কারক ও বিভক্তি মনে রাখার সহজ টেকনিক
কারক ৬ প্রকার: যথা-
১. কর্তৃকারক
২. কর্মকারক
৩. করণকারক
৪. সম্প্রদান কারক
৫. অপাদান কারক
৬. অধিকরণ কারক
১. কর্তৃকারক
২. কর্মকারক
৩. করণকারক
৪. সম্প্রদান কারক
৫. অপাদান কারক
৬. অধিকরণ কারক
১।কর্তৃকারক: যে কাজ করে সেই কর্তা বা কর্তকারক।
যেমন:
☞ আমি ভাত খাই।
☞ বালকেরা মাঠে ফুটবল খেলছে।
এখানে মনে রাখার উপায় হচ্ছে ‘কে’ বা ‘কারা’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটিই কর্তা বা কর্তৃকারক।
☞ কে ভাত খায়?
◑ উত্তর হচ্ছে আমি।
☞ কারা ফুটবল খেলছে?
◑ উত্তর হচ্ছে-বালকেরা।
☞ তাহলে আমি এবং বালকেরা হচ্ছে কর্তৃকারক।
যেমন:
☞ আমি ভাত খাই।
☞ বালকেরা মাঠে ফুটবল খেলছে।
এখানে মনে রাখার উপায় হচ্ছে ‘কে’ বা ‘কারা’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটিই কর্তা বা কর্তৃকারক।
☞ কে ভাত খায়?
◑ উত্তর হচ্ছে আমি।
☞ কারা ফুটবল খেলছে?
◑ উত্তর হচ্ছে-বালকেরা।
☞ তাহলে আমি এবং বালকেরা হচ্ছে কর্তৃকারক।
২। কর্মকারক: কর্তা যাকে অবলম্বন করে কার্য সম্পাদন করে সেটাই কর্ম বা কর্মকারক।
যেমন:
☞ আমি ভাত খাই।
☞ হাবিব সোহলকে মেরেছে।
এখানে মনে রাখার উপায় হচ্ছে ‘ কি’ বা ‘কাকে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া সেটিই কর্ম বা কর্মকারক।
☞ আমি কি খাই?
◑ উত্তর হচ্ছে-ভাত।
☞ হাবিব কাকে মেরেছে?
◑ উত্তর হচ্ছে-সোহেলকে।
যেমন:
☞ আমি ভাত খাই।
☞ হাবিব সোহলকে মেরেছে।
এখানে মনে রাখার উপায় হচ্ছে ‘ কি’ বা ‘কাকে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া সেটিই কর্ম বা কর্মকারক।
☞ আমি কি খাই?
◑ উত্তর হচ্ছে-ভাত।
☞ হাবিব কাকে মেরেছে?
◑ উত্তর হচ্ছে-সোহেলকে।
৩। করণ কারক: ক্রিয়া সম্পাদনের যন্ত্র বা উপকরণ বুঝায়।
যেমন:
☞ নীরা কলম দিয়ে লেখে।
☞ সাধনায় সিদ্ধি লাভ হয়।
এখানে মনে রাখার উপায় হচ্ছে ‘ কীসের দ্বারা’ বা ‘কী উপায়ে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায় সেটিই করণ কারক।
☞ নীরা কীসের দ্বারা লেখে?
◑ উত্তর হচ্ছে-কলম ।
☞ কী উপায়ে বা কোন উপায়ে কীর্তিমান হওয়া যায়?
◑ উত্তর হচ্ছে-সাধনায়।
যেমন:
☞ নীরা কলম দিয়ে লেখে।
☞ সাধনায় সিদ্ধি লাভ হয়।
এখানে মনে রাখার উপায় হচ্ছে ‘ কীসের দ্বারা’ বা ‘কী উপায়ে’ দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায় সেটিই করণ কারক।
☞ নীরা কীসের দ্বারা লেখে?
◑ উত্তর হচ্ছে-কলম ।
☞ কী উপায়ে বা কোন উপায়ে কীর্তিমান হওয়া যায়?
