শিরক করে ফেলছি, অথচ টের পাই না। যেমনঃ
১- "ভাগ্যিস, জোরে ধরছিলাম, তা না হলে পড়েই যেতাম!"
এখানে শির্ক কোথায় হলো?
আমি পড়ে যাই নি, কারণ দুইটা- আমার ভাগ্য আর আমি বা আমার বুদ্ধি। এখানে আল্লাহর কিছুই রাখি নি। এটা কুফুরীর পর্যায়ে পড়ে যায়।
এই অবস্থায় যা বলতে হতো-
আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ রক্ষা করেছেন। তা না হলে পড়েই যেতাম।
২-" ভাই, বিয়ের সব ব্যবস্থা করে রেখেছি, বাকী আল্লাহ ভরসা। "
এটা কেন শির্ক হবে?
কারণ আমার ব্যবস্থাপনাকে বড় করে আল্লাহকে বাকীটা দিলাম। এখানে নিজের ব্যাবস্থাপনাকে বড় করা হলো। আর আল্লাহর বিষয়টা শেষে রেখে আল্লাহকে ছোট করা হয়েছে।
এখানে বলা দরকার ছিলো- আল্লাহর ইচ্ছায় ও রহমতে ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু সব কিছুই আল্লাহর ওপর ভরসা / হাওয়ালা করে দিয়েছি।
৩- "একদম চিন্তা করবেন না, সব কিছু সময় মত ঠিক ঠাক পেয়ে যাবেন।"
এখানে শির্ক কোথায় হলো?
এখানে ইনশাআল্লাহ না বলায় সব কিছু আমি নিলাম, আল্লাহকে কিছুই দিলাম না।
৪- "খুব ভালো ডাক্তার। তার এক ডোজ ওষুধ খেয়ে আমি ভালো হয়ে গেছি"
এখানে কোথায় শির্ক হলো?
এখানে সুস্থতার জন্যে ডাক্তার ও ওষুধের গুণগান করা হলো, তাদেরকে কৃতিত্ব দেওয়াতে এটা শির্ক হয়ে গেল।
এই অবস্থায় কি বলা দরকার ছিলো?
মাশাআল্লাহ, উনি খুব ভালো ডাক্তার ছিলেন, আল্লাহ এক ডোজ ওষুধেই আমাকে ভালো করে দিয়েছেন ।
৫- "আপনি ছিলেন বলে, তা না হলে আমি শেষ হয়ে যেতাম"
এখানে কিভাবে শির্ক হলো?
এখানেও আল্লাহর কোন উল্লেখ করা হয়নি। সব কৃতিত্ব আপনাকেই দেয়া হয়েছে।
এখানে বলা উচিত ছিলোঃ
আল্লাহর রহমতে আপনি ছিলেন বলে, তা না হলে আমি হয়ত শেষ হয়ে যেতাম।
এভাবে আমাদের অজান্তেই অনেক কিছু বলে ফেলি ও ভাবি যা আমাদেরকে মুশরিক বানিয়ে ফেলে।
আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক জ্ঞান দান করুন এবং সকল প্রকার শির্ক, নিফাক ও বিদয়াত থেকে হেফাজত করুন।
No comments:
Post a Comment