙ্গবন্ধু নিহত]

Preposition details in Bangla

1. of- র, এর
2. off- হতে, থেকে, দূরে, বন্ধ
3. to- দিকে, প্রতি, অভিমুখে, বরাবর, কাছে, থেকে,
হতে পর্যন্ত, বাকি
4. towards-দিকে
5. in -মধ্যে, ভিতরে, য়, -তে
6. at-এ, তে, য়, দিকে, প্রতি
7. on- উপর
8. over- উপর দিয়ে
9. above- অধিকতর উপরে / উঁচুতে
10. up-উপর, উঁচুতে, উচ্চতর স্থানে অবস্থানরত বুঝাতে
11. under- নিচে, তলে, নিম্নে, অধীনে 
12. below -নিচে
13. beneath -অপেক্ষাকৃত নিচে, নিম্নে, ভিতরে
14. underneath -তলাছুয়ে নিচে
15. down -নিচু স্থানে
16. on top of -উপরে, শীর্ষ ঘেষে
17. behind -পিছনে 
18. in front of -সম্মুখে, সামনে
19. by -দ্বারা, কর্তৃক, মাধ্যমে, দিয়ে,
উপায়ে, অনুযায়ী, হিসাবে, ধরে।
20. with -সাথে, সহিত, সহ, দিয়ে,
21. without -ব্যতীত, বিনা,
22. for -জন্য, কারণে, দরুন, উদ্দেশ্যে, যাবৎ, ধরে
23. since -হইতে থেকে 
24. after -পর পরে
25. before -আগে, পূর্বে, অতীতে
26. but -ব্যতীত, ছাড়া, শুধু 
27. except -ব্যতীত, ছাড়া
28. about-সম্পর্কে, বিষয়ে, ব্যাপারে সম্বন্ধে, প্রায় 29. beside -পাশে
30. besides -ছাড়াও
31. between -দুইয়ের মধ্যে - 
32. among -অনেকের মধ্যে
33. within -কোন সময়ের মধ্যে / ভিতরে
34. through -কোন স্থানের মধ্য দিয়ে, ভিতর দিয়ে
35. while -সময়
36. from - হইতে, থেকে 
37. into -ভিতরের দিকে
38. upto -( পর্যন্ত, অবধি নাগাদ, by until, till
39. upon- (উপর, উপরে, on, upon, over, above, up) 
40. around / all around- চার দিকে, চার দিক দিয়ে
41. round- চার দিক দিয়ে, চতুর্দিকে 
42. across-এক দিক থেকে দিকে, আড়াআড়িভাবে
43. near -কাছে নিকটে 
44. along -বরাবর,
45. beyond -দূরে পেছনে, নাগালের বাইরে, ধারে 46. against- বিরুদ্ধে, বিপক্ষে, প্রতিকুলে
47.during- সময়ে
48. out -(বাইরে, বহির্ভাগে)
49. dut of- বাইরে
50.till / until - পর্যন্ত, সময় পর্যন্ত, নাগাদ, যতক্ষণ পর্যন্ত না 
51.past -গত, পাশদিয়ে, পরে
52. inside- ভিতরে, মধ্যে
53. outside বাহির, বাইরের দিকে
54. because of -জন্য, কারণে
55. in spite of / despite সত্ত্বেও 
56. instead of / in lieu of -পরিবর্তে
57. by dint of -(দ্বারা, সাহায্যে)
58. on account of -কারণে, জন্য
59. in course of- প্রক্রিয়ায়, চলাকালে
60. by means of -উপায়ে, দিয়ে 
61. on behalf of -পক্ষে, বদলে, তরফে, সমর্থনে
62. in order to -উদ্দেশ্য

Friday, November 17, 2023

দোয়া ও জিকির সমুহ

দোয়া সকল বন্ধ হৃদয় গুলোকে খুলে দেয়। আপনি যত বেশি আল্লাহ্‌র কাছে দোয়া করবেন আপনার জীবন তত বেশি আপনার কাছে হালকা মনে হবে। দোয়ার সবচে সুন্দর দিক হচ্ছে, আপনার দোয়া এই দুনিয়ায় কবুল হোক বা না হোক, দোয়া আপনার হৃদয় থেকে না পাওয়ার অভাব গুলো হ্রাস করে দেয়। তাই চলুন দৈনন্দিন জীবনে নিয়মিত পাঠ করার জন্য কিছু দোয়া শিখে নেই। আর পাশাপাশি নিচের আয়াতটা সব সময় মাথায় রাখবেন। দেখবেন বোঝা অনেকটাই হালকা হয়ে যাবে নিজের অজান্তেই, ইন শা আল্লাহ !


**দুনিয়া আখিরাতের কল্যানের জন্য দোয়া-

رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ

উচ্চারনঃ “রব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাহ ওয়া ফিল আখিরতি হাসানাহ ওয়া কিনা আজাবান্নার।” 
অর্থ-‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দান কর এবং পরকালেও কল্যাণ দান কর। আর আমাদেরকে আগুনের-যন্ত্রণা থেকে রক্ষা কর।’(সুরা বাকারা- আয়াত ২০১)

কাতাদা (রাঃ) আনাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন কোন দোয়া রাসুল (সাঃ) বেশি পড়তেন তখন আনাস (রাঃ) উপরে দোয়াটির কথা বলেছিলেন (মুসলিম)

নিজে এবং নিজের পরিবারের সবার জন্য বিনা হিসাবে বিনা আজাবে জান্নাতুল ফিরদাউস চাওয়ার দোয়া-

اللهم أدخلنا وأهلنا الجنة الفردوس بغير حساب ولا عذاب

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আদখিলনা ওয়া আহলানা আল জান্নাতাল ফিরদাউস বিগইরি হিসাবিও ওয়া লা আ’যাব।
অর্থঃ ইয়া আল্লাহ তুমি আমাকে আর আমার পরিবারের সবাইকে বিনা হিসাবে, বিনা আজাবে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করো।

হেদায়াতের পর অন্তরের বক্রতা হতে মুক্তি চাওয়া-

رَبَّنَا لاَ تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ

উচ্চারনঃ রব্বানা-লা-তুযিগ্ কুলূবানা- বা’দা ইয্ হাদাইতানা-অহাবলানা-মিল্ লাদুন্কা রহমাহ , ইন্নাকা আন্তাল্ অহ্হা-ব্ । 
অর্থঃ হে আমাদের রব, আপনি হিদায়াত দেয়ার পর আমাদের অন্তরসমূহ বক্র করবেন না এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদেরকে রহমত দান করুন। (সুরা আল ইমরান – আয়াত ৮)

দ্বীনের উপর অটল থাকার দুয়া:

اللَّهُمَّ يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِيْ عَلَى دِيْنِكَ

উচ্চারনঃ আল্লাহুম্মা ইয়া মুক্বাল্লিবাল ক্বুলুব, ছাব্বিত ক্বলবী আ’লা দ্বীনিক । 
অর্থ:- হে আল্লাহ! হে হৃদয়ের পরিবর্তন কারী! আপনি আমার হৃদয়-কে আপনার দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখুন।

আনাস (রাদিয়াল্লাহু আ’নহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম) বেশি বেশি বলতেন, “হে হৃদয়সমূহকে বিবর্তনকারী! তুমি আমার হৃদয়কে তোমার দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত রেখো।” আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমরা আপনার প্রতি এবং আপনি যা আনয়ন করেছেন তার প্রতি ঈমান এনেছি, আপনি কি আমাদের ব্যাপারে ভয় করেন?’ তিনি বললেন, “হ্যাঁ, হৃদয়সমূহ আল্লাহর আঙ্গুলসমূহের মধ্যে দু’টি আঙ্গুলের মাঝে আছে। তিনি তা ইচ্ছামত বিবর্তন করে থাকেন।”(তিরমিযী ২১৪০, ইবনে মাজাহ ৩৮৩৪, মিশকাত ১০২)

আল্লাহর কাছে হেদায়েত ও তাকওয়া চাওয়ার দোয়া-

‏ “‏اللهم إني أسألك الهدى، والتقى، والعفاف، والغنى‏”‏

উচ্চারনঃ “আল্লাহুম্মা ইন্নি আস-আলুকাল হুদা ওয়াত-তুকা ওয়াল আ’ফাফা ওয়াল গিনা।”
অর্থ: হে আল্লাহ আমি তোমার কাছে হেদায়েত, তাকওয়া, সুস্থতা ও সম্পদ প্রার্থনা করছি। (সুনানে আত-তিরমিযী: ৩৪৮৯)

দুনিয়া আখিরাতের নিরাপত্তার দোয়া।

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي دِينِي وَدُنْيَايَ وَأَهْلِي وَمَالِي، اللَّهُمَّ استُرْ عَوْرَاتي، وآمِنْ رَوْعَاتي، اللَّهمَّ احْفَظْنِي مِنْ بَينِ يَدَيَّ، ومِنْ خَلْفي، وَعن يَميني، وعن شِمالي، ومِن فَوْقِي، وأعُوذُ بِعَظَمَتِكَ أنْ أُغْتَالَ مِنْ تَحتي

উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা, ইন্নী আস্আলুকাল ‘আফওয়া ওয়াল ‘আ-ফিয়্যাতা ফিদ্ দুন্ইয়া- ওয়াল আ-খিরাহ। আল্লাহুম্মা, ইন্নী আস্আলুকাল ‘আফ্ওয়া ওয়াল ‘আ-ফিয়্যাতা ফী দীনী ওয়া দুন্ইয়াই-য়া, ওয়া আহলী ওয়া মালী। আল্লা-হুম্মাস- তুর ‘আউরা-তী ওয়া আ-মিন রাউ‘আ-তী। আল্লা-হুম্মাহ্ ফাযনী মিম বাইনি ইয়াদাইয়্যা ওয়া মিন খালফী, ওয়া ‘আন ইয়ামীনী ওয়া ‘আন শিমালী, ওয়া মিন ফাউক্বী। ওয়া আ‘ঊযু বি‘আযামাতিকা আন উগতা-লা মিন তাহতী।

অর্থঃ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট ইহকালে ও পরকালে নিরাপত্তা চাচ্ছি। হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট আমার ধর্ম ও পার্থিব জীবনে এবং পরিবার ও সম্পদে ক্ষমা ও নিরাপত্তা ভিক্ষা করছি। হে আল্লাহ! তুমি আমার লজ্জাকর বিষয়সমূহ গোপন করে নাও এবং আমার ভীতিতে নিরাপত্তা দাও। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে আমার সম্মুখ ও পশ্চাৎ, ডান ও বাম এবং উপর থেকে রক্ষণাবেক্ষণ কর। আর আমি তোমার মাহাত্মের অসীলায় আমার নিচে ভূমি ধসা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)কখনোই সকাল হলে ও সন্ধ্যা হলে উপরের এই কথাগুলি বলতে ছাড়তেন না (সর্বদা তিনি সকালে ও সন্ধ্যায় এগুলি বলতেন) (মুসনাদ আহমাদ ২/২৫, সুনানু ইবনি মাজাহ ২/১২৭৩, মুসতাদরাক হাকিম ১/৬৯৮, মাওয়ারিদুয যামআন ৭/৩৮১-৩৮৩, সহীহুত তারগীব ১/৩৪৩)

