Skip to main content

স্যাটেলাইট এর বিস্তারিত


স্যাটেলাইট নিয়ে সাধারণ আলোচনা

১) স্যাটেলাইট কী?
উপগ্রহ ত আমরা সকলেই চিনি। গ্রহকে কেন্দ্র করে যা ঘোরে সেটিই উপগ্রহ । অর্থাৎ যেগুলো পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরে সেগুলো পৃথিবীর । । আর এই উপগ্রহ হয় দুই ধরনের। যথা - প্রাকৃতিক উপগ্রহ & কৃত্রিম উপগ্রহ। যেমন চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ। বঙ্গবন্ধু-১স্যাটেলাইট হল কৃত্রিম উপগ্রহ যেটা প্রকৃতির নয় মানবসৃষ্ট।এই উপগ্রহ পুরো পৃথিবীকে ২৪ ঘন্টা পর পর অতিক্রম করে। দূরবর্তী টেলিযোগাযোগ, ইন্টারনেট, টিভি চ্যানেল সম্প্রচার এ স্যাটেলাইট আমাদের ব্যাপকভাবে সাহায্য করে।
২) এর প্রয়োজনীয়তা কী ?
ইতিমধ্যে আমরা বুঝে গেছি স্যাটেলাইট এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে। কিন্তু এখন একটু বিস্তারিত বলতে চাই। অনেকে প্রশ্ন করে আমি এন্টেনা ব্যবহার করে কিংবা টাওয়ার বসিয়েই তো আমার তথ্য দূরে পাঠাতে পারি। স্যাটেলাইট কেন দরকার??
ধরুন, আপনি আপনার একটা ছবি ইন্টারনেট এ আপনার আত্নীয়ের কাছে পাঠাবেন যে অস্ট্রেলিয়ায় থাকে। এখন এই ডাটাটি চাইলেই আমি এন্টেনা, টাওয়ার ব্যবহার করে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানোর প্রচেষ্টা করতে পারি। কিন্তু সেটা পন্ডশ্রম হবে। কেন? কারণ পৃথিবী কমলালেবুর মত বা প্রায় গোলাকৃতির। তাই অনেক দূর যখন ডাটাটি ভ্রমণ করবে সেক্ষেত্রে ডাটা লসের ঘটনাটি ঘটবে। শেষ মেষ তার গন্তব্যে পৌছাতে পারবেনা। তাই স্যাটেলাইট ব্যবহার করা হয় সেতুবন্ধন কারী হিসেবে। যে বাংলাদেশ & অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে যোগাযোগ এর সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে। ব্যাপারটা অনেকটা এরকম, ধরেন আপনি আপনার ফ্রেন্ডকে একটা বল ছূড়ে মারতে চান। সে আপনার থেকে অনেক দূরে। বলটা সে পর্যন্ত নাও যেতে পারে। তাই দুজনের মাঝে যদি অন্য একজন বন্ধু রাখেন তাহলে সহজেই কাজটা হবে। সে আপনার থেকে নিয়ে আপনার বন্ধুকে চালান করে দিবে।
৩) স্যাটেলাইট কয় ধরনের?
কাজের ভিত্তিতে তিন ধরনের স্যাটেলাইট আছে। সেগুলো হল :
LEO ( Low Earth Orbit ) – পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ১৬০-২০০০ কি.মি. উপরে অবস্থিত। সাধারণত পৃথিবীকে পর্যবেক্ষণকারী স্যাটেলাইটগুলো এই কক্ষপথে থাকে। পৃথিবী পৃষ্ঠের খুব কাছে থাকায় এই কক্ষপথে থাকা স্যাটেলাইটগুলো পৃথিবীকে খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারে। আন্তর্জাতিক স্পেস ষ্টেশন এই কক্ষপথে অবস্থিত। এগুলো টেলিযোগাযোগ, ইন্টারনেট এর জন্য ব্যবহার হয়।
MEO ( Medium Earth Orbit) – পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ২০০০০ কি.মি. উপরে অবস্থিত। সাধারণত জিপিএস স্যাটেলাইট গুলো এই কক্ষপথে থাকে। এই কক্ষপথের স্যাটেলাইট গুলোর গতিবেগ মন্থর। এই স্যাটেলাইটগুলো পাঠাতে অনেক শক্তির প্রয়োজন হয়। এটা নেভিগেশন, সামরিকবাহিনীদের কাজে লাগে।
GEO (Geostationary Earth Orbit) – GEO পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে ৩৬০০০ কি.মি. উপরে অবস্থিত। এই কক্ষপথে অ্যান্টেনা এর অবস্থান নির্দিষ্ট থাকে। সাধারণত রেডিও এবং টিভি এর ট্রান্সমিশনের কাজে ব্যাবহার করা হয়।
৪) স্যাটেলাইট ভূ-পৃষ্ঠে পড়ে যায় না কেন? এটা কিভাবে নিরবচ্ছিন্নভাবে  পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে?
