Sunday, December 24, 2023

সকাল সন্ধার দোয়া সমুহ

সকাল-সন্ধ্যার কিছু আমল ও জিকির আছে। যেগুলো করলে আল্লাহ সারাদিন বা সারারাত নিরাপদে রাখেন। পুরো সময় কল্যাণকর ও বরকতময় করেন। আমলগুলো জেনে রাখা উত্তম। পাঠকদের জন্য সেই আমলগুলো সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো-

শাদ্দাদ বিন আওস (রা.) নবী (সা.) থেকে বর্ণনা করেন যে, সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার (শ্রেষ্ঠ ইস্তিগফার) হলো-

اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ، خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ، أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وَأَبُوءُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنوبَ إِلاَّ أَنْتَ 

উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা আনতা রাব্বি লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খলাক্বতানি ওয়া আনা ‘আব্দুকা, ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাস্তাত্বা‘তু। আ‘উযু বিকা মিন শাররি মা সানা‘তু, আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়্যা, ওয়া আবূউ বিযাম্বী। ফাগফির লি, ফাইন্নাহূ লা ইয়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা আনতা।

অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমার রব্ব, আপনি ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই। আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমি আপনার বান্দা। আমি আমার সাধ্য মতো আপনার (তাওহীদের) অঙ্গীকার ও (জান্নাতের) প্রতিশ্রুতির ওপর রয়েছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট থেকে আপনার আশ্রয় চাই। আপনি আমাকে যে নেয়ামত দিয়েছেন আমি তা স্বীকার করছি এবং আমার অপরাধও স্বীকার করছি। অতএব, আপনি আমাকে মাফ করে দিন। নিশ্চয় আপনি ছাড়া পাপরাশি ক্ষমা করার কেউ নেই।

তিনি আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি দিনের বেলায় বিশ্বাসের সঙ্গে এ বাক্যগুলো বলবে এবং সেদিন সন্ধ্যার আগে যদি সে মারা যায়— তাহলে সে ব্যক্তি জান্নাতের অধিবাসী হবে। আর যে ব্যক্তি রাতের বেলায় এ বাক্যগুলো বলবে এবং সকাল হওয়ার আগে মারা যাবে— সে ব্যক্তি জান্নাতের অধিবাসী হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৩০৬)

আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে একশত বার ও সন্ধ্যায় একশত বার ‘সুবহা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহি’ পড়বে, কিয়ামতের দিন তার চেয়ে উৎকৃষ্ট কিছু কেউ নিয়ে আসতে পারবে না। তবে সে ব্যক্তি ছাড়া— যে তার মত বলবে বা তার চেয়ে বেশি আমল করবে।’ (মুসলিম, হাদিস ২৬৯২)

আরবি : سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ

উচ্চারণ : সুবহা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহি

অর্থ: আমি আল্লাহর প্রশংসাসহ পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি।

আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন যে, এক লোক নবী (সা.)-এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! গত রাতে আমাকে একটা বিচ্ছু কামড় দেয়ায় কী কষ্টটাই না পেয়েছি! তিনি বললেন: তুমি যদি সন্ধ্যাকালে বলতে—

أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ

উচ্চারণ : আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিন শাররি মা খালাক্বা।

অর্থ : আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের উসিলায় আমি তার নিকট তার সৃষ্টির ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাই।

তাহলে তোমার কোনো ক্ষতি হত না। (মুসলিম, হাদিস : ২৭০৯)

আবু রাশেদ আল-হুবরানি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনে আমর বিন আল-আস (রা.)-এর কাছে এসে বললাম, আপনি আল্লাহর রাসুল (সা.) থেকে যা শুনেছেন— সেখান থেকে আমাদের হাদিস শুনান। তখন তিনি আমার সামনে একটি সহিফা (নোট খাতা) পেশ করে বললেন, এটি আল্লাহর রাসুল (সা.) আমার জন্য লিখেছেন। আমি সে সহিফাতে নজর দিয়ে পেলাম যে, আবু বকর (রা.) বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমি যখন সকালে উপনীত হই ও সন্ধ্যায় উপনীত হই তখন কী বলব আমাকে শিখিয়ে দিন। তখন আল্লাহর রাসুল (সা.) বললেন: হে আবু বকর! আপনি বলুন-

اللَّهُمَّ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ ، عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ ، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ رَبَّ كُلِّ شَيْءٍ وَمَلِيكَهُ ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِي ، وَمِنْ شَرِّ الشَّيْطَانِ وَشِرْكِهِ ، وَأَنْ أَقْتَرِفَ عَلَى نَفْسِي سُوءًا أَوْ أَجُرَّهُ إِلَى مُسْلِمٍ

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ফা-ত্বিরাস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্বি, আ-লিমাল গাইবি ওয়াশ্‌শাহা-দাতি, লা-ইলা-হা ইল্লা আনতা, রব্বা কুল্লি শাই’ইন ওয়া মালিকাহু, আ‘উযু বিকা মিন শাররি নাফ্‌সী ওয়া মিন শাররিশ শাইত্বা-নি ওয়া শিরকিহি, ওয়া আন আক্বতারিফা ‘আলা নাফ্‌সি সূওআন আও আজুররাহূ ইলা মুসলিম।

অর্থ : হে আল্লাহ! হে আসমানসমূহ ও জমিনের স্রষ্টা! হে গায়েব ও উপস্থিতের জ্ঞানধারী! আপনি ছাড়া সত্য কোনো উপাস্য নেই। হে সব কিছুর রব্ব ও মালিক! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই আমার আত্মার অনিষ্ট থেকে এবং শয়তানের অনিষ্ট থেকে ও তার শির্ক বা ফাঁদ থেকে এবং আমার নিজের কোন ক্ষতি করা অথবা কোন মুসলিমের ক্ষতি করা থেকে। (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস : ৬৮১২; তিরমিজি, হাদিস : ৩৫২৯)

ইবনে উমর (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) সকালবেলা ও সন্ধ্যাবেলা এ দোয়াগুলো পড়া বাদ দিতেন না-

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ ، اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي دِينِي وَدُنْيَايَ وَأَهْلِي وَمَالِي ، اللَّهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِي وَآمِنْ رَوْعَاتِي ، اللَّهُمَّ احْفَظْنِي مِنْ بَيْنِ يَدَيَّ ، وَمِنْ خَلْفِي ، وَعَنْ يَمِينِي ، وَعَنْ شِمَالِي ، وَمِنْ فَوْقِي ، وَأَعُوذُ بِعَظَمَتِكَ أَنْ أُغْتَالَ مِنْ تَحْتِي 

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নি আসআলুকাল ‘আফওয়া ওয়াল- ‘আ-ফিয়াতা ফিদ্দুনইয়া ওয়াল আ-খিরাহ। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল ‘আফওয়া ওয়াল-‘আ-ফিয়াতা ফী দীনী ওয়াদুনইয়াইয়া, ওয়া আহ্‌লী ওয়া মা-লী, আল্লা-হুম্মাসতুর ‘আওরা-তী ওয়া আ-মিন রাও‘আ-তি। আল্লা-হুম্মাহফাযনী মিম্বাইনি ইয়াদাইয়্যা ওয়া মিন খালফী ওয়া ‘আন ইয়ামীনী ওয়া শিমা-লী ওয়া মিন ফাওকী। ওয়া আ‘ঊযু বি‘আযামাতিকা আন উগতা-লা মিন তাহ্‌তী।

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট দুনিয়া ও আখেরাতে ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি আমার দ্বীনদারি ও দুনিয়ার, আমার পরিবার ও সম্পদের। হে আল্লাহ! আপনি আমার গোপন ত্রুটিসমূহ ঢেকে রাখুন, আমার উদ্বিগ্নতাকে নিরাপত্তায় পরিণত করে দিন। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে হিফাযত করুন আমার সামনের দিক থেকে, আমার পিছনের দিক থেকে, আমার ডান দিক থেকে, আমার বাম দিক থেকে এবং আমার উপরের দিক থেকে। আর আপনার মহত্ত্বের উসীলায় আশ্রয় চাই আমি নিচ থেকে হঠাৎ ধ্বংস হওয়া থেকে। [আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৭৪; আলবানি (রহ.) সহিহ আদাবুল মুফরাদ গ্রন্থে ও অন্যান্য গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন।]

আবু হুরায়রা (রা.) নবী (সা.) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি সকাল বেলা বলতেন-

اللَّهُمَّ بِكَ أَصْبَحْنَا، وَبِكَ أَمْسَيْنَا، وَبِكَ نَحْيَا، وَبِكَ نَمُوتُ وَإِلَيْكَ النُّشُورُ.

