IBA গ্রাজুয়েট এক ব্যবসায়ীর সাথে HSC সাইন্সে পড়ুয়া এক ছাত্রীর বিয়ে ঠিক হলো। অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ। এক মাস পরে বিয়ে।
ফোনে, ম্যাসেঞ্জারে নিয়মিত কথা হয় তাদের। বিয়ের এক সপ্তাহ আগে কথা প্রসঙ্গে মেয়েটা কৌতূহলী হয়ে হবু বরকে জিজ্ঞাসা করল-
- “আচ্ছা, তোমার ফ্যামিলি তো মধ্যবিত্ত। তুমি এত অল্প বয়সে এই যে এতো বড় বিজনেস দাড় করালে, মূলধন কোথায় পেলে?”
- “শুনো তাহলে। তোমাকে বিয়ে যখন করবো, কিছুই গোপন করবো না। তোমাদের বাসায় তোমাকে দেখতে যাবার সময় আমাদের সাথে ফর্সা করে একটা মেয়ে ছিল। মনে আছে তোমার?”
- “হ্যাঁ, তোমার আপু নাকি উনি?”
- “আরেহ্ না, তার নাম সাদিয়া। ঢাকার এক শিল্পপতির মেয়ে। ছাত্র অবস্থায় একটা আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কনফারেন্সে গিয়ে তার সাথে আমার পরিচয় হয়। আমার বিজনেস প্ল্যান ওর সাথে শেয়ার করার পর সে সন্তুষ্ট হয়। নিয়মিত যোগাযোগের এক পর্যায়ে আমার উপর আস্থা রেখে সে আমার স্লিপিং পার্টনার হয়ে যায়। এরপর আমার মূলধন নিয়ে আর ভাবা লাগেনি। আমার আরো তিনজন স্লিপিং পার্টনার আছে। তবে সাদিয়া সবচেয়ে বেশি এফোর্ট দিয়েছে।”
- (রেগেমেগে) “শালা লুইচ্চা, জানোয়ার, ক্যারেক্টারলেস! আমার বেস্ট ফ্রেন্ড শাহেদের কাছে আগেই শুনেছি ভার্সিটির ছেলেরা এতো এতো মেয়ের সাথে ঘুমায়। আজ হাতেনাতে প্রমাণ পেলাম। থ্যাংকস গড। তোর মতো লুইচ্চার সাথে ফুলের মতো নিষ্পাপ এই আমার বিয়ে? না, কিছুতেই হতে পারে না। লুইচ্চা কোথাকার! ফোন রাখ!” (এই বলে মেয়েটা ফোন কেটে দিল)
🥰শিক্ষা:- যত বড় বিদ্বানই হন না কেন, অন্যের জ্ঞানের লেভেল না বুঝে তার কাছে ফর্মাল ওয়েতে সবকিছু প্রকাশ করতে যাবেন না। অবুঝ মানুষ ভালোভাবে না বুঝেই রিয়্যাক্ট করে থাকে।
☘️বি: দ্র:- স্লিপিং পার্টনার অর্থ ব্যবসায়ের নিষ্ক্রিয় অংশীদার। অর্থাৎ সে টাকা ইনভেস্ট করবে, কিন্তু আড়ালেই থেকে যাবে। কাজকর্ম যা করার আপনাকেই করতে হবে আর চুক্তি অনুযায়ী লাভের একটা নির্দিষ্ট অংশ তাকে দিতে হবে
collected
No comments:
Post a Comment