A collection of paragraph,letter,email,application,dialogue,grammar,story,song,education , examination result, jsc,ssc and Hsc exam realated English grammar and composition part .
Thursday, November 30, 2023
দুই উকিলের গল্প
Monday, November 27, 2023
Ideoms and phrases
"প্রত্যাবর্তনের লজ্জা" আল মাহমুদ
Saturday, November 25, 2023
ইংরেজি বর্ণমালা আপনাকে কী পরামর্শ দিচ্ছেঃ
Friday, November 24, 2023
155 phrasal verbs with Banlga meaning
Wednesday, November 22, 2023
এক নজরে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ:
Monday, November 20, 2023
Magical Words male female
Saturday, November 18, 2023
Word neaning 001
ঐতিহাসিক তারিখগুলো কি বার ছিল
Preposition details in Bangla
Friday, November 17, 2023
দোয়া ও জিকির সমুহ
দোয়া সকল বন্ধ হৃদয় গুলোকে খুলে দেয়। আপনি যত বেশি আল্লাহ্র কাছে দোয়া করবেন আপনার জীবন তত বেশি আপনার কাছে হালকা মনে হবে। দোয়ার
সবচে সুন্দর দিক হচ্ছে, আপনার দোয়া এই দুনিয়ায় কবুল হোক
বা না হোক, দোয়া আপনার হৃদয় থেকে না পাওয়ার অভাব
গুলো হ্রাস করে দেয়। তাই চলুন দৈনন্দিন জীবনে নিয়মিত পাঠ করার জন্য কিছু
দোয়া শিখে নেই। আর পাশাপাশি নিচের আয়াতটা সব সময় মাথায় রাখবেন। দেখবেন
বোঝা অনেকটাই হালকা হয়ে যাবে নিজের অজান্তেই, ইন শা আল্লাহ !
**দুনিয়া আখিরাতের কল্যানের জন্য দোয়া-
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي
الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
উচ্চারনঃ “রব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাহ ওয়া ফিল আখিরতি হাসানাহ ওয়া
কিনা আজাবান্নার।”
অর্থ-‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দান কর এবং পরকালেও কল্যাণ দান কর। আর আমাদেরকে আগুনের-যন্ত্রণা থেকে রক্ষা
কর।’(সুরা বাকারা- আয়াত ২০১)
কাতাদা (রাঃ) আনাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন কোন দোয়া রাসুল (সাঃ) বেশি পড়তেন
তখন আনাস (রাঃ) উপরে দোয়াটির কথা বলেছিলেন (মুসলিম)
➋ নিজে এবং নিজের পরিবারের সবার জন্য বিনা হিসাবে বিনা আজাবে
জান্নাতুল ফিরদাউস চাওয়ার দোয়া-
اللهم أدخلنا وأهلنا الجنة الفردوس بغير حساب ولا
عذاب
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আদখিলনা ওয়া আহলানা আল জান্নাতাল ফিরদাউস বিগইরি হিসাবিও
ওয়া লা আ’যাব।
অর্থঃ ইয়া আল্লাহ তুমি আমাকে আর আমার পরিবারের সবাইকে বিনা হিসাবে, বিনা আজাবে
জান্নাতুল ফিরদাউস দান করো।
➌ হেদায়াতের পর অন্তরের বক্রতা হতে মুক্তি চাওয়া-
رَبَّنَا لاَ تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ
هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ
উচ্চারনঃ রব্বানা-লা-তুযিগ্ কুলূবানা- বা’দা ইয্ হাদাইতানা-অহাবলানা-মিল্