আল্লাহর দেওয়া নিয়ামত কখনো যেন হারিয়ে না যায়-

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ وَجَمِيعِ سَخَطِكَ ‏”‏ ‏.‏

উচ্চারণঃ “আল্ল-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন যাওয়া-লি নি‘মাতিক, ওয়া তাহাও্‌উলি ‘আ-ফিয়াতিক, ওয়া ফুজা-য়াতি নিক্‌মাতিক, ওয়া জামী’ই সাখ-তিক ।” 
অর্থঃ “হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই নি‘আমাত দূর হয়ে যাওয়া হতে, তোমার দেয়া সুস্থতা পরিবর্তন হয়ে যাওয়া থেকে, তোমার অকস্মাৎ শাস্তি আসা হতে এবং তোমার সকল প্রকার অসন্তুষ্টি থেকে।”(মুসলিম- ৬৮৩৭)

মারাত্মক রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তির দোয়াঃ

«اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْجُنُونِ، وَالْجُذَامِ، وَالْبَرَصِ، وَسَيِّئِ الْأَسْقَامِ»

উচ্চারনঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল জুনুন, ওয়াল জুযাম, ওয়াল বারস, ওয়া সাইয়িল আসকম।
অর্থঃ হে আল্লাহ্‌! আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি পাগলামী, কুষ্ঠ রোগ, শ্বেতরোগ এবং অতি মন্দ রোগ ব্যাধি হতে।(সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৫৪৯৩ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস)

অসুস্থ্য ব্যক্তির প্রতি দোয়া-

الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي عَافَانِي مِمَّا ابْتَلاَكَ بِهِ وَفَضَّلَنِي عَلَى كَثِيرٍ مِمَّنْ خَلَقَ تَفْضِيلاً

উচ্চারনঃ আলহামদুলিল্লা হিল্লাযি আ-ফা-নী মিম্মাব তালা-কা বিহ, ওয়া ফাদদলানীয় আলা কাছিইরিম মিম্মান খলাকো তাফদিইলা। 
অর্থঃ “সকল প্রশংসা আল্লাহ তা আলার জন্য, তিনি যে বিপদে তোমাকে জড়িত করেছেন তা হতে আমাকে হিফাযাতে রেখেছেন এবং তাঁর অসংখ্য সৃষ্টির উপর আমাকে সম্মান দান করেছেন”।

যে কোন অসুস্থ বা বিপদ্গ্রস্থ ব্যক্তিকে দেখে এই দোয়া পড়লে আপনি জীবনে কখনো ঐ অসুখে বা ঐ বিপদে পরবেন না-উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে লোক কোন বিপদগ্রস্থ লোককে প্রত্যক্ষ উপরে দোয়া পড়বে সে তার মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত উক্ত অনিষ্ট হতে হিফাযাতে থাকবে । তা যে কোন বিপদেই হোক না কেন ।(ইবনু মাজাহ, হাঃ ৩৮৯২ হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস, তিরমিজি ৩৪৩১- তাওহিদ পাবলিকেশন)

সকাল সন্ধ্যার দোয়া-

بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلاَ فِي السّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ

উচ্চারণঃ বিস্‌মিল্লা-হিল্লাযী লা ইয়াদুররু মা‘আ ইস্‌মিহী শাইউন ফিল্ আরদ্বি ওয়ালা ফিস্ সামা-ই, ওয়াহুয়াস্ সামী‘উল ‘আলীম। 
অর্থঃ আমি সেই আল্লাহর নামে শুরু করছি, যার নামে শুরু করলে আসমান ও যমীনের কোনো কিছুই কোনো ক্ষতি করতে পারেনা, তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী।

সকাল সন্ধায় ৩বার করে এই দোয়া পড়লে আসমান জমিনের কোন কিছুই আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি সকালে তিনবার ও সন্ধ্যায় তিন বার এই দুআ পড়বে, কোনো কিছুই ঐ ব্যক্তির ক্ষতি করতে পারবেনা।”

(আবূ দাউদ, ৪/৩২৩, নং ৫০৮৮; তিরমিযী, ৫/৪৬৫, নং ৩৩৮৮; ইবন মাজাহ, নং ৩৮৬৯; আহমাদ, নং ৪৪৬। আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ, ২/৩৩২। আর আল্লামা ইবন বায রাহিমাহুল্লাহ তাঁর ‘তুহফাতুল আখইয়ার’ গ্রন্থের ৩৯ পৃষ্ঠায় এটার সনদকে হাসান বলেছেন- হিসনুল মুসলিম থেকে)

➊➊ ক্ষমা প্রার্থনার সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া-

اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَّا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ، أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وَأَبُوءُ بِذَنْبِي فَاغْفِر لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ

উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আনতা রব্বি লা-ইলাহা ইল্লা আনতা, খালাক্বতানি ওয়া আনা আ’বদুক, ওয়া আনা-আ’লা আহ’দিকা ওয়া-ওয়াদিকা মাস্তা-তোয়া’ত, আ’উযুবিকা মিন শাররি মা-ছানাআ’ত আবু-উ-লাকা বিনি’মাতিকা আলায়্যা ওয়া-আবু-উ-বি-যামবি, ফাগফিরলী, ফা-ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুযযুনুবা ইল্লা-আনতা।

অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রতিপালক, তুমি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছো আর আমি তোমার বান্দা। আমি আমার সাধ্যানুযায়ী তোমার সাথে যে ওয়াদা করেছি তা পূরণ করার চেষ্টায় রত আছি, আমি আমার কর্মের অনিষ্ট থেকে পানাহ্ চাই, আমি স্বীকার করছি আমার প্রতি তোমার প্রদত্ত নিয়ামতের কথা এবং আমি আরো স্বীকার করছি আমার পাপে আমি অপরাধী, অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা করো, তুমি ছাড়া ক্ষমা করার আর কেউ নাই।

আন্তরিক বিশ্বাসের সাথে কেউ যদি প্রতিদিন সকাল (ফযরের পরে) ও সন্ধ্যায় (আসর বা মাগরিবের পরে) এই দোয়া বা ইস্তেগফার পড়ে আর সে ঐদিন মারা যায় ইন শা’ আল্লাহ সে জান্নাতে যাবে। এই গ্যারান্টি দিয়ে গেছেন স্বয়ং রাসুলুল্লাহ (সাঃ)। (বুখারী, তিরমিযী ৫/৪৬৬)

➊❷ দুই সিজদার মাঝের দোয়া-

اَللّهُمَّ اغْفِرْلِيْ وَارْحَمْنِيْ (وَاجْبُرْنِيْ وَارْفَعْنِيْ) وَاهْدِنِيْ وَعَافِنِيْ وَارْزُقْنِيْ

উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মাগফিরলী অরহামনী অজবুরনী অরফা’নী অহ্‌দিনী ওয়া আ-ফিনী অরযুক্বনী।

অর্থ- হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা কর, দয়া কর, আমার প্রয়োজন মিটাও, আমাকে উঁচু কর, পথ দেখাও, নিরাপত্তা দাও এবং জীবিকা দান কর। (আবূদাঊদ-৮৫০, তিরমিযী-২৮৪, ইবনে মাজাহ্‌-৮৯৮,হাকেম, মুস্তাদরাক)

ক্ষমা, দয়া, সমস্ত প্রয়োজন মিটানো, নিচুতা দূর করে উচু করা, সঠিক পথে পরিচালনা করা, নিরাপত্তা দেওয়া, জীবিকা দেওয়া এই সমস্ত কিছু প্রতি রাকাত সলাতের ১ সিজদা থেকে উঠে বসে আপনি আল্লাহর কাছে চেয়ে নিতে পারছেন আর সলাতটাই তো মুলত মুনাজাত, অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে সলাতের মধ্যে আল্লাহর কাছে দোয়া কবুলের আশা সবচেয়ে বেশি থাকে, আপনি একবার চিন্তা করুন প্রতিদিন এত রাকাত সলাতে আমরা এত বার যদি আল্লাহর কাছে এই দুয়াটা করি আর কোন ১বারও যদি দয়াময় আল্লাহ সুবহানাহু তা’লা কবুল করে নেন তাহলে দুনিয়া আখিরাতে আমাদের আর কোন অপ্রাপ্তি থাকবে কি?

আল্লাহ আমাদের যথাযথ আমল করা তৌফিক দান করুক, আমিন !

 Collected

ঋন মুক্তির দোয়া

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মাকফিনি বিহালালিকা আন হারামিকা ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! তোমার হালালের মাধ্যমে আমাকে তোমার হারাম থেকে দূরে রাখ এবং তোমার দয়ায় তুমি ছাড়া অন্য কারো মুখাপেক্ষী হওয়া থেকেও আমাকে আত্মনির্ভরশীল (ঋণমুক্ত) করো।’ (তিরমিজি)

ঋণমুক্তির নিয়তে সকাল-সন্ধ্যা আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা। ঋণমুক্ত হওয়ার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো। তবেই মহান আল্লাহ ওই বান্দাকে ঋণ থেকে মুক্ত করবেন ইনশআল্লাহ।

শুধু তা-ই নয়, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সব সময় ভয়-চিন্তা-পেরেশানির পাশাপাশি ঋণ থেকে মুক্তি চাইতেন। তাই যারা ঋণগ্রস্ত; তাদের জন্য ঋণমুক্তিতে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিয়মিত আমলের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া জরুরি।

Thursday, November 16, 2023

New curricullum details

নতুন কারিকুলামের পাঠদান প্রকৃতির প্রবক্তা হচ্ছেন  আমেরিকান educational theorist David Allen kolb.
এই পদ্ধতিকে বলা হয় 'Kolb's Learning Cycle'.
এ পদ্ধতিতে চারটি ধাপ রয়েছে -
১. প্রেক্ষাপট নির্ভর শিখন
২. প্রতিফলনমূলক পর্যবেক্ষণ 
৩. বিমূর্ত ধারনায়ন
৪. সক্রিয় পরীক্ষণ

অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শিখন প্রক্রিয়াকে Experiencial Learning অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন পদ্ধতি বলে। 
১) Concrete Experience-প্রেক্ষাপট নির্ভর অভিজ্ঞতা : 
যে বিষয়ে যোগ্যতা অর্জন করানো হবে সে বিষয়ে শিক্ষক একটি বাস্তব অভিজ্ঞতা (Concrete Experience) এর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাবেন। এটি হতে পারে শিক্ষার্থীর নিজের অর্জিত বাস্তব অভিজ্ঞতা বা চারপাশের প্রত্যক্ষ ঘটনাবলি।  শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে ডিজিটাল কন্টেন্ট বা অভিনয়ের মাধ্যমেও  বাস্তব উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে কোনো একটি অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে যেতে পারেন।
প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কোনো একটা বিষয়  কিছু পূর্বজ্ঞান বা পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকে৷ যদি কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা না-ও থাকে তবে কোনো একটি বিষয় দেখার পর সেটি উপলব্ধি ও অনুধাবন করে থাকে৷
যেমন- সপ্তম শ্রেণির  A dream School এ  School সম্পর্কে সকল শিক্ষার্থীরই পূর্বে অভিজ্ঞতা/জ্ঞান থাকে৷ যদি কোনো অভিজ্ঞতাই না থেকে তবে School এর ছবিটি দেখার পরই তাদের মনে স্কুল সম্পর্কে একটা অভিজ্ঞতা/জ্ঞান সঞ্চার হয়৷ এটিকে বলা হয় Concrete Experience.
২. Reflecting Observation (প্রতিফলনমূলক পর্যবেক্ষণ) -পূর্ব অভিজ্ঞতাকে পর্যবেক্ষণ ও প্রতিফলন করে শেখার যে ধাপ সূচনা হয় তা হলো Reflecting Observation. 
শিক্ষার্থীকে কিছু সময়ের জন্য অর্জিত অভিজ্ঞতার বিষয়টি নিয়ে ভাবার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে।
যেমন- A Dream School এ শিক্ষার্থী School এর ছবিটা দেখার পর তার মনে স্কুলের চিত্র, পরিবেশ ও আনুসাঙ্গিক বিষয়ে তার মনে আরেকটা স্কুলের চিত্র প্রতিফলন হয়৷ সেটি সে শিক্ষার্থীর আরেকটি স্কুলে ছবি ফুটে উঠে৷ কী হতে পারে তার Dream স্কুল তার সে ব্যাপারে ভাবনার সৃষ্টি হয়।
৩. Abstract Concept : বিমূর্ত ধারণায়ন: 
এ পর্যায়ে শিক্ষক প্রয়োজনীয় তথ্য ও তত্ত্ব দিয়ে এবং সহায়ক উপকরণের সাহায্যে শিক্ষার্থীর ভাবনাকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিবেন। 
যেমন-A Dream School সম্পর্কে শিক্ষার্থীর মনে যে চিত্র গেথেঁছিল সেরকম একটি স্কুলের ছবি আকঁতে গিয়ে শিক্ষার্থী তার দেখা পূর্বের ছবির কথা বা পূর্বের অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ে এবং তার ব্রেইন থেকে সে ছবিটি তার চোখে বারবার প্রতিফলিত হয় এবং সে আরেকটি ছবি আঁকার সক্ষমতা লাভে করে৷
৪. Active Experimentation : সক্রিয় পরীক্ষণ: অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন প্রক্রিয়ার সর্বশেষ ধাপে শিক্ষক বাস্তব কাজের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীর শিখনকে প্রয়োগ করার সুযোগ তৈরি করে দিবেন।এ পর্যায়ে শিক্ষার্থী তার অভিজ্ঞতা থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান বাস্তবে প্রতিফলন ঘটিয়ে দেখায়৷ 
যেমন - সে  একটি ড্রিম স্কুলের চিত্র আঁকতে পারে৷ এখানে ছবিটি আকতে পারা হলো শিক্ষার্থীর Competency. তেমনি সকল শিখনের ক্ষেত্রে Experiencial Learning বাস্তবিক রূপ নেয়।
শুধু মুখস্ত করে জ্ঞানার্জন করে পরীক্ষা দিয়ে নির্দিষ্ট নম্বর অর্জন করে পাশ বা ফেইলের পরিবর্তে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের মধ্য দিয়ে কোন বিষয়ে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
মূলত, নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীরা অভিজ্ঞতা ভিত্তিক শিখন (Experiential Learning) প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কোন বিষয়ে যোগ্যতা অর্জন করবে। 
অভিজ্ঞতা ভিত্তিক শিখন চক্রের (Learning Cycle)  মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়। শিক্ষক এখানে কর্তৃত্বের পরিবর্তে সহায়ক (Facilitator) এর ভুমিকায় অবতীর্ণ হবেন।
চলমান চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সম্পন্ন হলে ২০৩০ সাল নাগাদ প্রায় ৬৫% কর্মজীবি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই চলমান শিল্প বিপ্লবে Artificial Intelegence বিকশিত হবে আর এর প্রভাব পড়বে মানুষের কর্মজীবনে তার পেশাগত পরিসরে।
এখন যে সব শিক্ষার্থী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা কুএরছে তাদের ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্র কেমন হবে?
তাদের পেশা কী হবে? তা আজ অজানা।
তাই নতুন শিক্ষাক্রমের পাঠদান প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবর্তিত ভবিষ্যৎ পৃথিবীর সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য বর্তমান শিক্ষার্থীদের সক্ষমতা ও অভিযোজন ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
আর ফলাফল আশা করা যায় আগামী ১০ বছর পর প্রতিফলিত হবে।
এই শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিযোগিতামূলক নয়।
বরং সহযোগিতামূলক ও মূল্যবোধসম্পন্ন নাগরিক তৈরিতে সহায়ক হবে বলে আশা করা যায়।  
শিক্ষার্থীর শিক্ষাটা বিষয়ভিত্তিক হওয়ার সাথে সাথে অভিজ্ঞতাভিত্তিক।
প্রচলিত নম্বর ভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা চতুর্দশ শতক থেকে শুরু হয়ে প্রায় আট শতাব্দী ধরে চলে আসছিল।
দীর্ঘ সময় ধরে নম্বরভিত্তিক  শিক্ষাব্যবস্থা চলে আসছিল বলে নতুন শিক্ষাক্রম মেনে নিতে আমাদের কষ্ট হচ্ছে। আর হওয়াটাই স্বাভাবিক।
সবার পজিটিভ মানসিকতা ও আন্তরিকতা থাকলে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সম্ভব। ▪️
(Collected )

Wednesday, November 15, 2023

Hpw to say Beautiful in 10 ways

১০টি উপায়ে ইংরেজিতে বলুন "Beautiful "
💭 Pretty (প্রিটি) - সুন্দর

💭Attractive (এট্রাক্টিভ) - আকর্ষণীয়

💭 Stunning (স্টানিং) - অত্যাশ্চর্য

💭Lovely (লাভলি) - কমনীয়

💭Dazzling (ড্যাজলিং) - চকচকে

💭Ravishing (র‍্যাভিশিং) - মনোমুগ্ধকর

💭Gorgeous (গর্জিয়াস) - জমকালো

💭 Handsome (হ্যানসাম) - সুদর্শন

💭Exquisite (এক্সকুইস্ট) - সৌন্দর্যপূর্ন

💭Eye-catching (আই-ক্যাচিং) - দৃষ্টিনন্দন

🗣️ Uses of these words 

💠Pretty = সুন্দর

সাধারনত ব্যক্তি বা বস্তু উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যায়। যেমনঃ She is so pretty - সে খুবই সুন্দর।

💠Attractive = আকর্ষণীয়

ব্যক্তি/বস্ত উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়।

যেমনঃ He is an attractive man- তিনি একজন আকর্ষনীয় পুরুষ।

The idea is very attractive- আইডিয়াটি খুবই আকর্ষণীয়।

💠 Stunning = অসাধারণ

অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যক্তির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়
যেমনঃ She looks stunning - তাকে অসাধারণ দেখাচ্ছে।

💠Ravishing = মনোমুগ্ধকর সকল ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যায়

যেমনঃ The event was ravishing - ইভেন্টটি ছিলো মনোমুগ্ধকর ।
💠Handsome = সুদর্শন

সাধারনতঃ পুরুষ ব্যক্তির ক্ষেত্রে ব্যাবহৃত হয়।

যেমনঃ He is a handsome man - সে একজন সুদর্শন পুরুষ।

💠Eye catching - আকর্ষণীয়, নজড়কাড়া

সাধারনত বস্তুর ক্ষেত্রে ব্যাবহার করা হয়।

যেমনঃ Your Panjabi is really eye-catching. (তোমার পাঞ্জাবিটি সত্যি আকর্ষণীয়)

💠Lovely = কমনীয়, অতি সুন্দর।

প্রায় সকল ক্ষেত্রেই ব্যাবহার করা যায়। যেমনঃ she is lovely - সে খুবই সুন্দর।

💠Dazzling = চকচকে, ঝলমলে সাধারনত কোন দৃশ্য বা আয়োজনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়,

💠Gorgeous = অসাধারন, জমকালো সকল ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যায়।
 
💠Exquisite = দারুন, সৌন্দর্যপূর্ন সাধারনতঃ খাবারের বা আয়োজন আপ্যায়ন এর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
Collected

