ফ্লো স্টেইটকে বুদ্ধিমানরাই কাজে লাগায়।
আলবার্ট আইনস্টাইন কখনো কখনো দুই-তিন দিনের জন্য নিরুদ্দেশ হয়ে যেতেন। বাসায় ফেরার কথাও মনে থাকতো না। একবার তেমনই এক সন্ধ্যায়, আইনস্টাইন ডেস্কে বসে আলোর গতিসম্পর্কিত একটি ভাবনায় ডুবে গেলেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে গেল — তিনি খেয়ালই করলেন না বাইরে রাত নেমে এসেছে। তার মাথায় ঘুরছিল একটাই প্রশ্ন: "যদি আমি আলোর পেছনে ছুটি, কী দেখব?" সেই গভীর নিমগ্নতা থেকেই জন্ম নিল বিশেষ আপেক্ষিকতার তত্ত্ব। কাজের ভেতর এতটাই হারিয়ে গিয়েছিলেন, যেন সময়, জায়গা, এমনকি নিজের অস্তিত্বও ভুলে গিয়েছিলেন — সেটাই ছিল তার ফ্লো স্টেইট।
কখনো কখনো এমন হয় না যে, কাজের মধ্যে আপনি মজা পেয়ে যান? আপনার লিস্টের বোরিং কাজগুলোকেও আর বোরিং লাগে না! অনেকদিনের ঝুলানো কাজে হাত দিতে থাকেন আর একটার পর একটা সল্ভ হয়ে যায়! মোটকথা কাজের ভেতর আপনি যেন ডুবে যান। হ্যা, এটাই আপনার ফ্লো স্টেইট।
মনোবিজ্ঞানের ভাষায় ফ্লো স্টেইট (Flow State) একটি মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা যেখানে একজন ব্যক্তি সম্পূর্ণরূপে তার কাজের মধ্যে নিমগ্ন থাকে এবং সময়, চারপাশ, এমনকি নিজের অস্তিত্বও কিছুক্ষণের জন্য ভুলে যায়। এটি একটি "অপ্টিমাল এক্সপেরিয়েন্স" — যেখানে ব্যক্তি তার ক্রিয়েটিভিটি, ফোকাস এবং এক্সপার্টাইজ এর সর্বোচ্চ ব্যবহার করে।
প্রায় সবারই কাজের মধ্যে কখনো না কখনো এই স্টেইটে পৌঁছে যাবার ঘটনা ঘটে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই এটার ইউটিলাইজেশন জানে না! ফলে তার এই বিরাট সোর্স অব এনার্জি ড্রেইন হয়ে যায়। কিভাবে এটা ড্রেইন হয়?
ফ্লো স্টেইটের এক পর্যায়ে এসে কারো কারো মধ্যে একটা স্যাটিসফেকশন কাজ করে আর তখন চিন্তা করে যে অনেক তো কাজ হলো, এবার কিছুটা ব্রেক নেয়া যাক। সেই সময় সে হয়তো কোন আনপ্রোডাক্টিভ অথবা লো-প্রোডাক্টিভ কাজে লেগে যায় যেখান থেকে আর বের হয়ে আসতে পারে না।
ফ্লো স্টেইটকে কিভাবে ইউটিলাইজ করা যায় সেটার কৌশল নিয়ে উদ্যোক্তাদের ডে-লং সেশনে আলোচনা করছিলেন সোহাগ ভাই।
Comments
Post a Comment