Skip to main content

লেখক সৈয়দ মুজতবা আলীর জীবনের কিছু মজার ঘটনা

লেখক সৈয়দ মুজতবা আলীর জীবনের কিছু মজার ঘটনা 🙏
.
.
সৈয়দ  মুজতবা আলীর একবার প্রকাশকের সঙ্গে ঝামেলা হয়। তা নিয়ে মামলা হয়। আদালতে মামলায় লড়ার জন্য উকিল  দরকার পড়লো তাঁর । তিনি যান ব্যারিস্টার তাপসকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। মুজতবা আলী তাঁকে দেখে বললেন, ‘ভাই, আমি এমন একজন কৌশুলী চাই, যে আমার এই মামলাটায় আমায় হারিয়ে দেবে।’🤔🤔
.
তাপসকুমার রসটা ধরতে পেরে বললেন, 'আপনি ঠিক জায়গাতেই এসেছেন। আমি এখনও পর্যন্ত একটা মামলাতেও জিতিনি।'😀😀
.
সমরেন্দ্র সেনগুপ্ত সৈয়দ মুজতবা আলী স্মৃতিকথায় লিখেছিলেন  লালিমা নামের এক ছাত্রীর কথা।  
.
শান্তিনিকেতনের  কালোর চায়ের দোকানে সৈয়দ মুজতবা আলী চা খাচ্ছেন। সেখানে হঠাৎই উপস্থিত এক ছাত্রী। তিনি জার্মান ভাষা নিয়ে সদ্য পাশ করেছেন বিশ্বভারতী থেকে। সৈয়দ মুজতবা  আলী  তখন জার্মান পড়াতেন। বিশ্বভারতীর এক অধ্যাপক তাঁর সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন মেয়েটির সঙ্গে। শুনেই সৈয়দ মুজতবা আলী বললেন, ‘ইস, আমি জার্মান পড়াতে এলুম আর সুন্দরী তুমি বেরিয়ে গেলে। আচ্ছা দেখি কী রকম জার্মান শিখেছ। একটা খিস্তি করো তো জার্মান ভাষায়। ভয় নেই, কেউ এখানে বুঝবে না।’ 
জার্মান ভাষায় পরীক্ষা নেয়ার সময়েও ছাত্রীদের এই রকমই কান লাল করা প্রশ্ন করতেন তিনি।
.
শান্তিনিকেতনের অন্যান্য দর্শন  বস্তুর সঙ্গে তিনিও একটি দর্শনীয় সামগ্রী হয়ে উঠেছিলেন সৈয়দ মুজতবা আলী।’ একবার একটি দলের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ‘শান্তিনিকেতনে এসেছ কী কী দেখতে? ক্ষিতিমোহনবাবুকে দেখেছ? ওরা বললে, দেখেছি। নন্দলাল বসুকে? হ্যাঁ, দেখেছি। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে? তাঁকেও দেখেছি।’ তার পরেই তাঁর উক্তি, ‘ওঃ বাঘ সিংহ সব দেখে, এখন বুঝি খট্টাশটাকে দেখতে এসেছ।’
.
ভরা মজলিস জমাতে মুজতবা আলীর জুড়ি ছিলোনা। যথারীতি এক বিয়েবাড়িতে তাঁকে ঘিরে আসর জমে উঠেছে। নতুন আত্মীয়স্বজন জামাইয়ের সঙ্গে শাশুড়ির পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন। শ্যালক-শ্যালিকারা নতুন জামাইয়ের সঙ্গে মশকরা করছে। হঠাৎ সৈয়দ মুজতবা আলী শাশুড়িকে জিজ্ঞেস করে বসল, ‘আপনি কিছুক্ষণ আগে জলে পড়ার কোনও শব্দ শুনতে পেয়েছেন কি?’ শাশুড়ি কিছু বুঝতে না পেরে চুপ করে রইলেন। 
‘অগ্নিসাক্ষী করে এই যে আপনি আপনার মেয়েকে জলে ফেলে দিলেন, তার কি কোনও আওয়াজ শুনতে পাননি?’ খোলসা করলেন মুজতবা আলী।
.
সৈয়দ মুজতবা আলীর "শ্রেষ্ঠ রম্যরচনা" গ্রন্থ প্রকাশিত হবে।  প্রকাশক হলেন   সবিতেন্দ্রনাথ।  তথা ভানুবাবুদের প্রকাশনা সংস্থা। তো বইয়ের জন্য চুক্তি হল। 
সৈয়দ মুজতবা আলীর কথা মতো চুক্তির কিছু দিন পরে প্রকাশক দল বেঁধে গেলেন শান্তিনিকেতনে সৈয়দ মুজতবা আলীর ডেরায়। মুজতবা আলী ঘরের ভিতরে নিয়ে গেলেন এরপর  স্ত্রীকে ডাকতে শুরু করলেন এই বলে,  ‘ও বৌ, এসে দ্যাখো, আমার কলকাতার পাবলিশাররা এসেছে।’ তাঁর স্ত্রী তো এমন সম্বোধনে অতিথিদের সামনে সংকুচিত। একটু কুণ্ঠিত ভাবে বললেন, ‘কিছু মনে করবেন না, উনি বৌ বৌ করে এমন ডাকেন, যাঁরা আসেন তাঁরা এবং আমি সবাই লজ্জায় পড়ি।’
.
বেশী বয়সে বিয়ে করেছিলেন বলে সবসময়ই আক্ষেপ করতেন মুজতবা আলী। বলতেন, বেশী বয়সে যে পতিরা বিয়ে করে তারা ভীষণ বউ প্রেমী হয়। আমার অবস্থা হয়েছে তেমনই। 
.
এক সময়ে  অ্যালসেশিয়ান জাতের কুকুর পুষছেন সৈয়দ মুজতবা আলী। । পোষা কুকুরটাকে ডাকতেন ‘মাস্টার’ বলে। 
.
কারণ সৈয়দ মুজতবা আলী একটু বেশী খেতে আরম্ভ করলেই কুকুরটা ঘেউ ঘেউ করে চিৎকার করতে শুরু করত। মানে মনিবের উপরে মাস্টারি করত। মুজতবা আলী কুকুরটাকে নিয়ে এক লেখায় লিখেছিলেন, ‘গত জন্মে এ ব্যাটা নিশ্চয় আমার চাচা ছিল।’