Saturday, November 11, 2023

যোগ্যতা ভিত্তিক শিক্ষাক্রম

🇧🇩যোগ্যতা ভিত্তিক শিক্ষাক্রম 🇧🇩

✡️ যোগ্যতা :
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে পরিবর্তনশীল প্রেক্ষাপটে অভিযোজনের জন্য জ্ঞান,দক্ষতা, মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গির সমন্বয়ে অর্জিত সক্ষমতা।
যোগ্যতার ধারণার আলোকে তার উপাদান সমূহ কে ও সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে যেন তা ভালোভাবে উপলব্ধি করে শিক্ষাক্রমের যোগ্যতা শিখন ক্রোম শিখন শেখানো কৌশল শিখন শেখানো সামগ্রী ও মূল্যায়ন পদ্ধতিতে প্রতিফলিত হয়। যোগ্যতার ৪টি উপাদান -   ১.মূল্যবোধ ২. দৃষ্টিভঙ্গি ৩. দক্ষতা ৪. জ্ঞান
✡️ মূল্যবোধ :
মূল্যবোধ হচ্ছে ধরনের নীতি বা বিশ্বাস যা যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত, সমাধান বা অগ্রাধিকার নির্ধারণে প্রভাব বিস্তার করে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। 
মূল্যবোধ চর্চার বিষয়গুলো নিম্নরূপ -
সংহতি, দেশপ্রেম, সম্প্রীতি,পরমতসহিষ্ণুতা।, শ্রদ্ধা,সহমর্মিতা, শুদ্ধাচার। 
✡️ দৃষ্টিভঙ্গি :
দৃষ্টিভঙ্গি নির্ভর  করে মূল্যবোধ ও বিশ্বাসের ওপর যা তার আচরণকে প্রভাবিত করে। শিক্ষাক্রম রূপরেখায় দৃষ্টিভঙ্গির তিনটি উপাদানকে বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে-
# ব্যক্তিগত বিশ্বাস 
# ইতিবাচক সামাজিক রীতি সম্পর্কিত বিশ্বাস 
# আত্মবিশ্বাস 
✡️ দক্ষতা : 
 দক্ষতা হচ্ছে এক ধরনের অচিন্তিত ধরনের সক্ষমতা যা সুচিন্তিত, পদ্ধতিগত এবং স্থায়ী প্রচেষ্টার মাধ্যমে সাবলীল বা অভিযোজনক্ষম কার্যক্রম বা ক্রিয়াকলাপ দ্বারা অর্জন করা যায়। 
ডেলর কমিশনের সুপারির অনুযায়ী দক্ষতাসমূহ নিম্নলিখিতভাবে গুচ্ছবদ্ধ করা হয়েছে। 
# শেখার দক্ষতা 
# জীবিকার দক্ষতা 
# নিজের ক্ষমতায়নের দক্ষতা 
# সক্রিয় নাগরিকের দক্ষতা 
আন্তর্জাতিক ধারণায়নসমূহের প্রতিফলনে এবং এনসিটিভি প্রণীত দক্ষতা রূপরেখা অনুসরণে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখায় নিম্নবর্ণিতভাবে দক্ষতাসমূহকে গুচ্ছবদ্ধ করা হয়েছে -
# শিখতে শেখার দক্ষতা 
# ব্যক্তিগত ক্ষমতায়নের জন্য দক্ষতা 
# প্রয়োগিক বা ব্যবহারিক ও সামাজিক দক্ষতা 
# মৌলিক দক্ষতা 
✡️ জ্ঞান :
জ্ঞান হচ্ছে কোন বিষয়ে প্রতিষ্ঠিত তথ্য, ধারণা বা তত্ত্ব। OECD দেশসমূহে ব্যবহৃত জ্ঞানের সংজ্ঞা ও ধরণ অনুসরণে শিক্ষাক্রম রূপরেখায় জ্ঞানকে ৪টি ধরণে বিভাজিত করা হয়েছে -
# বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান 
# আন্ত:বিষয়ক জ্ঞান 
# বিষয়ভিত্তিক বিশেষ জ্ঞান 
# পদ্ধতিগত জ্ঞান

Friday, November 10, 2023

আত্তাহিয়্যাতুর পিছনের গল্প

নামাজে বসে যে আত্তাহিয়াতু দু'আ পড়ি তার পিছ‌নে এত সুন্দর এক‌টি গল্প তা জানা ছিল না, আমার বিশ্বাস সবার ভাল লাগ‌বে এবং নামাজ পড়ায় ম‌নো‌যোগ ও বাড়‌বে। ঈমানও তাজা হবে।

আত্তাহিয়াতু আসলেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি দোয়া। এই দোয়াটার পিছনের গল্পটা জানার পর সত্যি আমার হৃদয়টা অনেক কোমল হয়ে গেছে!

আত্তাহিয়াতু আসলে, আল্লাহর সাথে আমাদের মহানবী (সঃ) কথোপকথন একটা অংশ। যা আমাদের মহানবী (সঃ) মিরাজ যাত্রার সময় হয়েছে মহান আল্লাহর সাথে! মহানবী (সঃ) যখন আল্লাহর সাথে কথোপকথন শুরু করে তখন আল্লাহকে আসসালামু আলাইকুম বলেননি!

তাহলে কি বলেছিল...?

কারন; আমরা মহান আল্লাহকে বলতে পারব না, আল্লাহ আপনার উপর শান্তি নাজিল হউক! কারন; আল্লাহ নিজেই একমাত্র পৃথিবীর সকল শান্তির এবং রহমতের উৎপত্তিস্থল!

মহানবী (সঃ) আল্লাহকে উদেশ্য করে বলেছিলেন:-

▪আত্তাহিইয়া-তু লিল্লা-হি ওয়াছ ছালাওয়া - তু ওয়াত্ ত্বাইয়িবা -তু

অর্থঃ- যাবতীয় সম্মান, যাবতীয় উপাসনা ও যাবতীয় পবিত্র বিষয় আল্লাহর জন্য।

উওরে মহান আল্লাহ বলেন:-

▪আসসালা-মু'আলায়কা আইয়ুহান্নাবিয়ু ওয়া রহমাতুল্লা-হি ওয়া-বারাকাতুহু।

অর্থঃ- হে নবী; আপনার উপরে শান্তি বর্ষিত হউক এবং আল্লাহর অনুগ্রহ ও সমৃদ্ধি সমূহ নাযিল হউক।

এতে মহানবী (সঃ) বলেন:-

▪আসসালা-মু-আলায়না ওয়া আলা ইবাদিল্লা-হিছছালেহীন।

অর্থ:- আল্লাহর সমৃদ্ধি শান্তি বর্ষিত হউক আমাদের উপরে ও আল্লাহর সৎকর্মশীল বান্দাগণের উপরে।

মহান আল্লাহ এবং মহানবী (সঃ) এই কথোপকথন শুনে ফেরেস্তারা বলেন:-

▪আশহাদু আল লা-ইলাহা ইলল্লালাহু ওয়া আশহাদুআন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু।

অর্থ:- আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই এবং আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ (সঃ) তার বান্দা ও রাসূল।
"সুবহানাল্লাহ"।

এখন আমি এবং আপনি আত্তাহিয়াতু গুরুত্ব এবং পিছনের ইতিহাস জানতে পারলাম, এবার একটু চিন্তা করুন তো, এই লেখাটি যদি আপনার মাধ্যমে অন্যান্য মানুষেরাও জানে তাহলে তারাও এই দোয়ার গুরুত্ব বুজতে পারবে! ইনশাআল্লাহ।
#collected

আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে

 

আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে ,
 
আমি চাই
কেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করুক,
 
শুধু ঘরের ভেতর থেকে দরোজা খুলে দেবার জন্য।
বাইরে থেকে দরোজা খুলতে খুলতে আমি এখন ক্লান্ত।
 
আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে,
আমি চাই কেউ আমাকে খেতে দিক ।
 
আমি হাতপাখা নিয়ে
কাউকে আমার পাশে বসে থাকতে বলছি না,
 
আমি জানি, এই ইলেকট্রিকের যুগ
নারীকে মুক্তি দিয়েছে স্বামী -সেবার দায় থেকে ।
 
আমি চাই কেউ একজন জিজ্ঞেস করুক :
আমার জল লাগবে কি না, নুন লাগবে কি না,
 
পাটশাক ভাজার সঙ্গে আরও একটা
তেলে ভাজা শুকনো মরিচ লাগবে কি না ।
 
এঁটো বাসন, গেঞ্জি-রুমাল আমি নিজেই ধুতে পারি ।
আমি বলছি না ভলোবাসতেই হবে,
আমি চাই কেউ একজন ভিতর থেকে
আমার ঘরের দরোজা খুলে দিক ।
কেউ আমাকে কিছু খেতে বলুক ।
কাম-বাসনার সঙ্গী না হোক,
কেউ অন্তত আমাকে জিজ্ঞেস করুক.
‘তোমার চোখ এতো লাল কেন ?

Thursday, November 9, 2023

হিংসার পরিনতি

বাসায় ঢুকবো তখনি খেয়াল করলাম আমার স্ত্রী চুপিচুপি আমার ছোট ভাইয়ের রুমে একটি স্বর্ণের চেইন হাতে নিয়ে প্রবেশ করলো।বিষয়টি আমার কাছে বেশ সন্দেহজনক মনে হওয়াতে আমিও সরাসরি বেডরুমে না গিয়ে আড়াল থেকে বোঝার চেষ্টা করলাম যে আমার স্ত্রী সজীবের রুমে গিয়ে আসলে করছেটা কি?

আমাদের বেডরুমের দরজায় দাঁড়ালে সজীবের রুমের সবকিছু স্পষ্ট ভাবে দেখা যায় তাই আর একমুহূর্ত দেরী না করে সেখান থেকেই রুমি তথা আমার স্ত্রীর কর্মকাণ্ডের উপর নজরদারি করছি।একটু ভালোভাবে খেয়াল করতেই বুঝতে পারলাম রুমি চেইনটা সজীবের বিছানার নিচে আস্তে করে লুকিয়ে রাখলো।পরক্ষণেই ধীরপায়ে ওকে রুম থেকে বের হয়ে আসতে দেখে আমি তখনি নিজেকে সেখান থেকে সরিয়ে নিজেদের রুমে প্রবেশ করলাম।আমাকে হঠাৎ করে রুমে দেখে আমার স্ত্রী কিছুটা চমকে উঠে জিজ্ঞেস করলো,

-- "কি ব্যপার? এতো তাড়াতাড়ি দোকান থেকে এসে পড়লে? আর যাবে না দোকানে?"

আমি নির্লিপ্ত স্বরে বলি,
-- "আজকে শরীরটা ভালো লাগছে না। সজীবকে দোকানে রেখে এসেছি। ওকে বলেছি একটু বিশ্রাম নিয়ে আবার যাবো। সে যাই হোক তুমি এতক্ষণ কি করছিলে?"

আমার প্রশ্ন শুনে রুমি থতমত খেয়ে বললো,
-- "কি আর করবো? রান্নাঘরে ছিলাম একটু। থালাবাসনতো একটাও ধোয়া হয়নি।"

আমি কিঞ্চিৎ অবাক হয়ে বলি,
-- "কেনো রিয়া কোথায়?"

