সালটা ১৭৯০, দেশের নাম জার্মানি।
একটি পাবলিক স্কুলের, কোনো ক্লাসে অঙ্কের স্যার ঢুকে দেখলেন ছাত্ররা চেঁচামেচি করছে। রেগে গিয়ে তিনি গোটা ক্লাসকে বললেন,
-তোমাদের শাস্তি, যে খাতা পেন্সিল বের করো এবং এক থেকে একশো অবধি সমস্ত সংখ্যা যোগ করো। যতক্ষণ না গোটা যোগফল আমায় কষে দিতে পারছো, ততক্ষণ ছুটি নেই!
ক্লাসের ছাত্রদের মাথায় হাত পরলো। সবাই খাতা পেন্সিল নিয়ে বসে গেল আঁক কষতে।
1+2+3+.... করে এভাবে একশো অবধি যোগ করাটা নেহাতই সহজ নয়। মাস্টারমশাই জানেন কাজটা করতে সময় লাগবে। তাই ছাত্রদের কাজটা দিয়ে সবে নিজের জায়গায় বসতে যাবেন, হঠাৎই একটি ছেলে হাত তুলে বললো,
-স্যার, হয়ে গিয়েছে!
অঙ্কের স্যার সহ প্রত্যেকটি ছাত্রের বিস্মিত দৃষ্টি ঘুরে গেল সেই ছেলেটার দিকে। সকলেরই চোখে ছিল অবিশ্বাস, বিশেষ করে স্যারের চোখে। কিন্তু ছেলেটি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খাতা এগিয়ে দিলো স্যারের দিকে।
খাতায় স্যার যা দেখলেন তাতে উনার বিস্ময়ের সীমা রইলো না। ছাত্রটি যেটা করেছে তা হলো পরপর যোগ না করে 1 থেকে 100 অবধি গোটা সিরিজটাকে "ফোল্ড" করছে। অর্থাৎ, প্রথমে সোজাভাবে, পরেরবার উল্টোদিক থেকে।
গোটা পদ্ধতিটা তার ফলে নেমে এসেছে মাত্র দুই লাইনের একটা অঙ্কে। একশো ধাপের যোগফল হয়ে দাঁড়িয়েছে একশো আর একশো একের গুণফল!
এই ছাত্রটির নাম ছিল কার্ল ফেড্রিক গউস। তার নামেই বিখ্যাত হয় পরপর সংখ্যার যোগ ফল বের করার ফর্মুলা :
1+ 2+ 3+....+n = n(n+1)/2
Comments
Post a Comment