লাদুন্কা রহমাহ , ইন্নাকা আন্তাল্ অহ্হা-ব্ ।
অর্থঃ হে আমাদের রব, আপনি হিদায়াত দেয়ার পর আমাদের অন্তরসমূহ বক্র করবেন না এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদেরকে রহমত দান করুন। (সুরা আল
ইমরান – আয়াত ৮)
➍ দ্বীনের উপর অটল থাকার দুয়া:
اللَّهُمَّ يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ
قَلْبِيْ عَلَى دِيْنِكَ
উচ্চারনঃ আল্লাহুম্মা ইয়া মুক্বাল্লিবাল ক্বুলুব, ছাব্বিত ক্বলবী আ’লা দ্বীনিক
।
অর্থ:- হে আল্লাহ! হে হৃদয়ের পরিবর্তন কারী! আপনি আমার হৃদয়-কে আপনার দ্বীনের
উপর প্রতিষ্ঠিত রাখুন।
আনাস (রাদিয়াল্লাহু আ’নহু) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া
সাল্লাম) বেশি বেশি বলতেন, “হে হৃদয়সমূহকে
বিবর্তনকারী! তুমি আমার হৃদয়কে তোমার দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত রেখো।” আমি বললাম, ‘হে
আল্লাহর রাসূল! আমরা আপনার প্রতি এবং আপনি যা আনয়ন করেছেন তার প্রতি ঈমান এনেছি, আপনি কি আমাদের ব্যাপারে ভয় করেন?’ তিনি
বললেন, “হ্যাঁ, হৃদয়সমূহ আল্লাহর আঙ্গুলসমূহের মধ্যে
দু’টি আঙ্গুলের মাঝে আছে। তিনি তা ইচ্ছামত বিবর্তন
করে থাকেন।”(তিরমিযী ২১৪০, ইবনে মাজাহ ৩৮৩৪, মিশকাত ১০২)
➎ আল্লাহর কাছে হেদায়েত ও তাকওয়া চাওয়ার দোয়া-
“اللهم إني أسألك الهدى، والتقى، والعفاف،
والغنى”
উচ্চারনঃ “আল্লাহুম্মা ইন্নি আস-আলুকাল হুদা ওয়াত-তুকা ওয়াল আ’ফাফা ওয়াল
গিনা।”
অর্থ: হে আল্লাহ আমি তোমার কাছে হেদায়েত, তাকওয়া, সুস্থতা ও সম্পদ প্রার্থনা
করছি। (সুনানে আত-তিরমিযী: ৩৪৮৯)
➏ দুনিয়া আখিরাতের নিরাপত্তার দোয়া।
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ
وَالْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ
الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي دِينِي وَدُنْيَايَ وَأَهْلِي وَمَالِي، اللَّهُمَّ
استُرْ عَوْرَاتي، وآمِنْ رَوْعَاتي، اللَّهمَّ احْفَظْنِي مِنْ بَينِ يَدَيَّ،
ومِنْ خَلْفي، وَعن يَميني، وعن شِمالي، ومِن فَوْقِي، وأعُوذُ بِعَظَمَتِكَ أنْ أُغْتَالَ
مِنْ تَحتي
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা, ইন্নী আস্আলুকাল ‘আফওয়া ওয়াল ‘আ-ফিয়্যাতা ফিদ্ দুন্ইয়া- ওয়াল আ-খিরাহ। আল্লাহুম্মা, ইন্নী আস্আলুকাল
‘আফ্ওয়া ওয়াল ‘আ-ফিয়্যাতা ফী দীনী ওয়া দুন্ইয়াই-য়া, ওয়া আহলী ওয়া মালী।
আল্লা-হুম্মাস- তুর ‘আউরা-তী ওয়া আ-মিন রাউ‘আ-তী।
আল্লা-হুম্মাহ্ ফাযনী মিম বাইনি ইয়াদাইয়্যা ওয়া
মিন খালফী, ওয়া ‘আন ইয়ামীনী ওয়া ‘আন শিমালী, ওয়া মিন ফাউক্বী। ওয়া
আ‘ঊযু বি‘আযামাতিকা আন উগতা-লা মিন তাহতী।
অর্থঃ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট ইহকালে ও পরকালে নিরাপত্তা চাচ্ছি। হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট আমার ধর্ম ও
