Skip to main content

Posts

Showing posts from April, 2024

বই পড়ার গুরুত্ব ও উপকারিতা

বই পড়ার অভ্যাস এবং উপকারিতাবই পড়ার অভ্যাস এবং উপকারিতা ‘বই’ দুই বর্ণের একটি শব্দ মাত্র। যা এসেছে আরবি ‘ওহি’ থেকে। আরবি ‘ওয়াও’  হরফের বাংলা উচ্চারণ হয় ‘ব’। ওহির বাংলা উচ্চারণ হয় বহি। ধীরে ধীরে ভাষার  পরিবর্তনে বহিটি বই রূপ ধারণ করেছে। এভাবে বইয়ের সঙ্গে ঐশী জ্ঞানের একটা  সম্পর্ক রয়েছে। বই পড়লে মানুষের জ্ঞানের দ্যুতি বাড়ে। আমাদের জীবসত্তা  জাগ্রত থাকলেও মানবসত্তা জাগ্রত করার সিঁড়ি হচ্ছে বই। মানব সভ্যতার সূচনা থেকেই মানুষের পাঠ অভ্যাসের তথ্য পাওয়া যায়। মানুষ বই  পড়ে মনের খোরাকের জন্য, অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য এবং নিজেকে জ্ঞানের আলোয়  আলোকিত করার জন্য। জ্ঞানের সূচনা বই থেকেই এবং সে জ্ঞানকে সামগ্রিকভাবে  কাজে লাগানোর দক্ষতা মানুষ বই পড়ে পেয়ে থাকে। মানুষের মননশীল, চিন্তাশীল,  সৃষ্টিশীল চিন্তার যাবতীয় সূচনার বিস্ফোরণ একমাত্র বইয়ের মাধ্যমে হতে পারে। কিন্তু মানুষ আগে যেভাবে যেকোনো বিষয়ে গভীর মনোযোগ দিতে পারত, প্রযুক্তির  এ সময়ে এসে একটা নির্দিষ্ট বিষয়ে আগের মতো আর মনোযোগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে  না। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে বইয়ের সাথে মানুষের দূরত্ব। একটা ...

দেশ বিদেশের ভাষা

  চায়ের কাপে বিস্কুট ডুবিয়ে খাওয়ার সময় হঠাৎ মাথায় আসলো যে এই চা চীনা শব্দ। আবার বিস্কুট ফরাসি শব্দ। বিস্কুটের সাথে থাকা চানাচুর হিন্দি। চায়ে যে চিনি ও পানি থাকে সেখানে চিনি চীনা অথচ পানি হিন্দি শব্দ। আবার চা ভর্তি পেয়ালাটা ফারসি কিন্তু কাপটা ইংরেজি শব্দ। এদিকে ইংরেজি শব্দটাই আবার পর্তুগিজ। চা চীনা হলেও কফি কিন্তু তুর্কি শব্দ। আবার কেক পাউরুটির কেক ইংরেজি, পাউরুটি পর্তুগিজ। একটু দামি খানাপিনায় যাই। আগেই বলে রাখি, খানাপিনা হিন্দি আর দাম গ্রিক। রেস্তোরাঁ বা ব্যুফেতে গিয়ে পিৎজা বা বার্গার অর্ডার দেয়ার সময় কখনো কি খেয়াল করেছেন, রেস্তোরাঁ আর ব্যুফে দুইটাই ফরাসি ভাষার, সাথে পিৎজাও। পিৎজাতে দেয়া মশলাটা আরবি। মশলাতে দেয়া মরিচটা ফারসি! . বার্গার কিংবা চপ দুটোই আবার ইংরেজি। কিন্তু চকোলেট আবার মেক্সিকান শব্দ। অর্ডারটা ইংরেজি। যে মেন্যু থেকে অর্ডার করছেন সেটা আবার ফরাসি। ম্যানেজারকে নগদে টাকা দেয়ার সময় মাথায় রাখবেন, নগদ আরবি, আর ম্যানেজার ইতালিয়ান। আর যদি দারোয়ানকে বকশিস দেন, দারোয়ান ও তার বকশিস দুটোই ফারসি। . এবার চলুন বাজারে, সবজি ফলমূল কিনতে। বাজারটা ফারসি, সবজিও। যে রাস্তা দিয়ে চলছেন সেটাও ...