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা বিকা আসবাহ্‌না ওয়াবিকা আমসাইনা ওয়াবিকা নাহ্‌ইয়া, ওয়াবিকা নামূতু ওয়া ইলাইকান নুশূর।

অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার অনুগ্রহে আমরা সকালে উপনীত হয়েছি। আপনার অনুগ্রহে আমরা বিকালে উপনীত হয়েছি। আপনার দ্বারা আমরা বেঁচে থাকি। আপনার দ্বারা আমরা মৃত্যুবরণ করি। আপনার কাছেই আমাদের প্রত্যাবর্তন।

আর যখন সন্ধ্যায় উপনীত হতেন, তখন বলতেন-

اللَّهُمَّ بِكَ أَمْسَيْنَا ، وَبِكَ أَصْبَحْنَا ، وَبِكَ نَحْيَا ، وَبِكَ نَمُوتُ ، وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ 

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা বিকা আমসাইনা, ওয়া বিকা আসবাহ্‌না, ওয়া বিকা নাহ্‌ইয়া, ওয়া বিকা নামূতু ওয়া ইলাইকাল মাছির।

অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার অনুগ্রহে আমরা সন্ধ্যায় উপনীত হয়েছি। আপনার অনুগ্রহে আমরা সকালে উপনীত হয়েছি। আপনার দ্বারা আমরা বেঁচে থাকি। আপনার দ্বারা আমরা মৃত্যুবরণ করি। আপনার কাছেই আমাদের প্রত্যাবর্তন। (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৬৮; তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৯১; নাসায়ি, হাদিস : ১০৩২৩)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে এবং তিনি রাসুল (সা.) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন- যে ব্যক্তি নিম্নোক্ত দোয়াটি দিনে একশত বার বলবে— এটা তার জন্য দশজন দাসমুক্তির অনুরূপ হবে। তার জন্য একশত সওয়াব লেখা হবে। সেদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত এটা তার জন্য শয়তান থেকে সুরক্ষা হবে। সে যে সওয়াব পাবে— আর কেউ তার চেয়ে উত্তম সওয়াব পাবে না; তবে হ্যাঁ কেউ যদি তার চেয়ে বেশি আমল করে সে পাবে।’ (বুখারি, হাদিস ৬০৪০)

দোয়াটি হলো-

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ 

উচ্চারণ : লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্‌দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর।

অর্থ : এক আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই। তার কোন শরিক নেই। রাজত্ব তারই। সমস্ত প্রশংসাও তার। তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।

আবু আইয়াশ থেকে বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে উপনীত হলে বলে-

لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، 

উচ্চারণ : লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্‌দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর।

অর্থ : এক আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই, তার কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তারই, সমস্ত প্রশংসাও তার, আর তিনি সকল কিছুর ওপর ক্ষমতাবান।

সেটা তার জন্য ইসমাইলের বংশধর একজন দাসমুক্তির সমান, তার জন্য দশটি সওয়াব লেখা হয়, তার দশটি গুনাহ মাফ করা হয়, তার ১০ স্তর মর্যাদা উন্নীত করা হয় এবং সন্ধ্যা হওয়া পর্যন্ত এটি তার জন্য শয়তান থেকে সুরক্ষাকারী হয়। যদি সন্ধ্যায় উপনীত হলে এ বাক্যগুলো পড়ে তাহলে সকাল হওয়া পর্যন্ত সে ব্যক্তি সমধরণের সওয়াব পায়।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৭৭; আলবানি সহিহ সুনানে আবু দাউদ গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন]

আনাস ইবনে মালিক (রা.) বর্ণনা করেন, নবী (সা.) ফাতেমা (রা.)-কে বলেন, আমি তোমাকে যা ওসিয়ত করছি তা শুনতে কিসে তোমাকে বাধা দেয়? তুমি যখন সকালে উপনীত হবে কিংবা সন্ধ্যায় উপনীত হবে তখন বলবে:

يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغيثُ أَصْلِحْ لِي شَأْنِيَ كُلَّهُ وَلاَ تَكِلْنِي إِلَى نَفْسِي طَرْفَةَ عَيْنٍ

উচ্চারণ : ইয়া হাইয়্যু ইয়া ক্বাইয়্যূমু বিরহ্‌মাতিকা আস্তাগীসু, আসলিহ্‌ লী শা’নী কুল্লাহু, ওয়ালা তাকিলনী ইলা নাফসী ত্বারফাতা ‘আইন।

অর্থ : হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী! আমি আপনার রহমতের অসীলায় আপনার কাছে উদ্ধার প্রার্থনা করছি। আপনি আমার সার্বিক অবস্থা সংশোধন করে দিন। আর আমাকে আমার নিজের কাছে নিমেষের জন্যও সোপর্দ করবেন না। [আলবানী হাদিসটিকে 'হাসান' বলেছেন] (ইমাম নাসাঈ তার সুনানে কুবরা গ্রন্থে)

ইবনে মাসউদ (রা.) বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, নবী (সা.) যখন সন্ধ্যায় উপনীত হতেন তখন বলতেন,

أَمْسَيْنَا وَأَمْسَى الْمُلْكُ لِلَّهِ ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ ، وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ ، رَبِّ أَسْأَلُكَ خَيْرَ مَا فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ وَخَيْرَ مَا بَعْدَهَا ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ وَشَرِّ مَا بَعْدَهَا ، رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ وَسُوءِ الْكِبَرِ، رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابٍ فِي النَّارِ وَعَذَابٍ فِي الْقَبْرِ 

উচ্চারণ : আমসাইনা ওয়া আমসাল মুলকু লিল্লাহি, ওয়ালহাম্‌দু লিল্লাহি, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্‌দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর। রব্বি আস্আলুকা খাইরা মা ফী হা-যিহিল লাইলাতি ওয়া খাইরা মা বা‘দাহা, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন শাররি মা ফী হা-যিহিল লাইলাতি ওয়া শাররি মা বা‘দাহা, রব্বি আঊযু বিকা মিনাল কাসালি ওয়া সূইল-কিবারি। রবিব আ‘ঊযু বিকা মিন ‘আযাবিন ফিন্না-রি, ওয়া আযাবিন্ ফিল ক্বাবরি।

অর্থ : আমরা সন্ধ্যায় উপনীত হয়েছি এমতাবস্থায় যে, সমস্ত রাজত্ব ও সমুদয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য। এক আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই। তার কোনো শরীক নেই। রাজত্ব তারই। প্রশংসা তারই। আর তিনি সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান। ইয়া রব্ব! এ রাতে ও এর পরের রাতগুলোতে যত কল্যাণ আছে আমি আপনার কাছে সে সব কল্যাণ পেতে প্রার্থনা করছি এবং এ রাতে ও এর পরের রাতগুলোতে যত অকল্যাণ আছে, আমি সেগুলো থেকে আপনার আশ্রয় চাচ্ছি। ইয়া রব্ব! আমি আপনার কাছে অলসতা ও মন্দ বার্ধক্য থেকে আশ্রয় চাই। ইয়া রব্ব! আমি আপনার কাছে জাহান্নামের ও কবরের যে কোন শাস্তি থেকে আশ্রয় চাই।

এবং যখন সকালে উপনীত হতেন, তখনও দোয়াটি বলতেন এভাবে—

أَصْبَحْنَا وَأَصْبَحَ الْمُلْكُ لِلَّهِ

উচ্চারণ : আসবাহনা ওয়া আসবাহাল মুলকু লিল্লাহ্‌।

অর্থ : আমরা সকালে উপনীত হয়েছি এমতাবস্থায় যে, সমস্ত রাজত্ব আল্লাহর জন্য। (মুসলিম, হাদিস : ২৭২৩)

আরেকটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কোন মুসলিম যখন সকালে উপনীত হয় কিংবা সন্ধ্যায় উপনীত হয় তখন যদি ৩ বার বলে, আল্লাহর কাছে তার অধিকার হয়ে যায়— তাকে কিয়ামাতের দিন সন্তুষ্ট করা।

رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبَّاً، وَبِالْإِسْلاَمِ دِيناً، وَبِمُحَمَّدٍ ﷺ نَبِيّاً 

উচ্চারণ : রাদ্বিতু বিল্লা-হি রব্বান, ওয়াবিল ইসলা-মি দীনান, ওয়াবি মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লা-হু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামা নাবিয়্যান।

অর্থ : আল্লাহকে রব, ইসলামকে ধর্ম হিসেবে ও মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নবীরূপে গ্রহণ করে আমি সন্তুষ্ট। (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস : ১৮৯৬৭; মুসনাদ গ্রন্থে মুহাক্কিকগণ হাদিসটিকে সহিহ লি গাইরিহি' বলেছেন]

আবদুল্লাহ্‌ বিন খুবাইব (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী (সা.) তাকে বলেছেন, ‘তুমি যখন সন্ধ্যায় উপনীত হবে কিংবা সকালে উপনীত হবে তখন তুমি ‘ক্বুল হুয়াল্লাহু আহাদ’ (সুরা ইখলাস) ও মুআওয়িযাতাইন (সুরা ফালাক ও সুরা নাস) ৩ বার পড়বে। এটি তোমাকে সব কিছু থেকে রক্ষা করবে।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৭৫; আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৮২)

উসমান বিন আফ্‌ফান (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি যে, ‘যে ব্যক্তি সন্ধ্যাবেলা তিনবার নিম্নোক্ত দোয়া বলবে— সে ব্যক্তি সকাল পর্যন্ত কোন আচমকা বিপদে আক্রান্ত হবে না। যে ব্যক্তি সকাল বেলা এ বাণীগুলো ৩ বার পড়বেন সন্ধ্যা হওয়া পর্যন্ত সে ব্যক্তি কোন আচমকা বিপদে আক্রান্ত হবেন না। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৮৮)

بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلاَ فِي السّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ 

উচ্চারণ : বিস্‌মিল্লা-হিল্লাজি লা ইয়াদ্বুররু মা‘আ ইস্‌মিহী শাইউন ফিল্ আরদ্বি ওয়ালা ফিস্ সামা-ই, ওয়াহুয়াস্ সামি‘উল ‘আলীম।

অর্থ : আল্লাহর নামে (সকল অনিষ্ট থেকে সাহায্য চাই), যার নাম (স্মরণের) সাথে আসমান ও যমীনে কোনো কিছুই ক্ষতি করতে পারে না। আর তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী।

অন্য একটি বর্ণনায় রয়েছে, কোন বান্দা যদি প্রত্যেক দিন সকালে ও রাতে ৩ বার করে নিম্নোক্ত দোয়া পড়ে—

بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ، 

উচ্চারণ : বিস্‌মিল্লা-হিল্লাজি লা ইয়ায্‌যুররু মা‘আ ইস্‌মিহি শাইউন ফিল্ আরযি ওয়ালা ফিস্ সামা-ই, ওয়াহুয়াস্ সামী‘উল ‘আলীম) কোনো কিছু তার ক্ষতি করতে পারবে না।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৮৮; জাদুল মাআদ : ২/৩৩৮)

আবুদ দারদা (রা.) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় ৭ বার নিম্নোক্ত দোয়া পড়বেন—
حَسْبِيَ اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ ، عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ

উচ্চারণ : হাসবিয়া আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা হুয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আযিম।

অর্থ : আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট। তিনি ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই। তার উপরই আমি তাওয়াক্কুল করি। তিনি মহান আরশের অধিপতি) আল্লাহ্‌ তার দুশ্চিন্তা দূর করে দিবেন।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৫০৮১)

জুওয়াইরিয়া (রা.) বর্ণনা করেন যে, নবী (সা.) একবার ভোরবেলা ফজরের নামায পড়ার জন্য তার কাছে বেরিয়ে গেলেন। সে সময় জুওয়াইরিয়া জায়নামাজে ছিলেন। পূর্বাহ্ণের পর তিনি ফিরে আসলেন তখনও জুওয়াইরিয়া জায়নামাযে বসা ছিলেন। তিনি বললেন, আমি যাওয়ার পর থেকে তুমি এ অবস্থায় আছ? জুওয়াইরিয়া বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তোমার কাছ থেকে যাওয়ার পর আমি ৪টি বাক্য ৩ বার পড়েছি। সে বাক্যগুলো যদি ওজন করা হয় তাহলে তুমি আজকে সারাদিনে যা পড়েছ সেগুলোর সমান হবে। (মুসলিম, হাদিস : ২৭২৬)

سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ ، عَدَدَ خَلْقِهِ وَرِضَا نَفْسِهِ وَزِنَةَ عَرْشِهِ وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ

উচ্চারণ : সুব্‌হা-নাল্লা-হি ওয়াবি হামদিহী ‘আদাদা খালক্বিহী, ওয়া রিযা নাফসিহী, ওয়া যিনাতা ‘আরশিহী, ওয়া মিদা-দা কালিমা-তিহী।

অর্থ : আমি আল্লাহর প্রশংসাসহ পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি- তার সৃষ্ট বস্তুসমূহের সংখ্যার সমান, তার নিজের সন্তোষের সমান, তার ‘আরশের ওজনের সমান ও তার বাণীসমূহ লেখার কালি পরিমাণ।
collected.

যে কোন ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়ার দোয়া

আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন যে, এক লোক নবী (সা.)-এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! গত রাতে আমাকে একটা বিচ্ছু কামড় দেয়ায় কী কষ্টটাই না পেয়েছি! তিনি বললেন: তুমি যদি সন্ধ্যাকালে বলতে—

أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ

উচ্চারণ : আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিন শাররি মা খালাক্বা।

অর্থ : আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমাসমূহের উসিলায় আমি তার নিকট তার সৃষ্টির ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাই।

তাহলে তোমার কোনো ক্ষতি হত না। (মুসলিম, হাদিস : ২৭০৯)

উৎকৃষ্ট দোয়া

আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকালে একশত বার ও সন্ধ্যায় একশত বার ‘সুবহা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহি’ পড়বে, কিয়ামতের দিন তার চেয়ে উৎকৃষ্ট কিছু কেউ নিয়ে আসতে পারবে না। তবে সে ব্যক্তি ছাড়া— যে তার মত বলবে বা তার চেয়ে বেশি আমল করবে।’ (মুসলিম, হাদিস ২৬৯২)


আরবি : سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ


উচ্চারণ : সুবহা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহি


অর্থ: আমি আল্লাহর প্রশংসাসহ পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি।

সাইয়েদুল ইস্তেগফার

শাদ্দাদ বিন আওস (রা.) নবী (সা.) থেকে বর্ণনা করেন যে, সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার (শ্রেষ্ঠ ইস্তিগফার) হলো-

اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ، خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ، أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وَأَبُوءُ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنوبَ إِلاَّ أَنْتَ 

উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মা আনতা রাব্বি লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খলাক্বতানি ওয়া আনা ‘আব্দুকা, ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাস্তাত্বা‘তু। আ‘উযু বিকা মিন শাররি মা সানা‘তু, আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়্যা, ওয়া আবূউ বিযাম্বী। ফাগফির লি, ফাইন্নাহূ লা ইয়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা আনতা।

অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমার রব্ব, আপনি ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই। আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমি আপনার বান্দা। আমি আমার সাধ্য মতো আপনার (তাওহীদের) অঙ্গীকার ও (জান্নাতের) প্রতিশ্রুতির ওপর রয়েছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট থেকে আপনার আশ্রয় চাই। আপনি আমাকে যে নেয়ামত দিয়েছেন আমি তা স্বীকার করছি এবং আমার অপরাধও স্বীকার করছি। অতএব, আপনি আমাকে মাফ করে দিন। নিশ্চয় আপনি ছাড়া পাপরাশি ক্ষমা করার কেউ নেই।