পার্থিব জীবনে এবং পরিবার ও সম্পদে ক্ষমা ও নিরাপত্তা
ভিক্ষা করছি। হে আল্লাহ! তুমি আমার লজ্জাকর বিষয়সমূহ
গোপন করে নাও এবং আমার ভীতিতে নিরাপত্তা দাও। হে আল্লাহ! তুমি আমাকে আমার
সম্মুখ ও পশ্চাৎ, ডান ও বাম এবং উপর থেকে রক্ষণাবেক্ষণ কর। আর আমি তোমার
মাহাত্মের অসীলায় আমার নিচে ভূমি ধসা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)কখনোই সকাল হলে ও সন্ধ্যা হলে উপরের এই কথাগুলি বলতে ছাড়তেন না (সর্বদা
তিনি সকালে ও সন্ধ্যায় এগুলি বলতেন) (মুসনাদ আহমাদ ২/২৫, সুনানু ইবনি
মাজাহ ২/১২৭৩, মুসতাদরাক হাকিম ১/৬৯৮, মাওয়ারিদুয যামআন
৭/৩৮১-৩৮৩, সহীহুত তারগীব ১/৩৪৩)
➐ আল্লাহর দেওয়া নিয়ামত কখনো যেন হারিয়ে না যায়-
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ
نِعْمَتِكَ وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ وَجَمِيعِ سَخَطِكَ
” .
উচ্চারণঃ “আল্ল-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন যাওয়া-লি নি‘মাতিক, ওয়া তাহাও্উলি ‘আ-ফিয়াতিক, ওয়া ফুজা-য়াতি নিক্মাতিক, ওয়া
জামী’ই সাখ-তিক ।”
অর্থঃ “হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই নি‘আমাত দূর হয়ে যাওয়া হতে, তোমার দেয়া সুস্থতা পরিবর্তন হয়ে যাওয়া থেকে, তোমার অকস্মাৎ
শাস্তি আসা হতে এবং তোমার সকল প্রকার অসন্তুষ্টি
থেকে।”(মুসলিম- ৬৮৩৭)
➑ মারাত্মক রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তির দোয়াঃ
«اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ
الْجُنُونِ، وَالْجُذَامِ، وَالْبَرَصِ، وَسَيِّئِ الْأَسْقَامِ»
উচ্চারনঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল জুনুন, ওয়াল জুযাম, ওয়াল বারস, ওয়া
সাইয়িল আসকম।
অর্থঃ হে আল্লাহ্! আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি পাগলামী, কুষ্ঠ রোগ, শ্বেতরোগ এবং অতি মন্দ রোগ ব্যাধি হতে।(সুনানে
আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৫৪৯৩ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস)
➒ অসুস্থ্য ব্যক্তির প্রতি দোয়া-
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي عَافَانِي مِمَّا
ابْتَلاَكَ بِهِ وَفَضَّلَنِي عَلَى كَثِيرٍ مِمَّنْ خَلَقَ تَفْضِيلاً
উচ্চারনঃ আলহামদুলিল্লা হিল্লাযি আ-ফা-নী মিম্মাব তালা-কা বিহ, ওয়া ফাদদলানীয়
আলা কাছিইরিম মিম্মান খলাকো তাফদিইলা।
অর্থঃ “সকল প্রশংসা আল্লাহ তা আলার জন্য, তিনি যে বিপদে তোমাকে জড়িত করেছেন তা হতে আমাকে হিফাযাতে রেখেছেন এবং তাঁর অসংখ্য সৃষ্টির উপর
আমাকে সম্মান দান করেছেন”।
যে কোন অসুস্থ বা বিপদ্গ্রস্থ ব্যক্তিকে দেখে এই দোয়া পড়লে আপনি জীবনে কখনো ঐ অসুখে বা ঐ বিপদে পরবেন না-উমার (রাঃ) থেকে
বর্ণিতঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে
লোক কোন বিপদগ্রস্থ লোককে প্রত্যক্ষ উপরে দোয়া পড়বে সে তার মৃত্যুর
পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত উক্ত অনিষ্ট হতে হিফাযাতে থাকবে
। তা যে কোন বিপদেই হোক না কেন ।(ইবনু মাজাহ, হাঃ
৩৮৯২ হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস, তিরমিজি ৩৪৩১- তাওহিদ পাবলিকেশন)
❿
সকাল সন্ধ্যার দোয়া-
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ
شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلاَ فِي السّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
উচ্চারণঃ বিস্মিল্লা-হিল্লাযী লা ইয়াদুররু মা‘আ ইস্মিহী শাইউন ফিল্ আরদ্বি
ওয়ালা ফিস্ সামা-ই, ওয়াহুয়াস্ সামী‘উল ‘আলীম।
অর্থঃ আমি সেই আল্লাহর নামে শুরু করছি, যার নামে শুরু করলে আসমান ও যমীনের কোনো কিছুই কোনো ক্ষতি করতে পারেনা, তিনি সর্বশ্রোতা,
মহাজ্ঞানী।
সকাল সন্ধায় ৩বার করে এই দোয়া পড়লে আসমান জমিনের কোন কিছুই আপনার কোন ক্ষতি
করতে পারবে না-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি সকালে তিনবার ও সন্ধ্যায় তিন বার এই দুআ পড়বে, কোনো কিছুই
ঐ ব্যক্তির ক্ষতি করতে পারবেনা।”
(আবূ দাউদ, ৪/৩২৩, নং ৫০৮৮; তিরমিযী, ৫/৪৬৫, নং ৩৩৮৮; ইবন মাজাহ, নং ৩৮৬৯; আহমাদ, নং ৪৪৬। আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ, ২/৩৩২। আর
আল্লামা ইবন বায রাহিমাহুল্লাহ তাঁর ‘তুহফাতুল আখইয়ার’ গ্রন্থের ৩৯
পৃষ্ঠায় এটার সনদকে হাসান বলেছেন- হিসনুল মুসলিম থেকে)
➊➊ ক্ষমা প্রার্থনার সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া-
اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَّا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ،
خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا
اسْتَطَعْتُ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ، أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ
عَلَيَّ، وَأَبُوءُ بِذَنْبِي فَاغْفِر لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا
أَنْتَ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আনতা রব্বি লা-ইলাহা ইল্লা আনতা, খালাক্বতানি ওয়া
আনা আ’বদুক, ওয়া আনা-আ’লা আহ’দিকা ওয়া-ওয়াদিকা মাস্তা-তোয়া’ত,
আ’উযুবিকা মিন শাররি মা-ছানাআ’ত আবু-উ-লাকা বিনি’মাতিকা আলায়্যা
ওয়া-আবু-উ-বি-যামবি, ফাগফিরলী, ফা-ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুযযুনুবা ইল্লা-আনতা।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রতিপালক, তুমি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছো আর আমি তোমার বান্দা। আমি আমার
সাধ্যানুযায়ী তোমার সাথে যে ওয়াদা করেছি তা পূরণ করার
চেষ্টায় রত আছি, আমি আমার কর্মের অনিষ্ট থেকে
পানাহ্ চাই, আমি স্বীকার করছি আমার প্রতি তোমার প্রদত্ত নিয়ামতের কথা এবং
