টমাস আলভা এডিসন যখন ট্যাংস্টেন তারে পৃথিবীর প্রথম বৈদ্যুতিক বাল্বটি আবিষ্কার করেন, তখন তাঁর ল্যাবে ভীষণ ভিড়-ভাট্টা। সাংবাদিক, বন্ধুবান্ধবে গিজগিজ করছে। বাল্বটি যখন প্রথমবারের মতো জ্বলে উঠল, তখন সবাই আনন্দে হই হই করে উঠল।
এবার এডিসন সাবধানে বাল্বটি খুলে তাঁর চাকরের হাতে দিয়ে বললেন, ‘সাবধানে পাশের ঘরে রেখে আস’ বলার কারণেই কি না এডিসনের বেকুব চাকর পৃথিবীর প্রথম বাল্বটি তৎক্ষণাৎ হাত থেকে ফেলে ভেঙে চুরমার করে দিল। আশপাশের সবাই হায় হায় করে উঠল। ভয়ে সিঁটিয়ে গেল চাকরটি, শুধু এডিসন কিছু বললেন না।
এর কিছুদিন পর দ্বিতীয়বারের মতো এডিসন বাল্বটি তৈরি করলেন। বলা যায় পৃথিবীর দ্বিতীয় বৈদ্যুতিক বাল্ব। এবারও তাঁর ল্যাবে ভিড় আগের মতোই। এবারও বাল্বটি জ্বলে উঠল। সবাই আনন্দে হই হই করে উঠল এবং এবারও এডিসন বাল্বটি সাবধানে পাশের ঘরে রেখে আসার জন্য তাঁর চাকরকে ডাকলেন।
সবাই আঁতকে উঠল, ‘ছিঃ ছিঃ কি করছেন!’
‘ওই গাধাটা আবার বাল্বটা ভাঙবে।’
‘আপনি নিজ হাতে রেখে আসুন, নইলে আমাদের কারো হাতে দিন।’
এডিসন স্মিত হেসে বললেন, ‘ও যদি এবারও বাল্বটা ভাঙে সেটা আমি আবার তৈরি করতে পারব। কারণ এর ম্যাকানিজমটা আমার মাথায় আছে; কিন্তু প্রথম বাল্বটা ভাঙার পর আমার চাকরের আত্মবিশ্বাস ভেঙে যে চুরমার হয়েছে, সেটা জোড়া লাগাতে বাল্বটা এবারও তার হাতেই দিতে হবে।’
বেচারা সেই চাকর যদি এই যুগে জন্মাত, মানে এই মোবাইল ফোনের যুগে, তাহলে টিভি খুললেই শুনত... ‘কত কথা বলে রে! তার নিশ্চয়ই আফসোস থাকত না!’
না, এরপর আর বোকা চাকর বাল্বটি না ভেঙে যথাস্থানে রেখে আসতে সমর্থ হয়। এডিসন তাঁর চাকরকে যতটা প্রশ্রয় দিতেন পৃথিবীর প্রথম টেলিফোন আবিষ্কারক আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল ছিলেন তার উল্টো। শোনা যায়, তাঁর চাকর তার অনুপস্থিতিতে একবার পৃথিবীর প্রথম ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি রেগে গিয়ে তার এক মাসের বেতন কর্তন করেন। এতে চাকর জানতে চায় বেতন কাটার কারণ।
‘মনিব আমার অপরাধ?’
‘তুমি সীমা অতিক্রম করেছ।’
‘কিসের সীমা?’
‘কথা বলার সীমা।’
বেচারা সেই চাকর যদি এই যুগে জন্মাত, মানে এই মোবাইল ফোনের যুগে, তাহলে টিভি খুললেই শুনত... ‘কত কথা বলে রে!' তার নিশ্চয়ই আফসোস থাকত না!
আরেক বিজ্ঞানীর কোনো চাকরই ছিল না। মানে তাঁর কাছে কোনো চাকরই টিকত না। তাঁর বন্ধুরা তাঁর কারণে অন্বেষণ করতে গিয়ে তাঁকে ধরে বসল—
‘তোমার চাকর থাকে না কেন?’
‘আমি যে শেয়ার করতে চাই।’
‘কি শেয়ার করতে যাও?’
‘খাবার-দাবার, কাপড়-চোপড় সবই শেয়ার করি...’
‘তাহলে ভাগবে কেন?’
‘কিন্তু যখন আমার গবেষণার বিষয়ে শেয়ার করতে যাই তখনই ব্যাটারা বিগড়ে যায়!’
সবশেষে আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলকে নিয়ে একটা মিনি কুইজ!
‘আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল প্রথম কী কথা বলেছিলেন?’
‘Goo! Goo!!’
Comments
Post a Comment