তিনি আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি দিনের বেলায় বিশ্বাসের সঙ্গে এ বাক্যগুলো বলবে এবং সেদিন সন্ধ্যার আগে যদি সে মারা যায়— তাহলে সে ব্যক্তি জান্নাতের অধিবাসী হবে। আর যে ব্যক্তি রাতের বেলায় এ বাক্যগুলো বলবে এবং সকাল হওয়ার আগে মারা যাবে— সে ব্যক্তি জান্নাতের অধিবাসী হবে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৩০৬)

Saturday, December 23, 2023

ইকড়ি মিকড়ি চাম চিকড়ি কবিতার ব্যাখ্যা

“ইকড়ি মিকড়ি চাম-চিকড়ি,
চামের কাঁটা মজুমদার,
ধেয়ে এল দামোদর।
দামোদরের হাঁড়ি-কুঁড়ি,
দাওয়ায় বসে চাল কাঁড়ি।
চাল কাঁড়তে হল বেলা,
ভাত খাওগে দুপুরবেলা।
ভাতে পড়ল মাছি,
কোদাল দিয়ে চাঁছি।
কোদাল হল ভোঁতা,
খা কামারের মাথা।”
ছোটবেলায় আমরা অনেকেই এই ছড়াটি পড়েছি। কিন্তু কখনো কি ভেবেছি নান্দনিক ছন্দের এই ছড়াটির অর্থ কি? এই ছড়া কোন ইতিহাস বয়ে বেড়ায় কিনা?
এই প্রশ্ন করলে হয়তো এই উত্তরই আসবে যে শিশুদের নির্ভেজাল আনন্দের জন্য এই ছড়ার রচনা হয়েছে। কিন্তু সত্যটা বেশ করুণ। আদতে আনন্দের ছিঁটেফোঁটাও নেই এই ছড়ায়, শিশুদের জন্য তো না বটেই।
মূলত এই ছড়ায় ছড়াকার অসাধারণ দক্ষতার সাথে চিরন্তন বাংলার সাধারণ মানুষের দুঃসহ আর্থ-সামাজিক অবস্থা তুলে ধরেছেন। চলুন এবার ছড়াটির প্রতিটি শব্দ ও পংক্তি ধরে বিশ্লেষণ করে দেখি।
'ইকড়ি' অর্থ সংসার পরিপালনের জন্য সারাদিন খেটেখুটে কঠোর পরিশ্রম করা। কিন্তু তাতেও যখন সংসার চলে না, তখন প্রয়োজন হয় 'মিকড়ি', অর্থাৎ আরও কিছু অতিরিক্ত উপার্জনের চেষ্টা করা। 'চাম' অর্থ রুজি-রোজগারের এলাকা। আর 'চিকড়ি' অর্থ সেই রোজগারের এলাকায় ঘুরে ঘুরে কিছু (অর্থ বা ফসল) উপার্জন করে তা ঘরে নিয়ে আসা।
কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় এই "চামের কাঁটা মজুমদার"। 'মজুমদার' মূলত এক প্রকার রাজকর্মচারীর পদবী যার কাজ ছিল খাজনা বা রাজস্ব আদায় ও হিসেব রাখা। আর তাই অনেক সময় খাজনা আদায়ের নামে দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষের সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে যেত বলে তাকে পথের কাঁটা বলা হয়েছে।
আর অতঃপর "ধেয়ে এল দামোদর"। এই 'দামোদর' হলো মূলত ফড়ে-পাইকারের দল, যারা সাধারণ কৃষকের উৎপাদিত ফসল অথবা কুমারের বানানো তৈজসপত্র স্বল্প দামে কিনে নিয়ে বাজারে চড়া দামে বিক্রি করতো।
কিন্তু এই দামোদর শুধু এসেই ক্ষান্ত হয় না। এখানে বলা হয়েছে "দামোদরের হাঁড়ি-কুঁড়ি"। এর অর্থ হলো, তারা যখন আসে তখন সাথে করে হাঁড়ি কুঁড়ি নিয়ে আসে। অর্থাৎ খেটে খাওয়া মানুষের উৎপাদিত সব দ্রব্য সাথে করে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে আসে।
এরপর বলা হয়েছে "দাওয়ায় বসে চাল কাঁড়ি", অর্থাৎ মজুমদার আর ফড়ে পাইকারের থেকে লুকিয়ে যেটুকু চাল বাঁচানো গিয়েছে, এবার সেটা দিয়েই ঘরের দরজায় বসে ভাত রাঁধার প্রস্তুতি শুরু।
কিন্তু "চাল কাঁড়তে হল বেলা", অর্থাৎ এতসব ঝামেলা ঝক্কি সামলাতে সামলাতে ভাত রাঁধায় দেরী হয়ে যায়। তাই "ভাত খাওগে দুপুরবেলা", অর্থাৎ প্রথম প্রহরে বা সকালে খাওয়া আর সম্ভব হয় না। একেবারে দ্বিপ্রহরে বা দুপুরে খেতে হয়।
কিন্তু খাবে কী করে! কারণ "ভাতে পড়ল মাছি"। এখানে 'মাছি' বলতে আসলে চোরকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ গরীবের যে যৎসামান্য খাদ্য, তারও শেষ রক্ষা হয় না। ছিঁচকে চোর সেটাও চুরি করে নিয়ে যায়। তাই "কোদাল দিয়ে চাঁছি"। এই 'কোদাল'ও আক্ষরিক অর্থে ব্যবহৃত হয়নি। বরং কোদাল বলতে এখানে কোতোয়াল বা পুলিশের কথা বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ পুলিশের কাছে গিয়ে চোরের ব্যাপারে নালিশ করা হয়েছে।
তবে তাতেও যে গরীব মানুষের হয়রানি কম হয়, তা কিন্তু নয়। কারণ "কোদাল হল ভোঁতা"। অর্থাৎ পুলিশ বা কোতোয়াল কোন কাজই করে না। আর তাই "খা কামারের মাথা"। অর্থাৎ এই কোদাল যে কামার বানিয়েছে, মানে পুলিশ কোতোয়াল সৃষ্টিকারী গ্রামের উচ্চপর্যায়ের লোকেরা, শেষমেশ তাদের কাছে গিয়েই এই হতদরিদ্র মানুষ গুলোর মাথা কুটে কাঁদতে হয়।
সুতরাং এক কথা বললে, এই ছড়ায় ছড়াকার গ্রাম বাংলার সেই খেটে খাওয়া মানুষের জীবনবৃত্তান্ত তুলে ধরেছেন যে কিনা কঠোর পরিশ্রম করেও জমিদার, খাজনা আদায়কারী, অসাধু ব্যবসায়ী, চোর, পুলিশ এদের উপদ্রবে নিজের পরিবারের জন্য দু' বেলার খাবারও জোটাতে পারে না।
তথ্যসূত্রঃ
১। কলিম খান ও রবি চক্রবর্তী, "বঙ্গীয় শব্দার্থকোষ", ভাষাবিন্যাস
২। ড. মোহাম্মদ আমিন, "ইকড়ি মিকড়ি : অসাধারণ অর্থপূর্ণ একটি ছড়া", 

(সংগৃহিত)

Thursday, December 21, 2023

পিপড়ার চাকরী হারানোর গল্প

দারুণ একটি স্যাটায়ারঃ

এক দেশে ছিলো এক পিপড়া। সে প্রতিদিন ৯টায় অফিসে ঢুকতো। তারপর কারো সঙ্গে সময় নষ্ট না করে সঙ্গে সঙ্গে কাজে বসে যেত।

সে যে পরিমাণ কাজ করত, তাতে কোম্পানির উৎপাদন হতো প্রচুর এবং এর ফলে সে আনন্দের সঙ্গেই জীবন নির্বাহ করত।

ওই অফিসের সিইও সিংহ অবাক হয়ে দেখত, এই পিঁপড়াটি কোনো ধরনের সুপারভিশন ছাড়াই প্রচুর কাজ করছে। সিংহ ভাবল, পিঁপড়াকে যদি কারও সুপারভিশনে দেওয়া হয়, তাহলে সে আরও বেশি কাজ করতে পারবে।