আমি আরো স্বীকার করছি আমার পাপে আমি অপরাধী, অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা করো,
তুমি ছাড়া ক্ষমা করার আর কেউ নাই।
আন্তরিক বিশ্বাসের সাথে কেউ যদি প্রতিদিন সকাল (ফযরের পরে) ও সন্ধ্যায়
(আসর বা মাগরিবের পরে) এই দোয়া বা ইস্তেগফার পড়ে আর সে ঐদিন মারা যায় ইন
শা’ আল্লাহ সে জান্নাতে যাবে। এই গ্যারান্টি দিয়ে গেছেন স্বয়ং
রাসুলুল্লাহ (সাঃ)। (বুখারী, তিরমিযী ৫/৪৬৬)
➊❷ দুই সিজদার মাঝের দোয়া-
اَللّهُمَّ اغْفِرْلِيْ وَارْحَمْنِيْ (وَاجْبُرْنِيْ
وَارْفَعْنِيْ) وَاهْدِنِيْ وَعَافِنِيْ وَارْزُقْنِيْ।
উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মাগফিরলী অরহামনী অজবুরনী অরফা’নী অহ্দিনী ওয়া আ-ফিনী
অরযুক্বনী।
অর্থ- হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা কর, দয়া কর, আমার প্রয়োজন মিটাও, আমাকে উঁচু কর, পথ দেখাও, নিরাপত্তা দাও এবং জীবিকা দান কর।
(আবূদাঊদ-৮৫০, তিরমিযী-২৮৪, ইবনে মাজাহ্-৮৯৮,হাকেম,
মুস্তাদরাক)
ক্ষমা, দয়া, সমস্ত প্রয়োজন মিটানো, নিচুতা দূর করে উচু করা, সঠিক পথে পরিচালনা করা, নিরাপত্তা দেওয়া, জীবিকা দেওয়া এই সমস্ত কিছু
প্রতি রাকাত সলাতের ১ সিজদা থেকে উঠে বসে আপনি আল্লাহর কাছে চেয়ে নিতে
পারছেন আর সলাতটাই তো মুলত মুনাজাত, অন্য যে কোন সময়ের চেয়ে সলাতের
মধ্যে আল্লাহর কাছে দোয়া কবুলের আশা সবচেয়ে বেশি থাকে,
আপনি একবার চিন্তা করুন প্রতিদিন এত রাকাত সলাতে
আমরা এত বার যদি আল্লাহর কাছে এই দুয়াটা করি আর কোন ১বারও যদি দয়াময় আল্লাহ
সুবহানাহু তা’লা কবুল করে নেন তাহলে দুনিয়া আখিরাতে আমাদের আর কোন
অপ্রাপ্তি থাকবে কি?
আল্লাহ আমাদের যথাযথ আমল করা তৌফিক দান করুক, আমিন !
ঋন মুক্তির দোয়া
Thursday, November 16, 2023
New curricullum details
Wednesday, November 15, 2023
Hpw to say Beautiful in 10 ways
Saturday, November 11, 2023
যোগ্যতা ভিত্তিক শিক্ষাক্রম
Friday, November 10, 2023
আত্তাহিয়্যাতুর পিছনের গল্প
আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে
Thursday, November 9, 2023
হিংসার পরিনতি
ঝগড়া ১
Monday, November 6, 2023
নারী __কাজী নজরুল ইসলাম
Saturday, November 4, 2023
ক ব্যবহার করে দীর্ঘ লেখা
আক্ষেপ
মুসলমান মুসলমানের ভাই : পারস্পরিক সহযোগিতার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত
একদিন মদিনার দুই ব্যক্তি টেনে-হিচড়ে এক যুবককে অর্ধ পৃথিবীর শাসক খলিফা হজরত উমর রা.