Monday, December 23, 2024

অন লাইনে খাজনা

✅ অনলাইনে প্রথমবার জমির খাজনা দিতে কী কী ডকুমেন্টস লাগে?
খাজনা দেয়ার জন‍্য নিম্নলিখিত পেপার এর প্রয়োজন হবেঃ

◾ভূমি তথ্য ও সেবা কেন্দ্র:
১।  সর্বশেষ রেকর্ড/খারিজ খতিয়ানের কপি।
২।  পূর্ববর্তী দাখিলার কপি।
৩।  জাতীয় পরিচয়পত্র।
৪।  একটি স্মার্টফোন/কম্পিটার ও ইন্টারনেট কানেকশন।
৫।  মোবাইল নাম্বার ও পাসওয়ার্ড।
৬।  জমির অবস্থান অনুযায়ী-বিভাগ, জেলা, উপজেলা, মৌজার তথ্য, খতিয়ান নং ও হোল্ডিং নং।

বি:দ্র: বকেয়ার সাল চার এর অধিক হলে এবং পূর্ববর্তী খাজনার রশিদ আপনার নিকট থাকলে (যা অনলাইন নয়) প্রথম বার ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে খাজনা দিন।
 
◾অনলাইনে খাজনা দেয়ার ধাপ সমূহঃ

ধাপ ১- ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন (ভূমি মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://ldtax.gov.bd )।

ধাপ ২- নাগরিক নিবন্ধন করুন (মোবাইল নং, জন্ম তারিখ, আইডি নং দেয়ার পর ওটিপি পাবেন)।

ধাপ ৩- প্রোফাইল সেটিং করুন (প্রফাইলের তথ‍্যগুলি পুরণ করুন)।

ধাপ-৪ জমির খতিয়ান যুক্ত করুন।

ধাপ-৫ হোল্ডিং ও ভূমি উন্নয়ন করের তথ্য পূরণ করুন।

ধাপ-৬ পেমেন্ট অপশন সিলেক্ট করুন।

ধাপ-৭  ই-পেমেন্ট করুন।

ধাপ-৮ খাজনা রশিদ ডাউনলোড করুন।
 
◾খতিয়ানে নাম থাকা যে কোন একজন খাজনা দিতে পারবেন।

◾ওয়ারিশান হলে ওয়ারিশ সনদ সংযুক্ত করে খাজনা দেয়া যাবে।

◾যাদের আইডি কার্ড নেই তারা প্রতিনিধির মাধ‍্যমে খাজনা দিতে পারবেন।

◾খতিয়ানে থাকা সব জমির খাজনা দিতে হবে। আংশিক খাজনা দেয়ার নিয়ম নেই।

সংগৃহীত

Saturday, December 14, 2024

ট্রেড এর কৌশল ইকিগাই

ইকিগাই-এর ১০ নিয়ম ও স্টক মার্কেট ট্রেডিং/ইনভেস্টমেন্টের সমন্বিত কৌশল
স্টক মার্কেটে সফলভাবে ট্রেড বা ইনভেস্ট করার জন্য একটি স্পষ্ট কৌশল প্রয়োজন। সেই কৌশল যদি ইকিগাই-এর ১০টি নিয়মের সঙ্গে সমন্বয় করা যায়, তাহলে এটি শুধু লাভজনক নয়, বরং মানসিক ও আর্থিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী হয়। নিচে ইকিগাই-এর নিয়ম অনুযায়ী স্টক মার্কেট ট্রেডিং ও ইনভেস্টমেন্ট কৌশল তুলে ধরা হলো:

১. ছোট শুরু করুন (Start Small)
স্টক মার্কেটেও সফল হতে গেলে ছোট ছোট বিনিয়োগ দিয়ে শুরু করতে হবে।