কয়েক দিনের মধ্যেই সিংহ একটি তেলাপোকাকে পিঁপড়ার সুপারভাইজার হিসেবে নিয়োগ দিল। সুপারভাইজার হিসেবে এই তেলাপোকাটির ছিল দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা, আর সে দুর্দান্ত রিপোর্ট লিখতে পারত।

তেলাপোকাটি প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিল, এই অফিসে একটি অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম থাকা উচিত।

কয়েক দিনের মধ্যেই তেলাপোকার মনে হলো, তার একজন সেক্রেটারি দরকার, যে তাকে রিপোর্ট লিখতে সাহায্য করবে। … সে একটা মাকড়সাকে নিয়োগ দিল এই কাজে যে সব ফোনকল মনিটর করবে, আর নথিপত্র রাখবে।

সিংহ খুব আনন্দ নিয়ে দেখল যে তেলাপোকা তাকে প্রতিদিনের কাজের হিসাব দিচ্ছে আর সেগুলো বিশ্লেষণ করছে গ্রাফের মাধ্যমে। ফলে খুব সহজেই উৎপাদনের ধারা সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যাচ্ছে এবং সিংহ সেগুলো বোর্ড মিটিংয়ে ‘প্রেজেন্টেশন’ আকারে পেশ করে বাহবা পাচ্ছে।

কিছুদিনের মধ্যেই তেলাপোকার একটি কম্পিউটার ও লেজার প্রিন্টার প্রয়োজন হলো এবং এগুলো দেখভালের জন্য আইটি ডিপার্টমেন্ট গঠন করল। আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়োগ পেল মাছি।

আমাদের কর্মী পিঁপড়া, যে প্রতিদিন অফিসে এসে প্রচুর কাজ করে মনের সুখে গান গাইতে গাইতে বাসায় ফিরত, তাকে এখন প্রচুর পেপার ওয়ার্ক করতে হয়, সপ্তাহের চার দিনই নানা মিটিংয়ে হাজিরা দিতে হয়।

নিত্যদিন এসব ঝামেলার কারণে কাজে ব্যাঘাত ঘটায় উৎপাদন কমতে লাগল, আর সে বিরক্ত হতে লাগল।

সিংহ সিদ্ধান্ত নিল, পিঁপড়া যে বিভাগে কাজ করে, সেটাকে একটা আলাদা ডিপার্টমেন্ট ঘোষণা করে সেটার একজন ডিপার্টমেন্ট প্রধান নিয়োগ দেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়।

সিংহ ঝিঁঝিপোকাকে ওই ডিপার্টমেন্টের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিল। ঝিঁঝিপোকা প্রথম দিন এসেই তার রুমের জন্য একটা আরামদায়ক কার্পেট ও চেয়ারের অর্ডার দিল।

কয়েক দিনের মধ্যেই অফিসের জন্য স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান তৈরি করতে ঝিঁঝি পোকার একটি কম্পিউটার ও ব্যক্তিগত সহকারীর প্রয়োজন হলো। কম্পিউটার নতুন কেনা হলেও ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে ঝিঁঝিপোকা নিয়োগ দিল তার পুরোনো অফিসের একজনকে।

পিঁপড়া যেখানে কাজ করে, সেখানে আগে ছিল চমৎকার একটা পরিবেশ। এখন সেখানে কেউ কথা বলে না, হাসে না। সবাই খুব মনমরা হয়ে কাজ করে।

ঝিঁঝিপোকা পরিস্থিতি উন্নয়নে সিংহকে বোঝাল, ‘অফিসে কাজের পরিবেশ’ শীর্ষক একটা স্টাডি খুব জরুরি হয়ে পড়েছে।

পর্যালোচনা করে সিংহ দেখতে পেল, পিঁপড়ার বিভাগে উৎপাদন আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে।

কাজেই সিংহ কয়েক দিনের মধ্যেই স্বনামখ্যাত কনসালট্যান্ট পেঁচাকে অডিট রিপোর্ট এবং উৎপাদন বাড়ানোর উপায় বাতলে দেওয়ার জন্য নিয়োগ দিল।

পেঁচা তিন মাস পিঁপড়ার ডিপার্টমেন্ট মনিটর করল, সবার সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান কথা বলল। তারপর বেশ মোটাসোটা একটা রিপোর্ট পেশ করল সিংহের কাছে। ওই রিপোর্টের সারমর্ম হলো, এই অফিসে প্রয়োজনের তুলনায় কর্মী বেশি। কর্মী ছাঁটাই করা হোক।

পরের সপ্তাহেই বেশ কয়েকজন কর্মী ছাঁটাই করা হলো। বলুন তো, কে সর্বপ্রথম চাকরি হারাল?

ওই হতভাগ্য পিঁপড়া। কারণ, পেঁচার রিপোর্টে লেখা ছিল, ‘এই কর্মীর মোটিভেশনের ব্যাপক অভাব রয়েছে এবং সর্বদাই নেতিবাচক আচরণ করছে, যা অফিসের কর্মপরিবেশ নষ্ট করছে।

এবার ভাবুন তো, আপনার পজিশানটা কী আপনার অর্গানাইজেশনে?

( সংগৃহিতঃ বিদেশি গল্পের অবলম্বনে )

Wednesday, December 20, 2023

New Curriculum competency 8 & 9

New curriculum - 2024
Class  Eight 
বিষয় : ইংরেজি
Competency -5টি
Total PI - 18 টি

Competency - 1 : PI - 4
Ability to paraphrase and summarize a  conversation text.  
(একটি Conversation পাঠ্যকে প্যারাফ্রেজ এবং সারাংশ/সারমর্ম লিখার সক্ষমতা৷)

Competency - 2 : PI - 3
Ability to identify and use cohesive devices in oral/ written text.
(কোনো একটি টেক্স থেকে  লিখিত বা মৌখিকভাবে সমন্বিত ডিভাইসগুলো সনাক্ত এবং ব্যবহার করার সক্ষমতা।)

Competency - 3 : PI - 3
ability to explore basic features in different genre of texts. 
(পাঠ্যের বিভিন্ন ধরণের মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলি অন্বেষণ করার সক্ষমতা।)

Competency - 4 : PI - 2
Ability to recognise linguistic norms in relation to power relation and hierarchy in a particular cultural context.
(একটি নির্দিষ্ট সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটের শক্তির সম্পর্ক এবং শ্রেণিবিন্যাস সম্পর্কিত ভাষাগত নিয়মগুলি সনাক্ত করার ক্ষমতা।)

Competency - 5 : PI - 6
Ability to appreciate the use of stylistics and ornamentation (imagery, smile, metaphor etc) in a literary text.
(একটি সাহিত্য পাঠে স্টাইলিস্টিক এবং অলঙ্করণ (চিত্র, উপমা, রূপক ইত্যাদি) ব্যবহারের প্রশংসা করার ক্ষমতা৷)

Class Nine 
বিষয় : ইংরেজি

Competency - 5টি
PI - 21টি

Competency - 1 : PI - 4
Ability to  distinguish between  facts and opinion in a given text.
(একটি প্রদত্ত পাঠে তথ্য এবং মতামতের মধ্যে পার্থক্য করার সক্ষমতা।)

Competency - 2 : PI - 4
(Ability to device tonality to maintain clarity of  expression.
অভিব্যক্তির স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ডিভাইস টোনালিটির সক্ষমতা।)

Competency - 3 : PI - 4
Ability to identify structures and  organisations of different genres.
(একটি টেক্সট থেকে বিভিন্ন ধরনের Structure এবং Organisation সনাক্ত করার ক্ষমতা।)

Competency - 4 : PI - 3
Ability to critically analyze and evaluate linguistic norms  in acodence with power relations  in a particular  cultural context.