-এর দরবারে হাজির করল এবং বিচার দাখিল করল যে এই যুবক আমার পিতাকে হত্যা করেছে। আমরা এর ন্যায়বিচার চাই। তখন খলিফা হজরত উমর রা. ওই যুবককে প্রশ্ন করেন, তার বিপক্ষে করা দাবি সম্পর্কে। যুবকটি উত্তর দেন, তাদের দাবি সম্পূর্ণ সত্য। আমি ক্লান্তির কারণে বিশ্রামের জন্য এক খেজুর গাছের ছায়ায় বসেছিলাম। ক্লান্ত শরীরে অল্পতেই ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার একমাত্র পছন্দের বাহন আমার উটটি পাশে নেই। খুঁজতে খুঁজতে কিছু দূর গেয়ে পেলাম, তবে তা ছিল মৃত। পাশেই ওদের বাবা ছিল। যে আমার ওই উটকে তাদের বাগানে প্রবেশে অপরাধে পাথর মেরে হত্যা করেছে। আমি রাগান্বিত হয়ে তাদের বাবার সাথে তর্কাতর্কি করতে করতে একপর্যায়ে তাদের বাবার মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করে ফেলি, ফলে সে সেখানেই মারা যায়। যা সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ঘটে গেছে। এর জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
বাদি'রা বলেন, আমরা এর মৃত্যুদণ্ড চাই। হজরত উমর রা. সব শুনে বললেন, উট হত্যার বদলে একটা উট নিলেই হতো, কিন্তু তুমি বৃদ্ধকে হত্যা করেছ। হত্যার বদলে হত্যা, এখন তোমাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে। তোমার কোনো শেষ ইচ্ছা থাকলে বলতে পারো। নওজোয়ান বলল, আমার কাছে কিছু ঋণ ও অন্যের কিছু আমানত আছে। আমাকে যদি কিছু দিন সময় দিতেন তবে আমি বাড়ি গিয়ে আমানত ও ঋণের বোঝা পরিশোধ করে আসতাম।
খলিফা হজরত উমর রা. বললেন, তোমাকে একা ছেড়ে দিতে পারি না। যদি তোমার পক্ষ থেকে কাউকে জিম্মাদার রেখে যেতে পারো তবে তোমায় সাময়িক মুক্তি দিতে পারি।
নিরাশ হয়ে নওজোয়ান বলল, এখানে আমার কেউ নেই, যে আমার জিম্মাদার হবে। একথা শুনে হঠাৎ মজলিসে উপস্থিত আল্লাহর নবীর এক সাহাবী হজরত আবু জর গিফারি রা. দাঁড়িয়ে বললেন, আমি হবো ওর জামিনদার। সাহাবী হজরত আবু জর গিফারি রা.-এর এই উত্তরে সবাই হতবাক। একে তো অপরিচিত ব্যক্তি, তার ওপর হত্যার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি- কিভাবে তিনি এ লোকের জামিনদার হলেন!
খলিফা বললেন, আগামি শুক্রবার জুমা পর্যন্ত নওজোয়ানকে মুক্তি দেয়া হলো। জুমার আগে নওজোয়ান মদিনায়া না এলে নওজোয়ানের বদলে আবু জরকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে। মুক্তি পেয়ে নওজোয়ান ছুটল মাইলের পর মাইল দূরে তার বাড়ির দিকে। আবুজর রা. চলে গেলেন তার বাড়িতে। এদিকে দেখতে দেখতে জুমাবার এসে গেছে, নওজোয়ানের কোনো খবর নেই।
হজরত উমর রা. রাষ্ট্রীয় পত্রবাহক পাঠিয়ে দিলেন আবুজর গিফারি রা.-এর কাছে। পত্রে লিখা আজ শুক্রবার বাদ জুমা ওই যুবক যদি না আসে আইন মোতাবেক আবুজর গিফারির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। আবুজর যেন সময়মতো জুমার প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে নববীতে হাজির হন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সারা মদিনায় থমথমে অবস্থার সৃষ্টি হয়। একজন নিষ্পাপ সাহাবী আবুজর গিফারী আজ বিনা দোষে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হবেন! জুমার পর মদিনার সবাই মসজিদে নববীর সামনে হাজির। সবার চোখে পানি। জল্লাদ প্রস্তুত।