web 3 details in bangla

ওয়েব ৩.০ ধরুন, আপনি মুভি দেখতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। মুভি শেষ করে কিছু একটা খাবেন। আজকে আপনার কমেডি মুভি দেখার মুড। আর খাবার হতে হবে প্রচণ্ড ঝাল মেক্সিকান কিছু। আপনি কম্পিউটার চালু করে ওয়েব ব্রাউজার খুললেন। প্রয়োজন মত সিনেমা, সিনেমা হল এবং হলের আশেপাশে খাবারের দোকানের খোঁজে গুগল সার্চ করলেন। আপনার বাসার কাছের সিনেমা হলে কোন মুভি দেখাচ্ছে তা জানতে চান আপনি। কয়েকটি মুভির মধ্য থেকে কোনটি দেখবেন তা ঠিক করার জন্য মুভিগুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণী পড়লেন। পাশাপাশি, হলের আশেপাশে কোনো ম্যাক্সিকান রেস্টুরেন্ট আছে কিনা তাও খুঁজে দেখলেন। খাবারপ্রেমীরা এই রেস্টুরেন্ট নিয়ে কী ভাবে তা যাচাই করার জন্য কিছু রিভিউও পড়লেন। সব মিলিয়ে বাইরে বের হবার আগেই আপনি প্রায় হাফ ডজন ওয়েবসাইট দেখে ফেললেন। সব মিলিয়ে আপনার আধা ঘণ্টা থেকে ৪০ মিনিট সময় গেল! ইন্টারনেট বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পরবর্তী প্রজন্মের ওয়েব অর্থাৎ ওয়েব ৩.০ (থ্রি জিরো), আপনার মুভি দেখা ও খাবার খোঁজার মত কাজকে আরো দ্রুততর ও সহজ করে তুলবে।  এখনও কোনো কিছু খুঁজতে গেলে আপনাকে অনেক কথা লিখে সার্চ করতে হয়। কিন্তু ওয়েব ৩.০-তে আপনি একটা দুইটা জটিল বাক্য লিখে স...

আর্টে স্কেলিং একটা খুব বড় ইস্যু।

আর্টে স্কেলিং একটা খুব বড় ইস্যু।   একই আর্ট যেটা ছোটো ফর্মে অনবদ্য লাগে - খুব বড় হলে খাপছাড়া লাগে। রেনেসাঁ পিরিয়ডে দেখবেন যেগুলো মিউজিয়াম সাইজের বিশাল অল্টারপিস কিংবা ফ্রেস্কো - সেখানে নেগেটিভ স্পেইস নাই বললেই চলে কিন্তু পোর্ট্রেইটে ফর্মে তা অহরহ আছে। এর কারণ লার্জ ফরমেটে আর্টওয়ার্ক খুবই ভিন্ন চরিত্র ধারণ করে। সেখানে ড্রামা লাগে, গল্প লাগে - যেটা ছোটো ফর্মে না হলেও হয়। আপনি আর্কিটেকচারাল ড্রয়িং কিংবা পেইন্টিং যদি খুব লার্জ ফরমেটে করেন - দেখবেন যে সেটা বোরিং লাগছে কিন্তু  ছোটো/মাঝারি ফরমেটে বোরিং লাগে না।   মুঘল মিনিয়েচার পেইন্টিং সামান্য একটু  বড় করলেও আর্টিস্টিক ভ্যালু লুজ করে। কারণ গোয়াশ পেইন্টিংয়ের যে কোনো ডেপথ নাই - এইটা ছোটো ফর্মে খারাপ লাগে না কিন্তু বড়ো ফর্মে খারাপ লাগে। তাছাড়া মিনিয়েচার আর্ট ফর্ম, দর্শক কোন ডিস্টেন্স থেকে দেখবে (২ ফিট) - এটা ডিক্টেট করতে পারে। লার্জ ফরমেটে গেলে এর কোনো গ্যারান্টি নাই। আপনি ৩০ ফিট দূর থেকে দেখতে পারেন আবার ৮ ফিট দূর থেকেও দেখতে পারেন।  ফলে মিনিয়েচার ফর্মে একটা কালার আরেকটা কালারের সাথে মেলে (যেমন চুল ও স্কিন) - সেই ট্রানজ...