(একটি নির্দিষ্ট সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটের Power সম্পর্কের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ভাষাগত নিয়মগুলি সমালোচনামূলকভাবে বিশ্লেষণ এবং মূল্যায়ন করার ক্ষমতা।)

Competency - 5 : PI - 6
Ability to appreciate aesthetic in English literary text and internalize aesthetic value in one's own articulations.
(ইংরেজি সাহিত্যের পাঠে নান্দনিকতার প্রশংসা করার এবং নিজের বক্তব্যে নান্দনিক মানকে স্পষ্ট করার ক্ষমতা।)

Friday, December 15, 2023

ইংরেজি তে ৫০ টা গালি

ইংরেজিতে ৫০টি গালি!
এবার গালি হবে আনলিমিটেড
1. Stupid - বেকুব
2. Rascal - বদমাশ
3. Cad - লুচ্ছা
4. Incaution - বেয়াক্কেল
5. Witless - বুদ্ধিহীন
6. Devil - শয়তান
7. Demon - শয়তান
8. Lucifer - শয়তান
9. Imp - শয়তানের বাচ্চা
10. Fool - বোকা
11. Chuckle-headed - বোকা
12. Dumb - বোবা/বোকা
13. Booby - বোকালোক
14. Dullard- বোকালোক
15. Foolish - নির্বোধ
16. Idiot - নির্বোধ/গাধা
17. Nincompoop - আহাম্মক
18. Impudent - বেহায়া
19. Barefaced - নির্লজ্জ
20. Shameless - লজ্জাহীন
21. Absurd - অদ্ভুত
22. Rubbish - আবর্জনা
23. Cruel - নিষ্টুর
24. Oaf - গন্ডমূর্খ
25. Ass - গর্দভ
26. Mutt - বুদ্ধু লোক/গাড়ল
27. Nasty - বিশ্রি
28. Sinner - পাপী
29. Yahoo - নরপশু
30. Graceless - হতচ্ছাড়া
31. Lascivious - লম্পট
32. Cheater - প্রতারক
33. Swindler - ঠগবাজ/জোচ্ছোর
34. Dissolute - চরিত্রহীন
35. Senseless - অচেতন
36. Nonsense - আজেবাজে কথা
37. Irrational - বিচার শক্তিহীন
38. Thick-head - মাথামোটা
39. Thick-skinned - গন্ডালের চামড়া
40. Black sheep - কুলাংগার
41. Bastard - জারজ সন্তান
42. Go to the hell - যাহান্নামে যাক
43. Son of a bitch - কুকুরের বাচ্চা
44. Young devil - শয়তানের বাচ্চা
45. Kick ass - পাছায় লাথি মারা
46. Scoundrel - খচ্চর/বজ্জাত
47. Damn it - গোল্লায় যাও/জাহান্নামে যাও
48. Criminal - গুরু অপরাধী
49. Oh shit - ফালতু জিনিস
50. Who the hell are you? - ঐ শালা তুই কে?
(কালেক্টেড)

Wednesday, December 13, 2023

১০ টি প্রয়োজনীয় হাদিস

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

নিচে ১০ টি হাদিস দেওয়া হলো প্লিজ দয়া করে ৫ মিনিট ব্যয় করে হাদিস গুলো পড়বেন। 

৪১) জাবির (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা) আমাদেরকে চারটি কাজের আদেশ ও পাঁচটি কাজ থেকে নিষেধ করেছেনঃ

(১) যখন ঘুমাবে দরজা বন্ধ করবে,
(২) মশকের মুখ বেঁধে রাখবে,
(৩) পাত্র ঢেকে রাখবে,
(৪) বাতি নিভিয়ে দিবে । কারণ শয়তান (বদ্ধ) দ্বার খুলতে পারে না, (বন্ধ) মশক খুলতে পারে না এবং (ঢাকা) পাত্র উন্মুক্ত করতে পারে না । আর দুষ্ট ইঁদুর গৃহবাসীসহ ঘর পুড়িয়ে ফেলতে পারে । 

(ক) বাম হাতে খাবে না,
(খ) বাম হাতে পান করবে না,
(গ) এক পায়ে জুতা পরিধান করে হাটবে না, 
(ঘ) ইশতেমালুস সাম্মা (চাদরের দু'মাথা বিপরীত দিক থেকে কাঁধের উপরে তুলে শরীর জড়িয়ে পরিধান করা) অবস্থায় চাদর পরিধান করবে না,
(ঙ) লুঙ্গি পড়ে লজ্জাস্থান উন্মুক্ত রেখে নিতম্ব মাটিতে রেখে হাটুদ্বয় খাড়া করে একটি কাপড় দ্বারা হাটুদ্বয়কে জড়িয়ে বসবে না । 

[ইবনু হিব্বান, মুসনাদে আহমাদ, আস-সহীহা হা/ ২৯৭৪]

৪২) আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ

যে ব্যক্তি জিহাদ না করে বা জিহাদের কামনা পোষণ না করে মারা যায় সে মুনাফিক্বী অংশ বিশেষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মারা যাবে ।

[মুসলিমঃ ১৯১০; নাসায়ীঃ ৩০৯৭; বুলুগুল মারামঃ ১২৫৯]

৪৩) আবু হুরায়রা (রা) থেকে মারফূ সূত্রে বর্ণিতঃ

নিশ্চয়ই আল্লাহ (এমন) দুই ব্যক্তিকে দেখে হাসেন যারা একজন অপরজনকে হত্যা করে, অতঃপর আল্লাহ তা'আলা উভয়কে জান্নাতে প্রবেশ করান । তাদের একজন কাফির, যে অপরজনকে হত্যা করে । এরপর সে ইসলাম কবুল করে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করে নিহত হয় ।

[মুসনাদে আহমাদ, আস-সহীহা হা/ ২৫২৫]

৪৪) আবু হুরায়রা (রা) বলেন, রাসুল (সা) বলেছেন,
সাত শ্রেণীর লোককে আল্লাহ সুবাহানওয়া তা'আলা তাঁর ছায়া দিবেন, যেদিন (বিচার দিবসে) তাঁর ছায়া ব্যতীত আর কোন ছায়া থাকবে না ।

(০১) ন্যায় পরায়ণ শাষক,
(০২) সেই যুবক যে আল্লাহর ইবাদতে বড় হয়েছে,
(০৩) সে ব্যক্তি যার অন্তর সর্বদা মসজিদের সাথে সম্পৃক্ত থাকে, সেখান থেকে বের হয়ে আসার পর তথায় ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত,
(০৪) এমন দুই ব্যক্তি যারা আল্লাহর ওয়াস্তে পরস্পরকে ভালোবাসে । আল্লাহুর ওয়াস্তে উভয়ে মিলিত হয় এবং তাঁর জন্যই পৃথক হয়ে যায়,
(০৫) এমন ব্যক্তি যে নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ করে আর তাঁর চক্ষু অশ্রু বিসর্জন দিতে থাকে,
(০৬) এমন ব্যক্তি যাকে কোন সভ্রান্ত সুন্দরী নারী আহবান করে আর সে বলে আমি আল্লাহকে ভয় করি এবং
(০৭) সে ব্যক্তি যে গোপনে দান করে এমনকি তাঁর বাম হাত জানতে পারে না তাঁর ডান হাত কি দান করে ।”
[বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/ ৬৪৯]

৪৫) আবু আইয়ুব (রা) হতে বর্ণিত । রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ

কোন লোকের জন্য বৈধ নয় যে, সে তার ভাই- এর সাথে তিন দিনের অধিক এমনভাবে সম্পর্ক ছিন্ন রাখবে যে, দু'জনের দেখা হলেও একজন এদিকে আরেকজন ওদিকে মুখ ঘুরিয়ে রাখবে । তাদের মধ্যে যে আগে সালাম দিবে, সেই উত্তম লোক ।

[বুখারীঃ ৬২৩৭, মুসলিমঃ ২৫৬০, বুলুগুল মারামঃ ১৪৬১]

৪৬) আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ

মুনাফিকের আলামত তিনটি- (১) যখন কথা বলে মিথ্যা বলে, (২) যখন অঙ্গীকার করে ভঙ্গ করে এবং (৩) আমানত রাখা হলে খিয়ানত করে । 

[বুখারীঃ ৩৩; মুসলিমঃ ৫৯; বুলুগুল মারামঃ ১৪৮৫]

৪৭) আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ

তোমরা কারো প্রতি খারাপ ধারণা পোষণ করো না । কেননা, খারাপ ধারণা সবচেয়ে বড় মিথ্যা ।