কৌশল:
প্রথমেই ছোট পুঁজিতে ট্রেড শুরু করুন।
নতুন স্ট্রাটেজি বা ইন্ডিকেটর পরীক্ষা করতে ডেমো ট্রেড ব্যবহার করুন।
অল্প ভলিউমে (lot size) ইনভেস্ট করুন এবং প্রাথমিক ভুলগুলো থেকে শিখুন।
ব্যাখ্যা: নতুনদের জন্য বড় বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। ছোট শুরু করলে, ব্যর্থতা সহজে সামলানো যায়।
২. নিজেকে মুক্ত রাখুন (Release Yourself)
অতীতের ভুল বা ক্ষতির জন্য দুশ্চিন্তা না করে সামনের দিকে এগিয়ে যান।

কৌশল:
অতীতের লস নিয়ে বেশি ভাববেন না। বরং সেগুলো থেকে শিখে সামনে কীভাবে আরও ভালোভাবে বিনিয়োগ করা যায়, সেই পরিকল্পনা করুন।
প্রতিটি ট্রেড শেষে নিজেকে প্রশ্ন করুন: "আমি কী শিখলাম?"
ব্যাখ্যা: ভুল হলে সেটি মেনে নিয়ে লস কাটিয়ে ওঠা স্টক মার্কেটে টিকে থাকার গুরুত্বপূর্ণ দিক।
৩. আনন্দ নিয়ে কাজ করুন (Do What You Love)
যদি আপনি ট্রেডিং ভালোবাসেন, তবে এটি আনন্দের সঙ্গে করুন। জোর করে বা শুধু টাকা আয়ের জন্য ট্রেডিং করবেন না।

কৌশল:
যে কৌশল বা মার্কেট (যেমন: ইক্যুইটি, ফরেক্স, ক্রিপ্টো) আপনাকে বেশি আকর্ষণ করে, সেখানে ফোকাস করুন।
আপনার পছন্দের স্ট্র্যাটেজি (যেমন: ট্রেন্ড-ফলোয়িং, ব্রেকআউট বা পুলব্যাক) দিয়ে কাজ শুরু করুন।
ব্যাখ্যা: আনন্দ নিয়ে কাজ করলে মানসিক চাপ কম থাকে এবং ফলাফল ভালো হয়।
৪. ছোট আনন্দগুলো উপভোগ করুন (Enjoy Small Wins)
প্রতিটি ছোট লাভ বা সফল ট্রেড উপভোগ করুন।

কৌশল:
স্টপ লস এবং প্রফিট টার্গেট ঠিক করুন। প্রফিট ছোট হলেও তা গ্রহণ করুন।
ছোট ছোট গেইন বা ব্রেকইভেন ট্রেডগুলো আপনার মোট অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্সে পজিটিভ প্রভাব ফেলে।
ব্যাখ্যা: ধারাবাহিক ছোট লাভ বড় ফলাফল এনে দেয়।
৫. বর্তমানে থাকুন (Live in the Moment)
বাজারে যা ঘটছে, সেটির ওপর সম্পূর্ণ মনোযোগ দিন। ভবিষ্যতের অতিরিক্ত অনুমান বা অতীত নিয়ে ভাবার দরকার নেই।

কৌশল:
প্রতিটি ট্রেডে চার্টের ট্রেন্ড, ভলিউম এবং প্রাইস অ্যাকশনের প্রতি মনোযোগ দিন।
নিউজ ইভেন্ট বা ইকোনমিক ক্যালেন্ডার দেখে সিদ্ধান্ত নিন।
ব্যাখ্যা: বর্তমান বাজার পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে পারলে লস কম হবে।
৬. নিজেকে ব্যস্ত রাখুন (Stay Active)
মার্কেট মনিটরিং এবং নিজের কৌশল উন্নয়নের জন্য নিজেকে নিয়মিত ব্যস্ত রাখুন।