এ আলোচনার আগে আমি আপনাদের একটু পদার্থবিজ্ঞান এর পরমাণু অধ্যায় টা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। যেখানে আলোচনা করা হয়েছিল পরমানুর কক্ষপথে ইলেকট্রন কিভাবে ঘুরে? কেন নিউক্লিয়াস এ পতিত হয়না? নিশ্চয় মনে আছে সবার? এক্ষেত্রেও ব্যাপারটা সেরকম। স্যাটেলাইট পৃথিবীর চারদিকে ঘুরতে থাকে তখন পৃথিবীর কেন্দ্র বরাবর তার একটি বল কাজ করে যাকে বলে কেন্দ্রমুখী বল। আরেকটি বল কাজ করে যেটা তাকে তার কক্ষপথ থেকে ছিটকে নিয়ে যেতে চায়। একে কেন্দ্রাবিমুখী বল বলে। এখন, এই কেন্দ্রমুখী & কেন্দ্রাবিমুখী বল সমান থাকায় সেটা একটি নির্দিষ্ট বেগে পৃথিবীর চারদিকে ঘুরতে থাকে। ছিটকে পড়ে না বা ভূ-পৃষ্ঠে পতিত হয়না। ধরেন, আপনি দড়িতে একটি পাথর বেধে ঘুরাচ্ছেন। এই পাথর তখনি ছিটকে পড়বে যখন এই দুই বল পরস্পর সমান হবেনা।
৫) কিভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়?
কক্ষপথে স্যাটেলাইট স্থাপন করার জন্য আলাদা মহাশূন্য যান রয়েছে। একে বলা হয় “উৎক্ষেপণ যন্ত্র (Launch Vehicle)। কক্ষপথে স্যাটেলাইট স্থাপনের ক্ষেত্রে যে বিষয়ে সবচেয়ে বেশি মাথা ঘামাতে হয়, তা হলো অভিকর্ষজ ত্বরণ এবং মহাশূন্য যানটির গতির সমতা রক্ষা করা। কারণ অভিকর্ষজ ত্বরণ আমাদের উৎক্ষেপণ যন্ত্রকে পৃথিবীর দিকে টানতে থাকে।
দুই ধরনের উৎক্ষেপণ যন্ত্র রয়েছে – অপচয়যোগ্য রকেট এবং মহাশূন্য শাটল। অপচয়যোগ্য রকেটগুলো স্যাটেলাইট স্থাপন শেষে ধ্বংস হয়ে যায়। অপরদিকে মহাশূন্য শাটলগুলো স্যাটেলাইট স্থাপনের কাজে বারবার ব্যবহার করা যায়। উৎক্ষেপণ যন্ত্রের গতিবেগ উচ্চতার উপর অনেকটা নির্ভর করে। কম উচ্চতার কক্ষপথে (Low Earth Orbit = LEO) এর বেগ ৭.৮ কি.মি./সেকেন্ড, বেশি উচ্চতার কক্ষপথে (Geostationary Earth Orbit =GEO) এর বেগ ৩.১ কিমি/সে ।
৬) ৬) স্যাটেলাইট এর দূরত্ব ও বেগের হিসাব।
বেগ নির্ণয় :
Fc = Centrifugal force ( কেন্দ্রমুখী বল)
Fe = Centripetal force (কেন্দ্রবিমুখী বল)
এখন,
Fc = Fe
or, mv^2/(R+h)= mg
or, g = v^2/(R+h)
or, GM/(R+h)^2 = v^2/(R+h)
or, v = sqrt (GM/R+h)
এখন, G = Gravitational constant = 6.67 * 10^-11
M = Mass of earth = 6 * 10^24 kg
R = radius of earth = 6400 km
h = height from earth surface = 35000 km
So, Velocity of satellite = 3.075 * 10^3 m/s
দুরত্ব হিসেব :
v = sqrt GM/(R+h)
or, v^2 = GM/(R+h)
or, h = GM / v^2 - R
এখন, G = Gravitational constant = 6.67 * 10^-11
M = Mass of earth = 6 * 10^24 kg
R = radius of earth = 6400 km
v = Velocity of satellite = 3.075 * 10^3 m/s
so, h = 35000 km
/////
স্যাটেলাইট আলোচনা পর্ব ২:
----------------------------------------
ক) স্যাটেলাইট তো ঘূর্ণয়মান। তাইলে সেটা কিভাবে আমাদের গ্রাউন্ডিং স্টেশন এর সিগনাল রিসিভ করে?
উ: অনেকের মনেই এই প্রশ্নটা কাজ করে যে স্যাটেলাইট তো ঘূর্ণয়মান। তাইলে সেটা কিভাবে পৃথিবী থেকে পাঠানো সিগন্যাল রিসিভ করে কিংবা পৃথিবী তার সিগনাল রিসিভ করে। ব্যাপারটা মজার। ধরুণ, আপনি বড় একটা বৃত্ত এবং আপনার বন্ধু একটা ছোট বৃত্ত আকল। কার আকা আগে শেষ হবে?? নিশ্চয়ই বলবেন আপনার বন্ধুর?! কারণ সে ছোট বৃত্ত একেছে। সময় তো কম লাগবেই। যদি প্রশ্ন করা হয় দুইজনেই একই সময়ে আকা শেষ করতে পারবেন??? এটা কি সম্ভব??? হ্যা অবশ্যই সম্ভব। এক্ষেত্রে আপনার আকার গতি বাড়িয়ে দিতে হবে। যেহেতু আপনি বড় বৃত্ত আঁকবেন। একইভাবে স্যাটেলাইট ও পৃথিবীর ঘূর্ণন তালে সমতা আনা হয়। তাই পৃথিবীও নিজ অক্ষকে একবার আবর্তন করতে ২৪ ঘন্টা সময় লাগে এবং স্যাটেলাইট এরও সেই একই সময় লাগে। তাই পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে স্যাটেলাইট কে আপাতদৃষ্টিতে স্থির মনে হয়। তাই কোন সিগন্যাল রিসিভ / ট্রান্সমিশন এ কোন সমস্যা হয়না। তবে মাঝেমধ্যে তালের সমতা হারিয়ে যেতে পারে। তখন স্যাটেলাইট নিজস্ব গ্যাসীয় উদগীরণের মাধ্যমে সেটা মানিয়ে নেয়।