রিয়ার কথা শুনে আমার স্ত্রী বেশ রাগান্বিত স্বরে বললো,
-- "সে আর কোথায় থাকবে? হয়তো ঘুরতে গেছে, ঐরকম ছোটলোক ঘরের মেয়ে এই বাড়িতে এসেই রাজরানী হয়ে গেছে।এখন কি কাজ করার সময় আছে নাকি?আমি ভেবে পাইনা সজীব কি দেখে ঐ ছোটলোকের বাড়িতে গিয়ে হানা দিলো?আমার কথা হলো প্রেম করে বিয়ে কর সমস্যা নেই তাই বলে ওখানেই বিয়ে করতে হবে?এই মেয়ে নিজের সাদা চামড়া দেখিয়ে আমার দেবড়টাকে ফাঁদে ফেলে এইবাড়িতে এসেছেই শুধু বাড়িটাকে লুটপাট করার জন্য।"

রুমির কথায় আর কথা বাড়ালাম না। কারণ এখন কিছু বললেই ঝগড়া বাঁধবে নিশ্চিত।

সজীব আমার ছোটভাই। বাবা মাকে হারিয়েছি কয়েক বছর,তাই বড় ভাই হিসেবে সজীবের সকল দায়িত্ব আমার কাঁধে এসেই পড়েছিল। কিন্তু আমাদের অমতে যখন সজীব রিয়াকে বিয়ে করে নিয়ে আসে তখন আমি বেশ কষ্টই পেয়েছিলাম। তবে রিয়া মেয়েটি আমার সেই কষ্টকে কয়েকদিনের মধ্যেই নিজের ব্যবহার এবং কাজকর্ম দিয়ে স্নেহে রূপান্তর করেছে। তবুও আমার স্ত্রী প্রতিনিয়তই মেয়েটিকে নিয়ে হিংসা করতো আর এর কারণটাও বেশ সুস্পষ্ট। কেননা প্রথমত রিয়ার পারিবারিক অবস্থা একেবারেই নিম্নবিত্ত তার মধ্যে রুমি চেয়েছিল ওর ছোট বোনের সাথে সজীবকে বিয়ে দিতে। আর এসব কিছু মিলিয়ে রিয়ার প্রতি রুমির আলাদা একটা ক্ষোভ ছিল রিয়ার এই বাড়িতে আসার পর থেকেই।
.
.
সন্ধ্যায় দোকানের কাজ সেরে দুই ভাই বাড়ি ফিরেছি। আমি রুমে প্রবেশ করতেই খেয়াল করি আমার স্ত্রী আলমারি থেকে কাপড় চোপড় অগোছালো অবস্থায় এদিক সেদিক ফেলে দিয়ে কি যেন গভীর মন দিয়ে খোঁজার চেষ্টা করছে। কৌতূহলী স্বরে জিজ্ঞেস করলাম,

-- "কি ব্যপার? এমন হন্তদন্ত হয়ে কি খুঁজছো?"

রুমি চিন্তিত মুখে বলে,
-- "আরে আমার মায়ের দেওয়া সেই স্বর্ণের চেইনটা কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না।কে নিলো সেটাই বুঝতে পারছি না।"

আমি সীমিত সময়ের জন্য অবাক হলাম সকালের ঘটনা ভেবে পরক্ষণেই সেসব ওকে বুঝতে না দিয়ে স্বাভাবিক কণ্ঠে বলি,
-- "ভালো করে খুঁজে দেখো, হয়তো ভুলে কোথাও রেখেছো। এইবাড়িতে আর কে নিবে তোমার চেইন? এই কদিনে তো বাড়িতে কেউ আসেওনি।"

রুমি ভ্রু কুঁচকে বললো,
-- "নেওয়ার মানুষের অভাব আছে নাকি?তোমার ভাই যে ঐ ছোটলোক মেয়েটাকে বিয়ে করলো, আমারতো সবসময় ওকেই সন্দেহ হয়।মেয়েটা তোমার ভাইয়ের গলা ঝুলে এবাড়িতে এসেছেই শুধু বাড়িটাকে লুটেপুটে খাওয়ার জন্য।"

আমিও ওকে খুঁজতে সাহায্য করতে করতে বলি,
-- "তোমার সমস্যাটা কি সেটাই বুঝলাম না।মেয়েটি এই বাড়িতে আসার পর থেকেই দেখছি তুমি ওর পিছে লেগে আছো।এখন যা হওয়ার হয়ে গেছে এসব বলে কি আর লাভ আছে? রিয়াও এখন এই বাড়িরই সদস্য। আর ওতো এতোটাও খারাপ না যে তোমার চেইন চুরি করবে।"

আমার কথার প্রতিউত্তরে রুমি তাচ্ছিল্য স্বরে বলে,
-- "হ্যাঁ এখনতো তুমি ওর পক্ষই টানবা। আমার থেকেও এখন নিজের ভাইয়ের বৌয়ের প্রতি দরদ উতলে উতলে পরছে।"

-- "আচ্ছা এসব বাদ দিয়ে এখন ভালোভাবে খুঁজে দেখো পাও কিনা?"

রুমি রাগমাখা মুখে বলে,
-- "আজকে যদি না পাই তাহলে আমি সত্যি সত্যি তোমার ভাইয়ের বৌকে ছাড়বো না। কারণ আমি জানি এটা ও ব্যতীত আর কেউ নেয়নি।এরকম স্বর্ণের চেইন জীবনে দেখেছে নাকি?তাইতো লোভ সামলাতে পারেনি।"

আমি আর কথা বাড়ালাম না, কারণ মেয়েদের সাথে ঝগড়া করার সাধ্য কোনো পুরুষের নেই। এখন যতই কথা বলবো ততই সমস্যা। 

ডাইনিং টেবিলে আমি সজীব আর রুমি বসে আছি। এদিকে রিয়া খাবার গরম করতে রান্না ঘরে অবস্থান করছে। নীরবতা ঠেলে হঠাৎই রুমি সজীবকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো, 
-- "শোন সজীব! তোকে একটা কথা বলার ছিলো।"

সজীব কৌতূহল দৃষ্টিতে তাকাতেই পরমুহূর্তেই রুমি বলে,
-- "তুই জানিস আমি সব কথা সোজাসুজিভাব বলি। তুই রিয়াকে বিয়ে করার পর থেকে এইবাড়িতে আমার একটার পর একটা জিনিস চুরি হচ্ছে।আগের জিনিসগুলো ছোটখাটো হওয়াতে সেসবের কথা তোকে বলিনি কিন্তু এবার আর চুপ থাকা যায় না।আজ আমার আলমারি তন্ন তন্ন করে খুঁজেও আমার মায়ের দেওয়া স্বর্ণের চেইনটি পাইনি। আগেতো এমন হয়নি এখন কেনো এমন হচ্ছে বুঝতে পারছিস?"

আমি তখনি রুমিকে ধমক দিয়ে থামিয়ে বললাম,
-- "তোমাকে না এসব ওদের সামনে বলতে মানা করলাম?"

আমাকে পাল্টা ধমক দিয়ে আমার স্ত্রী বললো,
-- "তুমি চুপ থাকো! আমার মায়ের দেওয়া এক ভরি স্বর্ণের চেইনের আবেগ তুমি কি বুঝবা?যার জিনিস হারিয়েছে সেই বুঝে এটা কতটা কষ্টের।"

সজীব রুমির কথা শুনে ইতস্তত ভঙ্গিতে বললো, 
-- "জ্বী ভাবী কিন্তু রিয়াতো এমন স্বভাবের মেয়ে না। ওর পরিবার হয়তো একটু নিম্নবিত্ত হতে পারে তাই বলে নিজের বাড়ির জিনিস নিজেই চুরি করবে? এটা কেমন কথা?"

-- "শোন! দুই একটা জিনিস চুরি হলে মানা যেতো কিন্তু দুদিন পরপর যদি এরকম চুরি হয় তাহলে সেটার জন্য কি বলবি? নিজের বউ বলে এতো নিষ্পাপ মনে করিস না। যেমন ছোটলোক বাড়িতে বিয়ে করেছিস তেমনি মেয়ের চরিত্র।"

আমার স্ত্রীর কথা শুনে সজীব লজ্জায় মাথাটা নিচু করে ফেললো ঠিক তখনি রিয়া রান্নাঘর থেকে খাবারের বাটি নিয়ে এসে যখনি ডাইনিং টেবিলের চেয়ারে বসতে যাবে সেসময় সজীব রিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলে,

-- "তুমি কি ভাবীর স্বর্ণের চেইনটা নিয়েছো? নিলে এক্ষুণি দিয়ে দাও।"

ওর মুখে এমন প্রশ্ন শুনে স্বভাবতই রিয়া চমকে ওঠে।সে সীমিত সময়ের জন্য থমকে যায় বটে পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিয়ে বলে,
-- "কি বলছো! আমি কেনো ভাবীর চেইন নিতে যাবো?"

পাশ থেকে আমার স্ত্রী হুট করে বললো,
-- "রুমে খুঁজলেই বুঝা যাবে কে নিয়েছে আর কে নেয়নি।"

রুমির এমন কথায় ওরাতো দূরে থাক আমি নিজেও কিছুটা লজ্জায় পরে যাই।কিন্তু এখনো আমি সবকিছু জানা সত্ত্বেও চুপ করে বসে আছি।কেননা এর শেষটা আমি দেখতে চাই এবং আমার স্ত্রী হিংসার বশে কোথায় চলে গেছে সেটাওতো ওকে বোঝাতে হবে ঠিকঠাক ভাবে।

রুমি সজীবের ঘরে এসে আলমারি সহ বিভিন্ন জায়গায় নিজের চেইন খোঁজার অভিনয় করছে। পাশেই রিয়া লজ্জায় মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।কারণ এভাবে চুরির অপবাদ দিয়ে কারো রুমে চুরির জিনিস খোঁজাখুঁজি করাটা নিশ্চই অপমানজনক।অন্যদিকে সজীবের চোখেমুখে এক রাগের আভা উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। ওর মনের কথাটা বুঝতেও আমার অসুবিধা হলোনা। আর আমি দাঁড়িয়ে আছি অনুভূতুহীন এক নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে। 

এক এক করে খুঁজতে খুঁজতে যখন আচমকাই আমার স্ত্রী ওদের বিছানার তোশকটা উঠালো তখনি সজীব আর রিয়া অবাক নয়নে সেদিকে তাকিয়ে আছে।রুমি তোশকের নিচ থেকে চেইনটা হাতে নিয়ে এক শয়তানি মার্কা হাসি দিয়ে বললো,

-- "কিহ বলছিলাম নাহ? আর আমাকেতো কেউই বিশ্বাস করলিনা।এখন বুঝ তোর বউ কেমন ধরণের মেয়ে। এখনও তোর বউকে কি মাথায় উঠিয়ে রাখবি নাকি?"