জীবনে কতজনের মৃত্যুদণ্ড দেখেছে- তার হিসাব নেই। কিন্তু আজ কিছুতেই চোখের পানি
আটকাতে
পারছে না কেউ। আবুজরের মতো একজন সাহাবী সম্পূর্ণ বিনাদোষে আজ মৃত্যুদণ্ডে
দণ্ডিত হবেন- এটা মদিনার কেউ মেনে নিতে পারছে না। এমনকি মৃত্যুদণ্ডের আদেশ
প্রদানকারী খলিফা উমর রা.-ও অনবরত কাঁদছেন। তবু আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।
কারো পরিবর্তনের হাত নেই। আবু জর রা. তখনো নিশ্চিন্ত মনে হাসি মুখে দাড়িয়ে
মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত। জল্লাদ ধীর পায়ে আবু জর রা.-এর দিকে এগুচ্ছেন আর
কাঁদছেন। আজ যেন জল্লাদের পা চলে না। পায়ে যেন কেউ পাথর বেঁধে রেখেছে।
এমন সময় এক সাহাবী জল্লাদকে বললো, হে জল্লাদ একটু থামো। মরুভুমির ধুলার ঝড় উঠিয়ে ওই দেখ কে যেন আসছে। হতে পারে ঐটা নওজোয়ানের ঘোড়ার ধূলি। একটু দেখে নাও, তারপর না হয় আবু জরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর কোরো। ঘোড়াটি কাছে এলে দেখা যায়-সত্যিই এটা ওই নওজোয়ানই। নওজোয়ান দ্রুত খলিফার সামনে এসে বলল, হুজুর বেয়াদবি মাফ করবেন। রাস্তায় যদি ঘোড়ার পা'য়ে ব্যথা না পেত, তবে সঠিক সময়েই আসতে পারতাম। বাড়িতে আমি একটুও দেরি করিনি। বাড়ি পৌঁছে গচ্ছিত আমানত ও ঋণ পরিশোধ করি এবং তারপর বাড়ি এসে বাবা-মা এবং নববধূর কাছে সব খুলে বলে চিরবিদায় নিয়ে মৃত্যুর প্রস্তুতি নিয়ে মদিনার উদ্দেশ্যে রওনা দেই। এখন আবু জর রা. ভাইকে ছেড়ে দিন, আমাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে পবিত্র করুন। কেয়ামতে খুনি হিসেবে আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে চাই না।
আশেপাশে সব নিরব থমথমে অবস্থা। সবাই হতবাক, কী হতে চলেছে। যুবকের পুনরায় ফিরে আসাটা অবাক করে দিলো সবাইকে। খলিফা হজরত উমর রা. বললেন, তুমি জানো তোমাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে, তারপরে ও কেন ফিরে এলে? উত্তরে ওই যুবক বলেন, আমি ফিরে এসেছি, কেউ যাতে বলতে না পারে, এক মুসলমানের বিপদে আরেক মুসলামান সাহায্য করতে এগিয়ে এসে নিজেই বিপদে পড়ে গিয়েছিল।
এবার হজরত উমর রা. হযরত আবু জর গেফারী রা.-কে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কেন না চেনা সত্ত্বেও এমন লোকের জামিনদার হলেন। উত্তরে হজরত আবু জর গেফারী রা. বললেন, পরে কেউ যেন বলতে না পারে, এক মুসলমান বিপদে পড়েছিল, অথচ কেউ তাকে সাহায্য করতে আসেনি।
এসব কথা শুনে, হঠাৎ বৃদ্ধার দুই সন্তানের মাঝে একজন বলে উঠল, হে খলিফা, আপনি তাকে মুক্ত করে দিন। আমরা তার উপর করা দাবি তুলে নিলাম।
হজরত
উমর রা. বললেন, কেন? তাদের মাঝে একজন বলে উঠল, কেউ যেন বলতে না পারে, এক
মুসলমান অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল করে এবং নিজেই সেই ভুল শিকার করে ক্ষমা চাওয়ার
পরও অন্য মুসলমান তাকে ক্ষমা করেনি।
তথ্যসূত্র : হায়াতুস সাহাবা, পৃষ্ঠা: ৮৪৪