[বুখারীঃ ৫১৪৩; মুসলিমঃ ১৪১৩; তিরমিযীঃ ১৯৮৮]

৪৮) খাওলাহ আনসারীয়া (রা) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূলুল্লাহ (সা) কে বলতে শুনেছি যে,

কিছু লোক আল্লাহর দেয়া সম্পদ অন্যায়ভাবে ব্যয় করে, কিয়ামতের দিন তাদের জন্য জাহান্নাম নির্ধারিত ।

[বুখারীঃ ৩১১৮; তিরমিযীঃ ২৩৭৪; বুলুগুল মারামঃ ১৪৯৩]

৪৯) হুযাফাহ (রা) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন
চোগলখোর কক্ষনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না ।

[বুখারীঃ ৬০৫৬; মুসলিমঃ ১০৫; বুলুগুল মারামঃ ১৫০৫]

৫০) আবু সিরমাহ (রা) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ

যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের ক্ষতি করবে প্রতিদানে আল্লাহ তা'আলাও তার ক্ষতি করবেন । আর যে ব্যক্তি কোন মুসলিমকে কষ্ট দেবে আল্লাহ এর প্রতিদান তাকে কষ্ট দিবেন ।

[আবু দাউদঃ ৩৬৩৫; তিরমিযীঃ ১৯৪০; বুলুগুল মারামঃ ১৫০১]

ইংরেজিতে কথা বলতে এই ২৫টি শব্দ জানতেই হবে।

ইংরেজিতে কথা বলতে এই ২৫টি শব্দ জানতেই হবে। 
1. Can – পারা 
2. Could - পারতাম
3. Must - অবশ্যই
4. being - কিছু হয়ে
5. Need to - প্রয়োজন
6. Should/ought to – উচিৎ
7. Should have – উচিৎ ছিলো
8. May – পারা (সম্ভাবনা অর্থে)
9. Might – পারতাম (সম্ভাবনা অর্থে)
10. There is/are - আছে
11. There was/were - ছিলো
12. There will be - হবে
13. There will have – থাকবে
14. There can be – থাকতে পারে
15. There could be – থাকতে পারতো
16. Have/has to – করতেই হবে
17. Had to – করতে হয়েছিল
18. Am to/is to/are to – হয়/কথা
19. Am/is/are supposed to - হয়/কথা
20. Had better – বরং উচিৎ
21. Able to – সক্ষম হওয়া
22. Will be able to – সক্ষম হবো
23. Have been able to – সক্ষম হয়েছি
24. Used to – অতীত অভ্যস্ত বুঝাতে
25. Would like to - চাওয়া