ওর কথা শেষ হতে দেরী কিন্তু রিয়ার গালে সজীবের চড় মারতে দেরী হলো না।চড় খেয়ে লজ্জায় এবং অপমানে রিয়া মেঝের দিকে তাকিয়ে টুপটুপ করে নিজের অশ্রু বিসর্জন দিচ্ছে। এদিকে আমার স্ত্রীর চোখেমুখে এক প্রাপ্তির হাসি।আমিও আর একমুহূর্ত দেরী না করে সবাইকে অবাক করে দিয়ে সজীবের গালে সজোরে একটি চড় বসিয়ে দিলাম আর ঠিক তার পরমুহূর্তেই রুমির গালে চড় বসিয়ে দিলাম তারও দ্বিগুণ গতিতে। আমার এমন কান্ডে হতভম্ব হয়ে সজীব আর রুমি আমার দিকে তাকিয়ে আছে।

নিরবতা ঠেলে সজীবকে উদ্দেশ্য করে বলি,
-- "তোকে চড় মেরেছি কি কারণে শুনবি? কারণ হলো তুই কোনো কিছু যাচাই না করেই এক নির্দোষ মানুষকে আঘাত করেছিস।"

পরক্ষণেই রুমির দিকে তাকিয়ে বললাম,
-- "তোমাকে কেনো চড় মেরেছি সেটাতো তুমি নিশ্চই জানো। রিয়াকে এই বাড়ি থেকে বের করার জন্য এসব যে তোমার চাল সেটাও আমি আগে থেকেই জানি। আর সকালে তো নিজ চোখেই দেখেছি তুমি নিজে গিয়ে ওদের বিছানার নিচে চেইনটা লুকিয়ে রেখেছো।তাছাড়া ওতো এতোটাও বোকা নয় যে তোমার চেইন চুরি করে এই বিছানার নিচেই রাখবে।এখনো কি আমার সামনে এই মুখ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে চাও?আমি আসলে তোমাকে বিয়ে করে একটি বিষয় উপলব্ধি করতে পেরেছি এতোদিনে যে, আমি কোনো মানুষকে বিয়ে করিনি বরং বিয়ে করেছি টাকাপয়সা ওয়ালা বাপের এক হিংসা-বিদ্বেষ ভরা অমানুষকে।"

আমার কথা শুনে সজীব আর রিয়া উভয়ই অবাকচিত্তে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।আর অন্যদিকে আমার মহামান্য স্ত্রী অন্যকে লজ্জা দিতে গিয়ে নিজের স্বামীর কাছেই ধরাশায়ী হয়ে লজ্জায় মুখ লুকানোর জায়গা পাচ্ছে না, উল্টো সে নিজেই এখন চোখের অশ্রু বিসর্জন দিতে ব্যস্ত। এছাড়া আর কিইবা করার আছে তার?

(সমাপ্ত)

#হিংসা_ও_বিদ্বেষ
collected from internet

ঝগড়া ১

রাতে বউয়ের সাথে তুমুল ঝগড়া করেছি !!😤
ওকে  বলেছি "তুমি যদি মানুষের বাচ্চা হও তাহলে আমার সাথে কথা বলবে না"

ব্যাস, কাজ হয়েছে,আর কথা বলে না।খালি রাগে ফোলে। সারারাত নাক টেনে কান্না করছে...

না নিজে ঘুমাচ্ছে না আমাকে ঘুমাতে দিচ্ছে।🥲

সকালে খেতে বসে দেখি আজব কান্ড, আমার খাওয়ার পাশে খাতা কলম রাখা। 
বললাম এগুলা কি..?🤔

বউ তার খাতায় কি জানি লিখলো
তারপর আমাকে দেখালো!

আমি পড়লাম। তাতে লেখা আছে..."আমি মানুষের বাচ্চা, তাই কোনোও কথা নাই" 

আজব কাহিনি___☹️
যাই হোক...... সে আমাকে মাংস দিলো ৩ পিস, আমি খাতায় লিখলাম, "২ পিস দাও"😤🙄

খাওয়ার মাঝে লিখলাম,"পানি দাও"।

রাতে ঘুমানোর আগে আমি শুয়ে আছি,সে গুন গুন করে গান গাইছে আর চুল আঁচড়াচ্ছে।🗣️🧏

কি চমৎকার দৃশ্য আমি খাতায় খস খস করে লিখলাম "প্রিয় জানু, আগামিকাল সকাল ৮ টায় আমার অফিসে একটা জরুরী মিটিং আছে,🙂

প্লিজ সকাল ৭ টায় ডেকে দিও।🥺
চিঠি টা বউয়ের হাতে দিয়ে আমি ঘুমিয়ে গেলাম।🧖😕

ঘুম থেকে উঠে দেখি ৯টা ৩৫,😳
চিৎকার দিয়ে উঠে বসছি। এইটা কি......? 🤔

পাশ ফিরে দেখি বউ নাই।😲

বউয়ের জায়গায় একটা চিঠি,📝
তারাতাড়ি করে খুলে দেখি,বউ চিঠিতে লেখে রেখেছে-- ওগো শুনছো সকাল সাড়ে ৭টা বা"জে প্লিজ উঠো তোমার দেরি হয়ে যাচ্ছে!!!😂

স্বামী: বেহুশ🙄
Collected

Monday, November 6, 2023

নারী __কাজী নজরুল ইসলাম

 

নারী
__কাজী নজরুল ইসলাম
সাম্যের গান গাই-
আমার চক্ষে পুরুষ-রমণী কোনো ভেদাভেদ নাই!
বিশ্বে যা-কিছু মহান্‌ সৃষ্টি চির-কল্যাণকর,
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
বিশ্বে যা-কিছু এল পাপ-তাপ বেদনা অশ্রুবারি,
অর্ধেক তার আনিয়াছে নর, অর্ধেক তার নারী।
নরককুন্ড বলিয়া কে তোমা’ করে নারী হেয়-জ্ঞান?
তারে বলো, আদি পাপ নারী নহে, সে যে নর-শয়তান।
অথবা পাপ যে-শয়তান যে-নর নহে নারী নহে,
ক্লীব সে, তাই সে নর ও নারীতে সমান মিশিয়া রহে।
এ-বিশ্বে যত ফুটিয়াছে ফুল, ফলিয়াছে যত ফল,
নারী দিল তাহে রূপ-রস-মধু-গন্ধ সুনির্মল।
তাজমহলের পাথর দেখেছ, দেখিয়াছে যত ফল,
অন্তরে তার মোমতাজ নারী, বাহিরেতে শা-জাহান।
জ্ঞানের লক্ষ্মী, গানের লক্ষ্মী, শস্য লক্ষ্মী নারী,
সুষমা-লক্ষ্মী নারীই ফিরিছে রূপে রূপে সঞ্চারি’।
পুরুষ এনেছে যামিনী-শানি-, সমীরণ, বারিবাহ!
দিবসে দিয়াছে শক্তি সাহস, নিশীতে হ’য়েছে বধূ,
পুরুষ এসেছে মরুতৃষা ল’য়ে, নারী যোগায়েছে মধু।
শস্যক্ষেত্র উর্বর হ’ল, পুরুষ চালাল হল,
নারী সেই মাঠে শস্য রোপিয়া করিল সুশ্যামল।
নর বাহে হল, নারী বহে জল, সেই জল-মাটি মিশে’
ফসল হইয়া ফলিয়া উঠিল সোনালী ধানের শীষে।
স্বর্ণ-রৌপ্যভার,
নারীর অঙ্গ-পরশ লভিয়া হ’য়েছে অলঙ্কার।
নারীর বিরহে, নারীর মিলনে, নর পেল কবি-প্রাণ,
যত কথা তার হইল কবিতা, শব্দ হইল গান।
নর দিল ক্ষুধা, নারী দিল সুধা, সুধায় ক্ষুধায় মিলে’
জন্ম লভিছে মহামানবের মহাশিশু তিলে তিলে!
জগতের যত বড় বড় জয় বড় বড় অভিযান,
মাতা ভগ্নী ও বধূদের ত্যাগে হইয়াছে মহীয়ান্‌।
কোন্‌ রণে কত খুন দিল নর লেখা আছে ইতিহাসে,
কত নারী দিল সিঁথির সিঁদুর, লেখা নাই তার পাশে।
কত মাতা দিল হৃদয় উপড়ি’ কত বোন দিল সেবা,
বীরের স্মৃতি-স্তম্ভের গায়ে লিখিয়া রেখেছে কেবা?
কোনো কালে একা হয়নি ক’ জয়ী পুরুষের তরবারী,
প্রেরণা দিয়াছে, শক্তি দিয়াছে বিজয় লক্ষ্মী নারী।
রাজা করিতেছে রাজ্য-শাসন, রাজারে শাসিছে রাণী,
রাণীর দরদে ধুইয়া গিয়াছে রাজ্যের যত গ্লানি।
পুরুষ হৃদয়-হীন,
মানুষ করিতে নারী দিল তারে আধেক হৃদয় ঋণ।
ধরায় যাঁদের যশ ধরে না’ক অমর মহামানব,
বরষে বরষে যাঁদের স্মরণে করি মোরা উৎসব,
খেয়ালের বশে তাঁদের জন্ম দিয়াছে বিলাসী পিতা,-
লব-কুশে বনে ত্যজিয়াছে রাম, পালন ক’রেছে সীতা।
নারী সে শিখা’ল শিশু-পুরুষেরে স্নেহ প্রেম দয়া মায়া,
দীপ্ত নয়নে পরা’ল কাজল বেদনার ঘন ছায়া।
অদ্ভুতরূপে পুরুষ পুরুষ করিল সে ঋণ শোধ,
বুকে ক’রে তারে চুমিল যে, তারে করিল সে অবরোধ!
তিনি নর-অবতার-
পিতার আদেশে জননীরে যিনি কাটেন হানি’ কুঠার।
পার্শ্ব ফিরিয়া শুয়েছেন আজ অর্ধনারীশ্বর-
নারী চাপা ছিল এতদিন, আজ চাপা পড়িয়াছে নর।
সে যুগ হয়েছে বাসি,
যে যুগে পুরুষ দাস ছিল না ক’, নারীরা আছিল দাসী!
বেদনার যুগ, মানুষের যুগ, সাম্যের যুগ আজি,
কেহ রহিবে না বন্দী কাহারও , উঠিছে ডঙ্কা বাজি’।
নর যদি রাখে নারীরে বন্দী, তবে এর পর যুগে
আপনারি রচা ঐ কারাগারে পুরুষ মরিবে ভুগে!
যুগের ধর্ম এই-
পীড়ন করিলে সে পীড়ন এসে পীড়া দেবে তোমাকেই।
শোনো মর্ত্যের জীব!
অন্যেরে যত করিবে পীড়ন, নিজে হবে তত ক্লীব!
স্বর্ণ-রৌপ্য অলঙ্কারের যক্ষপুরীতে নারী
করিল তোমায় বন্দিনী, বল, কোন্‌ সে অত্যাচারী?
আপনারে আজ প্রকাশের তব নাই সেই ব্যাকুলতা,
আজ তুমি ভীরু আড়ালে থাকিয়া নেপথ্যে কও কথা!
চোখে চোখে আজ চাহিতে পার না; হাতে রুলি, পায় মল,
মাথার ঘোম্‌টা ছিঁড়ে ফেল নারী, ভেঙে ফেল ও-শিকল!
যে ঘোমটা তোমা’ করিয়াছে ভীরু, ওড়াও সে আবরণ,
দূর ক’রে দাও দাসীর চিহ্ন, যেথা যত আভরণ!
ধরার দুলালী মেয়ে,
ফির না তো আর গিরিদরীবনে পাখী-সনে গান গেয়ে।
কখন আসিল ‘প্নুটো’ যমরাজা নিশীথ-পাখায় উড়ে,
ধরিয়া তোমায় পুরিল তাহার আঁধার বিবর-পুরে!
সেই সে আদিম বন্ধন তব, সেই হ’তে আছ মরি’
মরণের পুরে; নামিল ধরায় সেইদিন বিভাবরী।
ভেঙে যমপুরী নাগিনীর মতো আয় মা পাতাল ফুঁড়ি’!
আঁধারে তোমায় পথ দেখাবে মা তোমারি ভগ্ন চুড়ি!
পুরুষ-যমের ক্ষুধার কুকুর মুক্ত ও পদাঘাতে
লুটায়ে পড়িবে ও চরন-তলে দলিত যমের সাথে!
এতদনি শুধু বিলালে অমৃত, আজ প্রয়োজন যবে,
যে-হাতে পিয়ালে অমৃত, সে-হাতে কূট বিষ দিতে হবে।
সেদিন সুদূর নয়-
যেদিন ধরণী পুরুষের সাথে গাহিবে নারীরও জয়!

