♻♻ কুরআনের কিছু বিস্ময়কর মোজেজা ♻♻
.
অবিশ্বাসীরা কি পারবেন এসব প্রশ্নের জবাব দিতে?
★ সূরা 'আর রোম'-এ পারস্য সাম্রাজ্য ধ্বংসের ভবিষ্যদ্ববাণী করা হয়েছে। কিন্তু যখন অহি নাযিল হয়, সেই সময় মানুষের পক্ষে এটা বিশ্বাস করা অকল্পনীয় ছিল। এ আয়াত নাযিলের মাত্র সাত বছরের মধ্যে (৬২৭ খ্রি:) তদানিন্তন বিশ্বের সবচেয়ে দাপুটে পারস্য সাম্রাজ্য ধ্বংস হয়। এটা দ্বারা কী প্রমাণ হয় না? কুরআন মানুষের তৈরী কোন কিতাব নয়?
★ 'ফী আদনাল আরদ' বলতে আল্লাহ তায়ালা গোটা ভূ-মন্ডলের সর্বনিম্ন অঞ্চল সিরিয়া,ফিলিস্তিন ও জর্ডানের পতিত 'ডেড সী' এলাকাকে বুঝিতেছেন। মাত্র কিছুদিন আগে আবিস্কৃত ভূ-জরিপ অনুযায়ী এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, সারা দুনিয়ার নিম্নতম ভূমি হলো এই অঞ্চলগুলো। যা 'সী লেভেল' থেকে ৩৯৫ মিটার নিচে। ১৪শ বছরের আগের মানুষরা তা কি করে জানবে? বিশেষ করে এমন একজন মানুষ, যিনি ভূ-তত্ত্ব, প্রাণীতত্ত্ব ইত্যাদি কোন তত্ত্বেরই ছাত্র ছিলেন না!
★ কুরআনের এক জায়গায় সমুদ্রের তরঙ্গ সম্বন্ধে বলা হয়েছে, ঢেউ যখন অগ্রসর হয় তখন দুই ঢেউয়ের মধ্যবর্তী স্থান অন্ধকার থাকে। আমরা সবাই জানি, হযরত মুহাম্মদ (সা:) মরুভূমি অঞ্চলের সন্তান ছিলেন, তিনি তো কখনো সমুদ্র দেখেননি। সুতরাং সমুদ্র তরংগের দুটি ঢেউয়ের মধ্যবর্তী স্থান যে অন্ধকার হয় তা তিনি জানবেন কি করে? এতে কি প্রমাণিত হয়? মুহাম্মদ (সা:) নিজে কুরআন রচনা করেননি!
★ কুরআনের সূরা 'আল হাদিদে'-এ আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, 'আমি লোহা নাযিল করেছি, যাতে রয়েছে প্রচুর শক্তি ও মানুষদের জন্যে প্রভূত কল্যাণ'।
পদার্থবিজ্ঞানরা বলেন, 'লোহা উৎপাদনের জন্য যে ১৫ লক্ষ সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন তার কোন উপকরণ আমাদের পৃথিবীতে নেই'। বলুন তো দেড় হাজার বছর আগের অশিক্ষিত, বর্বর আরব বেদুঈনরা কিভাবে বিজ্ঞানের এই জটিল তথ্য জানবে ?
★ নারী পুরুষকে যে আল্লাহ সমান মর্যাদা দিয়েছেন তার প্রমাণ! কুরআনে নারী ও পুরুষ সমান সংখ্যক বার (২৩+২৩=৪৬ বার) এসেছে। সবচেয়ে অদ্ভুত বিষয় হচ্ছে, নর নারীর সম্মিলিত 'এগ' ও 'স্পারম' দিয়ে মানব শিশুর যে ক্রোমোজোম তৈরী হয় তার সংখ্যাও ২৩+২৩=৪৬টি।
★ সূরা আল কাহফে গুহাবাসীরা কতোদিন সেখানে অবস্থান করেছে সে ব্যাপারে বলা হয়েছে। কুরআন মাজিদে এসেছে, 'তারা তাদের (এ) গুহায় কাটিয়েছে ৩০০ বছর, তারা (এর সাথে) যোগ করেছে আরো ৯ বছর'। অর্থাৎ এখানে মাস গণনার সৌর ও চন্দ্র গণনার পদ্ধতি উল্লেখ করা হয়েছে। দুনিয়ার মানুষ অনেক অনেক বছর পর জানতে পেরেছে যে, চন্দ্র মাস সৌর মাসের চাইতে ১১ দিন কম। এ হিসেবে সূর্যের ৩০০ বছর হলে চন্দ্রের হয় ৩০৯ বছর।
নাস্তিকদের কাছে আমার প্রশ্ন? অক্ষর জ্ঞানহীন আল্লাহর রাসূল (সা:) এ হিসাব কি জানতেন?
★ 'সাবয়া সামাওয়াত' অর্থ সাত আসমান যা কুরআনে ৭ বার এসেছে। 'খালিকুস সামাওয়াত' আসমানসমূহের সৃষ্টির কথাটাও ৭ বার এসেছে। 'সাবয়াতু আইয়াম' মানে ৭ দিন। একথাও কুরআনে ৭ বার এসেছে। 'সালাওয়াত' শব্দটি সালাতের বহুবচন যা কুরআনে ৫ বার এসেছে। কি অপূর্ব মিল! এ দ্বারা কি প্রমাণিত হয় না? কুরআন মানুষের তৈরী কোন ধর্ম গ্রন্থ নয়?
★ সূরা ইমরানের ৫৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তা'য়ালা বলেন, ' আল্লাহ তায়ালার কাছে ঈসার তুলনা হচ্ছে আদমের মত'। কারণ আদম (আ:) পিতা মাতা ছাড়াই সৃষ্টি হয়েছেন, তেমনি ঈসা (আ:) পিতা ছাড়াই সৃষ্টি হয়েছেন। কি আশ্চর্যের বিষয়! কুরআনে আদম (আ:) নামটি ২৫ বার এবং ঈসা (আ:) এর নামটিও ২৫ বার এসেছে। সমান সমান।
এত কিছু প্রমাণ থাকা সত্বেও অবিশ্বাসীরা কুরআন ও রাসূল (সা:) কে অস্বীকার করে। সূরা আর রাহমানে আল্লাহ বার বার বলেছেন,
;فَبِاَىِّ اٰلَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبٰن
অতএব, হে জ্বীন ও মানব জাতি, তোমরা তোমাদের রবের কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে?
(Collected)
No comments:
Post a Comment