ঘসেটি বেগমের ঢাকার দিনগুলো এবং বেঈমানীর অনুশোচনা

ঘসেটি বেগমের ঢাকার দিনগুলো এবং বেঈমানীর অনুশোচনা। নবাব সিরাজউদ্দৌলার পলাশীর যুদ্ধে পরাজয়ের পেছনে দায়ী তাঁর সেনাপতি মীর জাফর ও খালা ঘসেটি বেগম। ঘসেটি বেগমের জীবনের শেষ দিনগুলো কেটেছে ঢাকার কেরানীগঞ্জে অবস্থিত জিঞ্জিরা প্রাসাদে। ঘসেটি বেগম ইতিহাসবিদদের মনোযোগ তেমন পাননি, যে কারণে তার ঢাকা জীবন সম্পর্কে তেমন তথ্য পাওয়া যায় না। ঘসেটি বেগম দেখতে কেমন ছিল তার সচিত্র উল্লেখ তেমন নেই। 'আমি সিরাজের বেগম' গ্রন্থে সিরাজের স্ত্রী লুৎফার বয়ানে তাকে 'সুন্দরী, চতুর, আভিজাত্যপূর্ণ, বদমেজাজি ও উচ্চাভিলাষী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পলাশী যুদ্ধের পর তিনি নিজেও শিকার হয়েছেন প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের। মীর জাফর নবাব হয়ে ঘসেটি বেগমকে বন্দি করেন। কিছুদিন হীরাঝিলে রেখে ঢাকার জিঞ্জিরা প্রাসাদে স্থানান্তর করেন। সেখানে তার সঙ্গে সিরাজের মা, স্ত্রী, কন্যাসহ অনেকজন নারীকেই রাখা হয়। ১৭৬০ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এখানেই বন্দি ছিলেন ঘসেটি বেগম। তার মৃত্যু নিয়ে দুই রকম তথ্য প্রচলিত। কোথাও বলা হয়, মুর্শিদাবাদে ফিরিয়ে নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়, তার কবরও সেখানেই। বাংলাপিডিয়া মতে, ১৭৬০ সালে মীর জাফরের ছেলে মীর...

আবোল তাবোল

প্যারিসের এক রেস্তোরাঁয় একবার এক সুন্দরী ভদ্রমহিলা এক স্প্যানিশ চিত্রশিল্পীকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন- উনি কি ১ মিনিটে তার ছবি এঁকে দিতে পারবে ? সেই চিত্রশিল্পী ছবিটি আঁকার জন্য সময় নিলেন মাত্র ৩০ সেকেন্ড। সেই ভদ্রোহিলা ছবিটি নিয়ে যেতে চাইলে চিত্রশিল্পী সেটার মূল্য চাইলেন (যেটা স্বাভবিকের চেয়ে একটু বেশী মনে হচ্ছিল)। মহিলাটি চমকে জিজ্ঞেস করলো- তুমি ৩০ সেকেন্ডের জন্য এতো টাকা চাইছ ? সেই চিত্রশিল্পী জবাবে বলেন- ৩০ সেকেন্ডের কাজটার জন্য আমাকে ৩০ বছর সাধনা করতে হয়েছে। সেই সময়ের মূল্য কত হতে পারে? ### ভুমিষ্ঠ হওয়ার পর ধাত্রী ভেবেছিলেন মৃতশিশুর জন্ম হয়েছে। এই কারণে ধাত্রী শিশুটিকে একটি টেবিলের উপর রেখে মায়ের সেবা-শুশ্রুষায় ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় শিশুটিকে টেবিলের উপর নিথর হয়ে পরে থাকতে দেখে তার কাকা এগিয়ে আসেন এবং তার মুখে থাকা সিগারেটের ধোঁয়া শিশুটির মুখে নিক্ষেপ করা মাত্রই শিশুটি নড়াচড়া দিয়ে উঠে। তার মা জানিয়েছেন শিশুকালে তার মুখে প্রথম উচ্চারিত শব্দ ছিল ‘পিজ’ ‘পিজ’! ‘পিজ’ আসলে ‘লাপিজ’ শব্দের শিশুতোষ সংক্ষিপ্ত উচ্চারণ। ‘লাপিজ’ অর্থ পেনসিল। ### তাঁর খ্যাতিতে সবচেয়ে অবাক হয়েছিল তাঁর শিক্ষক, কারণ উনি...

প্রেম শুধু কবিতায় সুন্দর

প্রেম  শুধু কবিতায় সুন্দর,  যে আকাশের কথা বললেন,  সে আকাশে খুব শিঘ্রই মেঘ জমবে,  অন্ধকার দেখবেন, ,  সন্ধ্যা না হওয়া সত্তেও সুর্য গ্রহনের মত অন্ধকার,   ভালবাসা বিরহেই সুন্দর।  যখন তাকে দেখি তার থেকে বেশি দেখি যখন তাকে না দেখি, এ অনুভুতি আজীবন থাকবে, ,  আপনি তার হয়ে গেলে দেখবেন, সে আর আপনার নেই,  আপনি তাকে পেয়ে গেলে দেখবেন , সে আর আগের মতন নেই। , ,  আরো বলার ছিলো, , কিন্তু সব বললে বলার আফসোস টুকু ও থাকবে না,  থাকুক না সেই আফসোস টুকু, ,  ভালবাসা সুন্দর,  তবে মিলনের উলটো পিঠে।

আসুন কিছু আদব-লেহাজ শিখি.....