Saturday, November 4, 2023

ক ব্যবহার করে দীর্ঘ লেখা

"ক" ব্যবহার করে দীর্ঘ লেখা... ( ক দিয়ে কমেন্ট করুন।)

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী কলেজের কনিষ্ঠ কেরাণী কার্তিক কুমার কর্মকারের কোকিল কন্ঠী কন্যা কপিলা কর্মকার কাশিতে কাশিতে করুণ কন্ঠে কমল কাকাকে কহিল, "কাকা, কড়ি কাঠের কেদারা কিংবা কারখানার কাপড় কেনাকাটায় কৃষাণীরা কিছুটা কৃচ্ছতা করিলেও কলকাতার কিশোরী কন্যাদের কাছে কুষ্টিয়ার কুচকুচে কালো কাতান কাপড়ের কদর কল্পনাতীত। কীর্তিমান কতিপয় কলাকুশলী কিংবা কিশোর কবিরাও কালি-কলমের কল্যাণে- কদরের কিছু কার্যকর কথা কৌশলে, কখনো কবিতার কিতাবে, কখনো 'কালের কন্ঠ' কাগজের কলামে কহিয়াছেন।

কিন্তু কাকা, কষ্মীনকালে কেউ কী কখনো কহিয়াছেন? কী কারণে, কিসের কারসাজিতে, কেমন করিয়া কোথাকার কোন কাশ্মিরী কম্বল কিংবা কর্ণাটকের কমলা কাতানের কাছে কালক্রমে কুলীন কূলের কায়িক কৃষাণীদের কাঙ্খিত কালজয়ী কারুকার্যময় কাতান কাপড়ের কদর কমিল ? কাজে কর্মে কুশীলব কিন্তু কেবলই কৌতুহলী কপিলা কর্মকারের কঠিন কথায় কিঞ্চিত কর্ণপাত করিয়া ক্লান্ত কাকা কুষ্টিয়ার কিংবদন্তি কালো কাতানের ক্রমেই কদর কমার কয়েকটি কারণ কোমল কন্ঠে কপিলার কানে কানে কহিলেন। 

কৃষ্ণকায় কাকাকে কাপড়ের কষ্টের কিচ্ছা কাহিনী কহিয়া কপিলা কর্দমাক্ত কলস কাঙ্খে করিয়া কালোকেশী কাকিকে কহিল, কাবেরী কোলের কেয়া- কুঞ্জে কোয়েলের কলকা কলি কিংবা কেতকী কদম কুসুম কাননে কোকিলের কন্ঠে কুহু কুহু কুজনের কতই কারিশমা! কিন্তু কাকী, কদর্য কাক কী কারণে কর্কশ কন্ঠে কানের কাছে কেবল কা-কা করে ?কাঁচের কংকন করিয়া কিংকর্তব্যবিমূঢ় কাকী কিলানো কাঁঠালের কদলি কচলাইতে কচলাইতে কহিলেন, কুৎসিত কেতাদুরস্ত কাকের কাজই কা-কা কলরবে কোলাহল করিয়া কেরামতির কৃতিত্ব কুড়ানো"। কদমার কদর কল্পনাতীত! 
Collected

আক্ষেপ

বুয়েট পড়ুয়া এক আপুর সাথে প্রায়ই কথা হয় ।উনি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে পড়াশোনা করেন।মাঝে মাঝেই আক্ষেপ করে বলেন, 
--- 'জানিস ছোটু এই সাবজেক্ট আমার ভালো লাগে না।কত আশা ছিলো কম্পিউটার সাইন্স নিয়ে পড়াশোনা করবো।কিন্তু নিজের কিছু ভুলের জন্য প্যাশন স্টাবলিশড্ করতে পারিনি।' 
কথাটা শুনে আমি স্বান্তনা দিলেও খুব অবাক হই এটা ভেবে,যেখানে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে শুধু বুয়েটের একটা সিট সেখানে উনি চার বছর ধরে আক্ষেপে পোড়েন পছন্দের সাবজেক্ট পাননি বলে।
.

শিহাব ভাইয়ের সাথে মাঝে মাঝে মেসেঞ্জারে কথা হয়।রংপুর মেডিকেলে ভর্তি হয়েও বেচারার মন খারাপ।কথায় কথায় শুধু বলে,
--- 'ঢাকা মেডিকেল আমার স্বপ্ন ছিলো।এই রংপুর হওয়ার চেয়ে না হওয়াই ভালো ছিলো।' 
আমি শুধু মুচকি হাসি মানুষের চাওয়া পাওয়ার একি হাল! কারো মনে সুখ নেই।
.

সায়ান ভাইকে দেখলে কেমন জানি করে বুকের ভেতর ঈদের মধ্যেই বেশি দেখা হয়।এবার দেখা হলে বলেছিলাম,কি ভাই ঢাবি জীবন কেমন চলে?উনি একটা ফিকে হাসি দিয়ে বললেন,
--- 'যখন শুনি পোলাপান বুয়েটে পড়ে তখন দুমড়ে মুচড়ে যাই আহা কত স্বপ্ন ছিলো !'  
.

সেদিন রাসেল ভাইকে মেসেজ দিলাম, কি অবস্থা ভাই?ভাই একগাদা ব্রোকেন হার্ট ইমোজি দিয়ে বললেন,
---  'এত ট্রাই করছি রে ভাই কিন্তু হচ্ছে না।যে করেই হোক আমাকে বিদেশে যেতেই হবে ! বিদেশে সেটেল্ড হয়ে যাবো।' 
আমি বেশি কিছু বললাম না।ওহ্ হ্যাঁ রাসেল ভাই গত বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করেছে ভেটেরিনারি মেডিসিন এর উপর।
.

আমি যখন হাইস্কুলে পড়াশোনা করি তখন দেখতাম এক স্যার মাঝে মাঝেই ফিসফিস করতো,
--- 'কেন যে এখানে চাকরি নিলাম, বেতন তো খুবই কম।আর একবছর কষ্ট করলেই কলেজে হয়ে যেত!' আমি তখন এটা বুঝেছিলাম যে হাইস্কুলে বোধহয় বেতন টেতন খুব একটা বেশি হয় না।আমি এটাও ভেবেছিলাম হাইস্কুলে চাকরি পেলেও করবো না।
.

গ্রামের প্রভাবশালী রমিজ মিয়ার কথা আর কি বলবো!নেশা একটাই শুধু জমি জমি আর জমি। গ্রামের সবচেয়ে ধনী লোক যার কোনকিছুর অভাব নেই, তবুও উনার কেন জমি কিনতেই হবে? কেন গাদা গাদা টাকা বানাতে হবে?দুদিন পর মরলে তো সব শেষ।
.

হাইস্কুলে থাকতে রাশেদের মোটর সাইকেল দিয়ে ড্রাইভিং শিখেছিলাম।'হোন্ডা' কোম্পানির মোটর সাইকেল ছিলো।হঠাৎ রাশেদ দুই-তিনদিন স্কুলে আসে না।পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি এর থেকে ভালো মোটর সাইকেল না দিলে ও স্কুলে আসবেনা।আমি সেদিন লজ্জা পেয়েছিলাম, যেখানে আমার একটা সাইকেলই নাই আর ও মোটর সাইকেল চেঞ্জ করার জন্য জিদ ধরেছে । 
.

সোহা আপুর সাথে পরিচয় টা অনলাইনে হলেও বাস্তবের ভাইবোনের স্বাদ পাই আমরা।এত পজিটিভ মানুষ আমি খুব কম দেখেছি।সাংসারিক জীবনে তিনি অনেক হ্যাপি।বরং যা আছে তাই নিয়ে হ্যাপি।ভাগ্যকে মেনে নেন, নেগেটিভিটি পরিহার করেন, খারাপ জিনিস টাকে পজিটিভ ভাবে ঘুরিয়ে দেওয়ার এক অদ্ভুত ক্ষমতা আছে উনার।বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করেছেন, কোনদিন শুনিনি তিনি অসুখী । হ্যাঁ সাংসারিক জীবনে দুএকটা কথা সবার হতে পারে তবে ভাইয়া কখনো আপুর নামে অভিযোগ করেননি।এজন্য আমি উনার কাছে সুখে থাকার মন্ত্র শিখি ।
.

আমার মহল্লার সবচেয়ে সুখী মানুষ বোধহয় হরিহরণ।সারাদিন রিক্সা চালিয়ে সন্ধ্যায় চা খেয়ে চাউল কিনে ঘরে ফিরে।গাদা গাদা টাকার স্বপ্ন নেই, জমি কেনার ধান্দা নেই।একদিন মজা করে জিজ্ঞেস করেছিলাম, 
--- 'মেসো টাকা পয়সা কিছু জমাও।বুড়ো বয়সে কাজে লাগবে যে ।' 
উনি ফোকলা দাঁতে উত্তর দেন, 
--- 'রাখ তো বাপু! শেষ বয়সে ট্যাকা হারানুর ভয়ে আর ঘুম হারাম করবের চাইনে, চলছে চলুক!' 
.