◑ উত্তর হচ্ছে-সাধনায়।
৪। সম্প্রদান কারক: স্বত্ব ত্যাগ করে দান বা অর্চনা বুঝালে সম্প্রদান কারক হয়। স্বত্ব ত্যাগ না করলে কর্মকারক।
যেমন:
☞ ভিক্ষারীকে ভিক্ষা দাও।
☞ গুরুজনে কর নতি।
মনে রাখার উপায় হচ্ছে-কর্মকারকের মত কাকে দিয়ে প্রশ্ন করলে রে উত্তর পাওয়া যায়।
তবে এখানে স্বত্ব থাকবেনা। যেমন মানুষ ভিক্ষারীকে দান করে কোন স্বত্ব ছাড়াই যাকে বলে নি:শর্ত ভাবে। আবার গুরুজনকে মানুষ সম্মান করে কোন স্বার্থ ছাড়াই।
যেমন:
☞ ভিক্ষারীকে ভিক্ষা দাও।
☞ গুরুজনে কর নতি।
মনে রাখার উপায় হচ্ছে-কর্মকারকের মত কাকে দিয়ে প্রশ্ন করলে রে উত্তর পাওয়া যায়।
তবে এখানে স্বত্ব থাকবেনা। যেমন মানুষ ভিক্ষারীকে দান করে কোন স্বত্ব ছাড়াই যাকে বলে নি:শর্ত ভাবে। আবার গুরুজনকে মানুষ সম্মান করে কোন স্বার্থ ছাড়াই।
৫। অপাদান কারক: হতে, থেকে বুঝালে অপাদান কারক হবে।
যেমন:
☞ গাছ থেকে পাতা পড়ে।
☞ পাপে বিরত হও।
☞ এখানে কোথা থেকে পাতা পড়ে?
◑ উত্তর হচ্ছে-গাছ ।
☞ কি হতে বিরত হও?
◑ উত্তর হচ্ছে – পাপ ।
যেমন:
☞ গাছ থেকে পাতা পড়ে।
☞ পাপে বিরত হও।
☞ এখানে কোথা থেকে পাতা পড়ে?
◑ উত্তর হচ্ছে-গাছ ।
☞ কি হতে বিরত হও?
◑ উত্তর হচ্ছে – পাপ ।
৬। অধিকরণ কারক: ক্রিয়ার সম্পাদনের সময় বা স্থানকে অধিকরণ কারক বলে।
যেমন:
☞ আমরা রোজ স্কুলে যাই।
☞ প্রভাতে সূর্য ওঠে।
মনে রাখার উপায় হচ্ছে-
কোথায় এবং কখন দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়।
☞ আমরা রোজ কোথায় যাই?
◑ উত্তর হচ্ছে-স্কুলে। আর স্কুল একটি স্থান।
☞ কখন সূর্য ওঠে?
◑ উত্তর হচ্ছে-প্রভাতে। আর প্রভাত একটি কাল বা সময়।
যেমন:
☞ আমরা রোজ স্কুলে যাই।
☞ প্রভাতে সূর্য ওঠে।
মনে রাখার উপায় হচ্ছে-
কোথায় এবং কখন দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়।
☞ আমরা রোজ কোথায় যাই?
◑ উত্তর হচ্ছে-স্কুলে। আর স্কুল একটি স্থান।
☞ কখন সূর্য ওঠে?
◑ উত্তর হচ্ছে-প্রভাতে। আর প্রভাত একটি কাল বা সময়।
বিভক্তি মনে রাখার উপায়:
✪ বাংলায় বিভক্তি সাত প্রকার।
◑ প্রথমা বিভক্তি: অ এবং ০ ।
◑ দ্বিতীয়া বিভক্তি: কে এবং রে ।
◑ তৃতীয়া বিভক্তি: দ্বারা, দিয়া এবং কর্তৃক ।
চতুথী বিভক্তি: দ্বিতীয়া বিভক্তির মত তবে নিমিত্ত বা জন্য বুঝাবে।
◑ পঞ্চমী বিভক্তি: হতে, থেকে এবং চেয়ে ।
◑ ষষ্ঠী বিভক্তি: র এবং এর ।
◑ সপ্তমী বিভক্তি: এ, য় ,তে থাকে।
✪ বাংলায় বিভক্তি সাত প্রকার।
◑ প্রথমা বিভক্তি: অ এবং ০ ।
◑ দ্বিতীয়া বিভক্তি: কে এবং রে ।
◑ তৃতীয়া বিভক্তি: দ্বারা, দিয়া এবং কর্তৃক ।
চতুথী বিভক্তি: দ্বিতীয়া বিভক্তির মত তবে নিমিত্ত বা জন্য বুঝাবে।
◑ পঞ্চমী বিভক্তি: হতে, থেকে এবং চেয়ে ।
◑ ষষ্ঠী বিভক্তি: র এবং এর ।
◑ সপ্তমী বিভক্তি: এ, য় ,তে থাকে।
No comments:
Post a Comment