collected

Sunday, December 10, 2023

৮০ টি উক্তি

🔰🌿
৮০ টি উক্তি :
শেয়ার করে রেখে দিন কাজে লাগবে।

✪ আমি ব্যার্থতা কে মেনে নিতে পারি কিন্তু আমি চেষ্টা না করাকে মেনে নিতে পারিনা। ➯ মাইকেল জর্ডান
✪ আমি বলবনা আমি ১০০০ বার হেরেছি, আমি বলবো যে আমি হারার ১০০০ টি কারন বের করেছি। ➯ থমাস অ্যাডিসন
✪ যিনি জিনিয়াস তার ১% অনুপ্রেরণা, বাকি ৯৯% ই তার পরিশ্রমের ফল। ➯ টমাস আলভা এডিসন।
✪ এ পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক নিজের বাবা। যে ছেলে গোটা ছাত্রজীবন তার বাবার সাথে বসে রাতের খাবার খাবে, সে কোন দিনই নীতি থেকে বিচ্যুত হবে না। ➯ হুমায়ূন আহমেদ।
✪ অর্থ যেখানে নাই ভালোবাসা সেখানে দুর্লভ। ➯ স্যার টমাস ব্রাউন
✪ অর্থমন্ত্রী হলেন আইনসম্মত পকেটমার। ➯ পল রামাদিয়ে
✪ আমি আল্লাহকে সবচেয়ে ভয় পাই। তার পরেই ভয় পাই সেই মানুষকে যে আল্লাহকে মোটেই ভয় পায় না। ➯ শেখ সাদী
✪ আমি কোন কঠিন কাজ করার জন্য সবসময় একজন অলস বাক্তিকে পছন্দ করবো, কারন সে ওই কাজটি করার একটি সহজ উপায় বের করবে। ➯ বিল গেটস
✪ আমি চলে গেলে যদি কেউ না কাঁদে, তবে আমার অস্তিত্বের কোন মূল্য নেই – সুইফট
✪ আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেই স্বপ্নে আস্থা ছিল। আর আমি কাজটা ভালোবাসতাম। ফেসবুক বিফল হলেও আমার ভালোবাসাটা থাকত। জীবনে একটা স্বপ্ন থাকতে হয়, সেই স্বপ্নকে ভালোও বাসতে হয়। ➯ মার্ক জুকারবার্গ
✪ একজন আহত ব্যক্তি তার যন্ত্রনা যত সহজে ভুলে যায়, একজন অপমানিত ব্যক্তি তত সহজে অপমান ভোলে না । ➯ জর্জ লিললো
✪ একজন জ্ঞানী ব্যক্তিকে একটি অনুষ্ঠানে কিছু বলার জন্য বলা হল। তিনি স্টেজে উঠে একটি কৌতুক বললেন। হলভর্তি দর্শক হাসিতে ফেটে পড়লো। একটু পরে তিনি একই কৌতুক আবারও বললেন; এবার খুব অল্প কয়েকজন হাসল। এরপরে তিনি একই কৌতুক কয়েকবার বললেন কিন্তু কেউ এতে হাসলোনা। তিনি একটু হেসে সকলের উদ্দেশ্যে বললেন, আপনারা একই বিষয় নিয়ে কয়েকবার হাসতে পারেন না, তাহলে কেন একই জিনিস মনে করে বারবার, অনেকবার কাঁদেন??
✪ এমনভাবে জীবনযাপন করে যেন কখনো মরতে হবেনা,আবার এমনভাবে মরে যায় যেন কখনো বেচেই ছিলনা। ➯ শেখ সাদী
✪ কখনও আশা ছেড়ে দিবেন না কারন, আপনি জানেন না আপনি লক্ষ্যের কত কাছে আছেন।
✪ কুৎসিত মনের থেকে কুৎসিত মুখ অনেক ভালো । ➯ জেমস ইলস
✪ কুসংস্কারকে ধ্বংস করতে গিয়ে আমরা ধর্মকে ধ্বংস করতে পারিনা! ➯ সিসেরো
✪ কেউ যদি আপনার জীবন থেকে স্বেচ্ছায় চলে যেতে চায় তাকে যেতে দিন, সে হয়তো আপনার জীবনে তার থেকেও ভালো কারো আসার জন্য জায়গা করে দিচ্ছে।
✪ খালি কলসি বাজে বেশী, ভরা কলসি বাজে না। রূপ নাই তার সাজন বেশী, রূপের মাইয়া সাজে না।
✪ গর্ব না করাই গর্বের বিষয় । বড় হয়েও নিজেকে ছোট মনে করা গৌরবজনক । ➯ প্লেটো
✪ জীবন থেকে পালিয়ে যে বাঁচা যায় না, সমস্যা থাকবেই , পারো তো নিজে সমাধান করো না পারো তো সময়ের হাতে ছেড়ে দাও।
✪ জীবনে পাওয়ার হিসাবকরুন, না পাওয়ার দুঃখ থাকবেনা। ➯ ডেল কার্নেগী
✪ জ্ঞানের একমাত্র উত্স হল অভিগ্যতা অর্জন। ➯ আলবার্ট আইনস্টাইন
✪ তুমি যদি শোন যে, একটা পাহাড় একরাতে নদী/সাগর হয়ে গেছে, সেটা বিশ্বাস করো।
✪ ধন সম্পদ অর্জন করতে গিয়ে নিজের শরীর সুস্থতা খুইয়ে দেয়, আবার শরীর সুস্থতা ফিরে পেতে সেই ধন সম্পদই খোয়ায়।
✪ নাওয়াস ইবনে সামআন (রা) থেকে বর্নিত, রাসুল (স:) বলেন: পুন্য ও সততা সচ্চরিত্রের অপর নাম। গুনাহ হল সেই জিনিস যা তোমার অন্তরে সন্দেহ সৃষ্টি করে এবং লোকে সেটি জেনে ফেলুক তা তুমি অপছন্দ করো। ➯ মুসলিম
✪ নীচু লোকের প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে অশ্লীল বাক্য। ➯ হযরত আলী (রঃ)
✪ পৃথিবীর নিয়ম বড় অদ্ভুত, যাকে তুমি সবচেয়ে বেশী ভালবাস, সেই তোমার দু:খের কারন হবে। ➯ সমরেশ মজুমদার
✪ বোন স্ত্রী অথবা কন্যা-যে রূপেই হোক না কেন, নারীর প্রেম পুরুষের প্রেম অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ও পবিত্র"। ➯ এইচ.জি.লরেন্স
✪ ব্যর্থ মানুষেরা দু প্রকার। এক প্রকার হল, যারা কাজের চিন্তা করেছে কিন্তু কাজ করে নি। আরেক প্রকার হল, যারা কাজ করেছে কিন্তু চিন্তা করে তা করে নি।
✪ ভবিষ্যতের চিন্তায় বর্তমান নষ্ট করে দেয়, আবার ভবিষ্যতে নিজের অতীতের উপর কাঁদে।
✪ মনে রাখবেন, আপনি কে বা আপনার কি আছে তার উপর আপনার সুখ নির্ভর করেনা, আপনার সুখ নির্ভর করে আপনি কেমন চিন্তা করেন তার উপর। ➯ ডেল কার্নেগী
✪ মানুষে বিশ্বাস হারানো উচিত নয়। মানবতা হলো মহাসমূদ্র। এর কোনো এক বিন্দু যদি দূষিতও হয় সমূদ্র তাতে দূষিত হয় না।” – মহত্মা গান্ধী
✪ মানুষের জীবনটাই অগণিত ভুলের যোগফল । ➯ হোমারক্রয়
✪ মেয়েদের অনুমান পুরুষদের নিশ্চয়তা হতে অনেক বেশী সঠিক। ➯ কিপলিং
✪ যখন তোমার কাছে অনেক অনেক টাকা থাকবে, তখন তুমি ভুলে যাবে যে তুমি কে । আর যখন তোমার কাছে টাকা থাকবে না, তখন সমস্ত পৃথিবী ভুলে যাবে তুমি কে । ➯ বিল গেটস
✪ যদি আপনি কাউকে ধোঁকা দিতে সক্ষম হন তাহলে ভাববেন না যে সেই মানুষটি বোকা। জেনে রাখুন সেই মানুষটি আপনাকে বিশ্বাস করেছিল যার যোগ্য আপনি ছিলেন না ।।
✪ যদি ভাল স্ত্রী পাও,তা হলে তোমার নিজের লাভ। কারন তখন তুমি সুখী হতে পারবে। কিন্তু যদি খারাপ স্ত্রী পাও তা হলে দেশের লাভ, কারন তখন তুমি দার্শনিক হতে পারবে। ➯ গ্রিক প্রবাদ
✪ যার কথার চেয়ে কাজের পরিমান বেশী, সাফল্য তার কাছেই এসে ধরা দেয়। কারণ, যে নদী যত গভীর তার বয়ে যাওয়ার শব্দ তত কম।
✪ যে অনেক কিছু একসঙ্গে আরম্ভ করে, সে কিছুই শেষ করতে পারেনা। ➯ সি. সিমোন্স
✪ যে নিজেকে অক্ষম ভাবে, তাকে কেউ সাহায্য করতে পারে না। ➯ জন এন্ডারসন।
✪ যে পরিপূর্ণ ভাবে ঘুমোতে পারে, তাকে একজন সুখি ব্যক্তি বলা চলে । ➯ জোসেফ এডওয়ার্ড
✪ যে বেশি কসম খায় বা হলফ করে, সে মিথ্যাও বেশি বলে । ➯ দাওয়ানি
✪ যে ব্যক্তি গরীব দুঃখীর আর্তনাদ শুনে কান বন্ধ করে রাখে, সেও একদিন আর্তনাদ করবে কিন্তু কেউ শুনবেনা । ➯ হযরত সোলায়মান (রাঃ)
✪ যেখানে জীবন আছে, আশা সেখানে থাকবেই। ➯ মার্কাস তুলিয়াস সিসেরো
✪ রমণী অনর্থক হাসে , তাহা দেখিয়া অনেক পুরুষ অনর্থক কাঁদে,
✪ লক্ষ্য স্থির রাখুন, লক্ষ্যপানে এগিয়ে যান, কোন বাধা আপনাকে আটকাতে পারবেনা; কোন সমস্যা আপনাকে আটকাতে পারবে না, আপনাকে কোন মানুষ আটকাতে পারবেনা, যদি কেউ আপনাকে আটকাতে পারে, সে হল একমাত্র আপনি। সুতরাং কোন অজুহাত নয়, লক্ষকে জীবনের সাথে বেধে নিন, আপনি জিতবেনই!
✪ সত্যবাদী লোকেরা তিনটি জিনিস লাভকরেঃ অন্যদের আস্থা, ভালবাসা, সম্মান । ➯ হযরত আলী (রাঃ)
✪ সন্দেহ করার ব্যপারে সতর্ক হও, কেননা সন্দেহ ইবাদত ধ্বংস করে এবং গুনাহ বৃদ্ধি করে। সন্দেহ প্রবণ ব্যক্তি, প্রিয়জনদের সঙ্গেও শান্তিতে থাকতে পারেনা। সন্দেহ, কাজকর্মকে দুর্নীতিগ্রস্থ করে এবং মন্দ প্রবণতাকে উৎসাহিত করে। ➯ হযরত আলী (রাঃ)
✪ সুন্দরীদের বোকা বোকা কথাও স্বর্গীয় বাণীর সমতুল্য । ➯ কৃ্ষণ চন্দর
✪ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি উযু অবস্থায় রাতে ঘুমায়, ফেরেশতা তার শরীরের সাথে লেগে রাত যাপন করে। যখনই সে ঘুম থেকে জাগে তখন তার জন্য ফেরেশতা দু'আ করে- " আয় আল্লাহ্! আপনার এই বান্দাকে মাফ করেদিন, কারণ সে উযু অবস্থায় ঘুমিয়েছে।" ➯ সহীহ ইবনে হিব্বান, ইবনে হিব্বান, হাদিস নং-১০৫১
✪ হ্যাঁ' এবং 'না' কথা দুটো সবচে' পুরনো এবং সবচে' ছোট। কিন্তু এ কথা দু'টো বলতেই সবচে' বেশি ভাবতে হয়। –পীথাগোরাস
✪ সবচেয়ে কঠিন কাজ হচ্ছে নিজেকে চেনা, আর সবচেয়ে সহজ কাজ হচ্ছে অন্যদেরকে উপদেশ দেয়া। ➯ থেলিস
✪ যার আশা অকাঙ্খা নেই, সে জয়ের পূর্বেই হেরে গেছে। ➯ শিল্পি ম্যাসিন্জার
✪ লোভ আত্মাকে অপবিত্রকরে, ধর্মকে দূর্নীতিগ্রস্ত করে এবং যৌবনকে ধ্বংস করে।
অনেক পুরুষ ছন্দ মিলাইতে বসে, অনেক পুরুষ গলায় দড়ি দিয়া মরে। ➯ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কিন্তু যদি শোন যে, একটা মানুষ রাতারাতি তার চরিত্র পরিবর্তন করে ফেলেছে, সেটা বিশ্বাস করো না। ➯ আল হাদিস
✪ যা হবার তা হয়েই গেছে সেটা নিয়ে কাঁদলেও আর তা পালটানো যাবেনা। কান্না কোন সমাধান নয়, কাঁদলে সমস্যা আরও জটিল হয়। সকল ক্ষেত্রে বাস্তবতাকে মেনে নেয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
✪ শষ্যের জন্য যেমন বৃষ্টির প্রয়োজন তেমনি যুক্তিবাদী মানুষের জন্য প্রয়োজন নৈতিকতার। ➯ হযরত আলী (রাঃ)