কৌশল:
প্রতিদিন মার্কেট অ্যানালাইসিস করুন।
প্রফেশনাল ট্রেডারদের অনুসরণ করুন এবং নতুন স্ট্র্যাটেজি শিখুন।
ব্যাখ্যা: সক্রিয় থাকার মাধ্যমে আপনি নতুন সুযোগ খুঁজে পাবেন এবং ভুল কম হবে।
৭. কৃতজ্ঞ থাকুন (Be Grateful)
বাজার থেকে আপনি যা শিখেছেন, তার জন্য কৃতজ্ঞ থাকুন।

কৌশল:
একটি ট্রেড জিতলেও বা হারালেও নিজের শেখার অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দিন।
প্রতিদিন একটি রেকর্ড রাখুন, যেখানে আপনার লাভ-ক্ষতির পাশাপাশি শেখার পয়েন্টগুলো থাকবে।
ব্যাখ্যা: কৃতজ্ঞতা মানসিক শান্তি দেয় এবং ভুল থেকে শেখার সুযোগ করে।
৮. ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলুন (Nurture Good Relationships)
অন্য ট্রেডারদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করুন এবং তাদের থেকে শিখুন।

কৌশল:
ট্রেডিং কমিউনিটিতে যোগ দিন।
বন্ধুদের সঙ্গে স্ট্র্যাটেজি শেয়ার করুন এবং নতুন আইডিয়া নিন।
ব্যাখ্যা: ভালো সম্পর্ক গড়ে তুললে আপনি ট্রেডিং সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি পেতে পারেন।
৯. প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করুন (Reconnect with Nature)
মার্কেট থেকে বিরতি নিয়ে প্রকৃতির কাছে যান এবং মনকে শান্ত করুন।

কৌশল:
ট্রেডিং স্ট্রেস কমাতে কিছুক্ষণ বাইরে হাঁটতে যান।
একটানা স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার পরিবর্তে কিছু সময় নিজেকে রিল্যাক্স করতে দিন।
ব্যাখ্যা: মানসিক চাপ কমিয়ে নতুন উদ্যমে ট্রেড করতে সাহায্য করে।
১০. কখনোই হাল ছাড়বেন না (Never Give Up)
মার্কেট কঠিন মনে হলেও ধৈর্য ধরুন এবং শিখে যান।

কৌশল:
প্রতিটি ট্রেডিং দিনে নিজের লক্ষ্য স্থির রাখুন।
রিস্ক ম্যানেজমেন্ট (১-২% রিস্ক পার ট্রেড) এবং মানি ম্যানেজমেন্টের নিয়ম মেনে চলুন।
সাহস এবং ধৈর্য বজায় রাখুন, কারণ সঠিক স্ট্র্যাটেজি ধীরে ধীরে আপনাকে সফল করবে।
ব্যাখ্যা: মার্কেটে ধৈর্য ও ধারাবাহিকতা আপনাকে দীর্ঘমেয়াদে সফলতা দেবে।
স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ী মূল দিকগুলো:
ট্রেন্ড: মার্কেটের ট্রেন্ড অনুযায়ী এন্ট্রি নিন। ট্রেন্ডের বিরুদ্ধে ট্রেড করবেন না।
ভলিউম: উচ্চ ভলিউমে (High Volume) সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স ব্রেক করলে এন্ট্রি নিন।
এন্ট্রি-স্টপ লস-প্রফিট টেক: প্রতিটি ট্রেডের জন্য সুনির্দিষ্ট এন্ট্রি পয়েন্ট, স্টপ লস এবং প্রফিট টার্গেট সেট করুন।
মানি ম্যানেজমেন্ট: এক ট্রেডে আপনার অ্যাকাউন্টের ১-২% এর বেশি রিস্ক নিবেন না।
রিস্ক ম্যানেজমেন্ট: প্রতি ট্রেডে রিস্ক-টু-রিওয়ার্ড রেশিও ১:২ বা তার বেশি রাখুন।
সাহস: সুযোগ দেখে নির্ভয়ে ট্রেডে এন্ট্রি নিন।
ধৈর্য: মার্কেটের সঠিক এন্ট্রি পয়েন্টের জন্য অপেক্ষা করুন।
উপসংহার:
ইকিগাই-এর ১০টি নিয়ম স্টক মার্কেটে ট্রেডিং ও ইনভেস্টমেন্টের ক্ষেত্রে মানসিক স্বচ্ছতা, ধৈর্য এবং ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে। এই নিয়মগুলো অনুসরণ করলে আপনি শুধু লাভবান হবেন না, বরং ট্রেডিং জীবনের প্রতিটি ধাপে মানসিক ও আর্থিক স্থিতিশীলতাও অর্জন করবেন। 🌟
কপি ফ্রম আনোয়ার ভাই।