আসুন কিছু আদব-লেহাজ শিখি.....  একত্রে বসে খাওয়ার কিছু আদব লেহাজ:  ১. যে পাত্র থেকে সবাই খাবার নিচ্ছে ( খিচুড়ি বা মুড়ি মাখা),  তার উপর ঝুঁকে খাবার নেওয়া যাবে না, মুখ থাকবে মুখের জায়গায় - হাতে খাবার নিয়ে হাতটাকে মুখের কাছে নিতে হবে।   ২. হাতে থেকে যাওয়া অতিরিক্ত খাবার যা একেবারে মুখে ঢুকানো যায়নি তা ঝাড়া মেরে প্লেটে ফেলে দেওয়া যাবে না,  হাতে ধরে রাখতে হবে তারপর মুখের খাবার শেষ হলে বাকিটুকু মুখে দিতে হবে।  ৩. হাতে নেওয়া সমস্ত খাবার মুখে দিয়েছেন,  এখন হাত কোথায় রাখবেন? অনেকে মুখে খাবার খাচ্ছেন আর খালি হাতটা সম্মিলিত খাবারের পাত্রে রেখে দিচ্ছেন,  এটা করা যাবে না।  হাত নিজের কাছে রাখতে হবে।  ৪. কিছুক্ষণ পরপর সকলের অনুমতি না নিয়ে নিজের ইচ্ছেতেই "ভালো করে মিশানো" র অজুহাতে খাবার উলট পালট করা যাবে না।  ৫. সকলের অনুমতি না নিয়ে নিজের পছন্দমতো এডিশনাল ফুড ( মুড়ি মাখার ক্ষেত্রে বুন্দিয়া বা পুদিনা পাতা,  খিচুড়ির ক্ষেত্রে লাউয়ের ঝোল)  ফট করে পাত্রে ঢেলে দেওয়া যাবে না।  ৬. আপনি যেদিক দিয়ে খাচ্ছেন সেদিকে যা আছে তাই খাবেন,  আ...

অনলাইনে প্রথমবার জমির খাজনা দিতে কী কী ডকুমেন্টস লাগে?

✅ অনলাইনে প্রথমবার জমির খাজনা দিতে কী কী ডকুমেন্টস লাগে? 👉👉খাজনা দেয়ার জন‍্য নিম্নলিখিত পেপার এর প্রয়োজন হবে: 1. সর্বশেষ রেকর্ড/খারিজ খতিয়ানের কপি। 2.  পূর্ববর্তী দাখিলার কপি। 3.  জাতীয় পরিচয়পত্র। 4.  একটি স্মার্টফোন/কম্পিটার ও ইন্টারনেট কানেকশন। 5.  মোবাইল নাম্বার ও পাসওয়ার্ড। 6.  জমির অবস্থান অনুযায়ী-বিভাগ,জেলা, উপজেলা, মৌজার তথ্য, খতিয়ান নং ও হোল্ডিং নং। N.B: বকেয়ার সাল চার এর অধিক হলে এবং পূর্ববর্তী খাজনার রশিদ আপনার নিকট থাকলে (যা অন লাইন নয়) প্রথম বার ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে খাজনা দিন। ✅অন লাইনে খাজনা দেয়ার ধাপ সমূহঃ ☆ ধাপ ১- ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন ( ভূমি মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://ldtax.gov.bd ) ☆ ধাপ ২- নাগরিক নিবন্ধন করুন ( মোবাইল নং, জন্ম তারিখ, আইডি নং দেয়ার পর ওটিপি নং পাবেন)। ☆ ধাপ ৩- প্রোফাইল সেটিং করুন ( প্রফাইলের তথ‍্যগুলি পুরন করুন)। ☆ ধাপ-৪ জমির খতিয়ান যুক্ত করুন। ☆ ধাপ-৫ হোল্ডিং ও ভূমি উন্নয়ন করের তথ্য পূরণ করুন। ☆ ধাপ-৬ পেমেন্ট অপশন সিলেক্ট করুন। ☆ ধাপ-৭  ই-পেমেন্ট করুন। ☆ ধাপ-৮ খাজনা রশিদ ডাউনলোড করুন...