খ) স্যাটেলাইট এর জন্য কিভাবে পাওয়ার সরবরাহ করা হয়?
উ: প্রত্যেক স্যাটেলাইটে ৩২০০০ সোলার সেল মাউন্টেড করা থাকে যারা ৫২০ ওয়াট পাওয়ার সরবরাহ করতে পারে এবং ব্যাক আপ হিসেবে থাকে ক্যাডমিয়াম ব্যাটারি। নিউক্লিয়ার পাওয়ার সোর্স ও মাঝেমাঝে ব্যবহার করা হয়। এর পাওয়ার সিস্টেম প্রসেসকে পৃথিবী থেকে সবসময় মনিটর করা হয়। স্যাটেলাইটে একটি অনবোর্ড কম্পিউটার থাকে যা একে নিয়ন্ত্রণ এবং বিভিন্ন সিস্টেমকে মনিটর করে।
গ) স্যাটেলাইট কি কি ডিভাইস নিয়ে গঠিত?
উ: স্যাটেলাইট এর মূল চালিকাশক্তি হল স্যাটেলাইট Transponder যা নিম্নোক্ত ডিভাইস নিয়ে গঠিত :
১) Band Pass Filter
২) Low Noise Amplifier
৩) Frequency Translator
৪) Microwave shift oscillator
৫) Radio Frequency Mixer
৬) Power Amplifier
৭) High Resoluted Camera
৮) Processor with high clock speed
৯) High power Transmitting antenna
১০) High power receiving Antenna
ঘ) আপলিঙ্ক & ডাউনলিঙ্ক কি?
উ: গ্রাউন্ড স্টেশন এন্টেনা থেকে যে ডাটা লিংক / চ্যানেল এর মাধ্যমে ডাটা স্যাটেলাইট এর রিসিভিং এন্টেনায় পৌছায় তাকে আপলিঙ্ক বলে।
আর স্যাটেলাইট এর ট্রান্সমিটিং এন্টেনা থেকে যে চ্যানেল / ডাটা লিঙ্ক এর মাধ্যমে ডাটা গ্রাউন্ড স্টেশন এর এন্টেনায় পৌছায় তাকে ডাউনলিঙ্ক বলে।
জিনিসটা একে অন্যের উলটো। অনেকের হয়তো হিজিবিজি লাগতে পারে। তাদের জন্য একটা উদাহরণ দিই। ধরুন, আপনি আপনার ফ্রেন্ডের দিকে একটা বল ছুড়ে মারবেন। এখন কাজটা সহজ করার জন্য দুজনের মাঝে অন্য একজন ফ্রেন্ড রাখলেন যে আপনার থেকে বলটা ক্যাচ ধরে আপনার বন্ধুকে দিবে। এখন আপনি মাঝের বন্ধুর দিকে বল ছুড়ে দিলেন। আপনাদের লিঙ্ক টা আপলিঙ্ক। এবার মাঝের বন্ধু অপাশের বন্ধুকে বল টা ছুড়ে মারবে। তাদের লিঙ্ক টা ডাউনলিঙ্ক। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
ঙ) স্যাটেলাইট এর বিকল্প প্রযুক্তি কি? কোনটায় সুবিধা বেশি?
স্যাটেলাইট এর বিকল্প প্রযুক্তি হল সাবমেরিন ক্যাবল। সাগরের নিচে পাতানো এই অপটিক্যাল ফাইবার চোখের পলক পড়ার আগেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে ডাটা পৌছে দেয়। সময় পেলে অন্য আরেকদিন এটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
সুবিধার কথা চিন্তা করলে সাবমেরিন ক্যাবল উত্তম।
কারণ-----
১) ব্যান্ডউইথ অনেক বেশি
২) Guided medium হওয়াতে ডাটা লস কম
৩) Electromagnetic interference নেই
৪) ডাটা পৌছে আলোর দ্রুতিতে যেহেতু ফাইবার based & লেজার / এল ই ডি ব্যবহার করে ডাটা পাঠানো হয়।
এবার অনেকে প্রশ্ন করতে পারে, তাইলে আর স্যাটেলাইট কেন?
কারণ, চাইলেই যখন তখন সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন বসানো সম্ভব নয়। প্রত্যেক দেশকেই আন্তর্জাতিক টেলিফোন সংস্থা থেকে একটি লিমিটেড ব্যান্ডউইথ বেধে দেয়া হয়। তাই সাবমেরিন ক্যাবল এর পাশাপাশি এই স্যাটেলাইট কে ব্যাক আপ হিসেবে রাখা হয়
/
সংগৃহীত