Thursday, December 12, 2024

টেরান্স টাও (Terence Tao) হলেন বর্তমান দুনিয়ার একজন সেরা গণিতবিদ।

টেরান্স টাও (Terence Tao) হলেন বর্তমান দুনিয়ার একজন সেরা গণিতবিদ। সেরাদের সেরা। তাকে বলা হয় জীবন্ত কিংবদন্তি। বলা হয় গণিতের যাদুশিল্পী। 

টেরান্স মাত্র দশ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এখন পর্যন্ত এটা সবচেয়ে কম বয়সে অংশগ্রহণকারী রেকর্ড। এবং সবচেয়ে কম বয়সে (১৩) আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডে স্বর্ণপদক জয়ী সে। 

একুশ বছর বয়সে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করা এই অসম্ভব মেধাবী মাত্র চব্বিশ বছর বয়সে ইউনিভার্সিটি অব ক‍্যালিফোর্নিয়া লজ এঞ্জেলসে (UCLA) ফুল প্রফেসর হয়েছেন। সেখানেই বর্তমানে কাজ করছেন। 

মাত্র একত্রিশ বছর বয়সে গণিতের নোবেল খ‍্যাত ফিল্ডস মেডেল (Fields Medal) অর্জন করেছেন।

আমাদের স্টুডেন্টরা কি তার সম্পর্কে জানে? আমাদের পাঠ‍্য বইগুলোতে কি এনাদের কথা থাকে? 
……………………
 collected from facebook post of Rauful Alam