‘হাঁড়িতে ভাত থাকলে সাঁওতাল কাজে যায় না। আর আমার ড্রয়ারে টাকা থাকলে আমি লিখি না!’ নিজের লেখালেখি সম্পর্কে এক লেখায় লিখেছিলেন তিনি। ,
.
কৃতজ্ঞতা ~ আহমাদ ইসতিয়াখ🏖️🏖️

Comments

Popular posts from this blog

Books poem analysis with bangla

Books poem in bangla and with analysis Verse-wise Bangla Translation: What worlds of wonder are our books! As one opens them and looks, New ideas and people rise In our fancies and our eyes. আমাদের বইগুলো কী আশ্চর্য এক জগৎ! যখনই কেউ তা খুলে দেখে, নতুন ভাবনা আর নতুন মানুষ জেগে ওঠে কল্পনায় ও চোখের সামনে। The room we sit in melts away, And we find ourselves at play With some one who, before the end, May become our chosen friend. আমরা যে ঘরে বসে আছি, তা যেন মিলিয়ে যায়, আর আমরা আবিষ্কার করি নিজেদের খেলায় মত্ত কাউকে সঙ্গে নিয়ে, যে হয়তো শেষ পর্যন্ত আমাদের প্রিয় বন্ধু হয়ে উঠবে। Or we sail along the page To some other land or age. Here's our body in the chair, But our mind is over there. অথবা আমরা পৃষ্ঠার ওপর দিয়ে ভাসতে থাকি অন্য কোনো দেশ বা কালের দিকে। আমাদের শরীরটা রয়েছে চেয়ারে, কিন্তু মন চলে গেছে দূরে অন্য কোথাও। Each book is a magic box Which with a touch a child unlocks. In between their outside covers Books hold all things for their lovers. প্রতিটি বই একেকটি জাদুর বাক্স, যা শিশুরা এক ...

🚀 ৫০টি দরকারি কিবোর্ড শর্টকাট (Windows)(বাংলা ব্যাখ্যাসহ)

🚀 ৫০টি দরকারি কিবোর্ড শর্টকাট (Windows) (বাংলা ব্যাখ্যাসহ) (অজানা কিন্তু খুবই কাজে লাগে) ⸻ ১. Ctrl + N → নতুন ফাইল বা ডকুমেন্ট খুলবে (Word, Notepad, Browser ইত্যাদিতে)। ২. Ctrl + Shift + T → আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া ব্রাউজার ট্যাব পুনরায় খুলবে। ৩. Ctrl + Shift + Left/Right Arrow → একসাথে পুরো শব্দ নির্বাচন করা যাবে। ৪. Alt + F4 → অ্যাপ বা উইন্ডো বন্ধ হবে। ৫. Ctrl + P → প্রিন্ট ডায়ালগ বক্স খুলবে (প্রিন্ট করার জন্য)। ⸻ ৬. Ctrl + A → সব ফাইল বা টেক্সট সিলেক্ট হবে। ৭. Ctrl + C → কপি করা যাবে। ৮. Ctrl + V → পেস্ট করা যাবে। ৯. Ctrl + X → কাট করা যাবে। ১০. Ctrl + Z → সর্বশেষ কাজ Undo হবে। ⸻ ১১. Ctrl + Y → Undo করা কাজ Redo হবে। ১২. Windows Key + E → File Explorer খুলবে। ১৩. Windows Key + D → ডেস্কটপ দেখাবে (সব মিনিমাইজ হবে)। ১৪. Ctrl + Shift + Esc → সরাসরি Task Manager খুলবে। ১৫. Windows Key + L → কম্পিউটার লক হবে। ⸻ ১৬. Windows Key + S → সার্চ অপশন চালু হবে। ১৭. Windows Key + R → Run কমান্ড চালু হবে। ১৮. F5 → রিফ্রেশ করবে। ১৯. Alt + Enter → Properties খুলবে। ২০. Ctrl + T → ব্রাউজারে নতুন ট্যাব খু...

70 speaking rules(1~20)

Spoken Rule-1 Feel like – ইচ্ছা করা/আকাঙ্খা প্রকাশ করা প্রয়োগ ক্ষেত্র: ব্যক্তির কোন কিছুর “ইচ্ছা করলে” Feel like ব্যবহার হবে Structure: Subject + feel like + Verb (ing) + Extension. Example ✪ I feel like doing – আমার করতে ইচ্ছা করছে। ✪ I feel like eating – আমার খেতে ইচ্ছা করছে। ✪ I don’t ...