সময়—এই শব্দটি ছোট হলেও এর গভীরতা অসীম। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই সময়ের অন্তর্গত, আর সময়ের সঠিক ব্যবহারই মানুষের জীবনকে সফলতার চূড়ায় নিয়ে যেতে পারে। সময়কে বলা হয় “অমূল্য রত্ন”, কারণ এটি একবার চলে গেলে আর কোনোভাবে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। টাকাপয়সা হারালে তা ফেরত পাওয়া যায়, কিন্তু সময় একবার চলে গেলে তা চিরতরের জন্য হারিয়ে যায়।
শিশুকাল থেকে বার্ধক্য পর্যন্ত জীবনের প্রতিটি ধাপে সময়ের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। একজন শিক্ষার্থীর জীবনে সময়ের সঠিক ব্যবস্থাপনা তাকে সাফল্যের পথে নিয়ে যায়। যারা ছাত্রজীবনে সময় ন*ষ্ট করে, ভবিষ্যতে তারাই আফসোস করে। “কাল করব কাল করব” বলতে বলতে জীবনের মূল্যবান সময় হাতছাড়া হয়ে যায়।
সময়ের গুরুত্ব বুঝেছিলেন ইতিহাসের মহান ব্যক্তিরাও। আলবার্ট আইনস্টাইন, লিওনার্দো দা ভিঞ্চি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বা আমাদের নিজস্ব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান—তাঁদের জীবনে সময়ের সঠিক ব্যবহারই তাঁদের মহান করে তুলেছে। তাঁরা জানতেন, একটি ক্ষণও বৃথা নয়।
বর্তমান যুগে সময় আরও বেশি মূল্যবান হয়ে উঠেছে। প্রযুক্তির উন্নয়ন যেমন আমাদের সুযোগ দিয়েছে, তেমনি সময়ের প্রতি গুরুত্ব না দিলে প্রযুক্তিই আমাদের সময় কেড়ে নিতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া, বিনোদন, বা আলসেমি আমাদের জীবনের অমূল্য সময় গিলে খায়—যদি আমরা সচেতন না হই।
সময় ব্যবস্থাপনার মূলমন্ত্র হলো পরিকল্পনা, শৃঙ্খলা ও অগ্রাধিকার নির্ধারণ। প্রতিদিনের কাজ নির্ধারণ করে সময় ভাগ করে নেওয়া, অপ্রয়োজনীয় কাজ পরিহার করা এবং নিজেকে সবসময় প্রস্তুত রাখা—এই অভ্যাসগুলো জীবনকে গঠনে সহায়তা করে।
সবশেষে বলা যায়, সময় জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ। যে ব্যক্তি সময়কে ভালবাসে, সময়ও তাকে ভালবাসে। সময়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানালে জীবনে সফলতা, শান্তি ও পরিতৃপ্তি অনিবার্য। তাই আসুন, আমরা সবাই সময়ের গুরুত্ব বুঝি ও জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে মূল্যবান করে তুলি।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন,
সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণে রাখুন।
Comments
Post a Comment