Tuesday, December 10, 2024

বিধাতার বিচার সত্যিই অসাধারন

অভিনেতা হুমায়ূন ফরীদি এবং তাঁর প্রথম স্ত্রী মিনুর সংসার ছিল সর্বসাকুল্যে ৪ বছরের। সেই সংসারে ফুটফুটে এক মেয়েরও জন্ম হয়েছিল। কিন্তু ১৯৮৪ সালে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাদের। সেই বছরেই হুমায়ূন ফরীদি অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফাকে বিয়ে করে নতুন সংসার সাজিয়ে বসেন। এই দৃশ্যটি দূর থেকে দেখার কষ্ট সহ্য করতে হয় মিনুকে। সন্দেহ নেই, পৃথিবীর ভয়াবহতম কষ্টগুলোর একটি হলো নিজের প্রিয়জনকে অন্যের হতে দেখা। পৃথিবী মানুষের পাওনা বুঝিয়ে দিতে পছন্দ করে। যে কষ্ট হুমায়ূন ফরীদি তাঁর প্রথম স্ত্রী মিনুকে দিয়ে এসেছিলেন, সেই একই কষ্ট ফিরে পেতে দুই যুগের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হলো না তাঁর। ২০০৮ সালে ফরীদিকে ছেড়ে দিয়ে নিজের চেয়ে চৌদ্দ বছরের ছোটো বদরুল আনাম সৌদকে বিয়ে করে ফেললেন সুবর্ণা মুস্তাফা। এই দৃশ্যটি ফরীদিকে দেখতে হলো দূর থেকে, অনেক বছর আগে যেমনটি দেখেছিলেন তাঁর প্রথম স্ত্রী মিনু। বাংলাদেশের কোনো এক জেলায় সংঘটিত হওয়া একটি ঘটনা শুনে শিউরে উঠেছিলাম। বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যা করার সময় সে ছিল মাতাল৷ এক কোপে শরীর থেকে মাথা আলাদা করে ফেলেছে ছেলে। পুলিশ তদন্তের পর জানা গেল আরেক ভয়ঙ্কর তথ্য। যে বাবাকে হত্যা করা হয়েছে, সেই ব্যক্তি অনেক বছর আগে তার নিজের মাকে খুন করেছিল। প্রকৃতি তার প্রাপ্য বুঝিয়ে দিয়েছে কড়ায়-গণ্ডায়। একটুও কৃপণতা করেনি। প্রকৃতির এই প্রতিশোধের বিষয়টি স্থান পেয়েছে বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে নিয়ে শিল্প-সাহিত্যেও। হিন্দুদের কোনো এক ধর্মগ্রন্থে একজন রাজার কথা উল্লেখ করা হয়েছে৷ এক যুদ্ধে তার ৫ ছেলের সবাই নিহত হলো। তখন তিনি কেঁদে কেঁদে ঈশ্বরকে বললেন, 'ঈশ্বর! আমার সঙ্গে তুমি এমন নিষ্ঠুরতা কেন করলে?' ঈশ্বর জবাব দিলেন, 'খুব ছোটোবেলায় তুমি ৫টি প্রজাপতি মেরেছিলে, মনে পড়ে?' রাজা বললেন, 'আমি তো ওটা খেলাচ্ছলে করেছিলাম।' ঈশ্বর জবাব দিলেন, 'আমিও এটা খেলাচ্ছলে করলাম।' উল্লেখ্য, এটি রূপকথা হলেও উদাহরণটি কিন্তু সিগনিফিকেন্ট! হুমায়ূন আহমেদের একটি খুব জনপ্রিয় ছোটোগল্পের নাম 'পিঁপড়া'৷ এই গল্পে দেখা যায়—মকবুল নামে এক ধনী গৃহস্থকে সারাক্ষণই পিঁপড়া তাড়া করে। এর থেকে বাঁচার জন্য এহেন কোনো ব্যবস্থা নেই, যা সে করে না। রাতে ঘুমানোর আয়োজনেও আনে বিশেষত্ব। খাটের চার পায়ার নিচে পানির পাত্র রাখার ব্যবস্থা রাখে, যেন পিঁপড়া না ওঠে। কিন্তু কিছুতেই কোনো লাভ হয় না। সর্বশেষ এক চিকিৎসকের কাছে সে খুলে বলে তার বৃত্তান্ত। তার বাড়িতে থাকা দুঃসম্পর্কের এক কিশোরী আত্মীয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছিল সে। তার লাশে ওঠা পিঁপড়াই প্রথম পিছু নেয় তার। সেই থেকে চলছে...। মানুষের চূড়ান্ত বিচারের জন্য আল্লাহ পরকালের ব্যবস্থা রেখেছেন। কিন্তু অনেক পাপের শাস্তি তিনি দুনিয়াতেও দিয়ে থাকেন। আধুনিক সমাজ যেটাকে 'Revenge of nature' বলে থাকে। এটা সত্য, কোনো অংশেই মিথ্যে নয়। আমরা আজ অন্যায়ভাবে কাউকে কষ্ট দিলে কাল হয়তো অন্য কেউ একই কষ্টটা আমাদের দেবে। পৃথিবীটা এভাবেই ফাংশন করে। কাজেই নিজের ব্যাপারে সতর্ক থাকাটা প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। কবিগুরু লিখে গেছেন অনেক বছর আগে….. 'প্রত্যেক সামান্য ত্রুটি, ক্ষুদ্র অপরাধ/ ক্রমে টানে ঘটায় প্রমাদ