কেউ বুয়েট, কেউ ঢাবি আবার কেউ মেডিকেল!কেউবা আবার প্রফেশনাল লাইফ নিয়ে হতাশ! আর ব্যক্তিগত জীবন তো হতাশার কারখানা।এই হতাশা কমবেশি আমাদের সবার মধ্যে আছে। ব্যাপারটা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আমার পেতেই হবে নাহলে আমি শেষ।খুব কম মানুষই দেখেছি যারা নিজের বর্তমান অবস্থা কিংবা ভাগ্যকে মেনে নিয়ে ক্যারি অন করে।আমি বলছিনা যে লেখাপড়া বাদ দিতে হবে কিংবা ইচ্ছে রাখা যাবেনা।ব্যাপারটা হচ্ছে আপনি এত চেষ্টা করেও যখন সেটা পাননি তখন বুঝতে হবে সেটা আপনার জন্য নয়।এই সত্যটা মেনে নিতে সমস্যা কোথায় ? 

আমরা পাই তো ঠিকই, তবুও চাহিদার ঘাটতি পূরণ হয়না।শুধু হলোনা হয়নি আর কেন?এসবের হিসেব মেলাতেই আমাদের জীবনের অনেক টা সময় কেটে যায়।বিনিময়ে শুধু হতাশা আর বিষণ্ণতা।জীবনের রং কোন দিক দিয়ে এসে কোনদিক দিয়ে হারিয়ে যাচ্ছে তা বুঝতেই পারছি না 
.
বিশেষ করে লেখাপড়ার কথাটা বলতেই হবে।বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক সেক্টর।একজনকে দেখে আরেকজনের হিংসা, ও কেন উপরে উঠে গেলো, ও কিভাবে এটা করলো আরো কতকিছু।সুখ নাই ভাই কারো মনে সুখ নাই।বর্তমান পরিস্থিতি মেনে নিয়ে সুখে থাকা মানুষ খুবই কম । 
.
আপনি একটা জিনিস পাননি মানে সৃষ্টিকর্তা আপনার ভাগ্যে সেটা রাখেননি কিংবা সেটা আপনার জন্য ভয়'ঙ্কর । যেটা রেখেছেন সেটা অবশ্যই আপনার জন্য মঙ্গলজনক । কারণ সৃষ্টিকর্তা কখনো তার সৃষ্টির জন্য মন্দ জিনিস পছন্দ করতে পারেন না।

অণুগল্প : #সুখ 
কলমে : সাদমান সাকিব 
Collected

মুসলমান মুসলমানের ভাই : পারস্পরিক সহযোগিতার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

মুসলমান মুসলমানের ভাই : পারস্পরিক সহযোগিতার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত



একদিন মদিনার দুই ব্যক্তি টেনে-হিচড়ে এক যুবককে অর্ধ পৃথিবীর শাসক খলিফা হজরত উমর রা.-এর দরবারে হাজির করল এবং বিচার দাখিল করল যে এই যুবক আমার পিতাকে হত্যা করেছে। আমরা এর ন্যায়বিচার চাই। তখন খলিফা হজরত উমর রা. ওই যুবককে প্রশ্ন করেন, তার বিপক্ষে করা দাবি সম্পর্কে। যুবকটি উত্তর দেন, তাদের দাবি সম্পূর্ণ সত্য। আমি ক্লান্তির কারণে বিশ্রামের জন্য এক খেজুর গাছের ছায়ায় বসেছিলাম। ক্লান্ত শরীরে অল্পতেই ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার একমাত্র পছন্দের বাহন আমার উটটি পাশে নেই। খুঁজতে খুঁজতে কিছু দূর গেয়ে পেলাম, তবে তা ছিল মৃত। পাশেই ওদের বাবা ছিল। যে আমার ওই উটকে তাদের বাগানে প্রবেশে অপরাধে পাথর মেরে হত্যা করেছে। আমি রাগান্বিত হয়ে তাদের বাবার সাথে তর্কাতর্কি করতে করতে একপর্যায়ে তাদের বাবার মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করে ফেলি, ফলে সে সেখানেই মারা যায়। যা সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ঘটে গেছে। এর জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।

বাদি'রা বলেন, আমরা এর মৃত্যুদণ্ড চাই। হজরত উমর রা. সব শুনে বললেন, উট হত্যার বদলে একটা উট নিলেই হতো, কিন্তু তুমি বৃদ্ধকে হত্যা করেছ। হত্যার বদলে হত্যা, এখন তোমাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে। তোমার কোনো শেষ ইচ্ছা থাকলে বলতে পারো। নওজোয়ান বলল, আমার কাছে কিছু ঋণ ও অন্যের কিছু আমানত আছে। আমাকে যদি কিছু দিন সময় দিতেন তবে আমি বাড়ি গিয়ে আমানত ও ঋণের বোঝা পরিশোধ করে আসতাম।

খলিফা হজরত উমর রা. বললেন, তোমাকে একা ছেড়ে দিতে পারি না। যদি তোমার পক্ষ থেকে কাউকে জিম্মাদার রেখে যেতে পারো তবে তোমায় সাময়িক মুক্তি দিতে পারি।

নিরাশ হয়ে নওজোয়ান বলল, এখানে আমার কেউ নেই, যে আমার জিম্মাদার হবে। একথা শুনে হঠাৎ মজলিসে উপস্থিত আল্লাহর নবীর এক সাহাবী হজরত আবু জর গিফারি রা. দাঁড়িয়ে বললেন, আমি হবো ওর জামিনদার। সাহাবী হজরত আবু জর গিফারি রা.-এর এই উত্তরে সবাই হতবাক। একে তো অপরিচিত ব্যক্তি, তার ওপর হত্যার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি- কিভাবে তিনি এ লোকের জামিনদার হলেন!

খলিফা বললেন, আগামি শুক্রবার জুমা পর্যন্ত নওজোয়ানকে মুক্তি দেয়া হলো। জুমার আগে নওজোয়ান মদিনায়া না এলে নওজোয়ানের বদলে আবু জরকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে। মুক্তি পেয়ে নওজোয়ান ছুটল মাইলের পর মাইল দূরে তার বাড়ির দিকে। আবুজর রা. চলে গেলেন তার বাড়িতে। এদিকে দেখতে দেখতে জুমাবার এসে গেছে, নওজোয়ানের কোনো খবর নেই।

হজরত উমর রা. রাষ্ট্রীয় পত্রবাহক পাঠিয়ে দিলেন আবুজর গিফারি রা.-এর কাছে। পত্রে লিখা আজ শুক্রবার বাদ জুমা ওই যুবক যদি না আসে আইন মোতাবেক আবুজর গিফারির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। আবুজর যেন সময়মতো জুমার প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে নববীতে হাজির হন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সারা মদিনায় থমথমে অবস্থার সৃষ্টি হয়। একজন নিষ্পাপ সাহাবী আবুজর গিফারী আজ বিনা দোষে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হবেন! জুমার পর মদিনার সবাই মসজিদে নববীর সামনে হাজির। সবার চোখে পানি। জল্লাদ প্রস্তুত।

জীবনে কতজনের মৃত্যুদণ্ড দেখেছে- তার হিসাব নেই। কিন্তু আজ কিছুতেই চোখের পানি
আটকাতে পারছে না কেউ। আবুজরের মতো একজন সাহাবী সম্পূর্ণ বিনাদোষে আজ মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হবেন- এটা মদিনার কেউ মেনে নিতে পারছে না। এমনকি মৃত্যুদণ্ডের আদেশ প্রদানকারী খলিফা উমর রা.-ও অনবরত কাঁদছেন। তবু আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। কারো পরিবর্তনের হাত নেই। আবু জর রা. তখনো নিশ্চিন্ত মনে হাসি মুখে দাড়িয়ে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত। জল্লাদ ধীর পায়ে আবু জর রা.-এর দিকে এগুচ্ছেন আর কাঁদছেন। আজ যেন জল্লাদের পা চলে না। পায়ে যেন কেউ পাথর বেঁধে রেখেছে।

এমন সময় এক সাহাবী জল্লাদকে বললো, হে জল্লাদ একটু থামো। মরুভুমির ধুলার ঝড় উঠিয়ে ওই দেখ কে যেন আসছে। হতে পারে ঐটা নওজোয়ানের ঘোড়ার ধূলি। একটু দেখে নাও, তারপর না হয় আবু জরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর কোরো। ঘোড়াটি কাছে এলে দেখা যায়-সত্যিই এটা ওই নওজোয়ানই। নওজোয়ান দ্রুত খলিফার সামনে এসে বলল, হুজুর বেয়াদবি মাফ করবেন। রাস্তায় যদি ঘোড়ার পা'য়ে ব্যথা না পেত, তবে সঠিক সময়েই আসতে পারতাম। বাড়িতে আমি একটুও দেরি করিনি। বাড়ি পৌঁছে গচ্ছিত আমানত ও ঋণ পরিশোধ করি এবং তারপর বাড়ি এসে বাবা-মা এবং নববধূর কাছে সব খুলে বলে চিরবিদায় নিয়ে মৃত্যুর প্রস্তুতি নিয়ে মদিনার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। এখন আবু জর রা. ভাইকে ছেড়ে দিন, আমাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে পবিত্র করুন। কেয়ামতে খুনি হিসেবে আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে চাই না।

আশেপাশে সব নিরব থমথমে অবস্থা। সবাই হতবাক, কী হতে চলেছে। যুবকের পুনরায় ফিরে আসাটা অবাক করে দিলো সবাইকে। খলিফা হজরত উমর রা. বললেন, তুমি জানো তোমাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে, তারপরে ও কেন ফিরে এলে? উত্তরে ওই যুবক বলেন, আমি ফিরে এসেছি, কেউ যাতে বলতে না পারে, এক মুসলমানের বিপদে আরেক মুসলামান সাহায্য করতে এগিয়ে এসে নিজেই বিপদে পড়ে গিয়েছিল।

এবার হজরত উমর রা. হযরত আবু জর গেফারী রা.-কে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কেন না চেনা সত্ত্বেও এমন লোকের জামিনদার হলেন। উত্তরে হজরত আবু জর গেফারী রা. বললেন, পরে কেউ যেন বলতে না পারে, এক মুসলমান বিপদে পড়েছিল, অথচ কেউ তাকে সাহায্য করতে আসেনি।

এসব কথা শুনে, হঠাৎ বৃদ্ধার দুই সন্তানের মাঝে একজন বলে উঠল, হে খলিফা, আপনি তাকে মুক্ত করে দিন। আমরা তার উপর করা দাবি তুলে নিলাম।
হজরত উমর রা. বললেন, কেন? তাদের মাঝে একজন বলে উঠল, কেউ যেন বলতে না পারে, এক মুসলমান অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল করে এবং নিজেই সেই ভুল শিকার করে ক্ষমা চাওয়ার পরও অন্য মুসলমান তাকে ক্ষমা করেনি।

তথ্যসূত্র : হায়াতুস সাহাবা, পৃষ্ঠা: ৮৪৪