Comments

Popular posts from this blog

Auto Paragraph

Auto paragraph Facebook/Computer/Mobile phone/Internet/Television  ( এই গুলার যে কোন একটা ..........  দেওয়া জায়গা গুলাতে বসাতে হবে ) ..............is one of the greatest invention of modern science. It has made our life easy and comfortable. We use it in our daily life. We cannot think of our day without.......... . We can communicate with anyone of anywhere of the world by using.......... . It has made the word smaller. We can share our feelings, liking and disliking’s with others using............. . Nowadays.........  has become a great medium of learning. People  can learn many things using........   sitting at home. It is a great source of entertainment also. We can watch videos music news sports etc through..........  .we need not to go to stadium. Inspire of having so many good sides it has some bad sides also. It is harmful for our body. Sometimes students become addicted to it. At last it can be said that..........  is a ...

Books poem analysis with bangla

Books poem in bangla and with analysis Verse-wise Bangla Translation: What worlds of wonder are our books! As one opens them and looks, New ideas and people rise In our fancies and our eyes. আমাদের বইগুলো কী আশ্চর্য এক জগৎ! যখনই কেউ তা খুলে দেখে, নতুন ভাবনা আর নতুন মানুষ জেগে ওঠে কল্পনায় ও চোখের সামনে। The room we sit in melts away, And we find ourselves at play With some one who, before the end, May become our chosen friend. আমরা যে ঘরে বসে আছি, তা যেন মিলিয়ে যায়, আর আমরা আবিষ্কার করি নিজেদের খেলায় মত্ত কাউকে সঙ্গে নিয়ে, যে হয়তো শেষ পর্যন্ত আমাদের প্রিয় বন্ধু হয়ে উঠবে। Or we sail along the page To some other land or age. Here's our body in the chair, But our mind is over there. অথবা আমরা পৃষ্ঠার ওপর দিয়ে ভাসতে থাকি অন্য কোনো দেশ বা কালের দিকে। আমাদের শরীরটা রয়েছে চেয়ারে, কিন্তু মন চলে গেছে দূরে অন্য কোথাও। Each book is a magic box Which with a touch a child unlocks. In between their outside covers Books hold all things for their lovers. প্রতিটি বই একেকটি জাদুর বাক্স, যা শিশুরা এক ...

paragraph on PREMATURE MARRIAGE

P remature marriage is a very common feature in a poor country like Bangladesh. It means the marriage of the boys and girls before attaining their physical and mental maturity. In our country girls particularly poor rural girls are the victims of premature marriage. Unfortunately, the birth of girls is considered unwelcome in our country. They are neglected from their birth. They have to live in a male dominated society. As a result, they are the victims of gender discrimination. They have no 'say' in the family decision. Many parents try to find a husband for their daughters before they attain the age of maturity. We find that illiteracy, poverty, selfish attitude, unconsciousness, religious misconception , dowry system, etc. are some of the causes of premature marriage. The effects of premature marriage are very harmful for health and mind of a female child. The girls cannot adjust with the new environment of their in-law's house. They cannot serve their husbands' fam...